নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আত্মসুদ্ধির সন্ধানে.........

সাইফুল ফরিদপুর

একজন সাধারন ধর্মপথযাত্রী। ভালোবাসি আল্লাহ এবং আল্লাহর রসুলকে । কোন ধৈর্যশীল এবং নির্বোধের সাথে তর্ক করি না । সবচেয়ে বেশী পছন্দ করি হালাল উপার্জনকে । অপছন্দ করি মানুষের ব্যপারে মিথ্যা অপবাদকে। নিজের চোখকে নিয়ে সর্বদা ভীত থাকি । চোখের দৃষ্টিই অধিকাংশ বিপদের কারন । বিশ্বাস করি, #যে ব্যক্তি তর্ক বিতর্ক করবার উদ্দেশে তার ধর্মকে উপস্থিত করে সে অধিকাংশ সময় মত পরিবর্তন করে । #যে ব্যক্তি ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়, অন্যকে কষ্ট দেওয়া এবং ক্রোধ সন্চার থেকে সে কিছুতেই মুক্ত থাকতে পারে না ।

সাইফুল ফরিদপুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরিণতি নয়, বরং আল্লাহর হুকুমের দিকে নযর দেওয়া

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১৭

খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা আমাদের বুঝা প্রয়োজন যে দ্বীন কি আর দুনিয়া কি? দ্বীন এবং দুনিয়া – এই দুটোর বৈশিষ্ট্যের মধ্যে দুনিয়া ঐটাকে বলা হয় বা ঐ কাজকে যেটার পদক্ষেপ একটা পরিণতিকে সামনে রেখে করে। পরিণতি যদি ভাল হয়, তাহলে তার পদক্ষেপ শুদ্ধ বা কাঙ্ক্ষিত পরিণতি যদি সে পায়, তাহলে তার পদক্ষেপ শুদ্ধ। আর যদি কাঙ্ক্ষিত পরিণতি না পায়, তাহলে তার পদক্ষেপ ভুল। ভুল এবং শুদ্ধের মাপকাঠি এটাই।

বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে কেউ একটা ঔষুধ আবিষ্কার করলো। রোগীকে সেই ঔষুধ খাওয়ানা হল বড় সংখ্যায় যেটাকে এক্সপেরিমেন্ট বলে। এই ঔষধ খেয়ে রোগীরা যদি ভাল হয়, তাহলে প্রমাণিত হল যে ঔষধ ভাল। আর এই ঔষধ খেয়ে রোগীরা যদি ভাল না হয়, তাহলেও প্রমাণিত হল যে এই ঔষধ ভাল নয়। এছাড়া অন্য কোন মানদন্ড নেই।

সম্পূর্ণ বিজ্ঞান, সম্পূর্ণ প্রযুক্তি এই নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। এক্সপেরিমেন্ট করে দেখে, কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেলে এটা শুদ্ধ-ভাল, কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পেলে এটা অশুদ্ধ। একটা কথা আছে – উপকরণ, ইংরেজীতে means বলে। আর লক্ষ্য, ঐটাকে end (অর্থাৎ) পরিণতি বলে। ঐ end যদি শুদ্ধ হয়, ঐটাই প্রমাণ করে যে তার means শুদ্ধ ছিল। end justifies means. পরিণতি যদি ভাল হয়, তাহলে যেটা করেছে ঐটা শুদ্ধ।

দ্বীনে এই কথা মোটেই গ্রহনযোগ্য নয়। আর গ্রহনযোগ্য নয় শুধু তা নয়, আল্লাহতাআলা এই কথাকে দুনিয়ার সামনে তুলে ধরেছেন বিভিন্নভাবে। বিভিন্ন দৃষ্টান্ত দিয়ে বুঝিয়েছেন।

