![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জন্মঃ চাঁদপুর জেলায়, শৈশব কেটেছে নারায়ণগঞ্জ শহরের আদমজী জুট মিল এলাকায়;মিল বন্ধ হয়ে গেছে কবে তবে সাইরেনের ধ্বনি এখনো অনুরণিত হয়।পাটের আঁশের রঙ,মাটির সোঁদা গন্ধ যুবতীর পায়ের নূপুর আর নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মাতাল হয়ে উঠি।বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।
দাওরায় হাদিসকে এক ঘোষণায় মাস্টার্সের মান দেওয়া হয়েছে।কওমি মাদ্রাসাকে মেইন্সট্রিমে সাধারণ শিক্ষার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হলো।নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ,যথেষ্ট ভালো;অনেক পূর্বেই কাজটি করা উচিত ছিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বিশেষ সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।অপরদিকে আলিয়া মাদরাসার ছাত্ররা সকল ক্রাইটেরিয়া পূরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাবার পরে তাদেরকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা,আন্তর্জাতিক সম্পর্ক,উন্নয়ন অধ্যয়ন,ইংরেজি এবং বাংলাসহ বেশ কিছু সাবজেক্টে পড়তে দেয়া হচ্ছেনা।এই বৈষম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয় করে বলে আমার জানা নেই;অথচ এই বঙ্গের প্রাচীন ও সুনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় হিশেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সবচেয়ে উদার হওয়ার কথা ছিল।
এরকম না যে মাদরাসার ছেলেরা যোগ্য না।গত দুই দশকে প্রায় বছর ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় মাদরাসার ছাত্ররা ফার্স্ট,সেকেন্ড,থার্ড হয়েছে।এখন তো কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মেরিট পজিশন একরকম ওদের দখলে চলে গেছে।এই ব্যাপারটিতে ঢাবি কর্তৃপক্ষ নজিরবিহীন গোঁড়ামির পরিচয় দিয়েছে।যতবার ছাত্ররা আপিল করেছে প্রতিবার হাইকোর্ট মাদরাসার ছেলেদের পক্ষে রায় দিয়েছে এবং প্রতিবারই ঢাবি হাইকোর্টকে বৃন্দাঙ্গুলি দেখিয়েছে।এখানে ন্যায়-নীতির তোয়াক্কা কে করে?একটা ছেলে ফার্স্ট হয়ে পছন্দমতো বিষয় নিতে পারবে না,২৯৫তম হয়ে অন্য একজন পারবে।ফার্স্ট হলেও বাংলা,ইংরেজি নিতে পারবে না অথচ আইন নিতে পারবে!কেন কারো তো সাহিত্য পড়ার ইচ্ছা থাকতেও পারে।এ বিষয়ে কোন বিবেকবান প্রফেসর কথা বলবে না,যারা বলবে তাদেরকে কোণঠাসা করে রাখবে।আলিয়া মাদ্রাসায় কমার্স নেই থাকলে বিজনেস ফ্যাকাল্টিতেও চান্স পেতো প্রচুর আর সাইন্স আছে নামমাত্র।সাইন্সে গুটিকতেক ছাত্র পড়ে তেমন ভালো শিক্ষক নাই তবুও সেই নামমাত্র সাইন্স থেকে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ফার্স্ট হয় বুয়েটে চুয়েটে চান্স পায়।
নির্দিষ্ট ওই সাবজেক্ট না দেয়ার কারণ দেখানো হতো ওরা ১০০নম্বরের বাংলা এবং ইংরেজি পড়ে।এখন কথা হচ্ছে কেউ ২০০নম্বরের পড়েও চান্স পায়না সেখানে ১০০নম্বরের পড়ে যদি চান্স পেতে পারে এবং ডিপার্টমেন্টেও ফার্স্ট হতে পারে তাকে তো বাহবা দেয়া উচিত।যাইহোক এবার থেকে মাদরাসার ছেলেরাও ২০০নম্বরের পরীক্ষা দিয়ে বেরুবে দেখা যাক ঢাবি নতুন কোন অজুহাত বের করে কিনা!এখানেও বৈষম্য!বাংলা ইংরেজিতে ২০০নম্বর প্রণয়ন করতে গিয়ে মাদরাসা বোর্ড নিয়েছে উদ্ভট আইডিয়া।কোরআন হাদিস এরাবিক সাবজেক্ট অক্ষত রাখছে যার ফলে একটি কলেজের ছেলে ১৩০০ মার্কসের পরীক্ষা দিবে সেখানে মাদরাসার ছাত্রদের ১৫০০ মার্কসের পরীক্ষা দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করতে হবে।আজিব ব্যাপার মাইরি!
অন্যদিকে কওমি মাদ্রাসাকে এক লাফে মাস্টার্সের মান দেয়া হলো!তারা ইবতেদায়ি পরীক্ষা দিছে কোন বোর্ডের আওতায়?তাদের নিম্ন মাধ্যমিকে কী কী বিষয় ছিল বা তাদের দাখিল(এসএসসি) পাশের মান কবে দেয়া হল?উচ্চমাধ্যমিক অনার্সের কোন হদিস নাই সরাসরি মাস্টার্স!বাহ! শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে সুচিন্তিত গঠনমূলক চিন্তা থাকলে অবশ্যই ধাপে ধাপে আগাতো সরকারপক্ষ।সচেতন নাগরিক মাত্র বুঝতে পারে এরকম তড়িঘড়ি উদ্ভট সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে কোন একটি মহলকে তোষামোদ করার জন্য।তবে কী ধরে নিবো সারি সারি জনবল নিয়ে আন্দোলন করলেই পাওয়া যাবে বৈধ অবৈধ সকল সুবিধা আর যোগ্য লোকেরা হবে বরাবরই বঞ্চিত?
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মে, ২০১৭ রাত ১০:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনাদের পড়ালেখা জাতির কোন কাজে লাগছে?