নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : ১. এবার ধরা দাও (২০০০) ২. উচ্ছ্বাস(২০০১) ৩. পরিত্যক্ত পদাবলি(২০০২) ৪. এক বিকেলে(২০০৪) ৫. নিঃসঙ্গ নির্জন(২০০৫) ৬. ভাঙনের শব্দ(২০১১) ৭. আমার সন্তান যেন দুধেভাতে(২০১২) ৮. চারিদিকে জীবনে সমুদ্র-সফেন(২০১২) গবেষণা গ্রন্থ : ১. শওকত

অনুপম অনুষঙ্গ

আমার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : ১. এবার ধরা দাও (২০০০) ২. উচ্ছ্বাস(২০০১) ৩. পরিত্যক্ত পদাবলি(২০০২) ৪. এক বিকেলে(২০০৪) ৫. নিঃসঙ্গ নির্জন(২০০৫) ৬. ভাঙনের শব্দ(২০১১) ৭. আমার সন্তান যেন দুধেভাতে(২০১২) ৮. চারিদিকে জীবনে সমুদ্র-সফেন(২০১২) গবেষণা গ্রন্থ : ১. শওকত আলীর উপন্যাস : কলাকৌশল ও বিশেষ বৈশিষ্ট্য( প্রকাশের অপেক্ষায়) ২. বাংলাদেশের উপন্যাস : নারীর স্বাধিকার চেতনা

অনুপম অনুষঙ্গ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাফিক আফতাব ভালো হয়ে গেছে। কবিতা কম লিখেন। আর লিখলেও অন্য ব্লগারদের সমস্যা না করে একই পোস্টে সব কবিতা দেন। সে সবার দোয়া চায়

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২৩

ভুলে গেছি আজ আমি গোলাপকাহিনী/

শাফিক অাফতাব /



ভুলে গেছি আজ আমি গোলাপকাহিনী

ভুলে গেছি আজ আমি তোমার ভালোবাসা

ভুলে গেছি আজ আমি__ নাম কী জানি ?

ভুলে গেছি আজ আমি তোমার কাছে আসা।



ভুলে যাওয়াই বুঝি পৃথিবীর রীতি

ক্ষয়ে তাই গেলো বুঝি পৃথিবীর প্রাচীর

মিছেয় মানুষ করে প্রেম আর প্রীতি

মিছেয় মানুষ গড়ে ভালোবাাসা নীড়।



ভালোবাসা বুড়ো হয়ে মরে অকালে

ভালোবাসা শেষে শুধু কঙ্কাল পড়ে থাকে

তবুও মানুষ কিন্তু চলে তার তালে

তবুও পাখি গায় বৃক্ষের শাখে।



তবুও তোমাকে আমি ভেবে ভেবে চলি

তবু্ও তোমায় নিয়ে লিখি পদাবলি।

২০.০৩.২০১৪

....................

