নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখক নই, কথক।কল্পনা আর বাস্তবতা জোড়া দিয়ে প্রেম অথবা প্রতিবাদের ছবি আঁকা শিখছি।

নোমান প্রধান

লেখক নই, কথক।

নোমান প্রধান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ স্বীকার করো, তোমরা মিথ্যা কথা বলো

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৫৮


জামেয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসা, তাদের ওয়েব হোম পেইজে লিখা আছে, "চারিত্রিক ও নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের যুগে দ্বীনি ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয় সাধন করে নির্ভেজাল তাওহীদ, তাকওয়া ও যোগ্যতার সংমিশ্রণে জাতিকে সঠিক দিক-নির্দেশনা দানকারী একদল সৎ, আল্লাহভীরু আলেম তৈরির মহান ব্রত নিয়ে ১৯৭৬ সালে জামেয়া কাসেমিয়ার শুভ সূচনা। মুহ্তারাম অধ্যক্ষ সাইয়্যেদ কামালুদ্দীন জাফরীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে একদল দেশবরেণ্য আলেমে দ্বীনের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় হাঁটি হাঁটি পা পা করে লক্ষ্যপানে সুদৃঢ় পদক্ষেপ ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে চলছে দেশের অন্যতম এ শ্রেষ্ঠ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামেয়া কাসেমিয়া।"
লজ্জা, ছিঃ! কি লজ্জা। এমন একটি সুনামধারী প্রতিষ্ঠান যাদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করছে তারা তো আল্লাহভীরু নয় বরং তাদের কর্মকান্ড দেখে মনে হচ্ছে তারা ভন্ড, পয়সা এবং পসার ছাড়া আর কিছু চাওয়ার নেই। তানাহলে মসজিদে কেমন করে সুন্নত বেশ ধারী টিভি হুজুরেরা মানুষের ছবি টানিয়ে শোর করে ?

আমার ব্যাক্তিগত ধর্মীয় জ্ঞান খুব সামান্য, তবে হালাল-হারাম সম্পর্কিত সামান্য জ্ঞান আছে । কেউ নামাজ রত অবস্থায় উচ্চস্বরে পবিত্র কোরানপাঠ করা অনুচিত যখন পাসে কেউ নামাজ আদায় করছে । একদা মহানবী (সাঃ) দেখলেন, লোকেরা নামাযে জোরে-শোরে কুরআন পাঠ করছে। তিনি বললেন, “মুসল্লী (নামাযী) তো আল্লাহর সাথে চুপিসারে কথা বলে। সুতরাং কি নিয়ে তাঁর সাথে কথা বলছে তা লক্ষ্য করা দরকার। আর তোমরা এমন উচ্চস্বরে কুরআন পড়ো না, যাতে অপরের নামাযে ব্যাঘাত ঘটে।” (আহমাদ, মুসনাদ, মিশকাত ৮৫৬নং)।
এতটাই সাবধানে পবিত্রতা রক্ষা করতে হয় মসজিদের ।
আর আজ আমদের কাঠমোল্লা গন, সার্টিফিকেটধারী মোল্লাগন মসজিদের মিম্বরে ছবি টানিয়ে , মানুষের ছবি টানিয়ে শোক প্রকাশ করছে ।
তাহলে তাদের থেকে নেয়া অতীত শিক্ষা গুলো কী যাচাই করে নেয়া উচিত নয় ? তারা কি শত্রু নয় পবিত্র সত্য ধর্মের ?

নিজে সরাসরি পবিত্র কোরান এবং হাদিস পাঠ ছাড়া এসকল মুরতাদ হয়ত মুনাফিকের কাছে যাওয়া কতটা শ্রেয় হবে সেই প্রশ্নাটা থেকে গেলো । মহান আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন ।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৪৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মাদ্রাসাটি কোথায় ?

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৩৪

নোমান প্রধান বলেছেন: নরসিংদী সদরে

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৫১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ওহ সরি ! ব্যানারে দেখা যাচ্ছে নরসিংদী ।

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৪৭

নোমান প্রধান বলেছেন: শুধু মাত্র নরসিংদী নয়, দেশের আরো কিছু জায়গায়

৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:২০

বিবর্ন সভ্যতা বলেছেন: এই মাদ্রাসাটা আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি এবং যতদুর জানি তাদের ভালই একটা সুনাম আছে। তবে, এই ছবিটা দেখে সত্যিই মর্মাহত হলাম। প্রথমত মসজিদের ভিতরে এই কাজটা উনারে কিভাবে করল আমার মাথায় আসে না, যদি এতই শোকাহত হয়ে থাকে তাহলে ঐ মাদ্রাসার ভিতরে বিশাল মাঠ ছিল ঐ মাঠেই তো এইসব আয়োজন করতে পারতো।

** যতটুকু জানি ইসলামে এইসব জন্মদিবস, মৃত্যুদিবস পালন করা বেদায়াত । এইসব আলেমরা নিশ্চয় এই ব্যাপারটা আমার থেকে ভাল জানতেন বা বুঝতেন । তারপরও কিভাবে এইসব করেন উনারা ? আল্লাহ আমাদের সঠিক জ্ঞান দান করুন।

২০ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮

নোমান প্রধান বলেছেন: জ্বি আমিও খুব অবাক হয়েছি :( কষ্ট ও পেয়েছি

৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

উড়ালপক্ষী বলেছেন: ওনার রাজনীতি পরিচয় যাই হােক না কেন, ওনাকে পরকালে কষ্ট দেওয়ার অধিকার কারাে নাই। চামচাগীরির একটা সীমা থাকা উচিৎ।

২০ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৯

নোমান প্রধান বলেছেন: মূল্যবোধের আর নৈতিকতার অভাব

৬| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:১৬

মানুষমানব বলেছেন: যদি তারা সত্যিকার অর্থে শোক প্রকাশ করত তাইলে এই কাজ না করে তার জন্য দোয়া করত।
এই কাজ তারাই করে যারা লোক দেখাইতে চায় আর নিজের ফায়দা চায়।

২২ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

নোমান প্রধান বলেছেন: তেমন কিছুই হবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.