নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপাতত থাক, পরে এসে লিখব।

ফারিহা নোভা

আজ রাতে স্বপ্নেরা ভেঙ্গেছে বাঁধ, মুগ্ধতার আকাশে তাই একফালি চাঁদ।

ফারিহা নোভা › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্টাডি ইন লিথুয়ানিয়া Klaipeda University পর্ব-২

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩

লিথুয়ানিয়ার যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হলে আপনাকে প্রথমে একাডেমিক ডকুমেন্টস গুলোর কোয়ালিটি এসেসমেন্ট করে নিতে হবে।
কোয়ালিটি এসেসমেন্টের দায়িত্বে রয়েছে Centre for quality assessment in higher education বা SKVC



এরা আপনার পেপারস এসেস করে একটা সার্টিফিকেট দিবে। এর জন্য কোন ফি দিতে হয়না।

কোয়ালিটি এসেসমেন্ট করতে যা যা লাগবেঃ
প্রথমেই সকল মার্কসীট ও সার্টিফিকেট শিক্ষা বোর্ড থেকে সত্যায়িত করতে হবে। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সর্বশেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত করে নিন। এরসাথে পাসপোর্টের ফটোকপি নোটারী করে তারপর আইন মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত করতে হবে।
এরপর SKVC র ওয়েবসাইট থেকে ফরম ডাউনলোড করে পূরণ করে মার্কসীট সার্টিফিকেট ও পাসপোর্টের সত্যায়িত কপি সহ কুরিয়ার করে পাঠিয়ে দিন। সময় লাগবে ২০ কর্ম দিবস। অনেক সময় তার আগেও হয়ে যায়।
ঠিকানাঃ
To the Centre for Quality Assessment in Higher Education
A. Goštauto g. 12, LT-01108 Vilnius, Lithuania



যাইহোক আপনার কাছে এখন সব পেপারস রেডি শুধু SKVC থেকে সার্টিফিকেটের জন্য অপেক্ষা, এ সময়ের মধ্যে ইন্ডিয়ার ভিসা করে নিন।
এরপর SKVC থেকে সার্টিফিকেট পেয়ে গেলে সব পেপারস একসাথে ইউনিভার্সিটির ই-মেইলে পাঠিয়ে দিন, তারপর ইউনিভার্সিটি আপনাকে একটি কন্ডিশনাল অফার লেটার দিবে, এটা দিয়ে আপনি টিউশন ফি ট্রান্সফার করবেন। টিউশন ফি ট্রান্সফার করার জন্য সিটি ব্যাংক বা ব্রাক ব্যাংকের মাধ্যমে স্টুডেন্ট ফাইল খুলে পাঠাতে পারেন। টিউশন ফি কনফার্ম করার পর মূল অফার লেটার পাবেন। এটা সাধারণত ই-মেইলের মাধ্যমেই পাবেন।



এখন ভিসা আবেদনের পর্বঃ
এম্বেসির ওয়েবসাইট থেকে এপয়েন্টমেন্ট ডেট নিয়ে রাখুন, যথা সম্ভব মাস খানেক আগেই থেকেই নিয়ে রাখুন নইলে অনেক রাশ থাকে।
১। ওয়েবসাইট থেকে ভিসার আবেদন পত্র ডাউনলোড করে ফিলাপ করে নিন।
২। ৩৫/৪৫ সাইজের ছবি লাগবে।
৩। কনফার্ম ওয়ান ওয়ে এয়ার টিকেট।
৪। ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবে লাস্ট তিন মাসের ৪-৫ লক্ষ টাকা ব্যালেন্স।
৫। ব্যাংক সলভেন্সি।
৬। ইন্স্যুরেন্স লাগবে ১ বছরের।
৭।সব একাডেমিক ডকুমেন্টস সত্যায়িত কপি সাথে মূল কপি ও রাখবেন।
৮। পাসপোর্ট।
সকল কাগজপত্রের এক সেট ফটোকপি সাথে রাখতে হবে এটা আগে থেকেই করে রাখবেন। আর একটা বিষয় ভিসা ইন্টারভিউ ভাল হলে ভিসা পাবার সম্ভাবনা অনেক জোরালো তাই খুব ভাল প্রিপারেশন নিয়ে যাবেন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১

ঢাকাবাসী বলেছেন: প্রথমেই যা বললেন- শিক্ষা মন্ত্রনালয় আর পররাস্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে সত্যায়িত করতে হবে!! এই দুই মন্ত্রনালয় থেকে সত্যায়িত করা আর কাঠাল দিয়ে আমসত্ব বানানো একই বলে জানি! অসম্ভব!

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৮

ফারিহা নোভা বলেছেন: এখন আসলে অতটা সমস্যা হয়না, তবে আগে অনেক বেগ পোহাতে হত। আমার পেপারস সত্যায়িত করতে ২ দিন লেগেছিল মাত্র।

২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:১৪

নোমান প্রধান বলেছেন: লিথুয়ানিয়ায় পার্টটাইম জবের সুবিধা কেমন?

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৩৪

ফারিহা নোভা বলেছেন: প্রথম ১ বছর কাজের অনুমতি নেই, তারপরের বছর থেকে কাজের পারমিশন দেয়া হয়, তবে ভাষা জানা অনেক বড় একটা বিষয় কাজ পাবার জন্য।

৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আমার লিথুনিয়ায় পড়ার ইচ্ছে নেই।

যারা পড়তে চান আপনার পোস্টটি তাদের জন্য সহায়ক হবে।
ভালোথাকুন।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:২৫

ফারিহা নোভা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.