![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নয়ন আমার রূপের পুরে, সাধ মিটায়ে বেড়ায় ঘুরে, শ্রবণ আমার গভীর সুরে হয়েছে মগন। জগতে আনন্দযজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ..
ইদানীং ফেসবুকটা সামাজিক ওয়েবসাইট এর নামে আমাদের কতিপয় বাঙ্গালীর কাছে রাজনৈতিক ওয়েবসাইট এ পরিণত হয়েছে।অ্যাকাউন্ট লগ ইন করলেই হোম পেজ এ অনেক রাজনৈতিক স্ট্যাটাস দেখতে পাই।দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে কথা বলা হয়,রাজনীতিবিদদের নিয়ে অনেক সমালোচনা করা হয়। আর স্ট্যাটাস এর পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনীতিবিদের এডিট করা ছবিও দেখা যায়।দেশের শীর্ষ পর্যায়ের রাজনীতিবিদ যেমন-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,মরহুম জিয়াউর রহমান,শেখ হাসিনা ওয়াজেদ,বেগম খালেদা জিয়া-উনাদেরকে অবমাননা করে স্ট্যাটাস আপডেট হয়,উনাদের এডিট করা ছবি ছাপা হয়।এডিট করে ছবি ছাপানোর ব্যাপারে আমার নিজের চোখে দেখা দুটো ছবির কথা বলছি যেগুলোর একটাতে আমাদের দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কোলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং শুয়ে আছেন,আর একটাতে বর্তমান বিরোধীদলীয় নেত্রী তাঁর দলীয় এম পি মোসাদ্দেক আলী ফালুর সাথে মালা বদল করছেন।
প্রধানমন্ত্রী বা বিরোধীদলীয় নেত্রী আমাদের দেশেরই প্রতিনিধিত্ব করছেন,আমরা যে কেউ চাইলেও উনাদের সমান হতে পারবোনা ।রাজনীতিতে পুরষ্কার যেমন আছে তেমনি তিরস্কার ও আছে।তাই বলে উনাদের ছবি এডিট করে ফেসবুক এ দিতে হবে ?এই একটা ছবির জন্য আমরা জাতিগতভাবে কতখানি ছোট হয়ে যেতে পারি তা কি কেও একবার ভেবে দেখেছেন ?
আমি তার একটা উদাহরন দিচ্ছি-আমার কর্মস্থলে বড় পর্দায় ইন্টারনেট ব্যাবহার করার সুবিধা থাকায় একদিন আমি লাঞ্চ এর সময় ফেসবুক লগ ইন করলাম,আর মুহূর্তের মধ্যে আমার হোমে খালেদা জিয়া ও ফালুর মালা বদলের ছবিটা ভেসে উঠল,পাশেই আমার এক শ্রীলঙ্কান সহকর্মী বসা ছিল,ছবিটি দেখে ও আমাকে জিজ্ঞেস করল-আমি যতদূর জানি উনি তোমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিধবা ।তা উনি আবার বিয়ে করেছেন কবে ?
এই প্রশ্নের জবাবে আমি ওকে যখন বললাম উনি বিয়ে করেননি, এইটা এডিট করা ছবি মাত্র ।তখন আমার সহকর্মীটি আমার দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলেছে তোমার দেশের মানুষ কি করে উনার মতো মানুষের এমন একটা ছবি এডিট করলো ? What a Shame !
তখন আমার মনে হয়েছিল ও shame কথাটা শুধু আমাকে বলেনি,বলেছে আমার পুরো দেশকে।
যারা আমাকে ব্যাক্তিগতভাবে চিনেন তারা অনেকেই জানেন আমার বাবা চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশী সময় ধরেবাংলাদেশের একটা প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের শীর্ষ গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন,এখনো আছেন।আমার বাবাকে কখনও দেখিনি আমার সাথে রাজনৈতিক আলাপ করতে,এমনকি কোনদিন আমার মার সাথেও রাজনৈতিক কথা বলতে শুনিনি।রাজনীতি থেকে আমি সবসময় দূরেই থেকেছি,এখনো আছি।একটা গনতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক মত প্রকাশের স্বাধীনতা সবার আছে,কিন্তু তাই বলে সেটা ফেসবুক এ না হয়ে রাজনীতির মাঠে হওয়া উচিৎ।
ফেসবুক এ আমার ফ্রেন্ড লিস্ট এ ইউরোপ,আমেরিকা,আফ্রিকা,এশিয়ার অনেক ফ্রেন্ড আছে,তাদের কখনো আমি ফেসবুক এ কোন ধরনের রাজনৈতিক স্ট্যাটাস আপডেট করতে দেখিনি।
ডেভিড ক্যামেরুন ,বারাক হোসেন ওবামা,জেকব যুমা, এমনকি আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত,পাকিস্তানের কোন সরকার প্রধানকে নিয়েও তাদের কখনো কোন স্ট্যাটাস আপডেট বা ছবি এডিট করতে দেখিনি।।
যারা এই কাজটি করেন তারা কি একটাবারও চিন্তা করে দেখেছেন-আপনার একটিমাত্র স্ট্যাটাস বা ছবির কারনে আপনার অতি কাছের বন্ধুর সাথে আপনার একটা দূরত্ব সৃষ্টি হতে পারে,আপনারই অতি প্রিয় মানুষটি আপনাকে ভুল বুঝতে পারে কিংবা আপনারই একটামাত্র লিখা বা ছবি আপনার পুরো দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে দিতে পারে।তাই ছোট বড় সকলের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।ফেসবুক এ রাজনীতি চর্চা করে নিজের বিকৃত মানসিকতার প্রকাশ করবেননা,ফেসবুককে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যাবহার করুন।একে অপরের ভালো মন্দের খোঁজ খবর রাখুন।সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন।দেখবেন সবাই আপনাকে ভালবাসবে।পরিশেষে সবার মঙ্গল কামনা করছি ।
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:০৬
নূর আলম সিদ্দিকী রাসেল বলেছেন: "Everything is everybody's business"
মাঝেমাঝে আমারও তাই মনে হয় ভাইয়া।
তবুও বলি- রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে ভালো থাকুক ষড়ঋতুর সবুজ দেশের প্রিয়জনেরা।
সব মেঘ কেটে গিয়ে একদিন আলো আসবেই।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:৪৪
খেয়া ঘাট বলেছেন: ভালো বলেছেন।-
এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন এসিস্টান্ট ডাইরেক্টর একবার খুব ছোট করেই আমাকে একটা কথা বলেছিলেন, কথাটা আমার আজীবন মনে থাকবে। মনে হলো - উনার এই সামান্য কথার ভিতরেই অনেক কিছু লুকিয়ে আছে। উনি বলেছিলেন-
তোমাদের দেশের মূল সমস্যা কি জানো?
আমি বললাম কি?
উনি বললেন-"Everything is everybody's business"