মাটির উত্তাপে পাই সেই সব পুরুষের দেহের তাপ /

শাফিক আফতাব /



মানুষগুলো স্মৃতির পাতায় ঘুরপাক খায়,হাঁটে, কাঁদে, ভালোবাসে __

শ্লোগানে মুখরিত করে রাজপথ,সংগ্রামে, ঘামে প্রেমে শ্রমে কালের সঞ্চয়ে

রেখে যায় অর্জন। আমরা তাই দিয়ে গর্জন করি, ঠাটে চলি,

তাদের জামানত ভেঙে আয়েশ করে সারাটি বিকেলে ভাতঘুমে

আবেশের দেহ চুমে যাই বেগানা নারীর নীড়ে। সেই সব মানুষ দিয়ে গেছে

ফসলের সূত্র, প্রযুক্তির তত্ত্ব, বেঁচে থাকার তাবৎ কৌশল শিখিয়ে গেছে।

আমরা তৈরি পৃথিবীর ভূমে পাই বাসযোগ্য সাজানো নিলয়, অথচ ভুলেও

কোনোদিন সেইসব পুরুষের, মানবীর ঋণ, আমাদের কানে বাজে না।



আমি মাটির উত্তাপে পাই সেই সব পুরুষের দেহের তাপ, সেইসব মানবীর

এলোচুলের ঘ্রাণ পাই অরন্যলতায়, বৃক্ষের পাতায় পাই তাহাদের পরিচর্যার হাত।

ইতিহাসের পাতায় তাদের স্পর্শ পাই, বর্ণমালার ধ্বনিতে তাহাদের সুঘ্রাণ

আমি রক্তে পাই তাহাদের স্পন্দন, আমি বোধের ভেতরে তাহাদের শব্দ পাই।

আমার চেতনার ভূমে সেইসব পুরষ আর মানবীরা ঘুমে আছে, সোনার পালঙ্কে

বসে রূপকথার গল্পের ছলে তাহারা দেখছে আমাদের প্রেম, আমাদের নির্মাণ।

২১.০৩.২০১৪

যখন মৃত্যু কাছে এলো তখন শুধু বাঁচতে চাইলাম

প্রেম ভালোবাসা অর্থ প্রতিপত্তি কিছুই চাইলাম না।

মুত্যু দূরে চলে গেলো

আমি আবার কামুক হয়ে উঠলাম

আমার অর্থের লোভ বেড়ে গেলো

আমি ক্ষমতা আর আধিপত্যের মরিয়া উঠলাম

আয়েশ আর বিলাসের আকাঙ্ক্ষায় আমি বুথ হয়ে থাকলাম।

২২.০৩.২০১৪

.......................।

আমি গহীনে যাবো, গহীনে ডুবে করবো স্বর্ণের সন্ধান,/

শাফিক আফতাব /



আমি গহীনে যাবো, গহীনে ডুবে করবো স্বর্ণের সন্ধান,

আমি পাতালে মাতাল হবো, পুলকের সারাবে তাড়াবো দুঃখের ঘোর,

তুমি চোখ মেলে দেখো, সত্যি আমি আবার ধরবো গান

তোমার জন্য আমি আবারো প্রাঞ্জল হবো, আলোবতী করবো ভোর।



তুমি সম্মুখে আসো, এদিকে গলে যাই, আগুনের দহনে যেমন গলে পাথর

অথচ অন্তর্গত ফুল বৃত্তি মেলে কেমন সুদর্শন এক পুরুষ হয়

বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতোন দুজন তবু কত হৃদ্যতা আর কত অন্বয়

অকস্মাৎ মন চুরি করে উধাও হয় এক সুচতুর চোর।



আমি গহীন যাবো, আরও গহীনে, আমি শূন্যে উড়ে ছুঁইবো আকাশ

আমি জলজ অনুভবে অজস্র পুলকের রেণু মাখবো আমার রক্তের তরলে

আমি তোমাকে পেয়ে করবো আমার পরিপূর্ণ প্রকাশ

আমি আজ রাতে তোমাকে আবার ভেজাবো নীলজলে।



আজ আমি গহীনে যাবো, পৃথিবীর অন্তর্গত গহীনের তলে

আজ আমি মদির মাতালতায় তোমাকে ভেজাবো আনন্দের নীলজলে।

২২.০৩.২০১৪

ভালাই তো যাচ্ছে দিন

শাফিক আফতাব



ভালো তো যাচ্ছে দিন

সুন্দরী বউটি সরকারি চাকরি করছে

তার ভ্যানিটি ব্যাগে কমলার মতো গোল গোল ভালোবাসা প্রতিদিন আমাকে প্লুত করে

তার নাকফুল থেকে শিশির বিন্দুর মতোন ঘ্রাণগুলো চুয়ে পড়ে

তার ভালোবাসায় আমি প্রতিদিন শিশুর মতোন ফুটে উঠি

ভালোই তো যাচ্ছে দিন

একমাত্র ছেলে বর্ণমালা শিখছে

হুল্লোড়ে মাতিয়ে বাখছে সারাট বাড়ি

কোল ভরে ভরিয়ে দিচ্ছে সাতজনমের পিতৃত্বের স্বাদ

ভালোই তো যাচ্ছে দিন

শহরের একটি কলেজে অধ্যাপনা করছি

হালকা রঙের কবিতা লিখে টিনেজদের মন গলাচ্ছি

আর নিজে সস্তাদরের লেখক হিসেবে খেতাব পাচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুখোর গবেষকের কাছে

