![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা হিট ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন যে, জনগণের জানমাল রক্ষার স্বার্থেই ঈদের আগে পর্যন্ত ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ঈদের সময় লোকজন বাসে ট্রেনে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী হইয়া ভ্রমন করিয়া নানাবিধ দূর্ঘটনা ঘটায়। তাই ব্যাংকাররা যাতে ঈদে বাড়ি যেতে না পারে তথা অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে ভ্রমন করতে না পারে তাই ঈদের আগেরদিন পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকবে। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সুবিধার্থে ব্যাংক খোলা থাকবে ইহা একটি অত্যন্ত ফাও কথা। ঈদের দিন এবং পরদিন ব্যাংক বন্ধ থাকায় যদি তাহাদিগের কোন সমস্যা না হয় তাহলে ঈদের আগেরদিন ব্যাংক বন্ধ থাকিলেও তাহাদিগের চলিয়া যাইবে। আসল কথা হইল ব্যাংকাররা বন্ধ পাইলেই আমাদিগের শরীরের গিরায় গিরায় শিরায় শিরায় বিষের ব্যাথাসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। এসময় তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকারদের ছুটি-ছাটা খায়া দেয়ার গৌরবময় ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রতিবারের ন্যায় এইবারও আমরা ব্যাংকারদের ঈদের ছুটির ফালুদা বানাইলাম, আলহামদুলিল্লাহ্। প্রধানমন্ত্রীর আগামী ৪ তারিখ সারাদেশে সরকারী ছুটি ঘোষণার কথা উল্লেখ করা হলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাম প্রধানমন্ত্রী করিয়াছেন ছুটি দিয়াছেন হায়, তাই বলিয়া ব্যাংক বন্ধ রাখা কি বাংলাদেশ ব্যাংকের শোভা পায়? ব্যাংক খোলা থাকায় তাকেও আসতে হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার কাম ফরমান জারি করা, পালন করা তো আমার কাম না, আমি বাসায় থাকিব। অফিস করিবে ব্যাংকাররা।
এদিকে ঈদের আগেরদিন পর্যন্ত ব্যাংক খোলা রাখার ব্যাপারে একটি বেসরকারী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আমাদের ব্যাংকে সবাই একটি পরিবারের ন্যায় কাজ করি। আর ঈদ মানেই পরিবারের সাথে আনন্দ উদযাপন করা। তাই পরিবারের সবাই যাতে একসাথে ঈদ উদযাপন করতে পারে তাই ঈদের আগেরদিন পর্যন্ত ব্যাংক খোলা রাখা হবে। তিনি নিজে আসবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আসব কোন দুঃখে? এইবার পরিবারের সবাইরে নিয়ে দেশের বাইরে ঈদ করব। ব্যাংকারদেরও পরিবার পরিজনদের সাথে ঈদ করার অধিকার আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যাংকে যারা কাজ করে তারা সবাই এক একটি বলদ। তাহারা সারাবছর বলদের মতই খাটিয়া যায়। বলদের আবার কিসের অধিকার!! তিনি উল্লেখ করেন, আমাদের ব্যাংকের সবাই এতীমখানা থেকে আগত। তাদের কোন আত্নীয় পরিবার পরিজন নাই। তাই পরিবারের সাথে আনন্দ ঈদ উদযাপন করারও কোন ব্যাপার নাই। এসময় তিনি রাগারাগি করে বলেন, একদিন ব্যাংক বন্ধ থাকলে ব্যাংকের যে পরিমান ক্ষতি হবে সেই ক্ষতিপূরণ কি আপনার নানা দিবে??
এদিকে ঈদের দিন ব্যাংক খোলা রাখার দাবী জানিয়ে জনৈক ব্যাংকের কর্মচারী বলেন, ঈদের আগেরদিন পর্যন্ত অফিস খোলা থাকায় প্রতিবারের মত এইবারও বাড়ি যাওয়া হবে না। তাই আমি ঈদের দিন অফিস করতে চাই। এসময় তিনি কাঁদতে কাঁদতে নজরুলের বিখ্যাত একটি গানের প্রথম লাইন গেয়ে শোনান, “নহে নহে প্রিয় এ নয় আখিজল।”
©somewhere in net ltd.