নূহ আলাইহিস সলাতু আসসালাম দাওয়াত দিলেন সাড়ে নয়শত বছর। আর শেষ পরিণতি হল যে কেউ ঈমান আনল না অল্প কয়েকজন ছাড়া। আর বাকী সবাই ধ্বংস হয়ে গেল। এই নূহ আলাইহিস সলাতু আসসালাম এর সাথে নৌকাতে অল্প যেকজন ঈমান এনেছিল, বৈজ্ঞানিক মাপে এই ছোট সংখ্যার উপর ফায়সালা হয় না। একটা ঔষুধ আবিষ্কার করল, এক লাখ রোগীকে খাওয়ালো। নিরানব্বই হাজার নয়শত নব্বই জন মরে গেল আর দশজন ভাল হল। এই মাত্র লাখের মধ্যে দশ জন ভাল হয়েছে – এটা এই ঔষধের পক্ষে কোন যুক্তিই নয়। চূড়ান্ত ব্যার্থ ঔষুধ। তো (সেই হিসেবে) নূহ আলাইহিস সলাতু আসসালাম এর নৌকাতে কয়েকজনের বেঁচে যাওয়া – এটা নূহ আলাইহিস সলাতু আসসালাম এর স্বার্থকতার এক ফোঁটাও নয়। নূহ আলাইহিস সলাতু আসসালাম সেই হিসেবে, বৈজ্ঞানিক মানদন্ডে বা প্রতিষ্ঠিত দার্শনিক মানদন্ডে গোটা মানবজাতির মধ্যে বড় মারাত্মক ‘ব্যার্থতার’ দৃষ্টান্ত।

দাওয়াত তো দিলেন একদিন দুইদিন নয়, সাড়ে নয়শত বছর। যদি দুই-চারদিন দাওয়াত দিয়ে ছাড়তেন, তাও বলা যেত যে ঠিক আছে, হুশ হয়েছে। কিন্তু একদিন দুইদিন নয়, একশো দুইশো বছর নয়, সাড়ে নয়শতবছর পর্যন্ত দাওয়াত দিলেন আর পরিণতি এটা। তো দুনিয়ার দার্শনিকরা বলবে, বৈজ্ঞানিকরা বলবে এই কথা যে উনার মেহনতে যে ফায়দা হচ্ছে না, এটা উনার অনেক আগেই বুঝা উচিত ছিল। এইজন্য সাড়ে নয়শত বছর লাগে? একশ, দুইশ বছর দাওয়াতে দিয়েই তো বুঝতেন যে এটা বেকার, এটা ছাড়ি।

কিন্তু তা নয়। বরং আল্লাহতাআলা নূহ আলাইহিস সলাতু আসসালাম এর দৃষ্টান্তকে অত্যান্ত স্বার্থক দৃষ্টান্ত হিসেবে গোটা দুনিয়ার মানুষের কাছে তুলে ধরেছেন আর নূহ আলাইহিস সলাতু আসসালাম এর প্রশংসায় সম্পূর্ণ সূরা নাযিল করেছেন।

একবার জামাআতে গিয়েছিলাম। ঐ জামাআতে একজন অত্যান্ত শিক্ষিত ব্যাক্তি তবলীগের সাথে জড়িত অনেক ইসলামী বইও লিখেছেন। তো উনিও জামাআতে ছিলেন। আর উনার মোজাকারা ছিল, গাস্তের কথা সম্ভবত ছিল। কথা প্রসঙ্গে বললেন যে রাসূল কারীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কাতে তের বছর দাওয়াত দেওয়ার পরে যখন এই মক্কার দাওয়াত ‘ব্যার্থ’ হল, (তখন) রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরত করলেন মদীনায়। আমি উনাকে বললাম আপনি তওবা করুন’। তওবা করলেন, ইস্তেগফার করলেন। বুঝালাম যে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যার্থ হলেন – এই ‘ব্যার্থতা’ রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নয়, (বরং এটা বুঝায়) আল্লাহ ‘ব্যার্থ’ হয়েছেন। ‘দূরদৃষ্টি’ আল্লাহরই কম। আল্লাহতাআলা আন্দাজ করতে পারেননি যে মক্কায় এত বছর মেহনত করে কিছু লাভ হবে না। আগে যদি আল্লাহতাআলা বুঝতে পারতেন, তাহলে খামোকা রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এখানে তেরটা বছর নষ্ট করাতেন না।

