![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক পথিক, ঘুরে বেড়ানোই আমার নেশা, যেথায় পথের শেষ, সেথায় আমার টিকানা!
নবী মুসা আ: এর জামানার একটি ঘটনা, একদিন হযরত মুসা আ: আল্লাহর কাছে জানতে চাইলেন জান্নাতে আমার সাথী কে হবেন? কারন মুসা আলাইহিস সালাম এর সময় হুকুম আহকাম ও অহী নিয়ে জিব্রাইল আমাদের নবী স: এর মত আসতেননা। বরং নবী মুসা আ: এর সাথে আল্লাহ নির্ধারিত স্থানে কথা বলতেন। এরই সুবাদে হযরত মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহকে উপরুক্ত প্রশ্নটি করলেন। তো মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মহান আল্লাহ বললেন, তুমার এলাকার একজন খাসাই লোক অমুক নাম সে জান্নাতে তুমার সাথী হবে। মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ ব্যক্তির সমস্থ পরিচিতি জেনে নিয়ে তার তালাকে বের হলেন। কারন জানতে হবে কি আমলের বদলে ঐ ব্যক্তি একজন নবীর সাথে জান্নাতী হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করল।
হযরত মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরদিন তার খোজে বের হলেন। সমস্ত মাংসের দোকান গুলিতে খুঁজতে লাগলেন ঐ নাম ও আঁকার আকৃতি যা মহান আল্লাহ উনাকে বলে দিয়েছেন। তো একদিন আল্লাহ মিলিয়েও দিলেন। হযরত মুসা আ: কিছু বললেন না, শুধু তার মাংসের দোকানের পাশে থেকে তাকে অর্থাৎ ঐ খসাই ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষণ করতেছেন। যে সে লোকটা কি করে।
দিন ফুরিয়ে সন্ধা যখন হল, লোকটার বাড়ি যাওয়ার সময় হল। তখন দেখলেন লোকটি কিছু মাংস নিয়ে বাড়ির দিকে যেতে লাগল। হযরত মুসা আ: ও তার পিছে পিছে যেতে লাগলেন। সে যখন বাড়িতে ডুকল, তখন মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখলেন সে তার ঘরে ডুকে একজন বৃদ্ধা মহিলার কপালে চুমু দিয়ে রান্না ঘরে গিয়ে ঐ মাংসগুলি রান্না করে খানা তৈরী করে বৃদ্ধা মহিলাকে খাইয়ে দিয়ার পর মহিলাটি তার জন্য দোয়া করল যে, আল্লাহ যেন তুমাকে নবী হযরত মুসা আ: এর সাথে জান্নাতী বানিয়ে নেয়।
হযরত মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম আর ধৈর্য্য ধরতে পারলেন না, তিনি ঐ ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলেন ভাই, যে মহিলাকে আপনি খানা খাওয়াইলেন তিনি আপনার কি হয়? লোকটি জবাবে বলল উনি আমার জন্মধাত্রী মা। মুসা আ: জিজ্ঞেস করলেন , এভাবে আপনি কতদিন যাবত করতেছেন? তিনি যে তুমার জন্য দোয়া করছে এটা কি প্রতি দিন করেন?
লোকটি বলল আমার মা যেদিন থেকে হাটাচলা করতে পারতো না সেদিন থেকে আমি আমার মাকে এভাবে নিজে খাওয়া দাওয়া করার আগে খাওয়াই, এবং তিনি প্রতিদিন আমাকে এমনি দোয়া করে দেন। মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লামের আর বুঝতে বাকি রইলনা যে কেন আল্লাহ এই লোকটিকে জান্নাতে তার সঙ্গী করেছেন।
প্রিয় ভাই বোনেরা: দেখুন মায়ের সেবা পরিচর্যার কি লাভ। আল্লাহ কোরআনে বলেছেন তুমার তোমাদের পিতা মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করো। তাদের সাথে বেয়াদবী করবেনা। ধমক দিয়ে কথা বলবেনা। তাদের খেদমতে সদা নিজেকে নিয়োজিত রাখবে। তাই আসুন আমরাও আমাদের মা বাবার খেয়াল রাখি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তৌফিক দিন। আমীন
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০০
মুক্তি মুন্না বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাইজান।
২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই মাকে ভালোবাসতে হবে।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০০
মুক্তি মুন্না বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:২৫
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মায়ের সাথে ভাল ব্যবহার করতে হবে কোরান হাদিস পড়ে।যারা ভাল মানুষ তারা সবার সাথেই ভাল ব্যবহার করে।আর যারা খারাপ মানুষ কোরান হাদিস গুলে খাইয়ে দিলেও মায়ের সাথে ভাল ব্যবহার করবে না।