নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অব্যয় ০১

অব্যয় ০১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিষয়ঃ তালেবান সমর্থন এবং আমাদের একশ্রেণীর মুসলমানদের জঙ্গি মানসিকতা।

২০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৪৬



আফগানিস্তানে তালেবানদের পুনরায় ক্ষমতা অধিগ্রহণ করার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের দেশের ইসলামপ্রিয় জনতা যেন যারপরনাই উল্লাসে মেতে উঠেছে… অনলাইনের সুবাদে ছাড়াও আলাপে আলোচনায় প্রচুর মানুষ আছে এদেশে যারা এই তালেবানদের অকুণ্ঠ সমর্থন করে… এইতো আজকের জুম্মার সময় আমাদের এলাকার ইমাম সাহেব পর্যন্ত বয়ান করলেন যে তালেবানদের এই বিজয়ে মুসলমানদের কেন খুশি হওয়া উচিৎ… পৃথিবীতে ইসলাম কায়েম হবে, ইহুদী নাসারদের দোসররা কেমন করে পলায়নপর আফগানদের মতো পালাবে ইত্যাদি জাতীয় কতরকম কথাবার্তা… এর সাথে সুর মেলানো মানুষের সরব উপস্থিতি দেখে এখন আর আশ্চর্য লাগেনা… আমাদের দেশের ইসলামপ্রিয় জনতা যে তালেবানদের বর্বরতা সম্পর্কে জানেনা এমন নয়… বরং ভালো করেই জানে এবং তাদের মধ্যে বড় এক শ্রেণী তাদের এইসব বর্বরতা সোল্লাসে সমর্থন করে… অনলাইনে তো বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যু থেকে শুরু করে সেলিব্রেটিদের ফেসবুক পেজে গিয়ে আজবাজে কথাবার্তা বলা, “ইসলাম মানে নাই তাই অমুক শিল্পির স্থান হবে জাহান্নাম”, “মরার আগে ইসলাম কবুল করে মরতে পারলি না” জাতীয় কথাবার্তা থেকে শুরু করে আজেবাজে গালাগালি করে হাঙ্গামা সৃষ্টি করা তো আর কম দেখলাম না… দীর্ঘ ২০ বছরে যে নতুন এক প্রজন্ম একটা প্রগতিশীল মানসিকতা নিয়ে বড় হয়েছে আফগানিস্তানে তারা আজ সবাই দেশ ছাড়তে চায়… আফগানিস্তানে ইতিমধ্যেই যারা প্রগতিশীল মানুষ ছিল কবি, শিল্পি, নারীর অধিকার নিয়ে কাজ করা মানুষজন তাদের ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছে বর্বর তালেবানরা আর সেগুলো নিয়ে এদেশের এই এক শ্রেণীর মুসলমানদের আনন্দ দেখে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে খারাপ কোনও আশঙ্কা না করে থাকা সম্ভব নয়… জঙ্গিবাদ তো এদেশে শিকড় গেড়েছে বেশ ভালোমতোই এবং এই যে আফগানিস্তানে তালেবানদের নতুন করে ক্ষমতায় আসা এই ইসলামী জঙ্গিবাদে নতুন করে যে রসদ যোগাবে সেটা বুঝতে আইনস্টাইন হতে হয়না… খবরে তো দেখলাম ইতিমধ্যেই অনলাইনে নাকি এদের সক্রিয়তা বেড়েছে আবার এর মধ্যেই নাকি কেউ কেউ বর্ডার ক্রস করে ভারত – পাকিস্তান পাড়ি দিয়ে আফগানিস্তান পৌঁছেছে তালেবানদের সাথে যোগ দেয়ার জন্য… দেশের এইসব তালেবানি মানসিকতার পাবলিকদের জন্য এদেশ থেকে মনে হয়না ইসলামী জঙ্গিবাদ কখনো বিলুপ্ত হবে..... মার্কিনীদের ফরেইন পলিসি ছিল ইসলামী জঙ্গিবাদ তৈরি করে ফায়দা লোটা আর ইসলামকে জঙ্গি ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা, সেই লক্ষ্যে যে তারা কতোটা সফল সেটা নতুন করে বলার কিছু নেই।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:২৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মিজানুর রহমান আজহারিও খুশি হয়েছেন তালেবানদের বিজয়ে। কিন্তু কয়েকদিন আগেও বলেছি তালেবান বলে কিছু নেই সব আমেরিকার ষড়যন্ত্র।

২০ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮

অব্যয় ০১ বলেছেন: আমেরিকার ষড়যন্ত্র তো অবশ্যই, তবে তালেবান বলে কিছু নেই বা তারা অস্তিত্বহীন একথা কখনো বলা যায়না.. ওরা মার্কিনীদেরই তৈরি এবং ওরা হচ্ছে সে ফ্রাঙ্কেন্সটাইন যাদের মার্কিনীরা তৈরি করেও শেষ করতে পারলো না বা করলো না, যেটা আগের পোষ্টেও বলেছি।

২| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইসলাম মানুষের কমনসেন্স ও লজিক্যাল ভাবনাকে বিনষ্ট করে দেয়।

২০ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪০

অব্যয় ০১ বলেছেন: জলদি পালান গাজী সাহেব.... শান্তির ধর্মের অনুসারী শান্তিপ্রিয় ঐ তৌহীদি জনতা চাপাতি নিয়ে আপনার দিকে তেড়ে এলো বলে!!!

