![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন সাধারন ধর্মপথযাত্রী। ভালোবাসি আল্লাহ এবং আল্লাহর রসুলকে । কোন ধৈর্যশীল এবং নির্বোধের সাথে তর্ক করি না । সবচেয়ে বেশী পছন্দ করি হালাল উপার্জনকে । অপছন্দ করি মানুষের ব্যপারে মিথ্যা অপবাদকে। নিজের চোখকে নিয়ে সর্বদা ভীত থাকি । চোখের দৃষ্টিই অধিকাংশ বিপদের কারন । বিশ্বাস করি, #যে ব্যক্তি তর্ক বিতর্ক করবার উদ্দেশে তার ধর্মকে উপস্থিত করে সে অধিকাংশ সময় মত পরিবর্তন করে । #যে ব্যক্তি ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়, অন্যকে কষ্ট দেওয়া এবং ক্রোধ সন্চার থেকে সে কিছুতেই মুক্ত থাকতে পারে না ।
অনেকদিন পর আবারো সেই পরিচিত রেল লাইনের ধারে। সমান্তরাল লাইনটা এগিয়ে গিয়েছে বহুদূর। সাধারনত এমনটা দেখা যায় না। কিছুদুর গিয়েই মোড় নেয় লাইন গুলো।
গাছেঘেরা সবুজ এ নির্জনতা দেখলে ভাবতেই পারবে না কেউ, যে এখানে এক সময় কোলাহলপূর্ণ বাস্তময় পরিবেশ ছিল। অথচ আজ! অবাধে বেড়ে ওঠা দুপাশের গাছের ডাল গুলো যেন ক্রমেই ঢেকে নিতে চাইছে রাস্তাটিকে। আড়াল করে দিতে চাইছে তাকে পরিচিতদের দৃষ্টি থেকে। ছোট ছোট অজানা গুল্মগুলোও যেন থেমে নেই । আর আকাশটাও হয়ে গেছে আগের চেয়ে সংকীর্ণ।
এক সময় রেইল লাইনটার সাথে বড় মিল খুঁজতাম। তার গতিময়তা, প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে তার এ পথে চলার সাথে নিজের জীবনের সফলতার আশায় হুমড়ি খেয়ে পড়া ব্যস্ততা, দৈনিক রুটিনের বড় মিল পেতাম। আজ বহুদিন পর কেন যেন আবার মিল খুজতে চাইছে লাইনটার সাথে। সত্যিই কি কোন মিল ছিল তার সাথে?
হেদায়েতের পর জীবনটা মোড় নিয়েছে বেশ আগেই। লাইনটার মত অত লম্বা সমান্তরালে যেতে হয়নি। কিছুদূর গিয়ে রাস্তা মিলে যাবার মত ধোঁকার মদ্ধেও নেই। আখিরাতটা যেন অনেকটা স্পষ্ট এখন । তবে গাছগুলোর মত দুনিয়ার মহব্বত যেন আখিরাতকে আমার থেকে আড়াল করে দিতে চাইছে।
ভাবতে ভাবতে চোখ চলে যায় রেলের পাত, কাঠের দিকে। পাতের উপর জং ধরা শুরু হয়েছে। সম্ভবত অনেক আগে থেকেই। কাঠগুলোও কেমন আগের মত নেই। বেশ ক্ষয়ে গেছে।
- তাহলে কি ঈমানও ক্ষয়ে গেল মেহনতের অভাবে?
- “হ্যাঁ সত্যি! ঈমান নেই আগের সেই মজবুতিতে। অনেক ক্ষয়ে গেছে।“
নির্জনের এ রেল-কাঠের সাথে মিল খুঁজে পাই নিজের ঈমানের। ওগুলোকে এখন বড় পরিচিত লাগছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৫৫
সুমন কর বলেছেন: হুম, ভালো লিখেছেন।