![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানবতা, ন্যায়বিচার, সু-শাসন- কোন আন্গীকেই ব্যাতিক্রম হতে পারে না,যেখানে হ্য়, সেখানে এর কানটাই নেই।উদাহরণ- বর্তমান বাংলাদেশ !
মানবজমিন থেকে কপি--
সেই অস্ত্রধারী ক্যাডার তুহিনকে এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নিজ দলীয় কর্মী হত্যা
মামলার আসামি তৌহিদ-আল-তুহিনকে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য তুহিনকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল। এ ছাড়া নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সেই বিতর্কিত তুহিনকেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গত শনিবার বিকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ২৪তম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, রাজশাহীর সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব সাইফুজ্জামান শিখর, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এএইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম ও দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে রাতে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে সভাপতির পদ পেয়েছেন ফলিত গণিত বিভাগের মাস্টার্স ছাত্র মিজানুর রহমান রানা। রানা এর আগে উপ-শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। আর সাধারণ সম্পাদকের পদ পেয়েছেন ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মাস্টার্স শিক্ষার্থী তৌহিদ-আল-তুহিন। তিনি ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক।
গত বছরের ১৫ই জুলাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদার বখশ হলের সামনে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়। সেই বন্দুকযুদ্ধে একপক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন ছাত্রলীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদ-আল-তুহিন। বন্দুকযুদ্ধে সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগকর্মী সোহেল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় অন্যতম আসামি হলেন তুহিন।
সেই মামলায় তুহিন গ্রেপ্তার তো হননি বরং দলের নাম ভাঙিয়ে এবং পুলিশের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। তিনি নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় বসে ওসির সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে বেরিয়ে আসার সময় ধরা পড়েন সাংবাদিকদের ক্যামেরায়। এরপর ক্যাম্পাসে তুহিনের দাপট আরও বেড়ে যায়। আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি। অভিযোগ আছে, কারণে-অকারণে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তিনি ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রায়ই মারধর করতেন। প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরেও বেড়াতেন।
গত বছরের ২রা অক্টোবর ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সাত-আটজন অস্ত্রধারীকে নিয়ে তুহিন ঝাঁপিয়ে পড়েন শিবিরের ওপর। প্রকাশ্যে পুলিশের সামনে গুলি করতে থাকেন তুহিন। সে সময় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে সেই ফুটেজ প্রচার করা হয়। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় সিনেমার ফাইটিংয়ের দৃশ্যের মতো প্রতিপক্ষের ওপর গুলি চালাচ্ছেন তুহিন। আর এ সময় পুলিশ ছিল নীরব দর্শক। ঘটনার পরদিন সব জাতীয় পত্রিকায় অস্ত্রসহ ছবি ছাপা হয় তুহিনের। ঘটনাটি সারা দেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ঘটনাটি টেলিভিশনে দেখে তাৎক্ষণিকভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য আবদুস সোবহানকে ফোনে নির্দেশ দিয়েছিলেন তুহিনসহ সব অস্ত্রধারীকে প্রেপ্তার করতে। কিন্তু এ পর্যন্ত তুহিন পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছেন।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেল বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের মতো সামপ্রদায়িক শক্তি মোকাবিলা করার জন্য আমরা তুহিনকে যোগ্য মনে করেছি। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় তুহিনকে প্রয়োজন। তবে তুহিনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে সে সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন।
২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪
মদন বলেছেন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের মতো সামপ্রদায়িক শক্তি মোকাবিলা করার জন্য আমরা তুহিনকে যোগ্য মনে করেছি। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় তুহিনকে প্রয়োজন।
জয়বাংলা
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩
পথহারা সৈকত বলেছেন: good.....