ভালাই তো যাচ্ছে দিন

মাস শেষে দুজন মিলে যে মাহিনা পাই বেশ চলে যায় তিনসদস্যের পরিবার

ভালেই তো যাচ্ছে দিন

ভালোবাসায় ভরপুর আমার ছোট্ট সংসার



অথচ বাবার কথা মনে হলে দিনগুলি দুঃখের জলে ভাসে

আমি হই পৃথিবীর সেরা দুখিনী মায়ের সন্তান

আমার কোনো কিছুতে ভালো লাগা থাকেনা, ভালোবাসা থাকেনা

আমার বোধে আর চেতনায় থাকে বাবার সত্তা, আমি বাবাকে ধারণ করে বাবা হই।

২২.০৩.২০১৪

তুমি এখন কেমন দূরে দূরে থাকো/

শাফিক আফতাব/



যখন বেকার ছিলাম, কারে চড়তে পারতাম না

তুমি কাছে কাছে ঘেষতে, ভালোসাসতে,দুর্দিনে সাত্ত্বনা দিতে

নববর্ষে কিংবা বিশেষ বিশেষ দিবসে কুরিয়ারে আসতে উপহার

টাটকা গোলাপের গন্ধগুলো বোতলে ভর্তি করে আচাড় বানিয়ে পাঠাতে,

ভালোবাসায় সয়লাব করতে ঘাসময় ক্যাম্পাস।



এখন কারে চড়ি, সমুদ্র পাড়ে যাই

প্রথম শ্রেণির চাকরির চেয়ারে দোল খাই

অর্ধ্বস্তন স্যার স্যার বলে কুর্ণিশ করে

অথচ তুমি আর ভালোবাসো না

কেমন যেন দূরে দূরে থাকো। মনে হয় সময়ের চাপে ভালোবাসাগুলো

মেয়াদোর্ত্তীণ হয়েছে

কিংবা তুমিই ভালোবাসতে ভুলে গেছে ভালোবাসা সূত্র।



ভালোবাসাও বুঝি বুড়িয়ে যায় ?

