নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্তরালের পথিক

অন্তরালের পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিনম্র শ্রদ্ধা হে বিপ্লবী

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৫

১৯৩৪ সালের ১২ই জানুয়ারী। চট্টগ্রাম কারাগার। ফাঁসীর মঞ্চে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এক অচেতন ব্যক্তিকে। ৩৯ বছর বয়স্ক এই ব্যক্তির অপরাধ অতি মারাত্নক। সে শুধু ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহই সংগঠিত করেনি, চট্টগ্রামে পুলিশ ও ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর অস্ত্রাগার লুট, ইউরোপিয়ান ক্লাবে হামলা, টেলিফোন ভবন দখলসহ আরও অনেক কিছুই করেছে।বেচারার কপাল খারাপ, পালিয়ে যার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল সেই-ই টাকার লোভে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে।

এ মুহূর্তে সে অবশ্য অচেতন তার উপর নিষ্ঠুর নির্যাতনের ফলস্বরূপ। হাঁতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তার দাঁত ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে, উপড়ে ফেলা হয়েছে হাত-পায়ের নখ, ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে হাত-পায়ের হাঁড়।

মাস্টারদা সূর্যসেন। উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্নিযুগের এই সূর্যসন্তান মৃত্যুর আগেরদিন তার সহচরদের এক চিঠিতে বলেছিলেন, “Death is knocking at my door. My mind is flying away towards eternity. what shall I leave behind you? Only one thing, that is my dream, a golden dream-the dream of Free India.... Never forget the 18th of April,1930, the day of the eastern Rebellion in Chittagong... Write in red letters in the core of your hearts the names of the patriots who have sacrificed their lives at the altar of India’s freedom.”

এই মহান বিপ্লবীর কোন শেষকৃত্য হয়নি। অত্যন্ত গোপনে তার মরদেহ বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয়া হয়। ব্রিটিশদের উদ্দেশ্য ছিল তার যেন কোন স্মৃতিচিন্হ না থাকে। ব্রিটিশদের উদ্দেশ্য সফল। ইতিহাসের মহান বীর ইতিহাসেই স্হান পেয়েছেন, মানুষের স্মৃতিতে নয়।

দুঃখিত মাস্টারদা, আমরা অনেক ব্যস্ত, আমাদের সময় নেই আপনাকে স্মরণ করার। তবুও আপনার জন্য রইল আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এই মহান বিপ্লবীর কোন শেষকৃত্য হয়নি

তাই ভগমান শেষ কৃত্যের জন্য তাকে স্বর্গের দোয়ারে দাড়িয়ে রেখেছেন। কেহ শেষ কৃত্য করলেই প্রবেশ করতে পারবে!

এখন আপনার দায় ঠেকেছে তার শেষকৃত্য করার।

**** বিপ্লবীরা তাদের শেষকৃত্য, জানাযা, অন্তষ্ট্রিক্রিয়া ত্যাগ করেই বিপ্লবী হন, তাদের কাছে এ এক জঞ্জাট, পিছু টান।

আপনার মত কিছু ব্যক্তিরা তাদের কে সার্বজনীন না করে ধর্মীয় ট্যাগ লাগাতে চান আর সেই জন্য তারা ইতিহাসে স্থান পান কিন্তু মানুষের মনে থেকে হারিয়ে যান। সেটা আপনার উক্তি- ইতিহাসের মহান বীর ইতিহাসেই স্হান পেয়েছেন, মানুষের স্মৃতিতে নয়। থেকে বুঝা যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.