![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটবেলায় যখন ডিসেম্বরে স্কুল ফাইনালের পর নানুবাড়ি যেতাম তখন হাতে সময় থাকত দুই-তিনদিন। ঐসময় শীতের সকালে কুয়াশা ভেজা মাটির রাস্তায় হাঁটা, বিভিন্ন পিঠা দিয়ে নাস্তা করা, কাজিনদের সাথে খেলা, দুপুরে পুকুরে দাপাদাপি, সন্ধ্যায় নিষিদ্ধ ঘোষিত নৈশ ভ্রমনে বের হওয়া সব মিলিয়ে মনে হত সৃষ্টিকর্তা হয়ত কিছু সময়ের জন্য স্বর্গের দেখা দিলেন।
তিনদিনের মাথায় ঢাকায় এসে আবার পড়তে বসতে হত। স্কুল ফাইনাল শেষ হলেও বৃত্তি পরীক্ষা অথবা ঐ টাইপের পরীক্ষা আমার সাথে লেগে ছিল সেই এসএসসি পর্যন্ত। তখন ভাবতাম যেদিন পড়াশুনা শেষ হবে সেদিন ডিসেম্বরের ছুটির একমাস নানুবাড়িতে কাটাব।
আমি এখনও নানুবাড়ি যাই । হাতে ছুটি-ও থাকে বেশ কিছু দিন । কিন্ত কেন জানি এখন আর আগের মত লাগে না । ছোটবেলার চিরচেনা সেই মুখগুলোর অনেকে পৃথিবীতে নেই, অনেকে দেশে নেই, অনেকে থেকেও নেই। ব্যস্ততা কাউকে ক্ষমা করে না। সেই ধানক্ষেত আর নেই সেখানে এখন বিরাট দালান। পিচঢালা রাস্তায় কুয়াশা ভেজা মাটির রাস্তার সেই গন্ধটা আর আসে না, সন্ধ্যায় লুকিয়ে লুকিয়ে বাসা থেকে বের হলেও কেউ কিছু বলে না। সভ্যতা আর উন্নতির নামে মানুষ নির্মমভাবে শ্যামল মায়াময় গ্রামকে হত্যা করেছে আর নিষ্ঠুর সময় কেড়ে নিয়েছে আমার সুখের দিনগুলি। কোন কিছুই আর আগের মত নেই এই সহজ ব্যাপারটা সহ্য করা মোটেও সহজ না।
ছোটবেলায় কল্পনা করা ডিসেম্বরের সেই ছুটি কখনও আসেনি।
আর কোনদিন আসবেও না।
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫
ধ্রুবক আলো বলেছেন: লেখাখানি খুব ভালো লাগলো পড়ে+++
আসলেই পুরোনো সব দিনের কথা খুব মনে পরে, খুব কষ্ট লাগে দিনগুলি আর ফিরে আসবে না...!!!!!!
লেখাটার জন্য ধন্যবাদ,, ভালো থাকবেন
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২
অন্তরালের পথিক বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪
আশফাক ওশান বলেছেন: নিজেদের প্রয়োজনে আমরা নিজেরাই সব কিছু ধ্বংস করতেছি