নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাম্রাজ্যবাদ তার স্বার্থেই যুদ্ধ তৈরি করে, যুদ্ধের ক্ষেত্র তৈরি করে এবং যুদ্ধ করে… প্রাণ যায় অগণিত মানুষের… ক্ষতি হয় অপরিসীম… সমাজ, সভ্যতা, মানবতা হয় ভূলুণ্ঠিত… কখনো সে তৈরি করে ফ্রাঙ্কেন্স্টাইন… আমেরিকা আফগানিস্তানে যেমন করেছিলো আফগান মুজাহিদিন আর তালেবান তৈরি করার মাধ্যমে… ফ্রাঙ্কেন্স্টাইন তৈরি আর কাজ ফুরালে ফ্রাঙ্কেন্স্টাইন হত্যা – এটা আমেরিকার বৈদেশিক নীতিগুলোর একটা … যে “ওয়ার অন টেরর” টুইন টাওয়ার এটাকের পর মহাসমারোহে শুরু করেছিলো যুক্তরাষ্ট্র, নিজের তৈরি সেই আগুন নিয়ে খেলায় আজ সে নিজেই পরাস্ত, পলায়নপর… নিজের তৈরি ফ্রাঙ্কেন্স্টাইন এবার আর হত্যা করতে পারলো না আমেরিকা… এই ওসামা বিন লাদেন আমেরিকার তৈরি এটা জানেনা এমন লোকের সংখ্যা কম… আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে আফগান মুজাহিদিন, আল কায়েদা তথা ওসামা বিন লাদেন এন্ড গংদের তৈরি করেছিলো আমেরিকাই, পাকিস্তানের সাহায্যে… এই ওসামা বিন লাদেন যখন আফগানিস্তানে সোভিয়েতদের উৎখাতের পর গেঁড়ে বসতে গেলো তখন আমেরিকাসহ পশ্চিমা মিডিয়া তাকে দেখাচ্ছিল শান্তির সেনানীর মতো, যে কি না আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত আর্মিকে উৎখাতের পর দেশকে শান্তির পথে নিয়ে যাবে(!)… আর তার বছরখানেক পর সেই কথিত “শান্তি”র উপর টুইন টাওয়ার হামলার দায় চাপিয়ে নিজেই তাকে আক্রমণ করে বসে… এরপর টানা ২০ বছর ধরে আল কায়েদা, তালেবান দমনের নামে ৩ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করে অগণিত মানুষের প্রাণহানি ঘটিয়ে আমেরিকানরা মূলত সেই তালেবানদের হাতেই ক্ষমতা দিয়ে পালাচ্ছে… সাম্রাজ্যবাদের কি নির্মম রসিকতা!!
এদিকে মুদ্রার ওপর পীঠে না তাকালেও চলেনা… তালেবানরা যে উগ্র অতিমাত্রায় প্রতিক্রিয়াশীল আদর্শ নিয়ে চলে তার প্রতি উপমহাদেশের মুসলমানদের একটা বড় অংশের বেশ ভালো রকম সমর্থনই আছে… সেই সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ থেকে বেশ কিছু অতি উৎসাহী জ্বিহাদী গিয়ে তাতে যোগ দিয়েছিলো… … এদেশে ইসলামী জঙ্গিবাদ যে শিকড় গেঁড়ে বসেছে তার মূলে একটা বড় অংশে দায়ী এসব আফগান ফেরত জ্বিহাদীর দল… এবারো খবরে দেখা যাচ্ছে এরা ভারত হয়ে আফগানিস্তান যাওয়ার চেষ্টায় আছে… দেশে যেরকম জঙ্গি মানসিকতার মুমিনদের পরিচয় পাওয়া যায় তাতে করে আফগানিস্তানের তালেবানদের পুনরায় ক্ষমতা দখলের পরিপ্রেক্ষিতে এদেশে যদি আবারো ইসলামী জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে তাহলে তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না… অসংখ্য মানুষ এদেশে আছে যারা এই তালেবানদের প্রতি সমর্থন দেয় এবং যারা এদের প্রতি সহমর্মি… অসংখ্য মানুষ এদেশে আছে যারা তালেবানরা যা করেছে ও যা করছে তাকে খুব ভালো মনে করে… এদের বদৌলতে ফের ইসলামী জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সমূহ সম্ভাবনা আছে।
২| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৫১
সাসুম বলেছেন: চীন কে দমাতে তালেবান কে টাকা আর অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করবে সি আই এ আগামি দিনে।
শালার ভূ রাজনীতি বুঝা বড় দায়। মাঝখানে খালি মারা খায় জনগন
৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৪১
ঢাবিয়ান বলেছেন: তালিবান, আইসিস, আলকায়দা সব এক সুতোয় বাধা। ইসলাম ধর্মকে টেরোরিস্ট ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার নোংরা ষঢ়যন্ত্র এসব। আমেরিকার এইসব চাল এখন আর বুঝার বাকি নাই কারো। তবে ভয়ের বিষয় যে আমাদের দেশেও উগ্রপন্থার উত্থান ঘটেছে।এর মধ্যে আমেরিকার ৪০ হাজার আফগানিদের বাংলাদেশ বিমানে করে নিয়ে আসার প্রস্তাবটা খুবই ভয়ানক ইঙ্গিতপুর্ন। এই অঞ্চলে একটা অরাজক পরিস্থিতি তৈরী করার নীল নকসা চলছে কিনা কে জানে !
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৪৭
নতুন বলেছেন: বিন লাদেন পেইড এজেন্ট ছিলো। তার কাজ শেষে তাকে রিটায়ারমেন্টে পাঠিয়েছে। তিনি হয়তো এখনো তবিয়ত বহাল আছেন বিলাশী জীবন জাপন করেছেন।
যুদ্ধে টাকা লাগে, ঐ টাকার উতস খুজলেই বোঝা যায় কে এবং কেন যুদ্ধ হচ্ছে।
always 'Follow The Money'