![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : ১. এবার ধরা দাও (২০০০) ২. উচ্ছ্বাস(২০০১) ৩. পরিত্যক্ত পদাবলি(২০০২) ৪. এক বিকেলে(২০০৪) ৫. নিঃসঙ্গ নির্জন(২০০৫) ৬. ভাঙনের শব্দ(২০১১) ৭. আমার সন্তান যেন দুধেভাতে(২০১২) ৮. চারিদিকে জীবনে সমুদ্র-সফেন(২০১২) গবেষণা গ্রন্থ : ১. শওকত আলীর উপন্যাস : কলাকৌশল ও বিশেষ বৈশিষ্ট্য( প্রকাশের অপেক্ষায়) ২. বাংলাদেশের উপন্যাস : নারীর স্বাধিকার চেতনা
শাফিক আফতাব--------
জেসিকা তোমার চেয়ে তোমার মা আমাকে বেশি ভালোবেসেছিলেন। কেনোনা আমার এই ভদ্র ইতরের চেহেরায় প্রেমালী বৈশিষ্ট্যের চেয়ে জামাইয়ালী বৈশিষ্ট্যই বেশি ফুটে উঠতো। জীবনের সাথে যুদ্ধ আর এঁেদা কাদাজলে ভিজে বড় হওয়া এই আমি নাগরিক জীবন বহুদিন যাপন করলেও গ্রামীণ স্বভাব কিংবা গ্রাম্যতা মুছাতে পারিনি এই দেহে থেকে। কৃত্রিমতায় ছোঁয়া আমি লাগাতে পারিনি বহুদিন চেষ্টা করে। আমার জীবনাচারে। দেখেছি অনেক বন্ধুই শহরে কিছুদিন থেকেই বাড়িতে এসে ভাষাটাও ভুলে যায়। কিংবা নাগরিকতা বোঝাতে জলকে বলা ওয়াটার ; আর জীবনকে বলে লাইফ। বুবুকে আপা বলা শেখে। ত্রি কোয়াটার প্যান্ট পড়ে ঘোরে মেঠো পথ। জেসিকা আমি ওসব পারিনি। আমার রক্তে যে কৃষকের গৃহাস্থলির জীবনাচার প্রোথিত হয়েছিলো, শেষাবধি তাই থেকেছে আমার স্বভাবে, চরিত্রে। সে যাহোক এই গ্রাম্যতা বড় বেশি ভালোবাসতেন তোমার মা। তিনি ভাবতেন এই নিরীহ প্রাণীটিকে বেশ পোষ মানানো যাবে। সেই থেকে তোমার মা আমাকে এক রকম জামাইর মতো আদর করতে থাকেন। অথচ তোমার সাথে আমার বিয়েটা হলোনা। আমি জানতাম, তোমার আর তোমার মা’র ভালোবাাসার মূল্য দেয়ার মতো যোগ্যতা আমার নেই। শেষাবধি ভিলেনের পার্টে অভিনয় করে প্রস্থান করতে হলো তোমাদের বাড়ি থেকে। কেনোনা তোমরা যাকে ভালোবাসতে তারা এমন প্রান্তিক চাষী ছিলো যাদের খোঁয়াড়ের গন্ধে তোমাদের মান সম্মান আর আভিজাত্য ভূলুণ্ঠিত হতো। এমন কিছু তার ছিলো না ; যা দিয়ে তিনি তোমার ও তোমার মায়ের ভালোবাসার মূল্য দিতে পারতেন !
জেসিকা বহুদিন পর তোমাকে নয়, তোমার মাকে মনে পড়ে।
২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩
princejohn বলেছেন: কাহিনীটি একটু একটু কষ্টের হলেও লেখা পড়ে ভাল লাগল। কিছুটা লেখকদের মত লিখেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৯
মায়াবী ছায়া বলেছেন: ভাল লিখেছেন...।