মানুষ যেমন প্রতিদিন একটু একুটু করে ক্ষয়ে বয়ে চলে নদীর মতোন

তুমি ভালোবাসার সূত্র ভুলে তাই আমার দিকে বোবার মতোন তাকাও।

২৩.০৩.২০১৪

একদিনের ভালোবাসা আজীবন করে রাখে মধুর /

শাফিক আফতাব /



চারপাশে বিবর্ণতা, বিশুষ্ক আকাঙ্ক্ষা, পাতাঝরা দিন

শূন্যতারা হৃদয়ের নীরবতা ভেঙে নিয়ে আসে হাহাকার

আজ কোন অজানা দ্বীপের কাহিনী মনে আসে আমার

আজ কে যেন আমারে করে সৌখিন।



আজ কে যেন আমারে দেয় ভালোবাসা

আজ কে যেন আমারে দেয় মদির মধুর সারাব

আজ কে আমারে করে আবহমান এক কঠিন চাষা

আজ কার কাছে হয় আমার পরাভব।



পাতা ঝরা দিনে অামি আজ কারে নিয়ে অনন্তে হারাই

অথচ সে কাছে নেই আছে তার স্মৃতির হাত

জল নেই তবু আমি গা ভাসাই তার জলবতী প্রপাত

চারপাশে শূন্যতা, তবু আজ যেন তারে আমি পাই।



পাতা ঝরার দিন, চারপাশে শূন্যতা অথচ আমি ভরুপুর

তার একদিনের ভালোবাসা আজীবন করে রাখে মধুর।

২৩.০৩.২০১৪

মেঘেদের দেশে/

শাফিক আফতাব/



কিছু গোলাকার অনুভব গতরাতে আমাকে মেঘেদের দেশে নিয়ে গেছে

সেখানে অজস্র পরী সাজঘরে রূপচর্চা করছে দেখে আমি অভ্যর্থনা কক্ষে বসলাম

আলাওলের পদ্মাবতীর রূপ বর্ণনা অংশ এই ফাঁকে আমিও পড়া শুরু করলাম

অবশেষে বনলতা সেনের শ্রাবস্তীচুলের স্পশ করতেই

এক পরী এসে তার পাখনায় আমাকে তুলে নিলো

পরীর শরীরে পোশাক আশাকের নামমাত্র নেই। খোলা বুকে কমলালেবুর মতোন

দুটো আস্তফল, ঠোটে সবুজ রংয়ের লিপস্টিক, চোখে কাস্তের মতোন বাঁকা ভ্রু।

সে শাঁই শাঁই করে উড়ে আফ্রিকার জঙ্গলে নিয়ে গেলো আমাকে

গভীর গহীন এক অরণ্যে সে পাতলো বিছানা

আমি তাকে ছুঁইতেই ক্রিং করে শব্দ হলো, রিসিভার তুলে শুনি কলতাবাজারের কাকলি

বললো : এখনো ঘুম থেকে ওঠোনি তুমি ?

২৩.০৩.২০১৪

উন্মূলিত মন

শাফিক আফতাব/



কোথায় যাবো, কী করবো, কী খাবো

থাকবো কোথায় ?__এই ভেবে সাড়া হয় আমার উন্মূলিত মন

ভালোবাসার ভাবনা দূরে থাক, দূরে থাক দখিনা পবন

এই ভবঘুরে জীবনটারে নিয়ে আমি কার কাছে যাবো।



সময় বহিয়া যায়, শিক্ষিত জন বলিয়া চলে :

'দুর্নীতি দমন করো, সুশীল সমাজ গড়ো, ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হও'

নিজেই ভেজে রাতের আঁধারে রঙিন বাজনার কুঁড়েঘরে, নীলজলে

কল্পনার পাখনায় পবাস্তবতার অনুষঙ্গে সে যেন কোথায় উধাও।



আমরা যুগে যুহে উৎপাদন করি, নির্মাণ করি, চাকা ঘুরাই,

অথচ প্রতিদিন আমাদের ভাবনা কাল কী খাবো, কোথা যাবো

কে দেবে পেটের অন্ন,মাথা গোঁজার ঠাঁই ?

আবার ভাবনা : কাজ করে কি ন্যায্য মজুরি পাবো।



ওরা শিক্ষিত, প্রেম আর পিরিত ওদেরই প্রাপ্য, সুখ আর শান্তি অধিকার তাদেরই,

আমরা তো আদিবাসি, প্রান্তিক, তৃণমূল__আমাদের থাকবে কেনো বাড়ি গাড়ি ?

