![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যতই দিন যাইতেছে ততই নিজেরে আখ বইলা মনে হইতেছে। আখ যেমন চিপ্পা রস বাইর করা হয় অফিসও তেমন আমারে চিপ্পা সব তেল বাইর কইরালাইতেছে।
সপ্তাহে মাত্র ২ দিন ছুটি দেয়। এর বাইরে ছুটি চাইতে হইলে নাকি অ্যাপ্লিকেশন করন লাগব। এইটা কেমন কথা, আমরা কি এই স্বাধীনতা চাইছিলাম!!!?? দুপুরে আমার খালি ঘুম আসে অথচ অফিসে কোথাও ঘুমের কোন এন্তেজাম নাই। বইসা একটু ঝিমাইতে নিলেই আৎকা সুপারভাইজার কাম নিয়া হাজির হয়। ঘুম চোখে কামের কথা শুনলেই আমার মেজাজ দ্যুলোক-ভূলোক ভেদ করিয়া আকাশে উইঠা যায়। সুপারভাইজার যেসব কামের কথা বলে তা আমার এক কান দিয়া ঢুইকা আরেক কান দিয়া বাইর হইয়া যায়, মাথা পর্যন্ত যায় না। মাথায় ঘুরতে থাকে টুম্ব রাইডার, অ্যাসাসিনস্ ক্রীড, ফিফা। প্রতিদিনই সকালে ঘুম থেইকা উইঠা অফিসে দৌড়ানো লাগে। কিন্ত মাত্র ২৫-৩০ মিনিট দেরী করলেই উপস্থিতির খাতায় আমার সাইন করার জায়গায় লাল দাগ দিয়া রাখে। উহাদের কাছে আমার দেরী করাটাই বড় হইয়া গেল অথচ আমি যে সকালের মধুর ঘুমের সাথে ব্রেক আপ কইরা অফিস জিয়ারত করলাম সেইটা কিছুই না। উহারা এমন নাস্তিক।
ছুডুবেলায় বাপে কইছিল, “পড়াশুনা ভাল না লাগলে বলিয়া দাও গ্রামে পাঠাইয়া হালচাষের বন্দোবস্ত করিয়া দেই”। পড়াশুনা ভাল না লাগলেও কষ্ট কইরা করছিলাম, ভাবছিলাম কষ্ট করলে কেষ্ট পামু। মাগার কেষ্টর নামে পাইলাম আইক্কাওয়ালা বাঁশ। এখন মনে হয় ঐ সময় বাপের কথামত কাম করা উচিত আছিল। মুরুব্বীদের কথা না মানলে যে খাড়ার উপর লস্ খাওয়া লাগে তা আগে বুঝি নাই।
আখের ছোবড়া হইতে আর কয়দিন বাকি জানি না তবে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেইকা উইঠা অফিসে দৌড়ানোর টাইমে নজরুলের ভাষায় সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি, দাও শৌর্য দাও ধৈর্য্য হে উদার নাথ, দাও প্রাণ।
©somewhere in net ltd.