নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আত্বকেন্দ্রিক

আদ্রিতা

আমি ব্লগে বেশ পুরানো। হুট-হাট সব পোস্ট ড্রাফটে নেয়া কিংবা ডিলিট করার ব্যাপারে কিছুটা বিখ্যাত! মানুষ হিসেবে খুব একটা খারাপ না। একটু অভিমানী। চুপচাপ তবে মুডি মনে হলে আমার কোনো দোষ নাই! রাগ করি না সহজে। তবে রাগলে কাছের মানুষদের উপর রেগে যাই। রেগে গিয়ে খুবই খারাপ ব্যবহার করি। এ্যাতো্টাই খারাপ যে কাছের মানুষ আর কাছে থাকে না :(

আদ্রিতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি জঙ্গুলে গল্প

০১ লা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭



এক দেশে এক ছোট্ট রাজকন্যা ছিলো। রাজকন্যা সারাদিন বসে বসে গল্প বানাতো আর একা একা নিজের সাথে কথা বলতো। ভীষণ দূরের বরফে ঢাকা ছোট্ট এক জঙ্গলে রাজকন্যার কোনো বন্ধু ছিলো না। সবাই রাজকন্যাকে ভালোবাসতো কিন্তু কেউ রাজকন্যার বন্ধু হতো না। তার কারণ রাজকন্যা এক অভিমানের বেড়া দিয়ে নিজেকে ঘিরে রেখে জীবন কাটাতো। সেই অভিমানী রাজকন্যার নাম কিন্তিটকুস্। আদর করে সবাই ওকে কিন্তি বলে ডাকতো।
কিন্তি জানতো সে কোনোদিন তার রাজপু্ত্রকে পাবে না। ভীষণ উঁচু প্রাসাদে তো উঠবার কোনো সিঁড়ি নেই। কিন্তির লম্বা চুল-ও নেই যে রেপানজেলের মতো প্রাসাদের জানালা দিয়ে ওর লম্বা ঘণ চুল মেলে দিবে। সেটা নিয়ে কিন্তির খুব একটা ভাবনাও ছিলো না। সে প্রায়ই ছবি আঁকতো আর না-না ধরণের জল্পনা কল্পনা করে দিন কাটাতো। মাঝে মাঝে ভীষণ রেগে গেলে প্রাসাদের দেয়ালের এক কোণে চোখ ছোটো ছোটো করে কিছু সময়ের জন্যে তাকিয়ে থাকতো। তাতে করে ওর রাগ কিছুটা হলেও কমতো।
রাজকন্যা কিন্তির মাঝে মাঝে ঈলুর সাথে খুব লম্বা সময়ের জন্যে গল্প হতো। ঈলু হচ্ছে ওর রুমমেট এবং জঙ্গলের একমাত্র ঈগল পাখি। গাছপালা কমে গিয়েছিলো বলে ঈলু বন থেকে নুড়ি জোগাড় করে নিজে থাকার জন্যে এই প্রাসাদটা বানিয়েছিলো। সব বানিয়েছিলো কিন্তু সিঁড়ি বানাতে ভুলে গিয়েছিলো বলেই কিন্তি কখনো প্রাসাদ থেকে বের হতে পারে না। ঈলুর সিঁড়ি বানানোর কথা একবারো মাথায় আসে নি। ও সিঁড়ি দিয়ে কী করবে। কিন্তু কিন্তির অবস্থা দেখে ওর প্রায়ই খারাপ লাগতো।