২৩.০৩.২০১৪

গাছের পাতারাও আজ বিশ্বাসঘাতকতা করে /

শাফিক আফতাব /



মুখ আর খুলিনা। প্রাসঙ্গিক বলে কিছু নেই।

সব আজ কেন্দ্রমুখী, পৃথিবীর অভিকর্ষ শক্তির মতোন।

পথ হাঁটতে গেলেও দলবাজি, গাছের পাতারাও আজ বিশ্বাসঘাতকতা করে

কথা দিয়ে কথা রাখেনা। সরকারি রাস্তাগুলো আজ তোষামুদি শিখেছে।



মুখ আর খুলিনা, রেজিস্ট্রি চিঠির মতোন এঁটে দিয়েছি

কেনো না যুক্তি আর নীতি বলে কিছু নেই।

ন্যায় আর সত্যের আজ জলের মতোন স্বভাব

পাত্র ভেদে আকার পরিবর্তন করে।

নারী আর নদীর মতোন আজ মানুষ, তাদের আজ নিষ্ঠতা আর শিষ্টতা নেই

তারা জীবিকার জন্য মুখের কথার রঙ বদলায়।

মুখ আর খুলিনা। প্রাসঙ্গিক বলে আর কিছু নেই।

সিনেমার মতোন মানুষের কথা আজ বইয়ের পাতায় ধবধবে ফরফর করে

টিভির পর্দায় বিজ্ঞপ্তির মতোন শোনায়।

মুখ আর খু্লিনা, কাজী নজরুলের মতোন বাকরুদ্ধ হয়ে যাবো না-কি ?

২৩.০৩.২০১৪

আজ পথগুলো প্রতারণা করে, ভুল পথ দেখায়/

শাফিক আফতাব/



আজ পথগুলো প্রতারণা করে, ভুল পথ দেখায়

আজ নারীরাও নদীর মতোন গতিপথ বদলায়

আজ মানুষগুলো তুখোর পণ্ডিত

মানুষ আজ স্বার্থের কাছে বিকিয়ে দিয়েছে মনুষত্ব।



ফুল পাখি গাছেরাও দেবির কথা বলে

রাত্রিদিনে কুর্ণিশ করে দেবতারাজের

আজ মানুষরাও ছলে বলে কৌশলে

শোধে নেয় জীবনের জের।



আজ শিক্ষার লক্ষ্য সুপ্তবৃত্তি বিকাশ নয়

মানবিক গুণাবলি নয়

ধরো, মারো,ছাড়ো,কাটো,বাটো

আজ শিক্ষা কুটকৌশলের মহড়া,স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার।



আজ পথগুলো প্রতারণা করে, ভুল পথ দেখায়

আজ গাছেরাও মনিবভক্ত হয়ে উঠেছে।

২৪.০৩.২০১৪

মন /

শাফিক আফতাব/



মন মেলেনি মনের সাথে

প্রেমের সাথে প্রেম

গানের সাথে সুর মেলেনি

কী আর করি মেম।।



তোমার সাথে মেলতে আমি

ছাড় দিয়েছি কত

তবুও কেনো মিলছে না হায়

দ্বন্দ্ব কত শত।



তোমার সাথে মন মেলাতে

সাতটি নরীর হার

কিনতে গিয়ে বিকিয়ে দিছি

সকল অধিকার।



মনের সাথে মন মেলেনা

মনটাকে তো যায় না কেনা।

২২৪.০৩.২০১৪

আনন্দ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার /

শাফিক আফতাব /



আমি আনন্দ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে ঢুকেছিলাম,বহুবার,

মিষ্টিগুলো মুখে তুলে দিয়েছি, আবহমান মিষ্টির রসে হৃদয়ের গভীরে

পুলক জমেছিলো। অামি বুঝেছিলাম, পৃথিবীর যত শহরে গিয়েছি,

এই আনন্দ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মিষ্টি আমি কোথাও খাইনি।