৩| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৩৬

বংগল কক বলেছেন: উপায় কি?

২০ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৩

অব্যয় ০১ বলেছেন: কোনও উপায় নেই। এক রক্তাক্ত সংঘাতময় ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে গোটা উপমহাদেশের জন্য।

৪| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমেরিকা আশরাফ গানি সরকারকে টাকা দিয়ে তার হিসাব ঠিকমতো পাচ্ছিলো না, তাই ঈমানদার তালেবানকে ক্ষমতায় আনা, আর কি। এখন দেখা যাক তালেবান আমেরিকা দোস্তি কত দিন টিকে।

২০ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৮

অব্যয় ০১ বলেছেন: দেখুন এটা এমন এক খেলা কে কার পক্ষে খেলছে তা বোঝা এখনই সম্ভব নয়, অন্তত আপনি যেভাবে দেখছেন.... তবে যাই ঘটুক না কেন এই ঘটনা ইসলামী সন্ত্রাসবাদকে উস্কে দেবে এবং এর জন্য সবচেয়ে বেশী দুর্ভোগ পোহাবে আফগানিস্তান থেকে শুরু করে বাংলাদেশ পর্যন্ত গোটা উপমহাদেশ।

৫| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:১৪

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আপনাকে 'একশ্রেণীর মুসলমানদের জঙ্গি মানসিকতা' বলার আগে ইসলামী কিছু বিষয় বুঝতে হবে।

১। ইসলামে সালাত (নামাজ) একটা বাধ্যতা মূলক বিষয়। যে নিয়মিত ইচ্ছাকৃত ভাবে সালাত ছেড়ে দেয়, সে আর মুসলিম থাকে না। কিন্তু আমাদের সমাজে এই জিনিষটা প্রায় লোকেই জানে না। আমাদের দেশে যে পরিমান মানুষ, সেই তুলনায় কিন্তু মসজিদ কম; তারপরও মসজিদ ফাঁকা পড়ে থাকে। শুক্রবার আসলে বিষয়টা কিছুটা বোঝা যায়। আপনি একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন, এই যে তালেবানের জয়ে উল্লাসিত লোকজন; তাদের বিশাল একটা জনসংখ্যাকে আপনি ফজরের সময় সালাতের জন্য মসজিদে পাবেন না।

২। মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি হচ্ছে সে যে ধর্মের লোক বলে অন্যেরা বিশ্বাস করে, তার নিজেরই সেই ধর্মের প্রতি একটা টান থাকে। আমি নিজে মিশেছি এমন কয়েকজন নাস্তিকের কয়েকজন আসলে হিন্দু ও খৃষ্টান ধর্ম থেকে উঠে আসা। তাদেরকে দেখেছি; কুরবানীর সময় উচ্চবাচ্চ করলেও থ্যাংকস গিভিং কিংবা বলির সময় তারা কোন শব্দ করে না! ঈদের কেনাকাটা নিয়ে তাদের বাঁকা কথা থাকলেও পূঁজো কিংবা বড়দিনের সময় নিজেরাই কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আমাদের দেশেও এখন তেমনটাই ঘটছে। নামধারী মুসলিম লোকজন দেখছে সারা পৃথিবীতে মুসলিমেরা মার খাচ্ছে; সেখানে একটা দল দেশ দখল করে নিয়েছে জেনে তারা উল্লাসিত হচ্ছে; তারা হয়ত জানেও না যে তালেবানেরা কি কি কারণে ইসলামী স্কলারদের চোখেই দোষী।

৩। মানুষের যুদ্ধ যুদ্ধ শুনলে রক্ত গরম হয়ে উঠে; সেই একটা যুদ্ধে যদি বড় শক্তি পরাজয় হয়, তাহলে মানুষ কেন যেন মজাই পায়। কোন একটা টুর্নামেন্টে আফগানস্থানের ক্রিকেট দল যদি অষ্ট্রেলিয়াকে হারায়, সেই হারানো বাংলাদেশ দলের জন্য খারাপও হয়, তারপরও মানুষ আফগানস্থানের জন্য কিছু হলেও আনন্দ করবে। কেন করবে? কারণ মানুষ দুর্বলকে জিততে দেখতে চায়। 'রিয়েল স্টিল' মুভিতে যদি এটম রোবোটটি জিজাস এর কাছে পরাজিত হতো, তাহলে আপনিও খুশি হতেন না। সেখানে আমেরাকার মত একটা বড় শক্তি লেজ গুটিয়ে দৌড়ে পালিয়েছে; এই নিউজটা কিন্তু ভারতীয়দের জন্যও হাস্যকর ছিলো; যদিও তাদের হাসি এখন উবে গেছে!

