নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে,অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে-

ওয়াহেদ সবুজ

যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে, অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে-

ওয়াহেদ সবুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইংরেজ পুলিশ মহাত্মা গান্ধী ও তাঁর \'সহিংস\' অহিংস নীতি

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৫

শুরুতেই বিভিন্ন সময়ে দেয়া মহাত্মা গান্ধীর কয়েকটি বক্তব্য তুলে ধরতে চাই—
"পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি আমাকে বেদনা দিয়েছে৷ কারণ প্রস্তাবটি দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচায়ক৷"— মুসলিম খিলাফত কমিটি কংগ্রেসের সভায় ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি উত্থাপন করলে গান্ধীজি এ মন্তব্যটি করেন!
ইংরেজদের বিপক্ষে অবস্থান না করতে গান্ধীজির নির্দেশনা ছিল— "যাঁরা কংগ্রেসের ভেতরে আছেন, তাঁরা অবশ্যই মৌনতা অবলম্বন করবেন; আর যাঁরা এটা পারবেন না, তাঁরা বাইরেই থাকবেন৷"
ভারতের ইংরেজবিরোধী জনতা ও ভারতের স্বাধীনতা অর্জন বিষয়ে ১৯৪৬ সালের ৭ এপ্রিল 'হরিজন' পত্রিকায় করা গান্ধীজির মন্তব্য, "আমি এটা উপলব্ধি করতে পারতাম যদি তারা সমগ্র দেশকেই দলে টানতে পারতো৷ উচ্ছৃঙ্খল জনতার হস্তেই ভারতের সমর্পণ বুঝাত৷ ১২৫ বছর বেঁচে থেকে সেই পরিণতি দেখার ইচ্ছা আমার নেই৷ তারচেয়ে অগ্নিতে আত্মাহুতি দেওয়াই শ্রেয়৷"— তার মানে, ইংরেজবিরোধী বিপ্লবীরা তাঁর কাছে 'উচ্ছৃঙ্খল জনতা', ভারতের স্বাধীনতা দেখার চাইতে তাঁর কাছে আত্মহত্যাই শ্রেয়; এমনকি এ সময় তিনি ইংরেজদের বিরুদ্ধে ভারতের গণঅভ্যুত্থানকে 'উচ্ছৃঙ্খল জনতার উদ্ধত আচরণ' বলে অভিহিত করলেন!!
ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ থামাতে নির্দেশ দিলেন গান্ধীজি (৭ জুলাই, ১৯৪৬), "ইংরেজরা ভারত ছাড়িবার জন্য নিজেরাই খুব ব্যস্ত হইয়া পড়িয়াছে৷ তাহাদের শান্তিতেই যাইতে দেওয়া উচিত, আন্দোলন করিয়া তাহাদের যাইবার পথে বাধা সৃষ্টি করা উচিত নয়৷"

এ পর্যায়ে চলুন গান্ধীজির তথাকথিত অহিংস নীতি নিয়ে দুটো কথা বলা যাক!
গান্ধীজির বিখ্যাত 'অহিংস নীতি' প্রকৃতপক্ষে একটি রাজনৈতিক কূটকৌশল ছাড়া আর কিছুই ছিল না! সত্যেন সেন তাঁর লেখা 'পনেরই আগষ্ট' গ্রন্থে বলেছেন, "কংগ্রেস হিংসা ও অহিংসা বরাবরই সুবিধা অনুযায়ী গ্রহণ ও বর্জন করিয়া আসিয়াছে৷" এর প্রমাণ মেলে গান্ধীজির বিভিন্ন কাজে ও কথায়—
গান্ধীজি অহিংসার কথা বলতেন, অথচ তিনি কাশ্মীরে ভারতীয় সৈন্য প্রেরণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন! ২৯ অক্টোবর, ১৯৪৬ এ তাঁর প্রার্থনা সভায় তিনি বলেছিলেন, "শ্রীনগরে ইউনিয়ন গভর্নমেন্ট সৈন্য প্রেরণ করা সমীচীন হইয়াছে৷"
তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানিদের বিরুদ্ধে অহিংস প্রতিরোধের ওপর গুরুত্ব দিলেন, অথচ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের ইউনিয়নযুদ্ধ ঘোষণাকে যৌক্তিক বলে দাবি করলেন!
গান্ধীজির এহেন 'অহিংস নীতি' প্রকৃত অর্থে ইংরেজবিরোধী বিপ্লবীদের অন্য পথে (অহিংস পথে) পরিচালিত করতেই, অর্থাৎ বিপ্লবীদের শান্ত রাখতেই ব্যবহৃত হতো! এর প্রমাণ মেলে তৎকালীন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য মিস উইল কিনসনের কথায়— "ইংরেজের ভয় গান্ধীকে ততটা নয় যতটা ভয় খেপা ছেলের দলকে৷ গান্ধী ইংরেজের সবচেয়ে বড় পুলিশ অফিসার, অর্থাৎ আমাদের পোষা লোক৷"

যারা মহাত্মা গান্ধীকে ভারতবর্ষের 'জাতির জনক' বলে মুখে ফেনা তোলেন; যারা মনে করেন, গান্ধীজি জনগণকে রক্ষার জন্য সারাজীবন ইংরেজদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, লড়াই করেছেন— তাদের জন্য আশা করি আপাতত এটুকুই যথেষ্ট হবে!

সত্যের চাইতে বড় সত্য আর কিছু নেই!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫১

আহা রুবন বলেছেন: এতকিছু না বলে সরাসরি বলুন গান্ধী একজন সন্ত্রাসী!

২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯

সৈয়দ তাজুল বলেছেন: পড়লাম, পুরনোটাই আবার জানলাম, ভাল লাগলো।

ক্ষমতা ভিত্তিক রাজনীতির চরিত্রটাই এরকম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.