আনন্দ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার নেশার ঘোর লাগায় __

আবেশে অবচেতনের পাখায় ভরে করে নিযে যায় পৃথিবীর দীর্ঘতম বেলাভূমিতে

সেখানে রঙিন জলদাম, নৌকোর বাদাম বৃষ্টির ঝাপটায়

পুলকে প্লুত হই__ এক কোমল মধুর অনুভবের ধ্বনিতে।



আনন্দ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে ঘটি ভরা দুধ

নবান্নের উৎসবের আনন্দের মতোন অনেক হর্ষের গান

এখানে বড় পেলব আর প্রখর উর্বর হয় পৃথিবীর মানুষের বোধ

এখানে নীল নীল আলো, সাবাব, রঙিন জল, ভেজা বাজনা আ সুললিত তান।



তুমি আমার আনন্দ মিষ্টিান্ন ভাণ্ডার

তুমিহীন পৃথিবীতে কী স্বাদ বলো বাঁচিবার।

২৪.০৩.২০১৪

বৃক্ষের পাতারা বৃষ্টির প্রথম স্পর্শ পেতে মেলেছে ভালোবাসা হাত/

শাফিক আফতাব/



বৃক্ষের পাতারা বৃষ্টির প্রথম স্পর্শ পেতে মেলেছে ভালোবাসা হাত

আমি তোমার ভালোবাসা পেতে মেলেছি পাতা

বৃক্ষরা চাইছে বৃষ্টিধৌত এক নির্মল প্রভাত

আমি চাইছি তোমাকে আর আমার কবিতার খাতা।



বৃক্ষ আর আমি এই চৈত্রদিনে আকাঙ্ক্ষায় বসে আছি

নতুন পাতা আর ভালোবাসার শুভ্রতায় হবে আমাদের অঙ্কুর

নবপল্লবের কোমল স্পর্শে ভালোবাসায় সোনার হারগাছি

পাবো। কী স্বচ্ছ আর সুন্দর ঝকঝকে আমাদের মনের মুকুর।



আজ আমি বৃক্ষদের কাতারে শামিল

আমি অরণ্যের কচিপাতাদের ঘ্রাণে প্রাণে জ্বেলেছি দীপ

আজ দাও হে আমার সোনালী মেয়ে গভীর অন্তমিল

বর্ষা আসেনি, তবু কেমন কোমল অনুভবে ফুটেছে নীপ।



বৃক্ষের পাতায় পাতায় আজ ভালোবাসার ছোঁয়া

এই নগ্নসুন্দর দেহখানি আজ হলো তোমার ভালোবাসা ধোয়া।

২৪.০৩.২০১৪

নাটকের নটী /

শাফিক আফতাব /



আর ফেরাবো না তোমাকে, দেখো সামলে উদ্দাম আকাশ

শহরের গলিতে আধুনিকতার উচ্ছিষ্ট আঁতুর

আর ফেরাবো না তোমাকে, খাও নগরের বিশুদ্ধ বাতাস

তোমাকে ভালোবেসে আর হবো না ফতুর।



আজ বাংলাকে বাকিয়ে ইংরেজি ঢঙে কথা বলা আধুনিকতা

আজ বশের টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে কুর্ণিশ করা ভদ্রতা

আজ টাইটজিন্স পড়ে অর্ধ্বলগ্ন হওয়াটা্ই আভিজাত্য

আজ প্রাঞ্জল আর সাবলীল বাংলা বলতে পারাটাই ব্রাত্য।



তোমাকে ফেরাবো না, তুমি ভ্রমণ করো, অবাদ বিচরণ ক্ষেত্র তোমার

তুমি ইচ্ছে করলে নীল জলে ভেসে খেতে পারো রঙিন জল

তুমি ইচ্ছে হলে পার্কের গলিতে বসে গ্রহণ করতে জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি

তোমাকে কেউ কিছু বলবে না, এদেশে এখন সার্বজনীন প্রীতি।



তোমাকে ফেরাবোনা নাগরিকা, তুমি আধুনিকা হও

নাটকের নটীর মতোন তোমাকে অভিনীত করাও।

২৫.০৩.২০১৪

একদিন আমরাও ফুলে ফুলে গেঁথেছি মালা/

শাফিক আফতাব/



ভালোবাসা ফিরে আসে বৃক্ষের নতুন পাতায়

এই চৈত্রদিনে বিশুষ্ক এক বিহবল অনুভবের গাঢ়তায়

ভালোবাসা ফিরে আসে বোধের ভেতরে

শেষ বসন্তের রাত্রির গভীরে।



আমাদেরও ভালোবাসার দিন ছিলো

আমরাও একদিন এই পৃথিবীর বৃক্ষতলায় কুড়েছি ফুল

নদীরাও আমাদের জন্য হয়েছিল অনুকূল

একদিন আমাদের প্রেমের প্রাচুর্য ছিলো।



একদিন পৃথিবীর বিকেলগুলো আমাদের জন্য হয়েছিলো অনুগত

গল্পের পটভূমি ঘিরে ছিলো জীবনের আস্বাদ

একদিন আমরাও ছিলাম কালজয়ী প্রবাদ

একদিন ফুল পাখি নদী নক্ষত্র আমাদের জন্য হয়েছিলো নিবেদীত।



একদিন আমরাও ফুলে ফুলে গেঁথেছি মালা

তাই বুঝি এত সুন্দর বৃক্ষের ডালপালা।

২৫.০৩.২০১৪

ভিতরে প্রবেশে নিষেধ

শাফিক আফতাব/



চোখে চোখে কথা হয় মনে মনে অনুভব

ভালোবাসা ভিতরে তখন করে কলরব

ভালোবাসা তখন কিন্তু উছলইয়া পড়ে

ওদিকে কত গান গায় মধুকরে

ওদিকে ভিজে যায় প্রেমের চাতাল

ভিতরে তখন কিন্তু কঠিন বেতাল

ভিতরে তখন কিন্তু ফোটে রমণের ফুল

আপনাই করে ফেলি মস্ত এক ভুল

আপনাই কাছে এসে দাও ভালোবাসা

মদন বাবু তখন খেলে যায় পাশা

পাশায় পাশায় তখন রাত্রি হয় ভোর

তখন দুজন আমরা হই একজোড়

চোখে চোখে আমরা তখন দিগন্তে মেলাই

নির্জনে দুজন মিলে রঙিন কাঁথা সেলাই।

২৫.০৩.২০১৪

বোঝাপড়া /

শাফিক আফতাব /



আজ বোঝাপড়া হবে আমার সাথে আমার

জীবিকার জন্য খুব সহজ কোন পথ এই যুগে

লীজ নেবো নাকি বিস্তীর্ণ কৃষিখামার

না চলবো যুগের হুজুগে।



সুনাম অর্জনের সহজ কোন পথ এই ডিজিটাল সময়ে

কবিতার ধারা কোনদিকে নিয়ে যাচ্ছে তরুণকবিগণ

আধুনিকতার সংজ্ঞা পাল্টে ফেলেছে বিদগ্ধজন

গণতন্ত্রের যুগে মানুষ কেনো পথ হাঁটে সভয়ে।



আজ বোঝাপড়া হবে আমার সাথে আমার

আমি হকার হতে চেয়ে কেনো হলাম অধ্যাপক

আমি কেনো হতে চাইলাম কবিতার লেখক

স্বাতন্ত্র্যে কোন ধারা নিয়ে আসি কবিতার ?



আজ বোঝাপড়া হবে আমার সাথে আমার

আমি কি সুশীল মানুষ হবো ? না কঠিন চামার ?