৪। আমাদের দেশে বর্তমানে এমন একটা পরিস্থিতি যে, যে সকল আলেমরা সঠিক জিহাদের উপরে কথা বলতে পারতো, সঠিক জিহাদ যে বন্দুক নিলাম আর গুলি ফুটায় কয়েকজনকে মেরে দিলাম এমন না এটা বোঝাতে পারতো, আমরা তাদেরকে কথাই বলতে দিতে চাই না। ফাঁকতলে 'তামিম আদনানী' এর মত গুহাবাসী বক্তা ইউটিউবে বক্তব্য দিয়ে এলাকা গরম করে ফেলে। মানুষের কাছে সঠিক তথ্য না পৌছালে মানুষ আজায়গা-কুজায়গা থেকে ভুল-ভাল শিখবে এটাই স্বাভাবিক।

৫। এই পয়েন্টটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মানুষেরা (বিশেষ করে বাংলাদেশীরা) একটা টপিক নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করি। কয়েকদিন টপিক নিয়ে গুড়গুড় করে মেঘ ডাকার মত শব্দ করি; তারপরে অন্য টপিকে লাফ মারি। কয়েকদিন পরিমনিকে নিয়ে খুব নাচন কুদন করে এখন লেগেছি তালেবান নিয়ে। ফাঁকতলে গতকাল পরিমনি আদালতে হোঁচট খেয়ে পড়ে গেছে এমন নিউজ করেও সাংবাদিকেরা তেমন কোন সাড়া পান নাই! কিন্তু অন্য সময় হলে দেখতেন কি হতো।

তাই, ঠান্ডা থাকি; খুব শিগ্রহী নতুন ইস্যু সামনে আসবে, আমাদের জনতাও সেদিকে ব্যস্ত হবে। আর দু-চারটে যা বর্ডার ক্রস করছে বলে আপনার বিশ্বাস, তাদের কাছে সঠিক তথ্যটা পৌছানোর ব্যবস্থা করেন; দেখবেন দু-চারটে কমে একটা বা আধাটায় নেমে আসবে খুব দ্রুতই।

২০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:১২

অব্যয় ০১ বলেছেন: হুম... তাইলে আমারে বলেন মসজিদের ইমামরা কেন তালেবানের পক্ষে কথা বলেন? তারা কি ইসলাম ভালোমতো জানেন না?

২০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:২০

অব্যয় ০১ বলেছেন: আর আলেম ওলামারা? তারাও তো তালেবানের পক্ষে বলেন, তো তারা কি ইসলাম সম্পর্কে ভালো জানেন না? আর বর্ডার ক্রস করে আফগানিস্তানে যাওয়ার ব্যাপারটা আমার বিশ্বাস নয়,আমার বিশ্বাসের ব্যাপার নয়, এটা খবরে বেরিয়েছে বলেই বলছি। আমি কোনও অনুমান করে কথা বলিনা বা বিশ্বাস করিনা।

৬| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমরা বাংলাদেশীরা একটা টপিক নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করি। কয়েকদিন টপিক নিয়ে গুড়গুড় করে মেঘ ডাকার মত শব্দ করি। তারপরে অন্য টপিকে লাফ মারি। কয়েকদিন পরিমনিকে নিয়ে খুব নাচন কুদন করে এখন লেগেছি তালেবান নিয়ে।

চরম সত্য কথা।

৭| ২১ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:০৩

বিটপি বলেছেন: তালেবানদেরকে আমেরিকানরা তাদের মিডিয়ার ফেভারে পেয়েছে, তাই ওয়াকওভার দিয়েছে। আইসিসের করুণ মৃত্যুর পর ইসলাম অ মুসলিমদেরকে স্পয়েল করার মত কিছু পাচ্ছিলনা। তাই তালেবানদেরকে ক্ষমতায় এনেছে। এবার চলবে সমানে ইসলামী বিধি বিধানের জ্ঞাতি গোষ্ঠী উদ্ধারের কার্যক্রম।

৮| ২১ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:০৪

ইমরান আশফাক বলেছেন: তালিবানের মধ্যে কিছু সুবিধাবাদী আছে যারা এর মাধ্যমে ফায়েদা লুটতে চায়। তাছাড়া যারা হেরে গেছে (মুলত: আমেরিকা, ভারত ইত্যাদি) তারা কি নিশ্চুপ বসে থাকব? সাবোটাজ চালাবে না? তাছাড়া ওদের কাছে আছে বিশাল মিডিয়া যন্ত্র প্রোপাগান্ডা চালানোর জন্য। আসলে আমাদের দেখতে হবে আরও সময় নিয়ে যে কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়। বিশ বছর আগের তালিবান আর এখনকার তালিবান এক নয়, অনেক বুদ্ধিদিপ্ত মনে হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.