![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তখন ক্লাস সেভেন এ পড়ি। ক্লাসের জনৈক ঘাড়ত্যাড়া এর সাথে আমার বাক-বিতন্ডা মারা-মারিতে রূপ নেয়। ক্লাসের পোলাপান-ও এই লাইভ রেসলিং বেশ উৎসাহ নিয়ে উপভোগ করে। কিন্তু তখন-ই বাংলা সিনেমার পুলিশের মতো স্যারের বেরসিকের মতো ক্লাসে আগমন ঘটায় আমরা একজন আরেকজনকে পরে সময় সুযোগ মতো আরেক চোট দেখে নিবো এমন দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করার মাধ্যমে তখনকার মতো মারা-মারি মুলতবি রাখা হয়। টিফিন টাইম এ গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেট ম্যাচে অংশগ্রহণের জন্য স্কুল ত্যাগ করায় (স্কুল পালানো কে তখন আমি তাই বলতাম ) টিফিন টাইম এও যেহেতু কিছু করা গেলো না তাই ছুটির পর ব্যাপারটার একটা এসপার-ওসপার করবো সাব্যস্ত করে স্কুলে গিয়ে দেখি আমার স্নেহময়ী মাতার স্কুলে আবির্ভাব ঘটেছে এবং ভাগ্যের নির্মম পরিহাসস্বরূপ সারা স্কুলে এতো এতো ছাত্র থাকতে সে সেই ঘাড়ত্যাড়াকেই খুঁজে পেয়েছে আমার কথা জানার জন্য। সেই ঘাড়ত্যাড়া যে আমার সম্পর্কে কি বলবে তা বুঝতে পেরে মনে মনে আল্লাহকে ডাকলাম আর বললাম, হে আল্লাহ আমি কি এমন পাপ করছিলাম..... কিন্তু সেই বেচারা মুনি-ঋষিসুলভ ভূমিকা নিয়ে আমার নামে খুব-ই ভালো রিভিউ দিল আর আমি-ও সাব্যস্ত করলাম এই ছেলের সাথে কিছুতেই মারা-মারি করা যায় না
শাকিলের সাথে আমার বন্ধুত্বের শুরু সেখান থেকে।
সেই শাকিলকে গতকাল যখন কবরে শোয়ানো হচ্ছিল তখন আমার যে বিচিত্র অনুভূতি হচ্ছিলো তা অনুভব করার ক্ষমতা আমার জন্মায়নি। এই অনুভূতির নাম কি কষ্ট নাকি বিস্ময় নাকি অবিশ্বাস নাকি এই তিন অনুভূতির মিলিত রূপ আমি জানি না। শুধু জানতে ইচ্ছা করে, মৃত্যু যদি অনিবার্য হয়, চলে যাওয়াই যদি মানুষের অমোঘ নিয়তি হয় তাহলে সেই মানুষের জন্য কেন এতো মায়া জন্মায়...... কেন তার জন্য এতো কষ্ট হয়....
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৪
অন্তরালের পথিক বলেছেন: আমীন
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০৯
আশফাক ওশান বলেছেন: মৃত্যু স্বাভাবিক হলেও কোন কোন মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না।আপনার বন্ধু জান্নাত বাসী হোক
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৫
অন্তরালের পথিক বলেছেন: আমীন
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫৩
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: লেখাটা পড়ে খারাপ লাগলো। আল্লাহ আপনার বন্ধুকে জান্নাতবাসী করুন।