![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নয়ন আমার রূপের পুরে, সাধ মিটায়ে বেড়ায় ঘুরে, শ্রবণ আমার গভীর সুরে হয়েছে মগন। জগতে আনন্দযজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ..
একবার এক বনে আগুন লাগল।বনের সব প্রাণিরা আগুনের পাশে ভীড় করে তাদের ভবিষ্যত নিয়ে হা-হুতাশ করতে লাগল।সেই বনের পাশেই ছিল একটা ছোট্ট খাল।শুধু বনের সবচেয়ে ছোট্ট হামিং পাখিটা বারবার ছুটে যাচ্ছিল সেই খালে,ছোট্ট ঠোঁটে তুলে নিচ্ছিল পানি আর ফেলে আসছিল সেই আগুনের মাঝে।
হামিং বার্ডের এই কাজ দেখে সবাই অবাক হয়ে জানতে চাইল, 'কী করছ তুমি, প্রিয় হামিং?'
ছোট্ট পাখিটি ফের পানি আনবার জন্য উড়াল দিয়ে বলল, 'আমার সামর্থ্যে যতটুকু সম্ভব, আমি ততটুকুই করছি '
পবিত্র রমজান মাসের ১৫তম দিন শেষ। রমজানে রোজাদারকে ইফতার করানো একটি বড় সওয়াবের কাজ। একদিন সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমাদের সবার তো আর রোজাদারকে ইফতার করানোর মতো সামর্থ্য নেই। রাসূল (সা.) ইরশাদ করলেন, যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে খেজুর, পানি অথবা সামান্য দুধ দিয়ে ইফতার করাবে মহান আল্লাহ তাকেও এই সওয়াব দেবেন। (ইবনে খুজায়মা, বায়হাকি) এই হাদিস আমাদের সবার জন্যই অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। কারণ এই হাদিসের আলোকে দেখা যাচ্ছে, আমরা সবাই রোজাদারকে ইফতার করানোর সওয়াব অর্জন করতে পারি। কারও জন্য এই সওয়াব অর্জন করা কঠিন বিষয় নয়। এটা শুধু সামর্থ্যবানদের জন্যই নয়, বরং ধনী-দরিদ্র সবার জন্য এটা একটা সহজ নেকি। প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছার।
সারা বছর যেমন আমাদের সমাজে চরম বৈষম্য বিরাজ করে রমজানেও এর ব্যতিক্রম হয় না। ধনীরা তাদের ইফতারিতে অনেক অর্থই ব্যয় করেন। ভোজনবিলাসীদের ইফতার আয়োজন রীতিমতো তাক লাগিয়ে দেয় সমাজের সাধারণ মানুষকে। অভিজাত হোটেলগুলোতে তৈরি হয় অনেক মুখরোচক ইফতারি। ধনীরা এসব দামি ইফতারি প্রায় প্রতিদিনই কেনেন। ধনীদের বাসায়ও রকমারি ইফতারি তৈরি হয়। সব মিলিয়ে সামর্থ্যবানদের ইফতারে অনেক ধুমধাম লক্ষ্য করা যায় প্রতি রমজানে। কিন্তু দরিদ্র শ্রেণীর ক্ষেত্রে এর সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র পরিলক্ষিত হয় বরাবরই। অনেক হতদরিদ্রের কপালে সামান্য ইফতারিও জোটে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই দুর্দিনে ইফতারে আলাদা অর্থ ব্যয় করার মতো সামর্থ্য নেই অনেক গরিব মানুষের। তারা ইফতারির আলাদা আয়োজন না করে ইফতারের সময় রাতের খাবার খাওয়াতেই সাশ্রয় মনে করে। এ ধরনের দরিদ্র শ্রেণীর কথা ধনীদের বিবেচনায় রাখা উচিত। তাদের ইফতার কিনে দেয়া বা ইফতারের জন্য আর্থিক সাহায্য করা ধনীদের নৈতিক দায়িত্ব। ধনীরা যখন ব্যয়বহুল ইফতার করেন তখন হতদরিদ্রদের কথা একটু স্মরণ রাখাও যে রমজানের মহান শিক্ষা তা মোটেই ভুলে যাওয়া উচিত নয়। গরিব মানুষ সারাদিন রোজা রেখে যেন তৃপ্তির সঙ্গে ইফতার করতে পারে সেদিকে ধনীদের নজর দিতে হবে।
ব্রিটেনে বাংলাদেশের গুটিকয়েক টিভি চ্যানেল দেখা গেলেও এখানে বাংলাদেশী কোন বিজ্ঞাপন দেখানো হয়না।এক বন্ধুর কল্যাণে ইউটিউবে রবি নামক মোবাইল ফোন কোম্পানির একটি বিজ্ঞাপন দেখলাম।সেখানে দেখানো হয়েছে সমাজের কয়েকটি পরিবারের উদ্যোগে ধনী গরীব সবাই মিলে একসাথে ইফতার করছে।বিজ্ঞাপনটি দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি।বিজ্ঞাপনটির মতো এমন করে যদি সারা দেশে সত্যি সবাই মিলে ইফতার করতে পারতো তাহলে অন্তত রমজান মাসের ইফতারের সময়ে কাউকে না খেয়ে থাকতে হতোনা।
আমরা কি পারিনা হামিং পাখির মতো যার যা সামর্থ্য আছে তা নিয়ে এই গরীব মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে ?
আসুন আমার আপনার প্রতিবেশীটি না খেয়ে আছে কিনা তার খবর নিই,তার পাশে বাড়িয়ে দিই সাহায্যের হাত।পবিত্র রমজান মাসে সবার প্রতি সবিনয় অনুরোধ রইলো।
পরিশেষে পবিত্র মাহে রমজান আমাদের সবার জন্য অনেক মঙ্গলময় হোক সৃষ্টিকর্তার কাছে এই দোয়া করি।
২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৩
নূর আলম সিদ্দিকী রাসেল বলেছেন: আমিন।
২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৫৪
খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার লিখায় মানবিক মূল্যবোধগুলো খুব সুন্দর করে ফুটে ওঠে।
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:৪৬
নূর আলম সিদ্দিকী রাসেল বলেছেন: শোন হে খেয়া ভাই,সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।
ভাইয়া,দোয়া করবেন।আপনাদের উৎসাহ ও ভালবাসাই আমার পাথেয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪
বোকামন বলেছেন:
আল্লাহ আমাদের সবাইকে বুঝার তৌফিক দিন।
আস সালামু আলাইকুম।।
[১+]