![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : ১. এবার ধরা দাও (২০০০) ২. উচ্ছ্বাস(২০০১) ৩. পরিত্যক্ত পদাবলি(২০০২) ৪. এক বিকেলে(২০০৪) ৫. নিঃসঙ্গ নির্জন(২০০৫) ৬. ভাঙনের শব্দ(২০১১) ৭. আমার সন্তান যেন দুধেভাতে(২০১২) ৮. চারিদিকে জীবনে সমুদ্র-সফেন(২০১২) গবেষণা গ্রন্থ : ১. শওকত আলীর উপন্যাস : কলাকৌশল ও বিশেষ বৈশিষ্ট্য( প্রকাশের অপেক্ষায়) ২. বাংলাদেশের উপন্যাস : নারীর স্বাধিকার চেতনা
চলো কাছে কোথাও যাই, শহর ছেড়ে অরণ্যের নির্জনে, ধানক্ষেতের আল ধরে ইক্ষুবনের দিকে, রাইসরিষার ভিতরে, বনফুলের গন্ধে হৃদয় ধুয়ে ফেলি, শহরের গ্লানিগুলি পুষে বেড়াই কতদিন, কতদিন ভুলে আছি শাপলার বন, শ্যাওলা-দিঘি, এবার চলো কাছে কোথাও যাই, মাটির ভাঁপে হৃদয় জুড়াই।
..........................
জানোয়ারের জন্য প্রার্থনা //
(উৎসর্গ : ফিলিস্তিনি শহীদ শিশুদের)
............................................
যুগে যুগে জানোয়ার আসে,
রক্ত খায়,
জানুয়ারগুলো জীবাণু রেখে যায় পৃথিবীর গর্ভে :
আবার জানুয়ার জন্মে জীবাণুর জাইগোটে
নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালায়, রক্ত খায়,__
পৃথিবীর থেকে জানুষার বিলুপ্ত হয় না ;
হায় প্রভূ ডাইনোসরের মতোন বিলুপ্ত করে দাও ওদের বংশধর
কিংবা নপুংশক করে দাও,
ফেরাউনের মতোন কঠিন শাস্তি দাও আধুনিক জানুযারদের
নয়তো ওদেরকে বোধ দাও,
ওরা বুঝুক নিষ্পাপ শিশুফুলগুলো উপড়ে দিলে পৃথিবীর ফুল শূন্য হবে।
১৩.০৭.২০১৪
আগুনের শিখা, বজ্রপাত //
শাফিক আফতাব //
ভ্রমে চোখের জলকে শিশির ভেবেছিলাম,
তোমাকে ফুল
তোমার সুবাসে হৃদয় ধুয়েছিলাম
আমি এক রঙিন পুতুল।
নারীকে প্রকৃতি ভেবেছিলাম
প্রকৃতিকে নারীর শরীর
কত শুশ্রূষায় শান্তির আশ্রয় নীড়
তোমাকে ভালোবেসে বধির হয়েছিলাম।
তুমি এলে আমি সহজেই গলে যাই
স্কুল বালক যেন পেয়েছি ছেলের হাতের মোয়া
কত সুন্দরতম তুমি আমার অনুসূয়া
তোমাকে রূপকথাকাহিনীর গল্প শোনাই।
ভ্রমে ধরি তোমার হাত
অমনি আগুনের শিখা, বজ্রপাত।
১৩.০৭.২০১৪
শাফিক আফতাব //
কথা দিয়েছিলাম মেঘবালিকার বিশুদ্ধতা দেবো
..............................................