(বাস্তবতা হচ্ছে) এটা সম্পূর্ণভাবে স্বার্থক শহর। আল্লাহতাআলা এভাবেই চেয়েছেন আর এভাবেই হয়েছে। পরিণতি দেখে একটা পদক্ষেপ নেওয়া – এটা দুনিয়ার নিয়ম, এটা দ্বীনি নীতি নয়। ইউনুস আলাইহিস সলাতু আসসালাম উনার কওমকে দাওয়াত দিচ্ছেন। কওম দাওয়াত কবুল করেনি আর তাদের উপর আযাব নাযিল হবে। ইউনুস আলাইহিস সলাতু আসসালাম নবী, উনি দেখতে পেলেন এই আযাব নামছে। কওম তো উনার কথা মানল না, এই দেখে নিজে গ্রাম ত্যাগ করলেন। কমপক্ষে আমি বাঁচি আল্লাহর আযাব থেকে। আল্লাহর আযাব থেকে বাঁচবার চেষ্টা করা – এটা বেদ্বীনি নাকি? [না] মোটেই বেদ্বীনি নয়। আল্লাহর আযাব নাযিল হচ্ছে। ওখান থেকে বাঁচি। তো আল্লাহর আযাব থেকে বাঁচবার চেষ্টা উনি করলেন। কিন্তু নীতিগতভাবে একটা পরিণতিকে সামনে রেখে পদক্ষেপ নিলেন। আর এই নীতি শুদ্ধ নয়। ইউনুস আলাইহিস সলাতু আসসালাম মুসীবতে পড়লেন। শুধু মুসীবতে না, মহা মুসীবতে পড়লেন। পানিতে পড়লেন, পানিতে আবার মাছ গিলল, মাছ আবার অন্ধকারের মধ্যে।

ظُلُمَاتٍ ثَلَاثٍ

তিন অন্ধকার

কয়েক ধরনের মুসীবতের মধ্যে পড়লেন। ভুলটা কোথায়? ভুল হল যে পরিণতিকে সামনে রেখে পদক্ষেপ নিয়েছেন। আর দ্বীন হল হুকুম পালনে পদক্ষেপ নেওয়া। আল্লাহতাআলা বলেছেন ‘যাও’, তো যাবে। আল্লাহর হুকুম যদি থাকে এটা করার – সেটা করবো। এতে কি হবে – ঐটা দেখার বিষয় নয়। আর ইউনুস আলাইহিস সলাতু আসসালাম যেটা করেছিলেন যে কি হবে – ঐটার দিকে তাকিয়েছেন। আর সেই হিসেবে নিজ বিবেচনায় একটা পদক্ষেপ নিয়েছেন। ইউনুস আলাইহিস সলাতু আসসালাম যে শুধুমাত্র মুসীবতের মধ্যে পড়ে গেলেন – তা নয়। বরং এই সম্পূর্ণ ঘটনা ও মুসীবতকে পরবর্তী মানুষের জন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে ধরেছেন। আর সবাইকে সাবধান করে দিয়েছেন যে ‘খবরদার, ইউনূসের মত করবে না’। একজন নবী আর নবীকে দৃষ্টান্ত দিয়ে বলছেন যে ওর মত করবে না। আর নবীকে পাঠানোই হয়েছে এটা বুঝানোর জন্য যে ‘এর মত কর’। আর এই জায়গায় বলছেন ‘এর মত করবে না’।

وَلاَ تَكُنْ كَصَاحِبِ الْحُوْتِ

এই মাছওয়ালার (ইউনুস আঃ) মত হবে না।

ইউনূস আলাইহিস সলাতু আসসালাম এর দৃষ্টান্ত। ভুলটা কোথায়? নিজ বিবেচনায় একটা পরিণতিকে সামনে রেখে পদক্ষেপ নিয়েছেন যেটা দ্বীনি বুনিয়াদ নয়, যেটা হল দার্শনিক বুনিয়াদ কিংবা বিজ্ঞানী বুনিয়াদ।

আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু জিহাদে রওয়ানা হয়েছেন মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু এর মোকাবিলায়। ঘোড়ার পিঠে উঠবেন, রেকাবে পা রেখেছেন। ঐসময় সম্ভবত সালমান ফারসী রাদিয়াল্লাহু আনহু উনাকে জিজ্ঞাস করলেন, ‘আপনি জিতবেন নাকি’? আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন ‘না’। নিশ্চয়তার সাথে বললেন ‘না’। (সালমান ফারসী রাদিয়াল্লাহু আনহু) বললেন, তাহলে আপনি কেন যাচ্ছেন? (আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু): জিতবো, হারবো – ঐটা আমাদের দেখার বিষয় না। কোনটা করণীয় – ঐটা দেখার বিষয়। করণীয় আমার এটাই। আর এটা বুঝতে পারছি যে হারবো। কিন্তু এইজন্য আমরা করণীয় বাদ দিতে পারবো না। এটাই করতে হবে।

বহু বছর আগে পাকিস্তানে বয়ান করছিলেন আব্দুল ওহহাব সাব। আর ঐ বয়ানের মধ্যে এই দৃষ্টান্ত দিয়েছিলেন। প্রায় ত্রিশ বছর আগের কথা হবে। ত্রিশ-চল্লিশ বছর প্রায়। দিল্লীতে ওলামাদের একটা মজমা ছিল। অনেক বড় বড় আলিমরা ছিলেন। সেই মজমার মধ্যে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর এই ঘটনাকে উল্লেখ করলেন। ঐ ওলামাদের মজলিসে। (বললেন) যে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু তবুও গেলেন, যদিও জানেন যে উনি জিতবেন না। কিন্তু উনি করেছেন এইজন্যে যে এইসময় এটাই উনার করণীয় ছিল। এই কথা বলার সাথে সাথে – ঐ মজলিসে একজন নামকরা আলিম, আব্দুল ওহহাব সাব নাম বলেছিলেন, নাম আমার মনে নেই, ঐসময় নাম বলেছিলেন আর আমি এইসব ব্যাপারে পরিচিত ছিলামও না। মনে রাখা মুশকিল। জোরে কালিমায়ে শাহাদাৎ পড়লেন

اشْهَدُ انْ لّآ اِلهَ اِلَّا اللّهُ وَ اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدً اعَبْدُه وَرَسُولُه

আর বললেন ‘আজ আমি নতুন করে মুসলমান হলাম। একজন রাষ্ট্রনায়ক আর একজন খলীফার মধ্যে কি পার্থক্য – এটা বুঝলাম। রাষ্ট্রনায়ক একটা পদক্ষেপ নিবে তার পরিণতির কথা চিন্তা করে, আর খলীফা পদক্ষেপ নিবে আল্লাহর আদেশের দিকে তাকিয়ে। পরিণতি কি হবে – ঐটা দেখার বিষয় নয়। তো আল্লাহতাআলা বড় মেহেরবাণী করে আমাদের দ্বীন দিয়েছেন। দ্বীন আমাদের এটাই বুঝায় যে প্রত্যেক অবস্থায় আল্লাহর সন্তুষ্টির কাজ কি হবে। আমার কি করা উচিত যেটায় আল্লাহর হুকুম পালন হবে আর আল্লাহ রাজি হবে – সেটাই আমি করবো। এতে দুনিয়াতে কি ফলাফল হবে – ঐটা মোটেও দেখার বিষয় না। দেখার বিষয় যে আল্লাহর হুকুম এটা কিনা। যদি আল্লাহর হুকুম হয় – তাহলে করবো। আর আল্লাহর হুকুম যদি না হয় – তাহলে লাভ ক্ষতির বিবেচনা করে করবো না। লাভ-ক্ষতির বিবেচণা করে করার মানেই হল ঐটা দুনিয়া। আর আল্লাহর হুকুম দেখে করা হচ্ছে দ্বীন।

ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কাসেম নানুতবী রহঃ এর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট বের হয়েছে। আর পুলিশ ধরবে। সেই পুলিশ ধরা এরকম নয় যে আমাদের সাথীদের মত জেলে রেখে বিশদিন-ত্রিশদিন পরে ছেড়ে দিবে। [কাকরাইলের ঘটনা দৃষ্টব্য] ওরকম ব্যাপার ছিল না। বরং ফাঁসিতে ঝুলাবে। উনি লুকিয়ে আছেন। তিনদিন পর বের হয়ে গেলেন। সাথীরা বলল ‘আপনার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে, পুলিশ ধরবে’। লুকিয়ে থাকুন। উনি বললেন শত্রু ভয়ে [পুলিশের ভয়ে] লুকিয়ে থাকার সুন্নত তিন দিন। তিন দিন হয়ে গেছে, ব্যাস সুন্নাতও আদায় হয়েছে, আর দরকার নেই। এইটা হল দ্বীন।

উনি যে লুকিয়েছেন পুলিশের হাত থেকে বাঁচার জন্য নয়, (বরং) এই অবস্থায় সুন্নাত পালন করার জন্য। সুন্নাত হয়ে গেছে, বের হয়ে গেলেন। পুলিশের হাতে ধরা পড়ারও দরকার নেই, ছুটারও দরকার নেই। (তো উনি) বের হয়ে গেলেন আর আল্লাহর দায়িত্বেই থাকলেন। আল্লাহর দায়িত্বে যদি থাকে তো আল্লাহতাআলা তাঁর বান্দার হেফাজত করেন। তার নিজস্ব তরতীব আছে। আল্লাহতাআলার হেফাজতের জন্য যে বিরাট বাহিনীর দরকার হবে – তা কিন্তু নয়। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হেফাজত করলেন মাকড়সার জাল দিয়ে, গুহার মধ্যে। আর আল্লাহতাআলা নিজেই বলেছেন যতকিছু আছে তার মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল ঘর হল মাকড়সার। আর এটা মানুষও দেখতে পায়, আল্লাহও বলেছেন। আর গোটা মক্কার মোকাবিলায় আল্লাহতাআলা দাড় করালেন মাকড়সার জাল। ঐটা তারা ভেদ করতে পারলো না।

কাসেম নানুতবী রহঃ ঘুরে বেরাচ্ছে দিব্যি বেপরওয়া আর উনার বিরুদ্ধে পুলিশ। তো পুলিশ এসেছে। এসে উনাকেই জিজ্ঞাস করলো ‘কাসেম নানুতবী কে?’ চেহারা তো চিনে না, নাম জানে। দাঁড়িয়ে ছিলেন, পুলিশের প্রশ্ন শুনে এক কদম সরলেন। সরে আবার জিজ্ঞাস করলেন ‘কি বললেন’? (পুলিশ): কাসেম নানুতবী কে? (কাসেম নানুতবী রহঃ): একটু আগে উনি তো ছিলেন এখানে। [মজমার হাসি] উনি যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন, এক কদম সরে বললেন একটু আগে তো ছিলেন। এদিক ওদিক তাকালেন। পুলিশ বলল একটু আগে ছিলেন, অতএব দৌড়ে বের হয়ে চলে গেল। তো ঐটা হল ভিন্ন কথা। কথা হল লুকিয়েছেন সুন্নাত আদায়ের জন্য, সুন্নাত আদায় হয়ে গেছে বের হয়ে গেছেন। এইটা হল দ্বীন। তো আমি যে একটা কাজ করছি এটা আল্লাহর হুকুম কিনা, সুন্নাতের মধ্যে পড়ে কিনা, এতে আল্লাহ রাজি হবে কিনা – এটা দেখার বিষয়। এটার পরিনাম কি হবে, পরিণতি কি হবে – ঐটার দিকে যদি তাকায়, সে আর দ্বীনের পথে থাকলো না। আল্লাহ আমাদের দ্বীনের উপর থাকার তৌফিক নসীব করুন।