২৫.০৩.২০১৪



এই চৈত্রবাতাস

শাফিক আফতাব /



এই চৈত্রবাতাস কেমনে উদাস অনুভব দিয়ে যায়

বৃক্ষের নতুন পাতাদের স্পর্শে দিয়ে যায় রমণীর ঘ্রাণ

দিয়ে যায় আসন্ন বৃষ্টির গান

আমার উদাস মন উধাও কোথাও নিয়ে যায়।



কে এক নারী মনে হয় কবেকার কোন বিগত যুগের বলয়ে

আমাকে মন দিতে চেয়ে ছলনায় পড়েছে কেটে

মনে হয় আমি সেই রমণীরে খুঁজি সমুদ্র তটে

আজকের এই চৈত্রবাতাসে আমি যেন গেছি তার আলয়ে।



প্রথম যুবকের উচ্ছলতার মতোন রক্তে আজ নেশার গন্ধ

কিশোরীর মসৃণ শরীরে পাতা মেলা নবীন অঙ্কুর

আমি আজ পরিশোধিত এক সাবলীল প্রবন্ধ

আজকের এই চৈত্রবাতাসে সেই রমণী মেলেছে দীর্ঘ চিকুর।



এই চৈত্রবাতাসে ফিরে আসে সেই হারানো রমণীর প্রেম

মনে হয় কত অনাদী যুগের থেকে সে আমার মেম।

২৫.০৩.২০১৪

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪৭

তিক্তভাষী বলেছেন: খুব ভালো করেছেন। শুভেচ্ছা থাকলো।

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৪

অনুপম অনুষঙ্গ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দোয়া রইল।

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৪

অনুপম অনুষঙ্গ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:০০

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আলাদা করে দেয়াই তো ভালো। একেকটা কবিতার একেকটা স্বাদ। সব স্বাদ মিলিয়ে পড়লে তো বিস্বাদ লাগার সম্ভাবনা থাকে।

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৭

অনুপম অনুষঙ্গ বলেছেন: কুনোব্যাঙ সেদিন তো কথা হলো না। কত কথা যে জমে আছে। দেখা হওয়া দরকার। সেই সাথে আড্ডা। আমি সময় করে আপনাকে রিং দেবো। আর সুখবর হলো আমার ব্যান করা নিক শাফিক আফতাব ব্লগ পিন কোড দিয়ে খুলছে। কিন্তু লগ ইন সুবিধা বন্ধ আছে বলছে। আমার মনে হয় আমার অপরাধ কর্তৃপক্ষ ক্ষমা করেছেন। যদি পারেন কিছু লেখা লেখি করুন ঐ বিষয়ে। ধন্যবাদ।

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:০২

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আর কে কি বললো সেটা নিয়ে কিছু ভাবনার অবকাশ নেই মনেহয়। ঠাকুর সাব যেই পরিমাণ লেখালেখি করে গেছেন তাতে উনি এই আমলের ব্লগার হলে নিশ্চিত পোষ্ট ফ্লাডিং এর অপরাধে আম ব্লগারদের ব্যাপক দৌড়ানী হজম করতে হতো উনার। ব্যানও খাইতে পারতেন।



২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৮

অনুপম অনুষঙ্গ বলেছেন: আমিও ব্যান খেয়েছি শাফিক আফতাব নামধারী নিকে। এই জন্য ছদ্ম নামে লিখি। যদি পারেন আমাকে উদ্ধার করুন।

৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১০

এহসান সাবির বলেছেন: সত্যি কথা লিখলে অন্য ব্লগারা আমাকে মাইর দিব..... ;)
৩ টার বেশী কবিতা এক পোস্টে দেোয়া ঠিক না.....

কবিতা ১,২,৩ +++++

শুভকামনা কবি।

কুনোর সাথে ১০০% একমত।

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৯

অনুপম অনুষঙ্গ বলেছেন: আপনার বন্ধুত্ব দৃষ্টান্তের মতোন। ভালো থাকুন। দেখা হবে তো একদিন। দীর্ঘ সময় জুড়ে আড্ডা হবে।

৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫৩

উপপাদ্য বলেছেন: আপনার কবিতা কিন্তু ঠিকই পছন্দ কবি।

৩ টার বেশী একসাথে দিলে দেখতে ভালো লাগবেনা..।

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫৯

অনুপম অনুষঙ্গ বলেছেন: তাহলে বলুন তো উপায় কী করি। অামি তো দিনে তিনটা বেশি কবিতা লিখি। আবার একাধিক পোস্টে দিলে অনেকের অসুবিধা, আমাকে গালমন্দ করে। বলুন তো কী করা যায়।

৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:২১

পথহারা সৈকত বলেছেন: খুব ভালো করেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.