![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পড়ালেখা আমার কাজ। পড়বো আর লিখবো এভাবে আমার বসুন্ধরাকে সাজাবো।
শৈশব মানেই আনন্দ। শৈশব মানেই পাগলামি। শব্দটি কর্ণকুহরে বাজলে হারিয়ে যেতে হয় দুর থেকে বহুদূরে। ডুবিয়ে নিয়ে যায় সেই সোনালী দিনগুলোতে। যখন কোন বাধার তোওয়াক্ক ছিলো না। ছিলোনা কারো রমরমানি আর ঝমঝমানির পরোয়া। উড়ুউড়ু মন একাই এক পৃথিবীর মালিক। যখন জবাবদিহিতা মানেই ছিলো অতিরিক্ত ভালোবাসা। সকাল থেকে দুপুর আর দুপুর থেকে সন্ধা পুরোটাই ছিলো বাল্যবন্ধুদের স্পর্শে ধন্য। কখনো ছুটাছুটি করে হারিয়ে যাও দৃষ্টি সিমার বাইরে। আবার কখনো ক্লান্তশ্রান্ত হয়ে ফিরিয়ে আসা মায়ের আঁচল তলে।
খেলার মাঠ আর মায়ের আঁচলই ছিলো সে-সময়ের প্রিয় জায়গা। যতক্ষণ উদরে টান না পড়বে ততক্ষণ খেলার মাঠে লড়াই করা আর যখনেই উদরে টান পড়বে, একছুটে মায়ের আঁচল তলে এসে পরা। প্রচন্ড ক্ষুধার ভাব করে গুনগুনিয়ে কান্না আর দুমুঠো অন্যের আহাজারি। খাওয়া শেষ তো নিমিষেই লা পাত্তা। পিছন থেকে কতো হাক ডাক কে শোনে কার কথা। সে-সময়ে খেলার সরঞ্জামাদি ছিলো না কিন্তু দুরন্ত মনোবল ছিলো। কখনো জাম্বুরার বল কখনো পলিতিন পেচিয়ে বল। ক্রিকেট খেলার ব্যাটও ছিলো না কিন্তু কাট ছিলো। খেলা শেষে হাতের মধ্যে কড়া পরে যেতো। তাও খেলা চালত বিরতিহীনভাবে। র্যাকেট ছিলোনা কিন্তু পায়ের জুতাটা ঠিকই ছিলো। পায়ের জুতা দিয়ে র্যাকেট, জাম্বুরার বল দিয়ে ক্রিকেট আর পলিতিনের প্যাকেট দিয়ে ফুটবল। এইতো শৈশব।
ডিসেম্বর আসলে গোল্লাছুট খেলার রমরমা ব্যাবস্থা হয়ে যেতো। আমন ধান কেটে চারপাশ পুরো ফাকা করে দিত। আর দু-তিন জমি পরপর গোল্লাছুট দল দেখা যেতো। কিযে আনন্দের ছিলো সেদিন গুলো! কখনো ইঁদুরের খালে পানি দিয়ে ধান বের করতাম আবার সেই ধান দিয়ে মোয়া মুড়ি কিনে খাইতাম। আর খাল ছেকে মাছ ধরার কথা তো বলাই হলো না। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পানি ছেকে সারা গায়ে কাদা মেখে দুইহাতে দুইটা মাছ নিয়ে মায়ের সামনে হাজির। ভাবটা ছিলো এমন যেন সিন্দু বিজয় করে দুই হাতে দুই পতাকা নিয়ে মায়ের সামনে এসেছি। মা কখনো ফিক করে একটা হাসি কাদা ধুয়ে দিতো আর কখনো ছিটকিনি দিয়ে সপাসপ পাছায় বসায় দিতো। কিন্তু তাতে কি? আব্বুর সামনে চোখের পানি আর নাকের পানি একাকার করে বিচার উত্থাপন করতে পারলেই বিচার ঘুরে যেতো অন্যদিকে। এইতো শৈশব!!!!
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৯
ওবাইদুল্লাহ আহমাদ হুসাইন বলেছেন: শৈশব যদি আবার ফিরে আসতো !
২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ভালো লেগেছে।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩০
ওবাইদুল্লাহ আহমাদ হুসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৯
বিজন রয় বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম।
শুভকামনা রইল।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৮
ওবাইদুল্লাহ আহমাদ হুসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৯
ইসিয়াক বলেছেন: ভালো লেগেছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৭
সাইফ নাদির বলেছেন: চমৎকার ছিলো সেই দিনগুলো