![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ব্লগে বেশ পুরানো। হুট-হাট সব পোস্ট ড্রাফটে নেয়া কিংবা ডিলিট করার ব্যাপারে কিছুটা বিখ্যাত! মানুষ হিসেবে খুব একটা খারাপ না। একটু অভিমানী। চুপচাপ তবে মুডি মনে হলে আমার কোনো দোষ নাই! রাগ করি না সহজে। তবে রাগলে কাছের মানুষদের উপর রেগে যাই। রেগে গিয়ে খুবই খারাপ ব্যবহার করি। এ্যাতো্টাই খারাপ যে কাছের মানুষ আর কাছে থাকে না :(
আমি সাদাকোর ছোট্ট বিড়াল ছিলাম। বিকেল বেলা প্রায়-ই সাদাকো সাসাকি আর আমি নদীর তীরে খেলা করতাম। এক দুপুরে আমরা ভাত দিয়ে গোল গোল বল বানিয়ে তা খেয়ে নদীর তীরে এসে ঘাসের উপরে শুয়ে ছিলাম। ছোট্ট ঘাস ফড়িঙ্গের ক্রিট ক্রিট শব্দ শুনে সাদাকো তাদের ধরতে যেতো। ওর ছোট্ট হাত ফসকে সব ফড়িং পালিয়ে যেতো সবসময়। সেই বিকেলে হঠাৎ করে কোথা থেকে যেনো ঘন কালো মেঘ এসে ঢেকে দিয়েছিলো সবকিছু। সাদাকো আর আমি ভীষণ ভয়ে ছুটে গিয়েছিলাম মা-র কাছে। সেই কালো মেঘের সাথে আগুন এলো আর সবকিছু ছাই করে দিলো এক নিমিষে।
দশ বছর পর সেদিনকার সেই কালো মেঘের কথা প্রায় সবাই-ই ভুলে গিয়েছিলো। কিন্তু সাদাকো হঠাত করে অসুস্থ হয়ে পড়লো। ওকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলো এবং ও জানতো ওর এই অসুস্থতা সেদিনের সেই কালো মেঘের জন্যই। সাদাকোর মন খারাপ দেখে ওর বড় ভাই ওকে বললো কাগজ দিয়ে বক বানাতে। ও যদি এক হাজার কাগজের বক বানাতে পারে তা হলে ওর একটা ইচ্ছা খুব সহজে পূরণ হবে। ভাইয়ের কথা শুনে সাদাকোর খুশির সীমা ছিলো না। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ও সারাদিন কাগজের বকপাখি বানাতো আর ভাবতো, কতো কী-ই না করার আছে এই চার দেয়ালের বাইরে। বৃষ্টির কাদায় ও লাফাচ্ছে না কত্তোদিন হয়ে গেলো। সাদাকো স্বপ্ন বুনতো আর কাগজের বকপাখি বানাতো।
একটা, দুইটা, তিনটা করে ও পাঁচশোটা বকপাখি বানিয়ে ফেললো। মা সুতো দিয়ে সেগুলো বেঁধে সারি সারি করে দেয়ালে টানিয়ে দিলো। কী ভীষণ সুন্দর ছিলো সাদাকোর সেই বকপাখিগুলো। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ওর অসুস্থতা বেড়েই চললো। আমি ওর মাথার কাছে গুটিশুটি করে শুয়ে থাকতাম আর ওকে বলতাম মন খারাপ না করতে। ওর রুগ্ন হাত আর কোনো বকপাখি বানানোর শক্তি পেতো না। বেশ কিছুদিন পর সাদাকো ওর পাঁচশো বকপাখির সাথে অজানা কোথাও উড়ে চলে গেলো।
সাদাকো সাসাকির জন্ম ১৯৪৩ সালে, হিরোসিমাতে। ওর মৃত্যু হয় ১৯৫৫ সালে লিউকিমিয়াতে। হিরোসিমা নাগাসাকির এটোম বোমার হাত থেকে ও বেঁচে গেলেও রেডিয়েশনের জন্যে দশ বছর পরে ওর লিউকিমিয়া ধরা পড়ে। জাপানে ক্রেনের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা অর্থ আছে। ক্রেণ হচ্ছে দীর্ঘ জীবনের চিহ্ন। সাদাকো ওর ভাইয়ের কাছ থেকে এই মিথ শুনে ক্রেণ বানাতে শুরু করে। পরবর্তিতে ওর সম্মানে হিরোসিমা মেমোরিয়াল পার্কে ক্রেণ হাতে একটা বাচ্চা মেয়ের মূর্তি বানানো হয়।
২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৮
বিজন রয় বলেছেন: ওহ গো, সাদাকো সাসাকি একজন মানুষ, একজন বালিকা।
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:২৯
আদ্রিতা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য!
৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১১
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: খুব ভাল লাগল। কষ্টও লাগল মেয়েটির জন্য ।
০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৩০
আদ্রিতা বলেছেন:
৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: পারমানবিক বোমা নয়, মানবিকতাই জয়ী হোক। এই আশাবাদ ব্যক্ত করা ছাড়া আর কী'ই বা করার আছে আটপৌরে ছাপোষা মানুষদের! একজন মহামানবের খুব দরকার...
০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৩৩
আদ্রিতা বলেছেন: সব শিশুরাই তো মহামানব। শুধু সময়ের সাথে সাথে সেইসব মহামানবের মৃত্যু হয়
৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
হামা ভাইয়ের কথামতে
একজন মহামানবের খুব দরকার...
খুব খুউব দরকার।
খুব সুন্দর লিখেছেন। ভেতরটা নাড়া দিয়ে গেছে।
০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৩৪
আদ্রিতা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩
সুমন কর বলেছেন: গল্পের সাথে পেছনের কাহিনী হৃদয় স্পর্শ করে গেল। ভালো লাগা রইলো।
০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৩৪
আদ্রিতা বলেছেন: থ্যাঙ্কিউ!
৭| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৭
উল্টা দূরবীন বলেছেন: ভালো লাগলো।
০৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০০
আদ্রিতা বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২২
পৃথিলা আফনান বলেছেন: ভালোলাগা রইল আদ্রি
০৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০১
আদ্রিতা বলেছেন: ধন্যবাদ আপু
৯| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
২০ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৫:০৫
আদ্রিতা বলেছেন: ধন্যবাদ!
১০| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৯
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: সুন্দর লেখা আর ছবি হৃদয়স্পর্শ করে গেল।পারমাণবিকতা নয় পৃথিবীতে শুধু মানবিকতা চাই
২১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬
আদ্রিতা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৭
বিজন রয় বলেছেন: সাদাকো কি? কোন জায়গার নাম?