[মাজালিসে মুশফিক আহমাদ রহঃ, ২৩ শে রমযান ১৪৩৬, যাত্রাবাড়ি মাদ্রাসায় ইতেকাফ]

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সুন্দর বয়ান। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

সাইফুল ফরিদপুর বলেছেন: আপনাকেও@

২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯

ঢাকার লোক বলেছেন: ভালো লিখেছেন, তবে এ প্রসঙ্গে রাসুল (স) তাওয়াক্কুল এর সাথে উট বাঁধতেও বলেছেন,
Anas ibn Malik reported: A man said, “O Messenger of Allah, should I tie my camel and trust in Allah, or should I leave her untied and trust in Allah?” The Messenger of Allah, peace and blessings be upon him, said, “Tie her and trust in Allah.” Source: Sunan At-Tirmidhi 2517 Grade: Hasan (fair) according to Al-Albani

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

সাইফুল ফরিদপুর বলেছেন: হাদিস ঠিক আছে। আমি অন্য কিছু বুঝাতে চেয়েছি। শেষ লাইনগুলো যদি আবার দেখতেন, " আমি যে একটা কাজ করছি এটা আল্লাহর হুকুম কিনা, সুন্নাতের মধ্যে পড়ে কিনা, এতে আল্লাহ রাজি হবে কিনা – এটা দেখার বিষয়। এটার পরিনাম কি হবে, পরিণতি কি হবে – ঐটার দিকে যদি তাকায়, সে আর দ্বীনের পথে থাকলো না।"

মন্তব্যের জন্য, জাজাকাল্লাহ।

৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:০৫

ঢাকার লোক বলেছেন: জাজাকাল্লাহু খাইরান, সাইফুল সাহেব, কাশেম কাসেম নানুতবীর অংশ টুকু বাদ দিলে আমার মনে হয় আরো ভালো হতো! প্রতারণার আশ্রয় নেয়া ইসলাম সাধরণত সাপোর্ট করে না (আমার ব্যাক্তিগত মত)

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১৭

সাইফুল ফরিদপুর বলেছেন: প্রতারণাকে অপছন্দ করা এটা ঈমানের আলামত। আসলে উনি যেটা করছেন এটা হেকমত। উনার কথায় কিন্তু মিথ্যা প্রকাশ পায়নি। এতা শরিয়ত সম্মত। একটু জানার চেষ্টা করলে ভাল হয়। "কথা হল লুকিয়েছেন সুন্নাত আদায়ের জন্য, সুন্নাত আদায় হয়ে গেছে বের হয়ে গেছেন।"

৪| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:২৮

ঢাকার লোক বলেছেন: আমি কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করতে চাই না, তবে এটাকে হিকমত বলে শরীয়ত সম্মত মনে করতে কষ্ট হচ্ছে, পড়ুন সূরা নিসা আয়াত ১৩৫,
জাজাকাল্লাহু খাইরান

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:২৮

সাইফুল ফরিদপুর বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন। ভাই কোনটুকু শরিয়ত সম্মত নয় না উল্লেখ করলে ভাল হয়।

৫| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০৭

সত্যের ছায়া বলেছেন: :-B ভাল লিখেছেন।

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৩০

সাইফুল ফরিদপুর বলেছেন: আমল করার নিয়তে পড়া চাই।

৬| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:১৩

স্বপ্নের ফেরিওয়ালা নিলয় বলেছেন: :)

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৩০

সাইফুল ফরিদপুর বলেছেন: ?

৭| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষের ফিজিওলোজী ও এনাটোমী কাউকে ২০০ বছর বাঁচতে দিতে পারে না। বটগাছ কয়েক'শ বছর বাঁচে, কলাগাছ বাঁচে ১০ থেকে ১৪ মাস।

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:২৯

সাইফুল ফরিদপুর বলেছেন: একটু সাফ করলে ভাল হয়।

৮| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:১৬

মো: খায়রুল ইসলাম বলেছেন: ভালো লাগলো। আশাকরি নিয়মিত ইসলামিক লেখা পাবো ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.