এই আমি তোমাকে কথা দিয়েছিলাম, ভালোবাসতে ভুল হবেনা তোমাকে
বর্ষার জল যে বিশুদ্ধতা নিয়ে আসে মেঘবালিকাদের অন্তর্গত সুন্দর থেকে
বৃক্ষের প্রথম অঙ্কুর যেমন নিখাদ পবিত্রতা নিয়ে পাতা মেলে
শীতের শিশিরগুলো যেমন শাশ্বত সুন্দরতা নিয়ে চিকচিক করে সকালের নরম আলোয়
অমন তোমাকে ভালোবাসা দেবো, পুত পবিত্র ভালোবাসা, ভালোবাসার সুবাসে
আষাঢের রাত ম ম করবে, বৃষ্টির ছাঁটে শিলাবৃষ্টির মতোন পড়বে পুষ্পরেণু
তুমি অনুকূল নদী হবে, উর্মিমালায় তুমি আমি ভেসে ভেসে যাবো পুলকের জলোধি
সঙ্গমে। স্বর্গসুধার মোহনমধুর আহবানে।
কথা রাখিনি
ইচ্ছে করেই এখন যাই মাগিদের আস্তানায়, গাঁজার আসরে, পতিতার বাসরে
পার্টিতে রঙিন আলোয় নাচায় নগ্নবালিকার দেহ, জীবনের সকল মেহ নিয়ে
অামিও নাচি, আমার পুরুষত্ব কুকুরের মতোন গর্জে ওঠে তিনরাস্তায় মাথায়
অতিঅাধুনিক যুগে প্রযুক্তিবিদ্যায় আমি বেশ উদার হতে চলেছি, ফ্রি সেক্সের
দেশের মতোন এখন আমার স্বভাব, যদিও একদিন মনে হয়েছিলো, কুকুরের
সঙ্গম তো ভালোবাসা নয়, প্রেম নয়, আজ সেই কুকুরপ্রেম আমার ভেতর।
১৩.০৭.২০১৪
কযেদী //
শাফিক আফতাব //
বাধ্য হয়ে মেনে ছিলাম অনিবার্য জীবন
তরঙ্গমালা যেমন মানিয়ে নেয় বহতা নদী
পুলিশের কাছে অসহায় যেমন হাতকড়া-কয়েদী
যমের কাছে যেমন বন্দি মরণ।
এই যে খোলা নীলাকাশ, অবারিত পথ, বিস্তীর্ণ বন
তবু আমরা অনিবার্য এক তারে বাধা সুর
এই পৃথিবী যতই মনে হোক অমৃত মধুর
একদিন ঠিকই হরতাল ডাকবে দেহের পবন।
এই যে নিরুপমার ভালোবাসা, উপমাহীন
অন্তর্লোকে সৌন্দর্যের আশ্চর্য পুলকের প্রাচুর্য
তাও ঘুণেরা খেয়ে খেয়ে একদিন হবে ভাগাড়ের বর্জ্য
একদিন সকল দায় মুছে যাবে, সকল ঋণ।
যতই ছুঁইতে চাও আকাশ, পাতাল ফুঁড়তে চাও
একদিন তুমি অনন্তের পথে উধাও।
১২.০৭.২০১৪
জাতিসংঘ ? আপনি বসে বসে জাবর কাটেন কেন?
গর্জে উঠুন না ?
আপনি তো শান্তির জন্য জন্ম নিয়েছিলে একদিন বিশ্বযুদ্ধোত্তর পৃথিবীতে।
পৃথিবীর রাষ্ট্রের মধ্যে কাটাকাটি হানাহানি বন্ধ করবেন
চোখ তুলুন, গাজা উপত্যকায় তাকান
দেখুন মানবতার আর নৃশংস পশুত্ত্বের বীভৎস চিত্র।
সমন দিন
নোটিশ দিন
নয়তো গ্রেপ্তারী ওয়ারেন্ট পাঠান।
নরপশুদের ধরুন। বিচার করুন।
১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:০২
অনুপম অনুষঙ্গ বলেছেন: আমার সম্মানিত পাঠককেও অজস্র ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৫২
আরজু মুন জারিন বলেছেন: চলো কাছে কোথাও যাই, শহর ছেড়ে অরণ্যের নির্জনে, ধানক্ষেতের আল ধরে ইক্ষুবনের দিকে, রাইসরিষার ভিতরে, বনফুলের গন্ধে হৃদয় ধুয়ে ফেলি, শহরের গ্লানিগুলি পুষে বেড়াই কতদিন,..
অসাধারণ একটি পোস্ট। লেখককে ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল অনেক।