![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবির বস্তুটি আমাকে উপহার দিয়েছিলেন আমার এক শ্রদ্ধেয় শিক্ষক। খেলা-ধুলার প্রতি আমার আগ্রহ ছিল পড়াশুনার প্রতি আগ্রহের ব্যস্তানুপাতিক। নিতান্ত অমনোযোগী ছাত্রকে মূলা দেখিয়ে লাইনে আনার এটা তার কোনো ফন্দিও হয়ে থাকতে পারে, জানা হয়নি। তবে বলটা নিয়ে খেলাও হয়নি। সময়টা তখন ক্লাস টেন। সামনে প্রি-টেস্ট পরীক্ষা। প্রি-টেস্ট এর পর টেস্ট, তারপর এসএসসি। এসময় খেলার কথা চিন্তা করাটাও একটা বেশ ভয়ানক রকমের গুনাহের কাজ। বলটা রক্ষিত থাকল সযত্নে। পরীক্ষা শেষ হলে খেলা হবে। প্রতিদিন বলটা হাতে নিয়ে ভাবি, কবে শেষ হবে পরীক্ষা। সময় যে আর কিছুতেই কাটে না।
এসএসসির পর শুনলাম সামনে আছে কলেজ ভর্তি , তারপর এইচএসসি, তার উপর আছে ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষা।আশে-পাশের পরিচিত সবার কথা শুনে যা বুঝলাম, এই পৃথিবীতে আমার বেঁচে থাকার অধিকার আছে কতটুকু তা নির্ভর করছে এই ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষার উপর। সেই আতঙ্কেই মনে হয় আমি এমনভাবে এইচএসসি পাস করলাম যে পাস আর ফেল এর মধ্যে পার্থক্য রইলো খুব সামান্যই। ভার্সিটি ভর্তি তো পরের কথা, ভর্তি ফর্ম-ই তোলার মত যোগ্যতা নেই টাইপ অবস্থা। বাকিটা ইতিহাস।
তারপর যে কিভাবে কতবার সূর্য পূর্বদিকে উদিত হয়ে পশ্চিমে অস্ত গেলো তার কোনো হিসাব নাই। পড়াশুনার অধ্যায় শেষ অনেক দিন। কোনো রকম মারধোর খাওয়ার আশংকা ছাড়াই নির্ভয়ে সন্ধ্যার সময় টিভির সামনে বসা যায়, চাইলে বন্ধের দিন অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমানোও যায় আয়েশ করে। ইহাকে বলে সময়ের পরিবর্তন।
পুরোনো জিনিসপত্রের ভেতর যখন সেই সযত্নে রক্ষিত বলটি আবিষ্কৃত হল তখন কিছুটা বিমূঢ় হয়েই প্রায় একযুগেরও বেশি সময় আগের ফেলে আসা দিনগুলোতে ফিরে গেলাম। সেই বল-ও আছে, বলের মালিক-ও আছে। শুধু নেই ক্লাস টেনে পড়া সেই ফাস্ট বলার। পড়াশুনা আর পরীক্ষার চিপায় কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছে বেচারা।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪
অন্তরালের পথিক বলেছেন: একটা প্রাইভেট ব্যাংকে আছি।
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০
মানিজার বলেছেন: এই টাইপ বল বাবা আমাদের দিয়েছিল পেপসি ড্রিংক থেকে প্রাইজ পেয়ে ।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৯
মানিজার বলেছেন: এখন কী করেন ?