![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : ১. এবার ধরা দাও (২০০০) ২. উচ্ছ্বাস(২০০১) ৩. পরিত্যক্ত পদাবলি(২০০২) ৪. এক বিকেলে(২০০৪) ৫. নিঃসঙ্গ নির্জন(২০০৫) ৬. ভাঙনের শব্দ(২০১১) ৭. আমার সন্তান যেন দুধেভাতে(২০১২) ৮. চারিদিকে জীবনে সমুদ্র-সফেন(২০১২) গবেষণা গ্রন্থ : ১. শওকত আলীর উপন্যাস : কলাকৌশল ও বিশেষ বৈশিষ্ট্য( প্রকাশের অপেক্ষায়) ২. বাংলাদেশের উপন্যাস : নারীর স্বাধিকার চেতনা
শাফিক আফতাব-------
আমি ছোটবেলায় কাঠফাটা রোদে গরু চরাতাম_
বলা যায় আমি ছিলাম রাখাল ছেলে ;
সেই আশির দশকের বৈশাখ আর জৈষ্ঠ্যের রোদ কী যে ঝাঁঝমারা !
তা শুধু আমিই বুঝতাম,
মাথা গলে গলে সমস্ত শরীর ভিজে যেতো আমার ;
তবু আমি আমি গাই গরু দুটোকে ইচ্ছেতরে কচি ঘাস খাওয়াতাম,
কেনোনা আমার দুধ ছিলো প্রিয় খাদ্য,
আর আমি যেদিন মায়ের পেট থেকে পৃথিবীর ভূমিতে নামি
সেদিন দুটি বাছুরকেও আমার যমজ ভাই হিসেবে পাই আমি
(সেদিন দুটো গাভী প্রসব হয়)
সেই থেকে ওদের সাথে সখ্যতা আমার গভীর হতে থাকে।
একদিন যদি গাভীর পেট খালি দেখতাম,
সেদিন রাতে আমার ঘুম হতোনা,
মনে হতো গাই দুটো ক্ষিদের জ্বালায় ছটপট করছে।
পুরো স্কুল জীবনে আমি গরুদের সেবায় নিয়োজিত থাকি।
এই শহরে থাকি এখন,
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষণায় সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়েছি
কলেজে অধ্যাপনা করি।
তবু মনে হয় আমার রাখালজীবনই ভালো ছিলো
নাগরিক জীবেনর এত বিদ্বেষ আর যন্ত্রণা ছিলোনা
ছিলোনা কোনো বিশ্বাসঘাতকতা,
প্রকৃতির মতোন অবাধ বেড়ে ওঠা জীবন ছিলো আমার আর আমাদের।
আজকের শিক্ষিত মানুষের সামাজিক কমিন্টমেন্ট দেখে মনে হয়
আমার রাখাল জীবনের অবদানই দেশের জন্য সুখকর ছিলো
শিক্ষিত হয়ে আয়েশে পায়েশ খেয়ে আজ শুধু আমরা
খায়েশ মেটাই ছলেবলেকৌশলে ! গা ভাসাই কামনা উষ্ণ জলে।
১৩.০৬.২০১৩
©somewhere in net ltd.