নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্তরালের পথিক

অন্তরালের পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

অফিস নামের চিড়িয়াখানায়

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:২৫

বেশ কিছুদিন অফিসে যাতায়াতের কল্যাণে অফিস কালচার সম্পর্কে আমার একটা সম্যক ধারণা তৈরী হয়েছে। সেই ধারণা থেকে মনে হল সব অফিসেই কম বেশি একই রকম কিছু প্রজাতির দেখা পাওয়া যায়। যেমনঃ



সর্বজ্ঞানী প্রজাতিঃ নিজের ডেস্কের কাজ ছাড়া সৌরজগতে বর্তমান মোটামুটি সবকিছু সম্পর্কেই এদের অগাধ জ্ঞান বিদ্যমান। নিজেদের এই অসামান্য জ্ঞান অফিসের আমজনতার মধ্যে বিতড়ণ কর্মসূচীতে ব্যস্ত থাকায় এরা সাধারণত নিজেদের অফিসের কাজে তেমন সময় দিতে পারে না।



বারমুডা ট্রায়াঙ্গল প্রজাতিঃ জন্মগতভাবে এদের মধ্যে জিলাপীর প্যাঁচ বিদ্যমান। বেশি গুরুত্বপূর্ণ অথবা কম গুরুত্বপূর্ণ যে কাজই হোক বিচিত্র সব নিয়মকানুন উল্লেখ করে এরা সে কাজটা করা থেকে বিরত থাকে। বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে গেলে যেমন জাহাজ-প্লেন হারিয়ে যায় তেমনি কোন কাজ এদের ডেস্কে যাওয়ার পর কাজটার আর কোন খোঁজ খবর পাওয়া যায় না।



পরিকল্পক প্রজাতিঃ বিভিন্ন মীটিং এ এদের সরব উপস্হিতি দেখে মনে হয় ডিপার্টমেন্টের অর্ধেক কাজ বোধহয় এরা একাই করে। এরা সবসময়ই বড় বড় কাজের পরিকল্পনা করে। বস্তুত এদের হাঁক-ডাক পরিকল্পনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। দিনের বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন বড় বড় পরিকল্পনা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এরা সাধারণত নিজের ডেস্কের কাজে তেমন সময় দিতে পারে না।



পিঁপড়া প্রজাতিঃ এরা পিঁপড়ার মতই কর্মঠ। নিজের ডিপার্টমেন্টের অর্ধেক কাজ এরা একাই করে। সত্যিকার অর্থে এদের কাজের উপর নির্ভর করেই গোটা ডিপার্টমেন্টটা টিকে থাকে।



বড় স্যার প্রজাতিঃ সাধারণত চেইন অব কমান্ডের মধ্যম সারীতে এদের অবস্হান। তবে তারা যে অফিসের পদস্হ কর্মকর্তা এটা তারা এক মুহূর্তের জন্যও ভুলতে পারে না। স্বাভাবিকভাবেই এদের আচরণে ‘বড় স্যার’ ভাবটা প্রকাশ পায়। সাধারণত এদের সব কাজ অধিনস্তরাই করে। অনেক ক্ষেত্রে নিজের ই-মেইলও তারা নিজেরা লেখে না। এদের কর্মপরিধী সাইন করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ।



পরগাছা প্রজাতিঃ এদের নিজেদের কোন যোগ্যতা থাকে না। এরা অন্যের কাজ নিজের বলে চালিয়ে দিতে ভালবাসে। পরগাছার মত অন্যের কাজের উপর নির্ভর করেই এরা টিকে থাকে। উপর মহলে পর্যাপ্ত পরিমাণ তৈল প্রদানের কল্যাণে এরা মাশাল্লাহ সহীহ্ সালামতেই দিন গুজার করতে পারে।



দর্শক প্রজাতিঃ এই অধম এই প্রজাতির অন্তর্গত। এদের বলার কোন জায়গা নেই। এরা অবাক বিস্ময়ে সব দেখে আর ভাবে,

মাওলা কে বানাইল রে

আজিব এই চিড়িয়াখানা মাওলা, কে বানাইল রে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩

হামিদ আহসান বলেছেন: হা হা হা ........অফিস মানেই চিড়িয়াখানা৷ নানা চিড়িয়ার বসবাস হেথা
...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.