ঈলু খুব ফেমিনিস্ট ছিলো। মেয়েদেরকে নিয়ে স্টেরিওটিপিক্যাল কথাবার্তা ওর একদমই সহ্য হতো না। এটা নিয়ে জঙ্গলের অন্য পশুপাখির সাথে ওর প্রায়ই অনেক ঝগড়া হতো। ওর এই স্বভাবের জন্যে অন্য জঙ্গলের কোনো ছেলে ঈগলও ওকে বিয়ে করতে চাইতো না। সেটা নিয়ে ঈলুর অনেক দুঃখ ছিলো কিন্তু ঈলু কখনো কিন্তিকে এসব বলতো না। ঈলুর শুধু মনে হতো কেউ কখনো ওকে ওর মতো করে ভালোবাসবে না।
কিন্তুি যখন অনেক ছোটো ছিলো, তখন ওর মা ওকে একা রেখে খুব দূরে চলে গিয়েছিলো। ঈলু ওকে খুঁজে পায় রাস্তার পাশের এক ছোট্ট গলিতে। ঈলুর সেদিন খুব ক্ষিধা পেয়েছিলো আর খাবার হিসেবেই কিন্তিকে ও ওর প্রাসাদে নিয়ে আসে। কিন্তু ওর ছোট্ট মুখ দেখে ঈলু আর ওকে খেতে পারে নি। এ কথা সে কিন্তিকে কখনো জানায় নি। ঈলু কিন্তিকে বলেছে প্রাসাদের আশেপাশে ঘুরোঘুরি করা কবুতরগুলোর মতো ওর ও নুড়ি আর গম খেতে অনেক ভালোলাগে।
ঈলু ফেমিনিস্ট ছিলো না আগে কখনো। কিন্তু যখন থেকে জঙ্গলের পুরুষ পশুপাখি অধিকার আদায় নিয়ে অনেক উঠে পড়ে লাগলো, তখন থেকে নারী জাতি নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা-বার্তা ঈলুর অসহ্য লাগতে শুরু করলো। এই যেমন একবার এক ছেলে মৌমাছি রেগে গিয়ে তার রাণীকে ছেড়ে চলে আসলো। বলতে শুরু করলো যে রাণী না-কি বেড়ে গিয়েছে অনেক। সে রাণী বলেই নাকি মৌচাকে তার এতো দাপট্। এসব শুনে ঈলুর মেজাজ বিগড়ে গিয়েছিলো খুব। আরে বাবা, রাণী মৌমাছি বলেই যে তার এতো অহংকার তা-তো না, সে হাজার হাজার ডিম নিজের মধ্যে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। তার একটু আধটু এক্সট্রা আদর আর সম্মান আশা করাটাই তো স্বাভাবিক। ঈলুর ইচ্ছে করছিলো কপ্ করে ছোট্ট মৌমাছিটাকে গিলে ফেলতে। ছেলে মৌমাছির কী আর অভাব আছে! কিন্তু রাণীর পছন্দের মৌমাছি বলে ঈলু ওকে দয়া করে ছেড়ে দিলো।
কিন্তিটকুস্ আর ঈলুর দিন যাচ্ছিলো বেশ। কিন্তু একদিন হঠাৎ করে শিকারীর গুলি খেয়ে ঈলুর মৃত্যু হলো। মানুষ নামের কিছু প্রাণী কিন্তিটকুসকে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে শহরে নিয়ে আসলো। কিন্তি এখন স্কুলে যায় আর বাসার কম্পিউটারে বসে বসে গল্প লেখে। ওর প্রায়-ই মনে হয়, মনুষের চেয়ে ঈলু অনেক ভালো ছিলো। ঈলুর ভাবনা ছিলো, গল্প ছিলো, কিন্তু মানুষ নামের প্রাণীগুলো একদম গল্পহীন।



মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪১

মাসুদ মাহামুদ বলেছেন: গুরে গেলুম...........
মেন আছেন........ভাইয়ু

০২ রা মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৪৮

আদ্রিতা বলেছেন: জ্বী, আলহামদুলিল্লাহ্!

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮

কল্লোল পথিক বলেছেন: ঈলুর ভাবনা ছিলো, গল্প ছিলো, কিন্তু মানুষ নামের প্রাণীগুলো একদম গল্পহীন।






ভাল লেগেছে।

০২ রা মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৪৮

আদ্রিতা বলেছেন: ধন্যবাদ!

৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪

হামিদ আহসান বলেছেন: কিন্তিটকুস-এর গল্প পড়লাম৷ জঙ্গুলে গল্প ভাল লাগল ....

০২ রা মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৪৮

আদ্রিতা বলেছেন: থ্যাঙ্কিউ!

৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: ঈলু আর কিন্তির গল্পে ভাললাগা।

০২ রা মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৪৯

আদ্রিতা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ :)

৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬

উল্টা দূরবীন বলেছেন: বাহ। বেশ ভালো লাগলো।

০২ রা মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৫০

আদ্রিতা বলেছেন: থ্যাঙ্কিউ!

৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ভাল লাগলো কিন্তিকে
ভাল লাগলো ঈলুকে
ভাল লাগলো গল্পটাকে

০২ রা মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৫০

আদ্রিতা বলেছেন: ধন্যবাদ!

৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

আবু শাকিল বলেছেন: খুব ভাল :)

০২ রা মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৫১

আদ্রিতা বলেছেন: আচ্ছা!

৮| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৩

সায়ান তানভি বলেছেন: ভালো লিখেছেন ,একটা আলাদা ব্যাপার আছে লেখায় ,আরও লিখুন ।

০২ রা মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৫১

আদ্রিতা বলেছেন: থ্যাঙ্কিউ!

৯| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩৬

ঐন্দ্রিলা নিশাত বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। শুভেচ্ছা রইল

০২ রা মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৫২

আদ্রিতা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! :)

১০| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২০

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
সুন্দর।
ওয়েলকাম ব্যাক! :)

০২ রা মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৫২

আদ্রিতা বলেছেন: থ্যাঙ্কস্! :)

১১| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২৪

তার আর পর নেই… বলেছেন: ঈগলদের কি বিয়ে করার প্রয়োজন হয়?

কিন্তিটকুস নামটা নিয়ে ভাবলাম, কোন নাম থেকে আসতে পারে ..
একটু এলোমেলো লেগেছে, হঠাৎ করে মানুষ তাকে নিয়ে আসলো ..রূপকথা টাইপ ..

০২ রা মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৫৪

আদ্রিতা বলেছেন: আমার গল্পও ঈগলদের বিয়ের মতো অপ্রয়োজনীয়!

১২| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫৭

মারুফ তারেক বলেছেন: অন্যরকম হয়ে গেলুম।

ঈলু :)

০২ রা মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৫৪

আদ্রিতা বলেছেন: আচ্ছালুম!

১৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ২:০৯

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: কিন্তি র ঈলুর গল্প ভালো লেগেছে যদিও ঈলুর জন্য মন একটু খারাপ হয়েছে।

০২ রা মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৫৫

আদ্রিতা বলেছেন: :(

১৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:২০

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: :|

০২ রা মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৫৭

আদ্রিতা বলেছেন: :|

১৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৪২

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: কিন্তিটকুস নামটা সুন্দর।

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:১৭

আদ্রিতা বলেছেন: থ্যাঙ্কিউ!

১৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৪৮

বিজন রয় বলেছেন: এটি জঙ্গুলে গল্প কি ভাবে?

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:১৯

আদ্রিতা বলেছেন: গুড কোয়েস্চেন!

১৭| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৪৯

বিজন রয় বলেছেন: কিন্তু মানুষ নামের প্রাণীগুলো একদম গল্পহীন।

বুঝেছি্
++++

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:২০

আদ্রিতা বলেছেন: আচ্ছা!

১৮| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:১১

সুমন কর বলেছেন: মোটামুটি লাগল...

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:২০

আদ্রিতা বলেছেন: আচ্ছা।

১৯| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩২

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: কিন্তি এখন স্কুলে যায় আর বাসার কম্পিউটারে বসে বসে গল্প লেখে। :D

পড়তে ভাল লেগেছে। শুভকামনা রইল।

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:২১

আদ্রিতা বলেছেন: ধন্যবাদ ভূত!

২০| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লিখেছো।

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:২৪

আদ্রিতা বলেছেন: থ্যাঙ্কিউ!

২১| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ভিন্নরকম গল্প । নামটাও সুন্দর, জঙ্গুলে !!

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:২৫

আদ্রিতা বলেছেন: আচ্ছা! :)

২২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০৬

দেলু বলেছেন: মনে হচ্ছে এটা আপনার নিজের জীবনের গল্প। তাই কি?

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:২৫

আদ্রিতা বলেছেন: নাহ্।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.