![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক নিঃশ্বাসে বড় রাস্তার এ মাথা থেকে ও মাথা দৌড়ানো পাশের বাড়ির বল্টু হয়ত উসাইন বোল্ট হতে পারত, মোড়ের দোকানের ইলেকট্রিশিয়ান বিল্লালের হয়ত বিল গেটস্ হওয়ার যোগ্যতা ছিল, বিরাট ব্যাগ কাঁধে কোচিং এ দৌড়ানো আজিমের হয়ত শচীন টেন্ডুলকার হওয়ার প্রতিভা ছিল, নওগাঁয় সরকারি ব্যাংকের ক্যাশিয়ার মোতালেব সাহেবের হয়ত অসাধারণ লেখক হওয়ার ক্ষমতা ছিল, তালপাতা দিয়ে খেলনা বানিয়ে স্কুলের সামনে বিক্রি করা রতন হয়ত সুযোগ পেলে রোবট বানাতে পারত। কিন্ত এরা কেউই এসব কিছু হতে পারবে না, পারিপার্শ্বিক সমাজ ব্যবস্হা তাদেরকে এসব কিছুই হতে দিবে না।
ভাল করে পড়াশুনা করতে হবে, যাতে ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া যায়, যাতে পরবর্তীতে ভাল প্রতিষ্ঠানে ভাল বেতনে চাকরী করা যায়, যাতে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায়। এটাই এই দেশে সফলতার মাপকাঠি। বেশিরভাগ বাংলাদেশী ছেলের জন্য এটাই থাকে জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। অবশ্যই তাদের বাবা-মার নির্দেশনায়। অনেকে অবশ্য বিদেশে পাড়ি জমানোরও স্বপ্ন দেখেন, উদ্দেশ্য কিন্ত সেই একই। অনেক কষ্ট করে আর মেধা ব্যয় করে বাঙালী কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরী নেয় নিজের মাথাটা বিক্রি করার জন্য। তারপর বাকি জীবন সেই প্রতিষ্ঠানের ঘানি টেনে যায়। এদেশে এটাই রীতি।
যেদিন বাঙালী এই তথাকথিত সাফল্যর সংজ্ঞা থেকে বের হতে পারবে সেদিন এদেশেও স্টিভ জবস্, বিল গেটস্, টেন্ডুলকার-মেসিদের মত মানুষ জন্মাবে। কোন একদিন সেই দিনটা আসবে। অনেক সাধ নিজের চোখে সেই দিনটা দেখার।
কোথায় যেন এই গল্পটা পড়েছিলাম।
একবার এক ঈগল পাখি এক মুরগির বাসায় ডিম পাড়ল। যথাসময়ে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হল। ঈগলের ছানা মুরগির বাসায় মুরগির মতই বড় হল। একদিন আকাশে উড়ন্ত ঈগল দেখে সেও ডানা ঝাপটে আকাশে উড়তে চাইল। কিন্ত ততদিনে সেও মুরগি হয়ে গিয়েছে, হারিয়েছে ওড়ার ক্ষমতা, ঈগল হওয়ার ক্ষমতা।
©somewhere in net ltd.