নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওয়াহিদবুরাদ রাকিব হাসান

ওয়াহিদবুরাদ রাকিব হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবেগী কন্যা

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৪০


"
"
"
"
-ভালোবাসি (মারিয়া)
-কাকে (আমি)
-তোমাকে
-কিন্তু আমিতো তোমায়
ভালোবাসি না
-কেন
-তোমায় ভালো লাগেনা
তাই
দেখলাম এই কথা বলার সাথে
সাথে মারিয়ার সাদা মুখ
ফ্যাকাশে হয়ে গেলো।
সাথে সাথে আমার পাশ
থেকে উঠে চলে গেলো।আর
আমি একাই ছাদে বসে চাদ
দেখছি।ও তাহলে আমার
পরিচয়টা দিয়ে দেয় আমি
রাকিব হাসান আমি
বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীতে ক্যাপ্টেন
পদে নিয়োগ আছি
আগামিকাল ট্রেনিং আছে
তাই যেতে হবে আর যে চলে
গেলো সে হচ্ছে আমার ছোট
খালার একমাত্র মেয়ে
মারিয়া।আর আমি আমার এই
ছোট খালার বাসায়
বেড়াতে এসেছি।
আগামীকাল চলে যাবো
ট্রেনিংয়ে। একাই ছাদে
ভালো লাগছেনা দেখে
নিচে চলে এলাম
-এই রাকিব
-জি আম্মু
-তুই মারিয়াকে কি বলছিস
-কই কিছু নাতো
-তাহলে মেয়েটি ছাদে
থেকে এসে কান্না করছে
কেন
-আমি কি জানি সে কান্না
করছে কেন
-ওহহহ তাহলে তুই কিছু বলিস
নি
- না
রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লাম
কিছুক্ষণ পরে খালা এসে
খাবার খেতে ডেকে গেলো
তাই আমিও খাবার খেতে
চলে গেলাম। গিয়ে দেখি
মারিয়াও সেখানে আছে
তাকিয়ে দেখলাম মেয়েটি
কান্না করে চোখ দুটি লাল
করে ফেলেছে।
খাবার খাওয়ার সময় আম্মুকে
বললাম
-আম্মু
-কি
-কালকে আমার ট্রেনিং
আছে আজতো বাসায় যেতে
হবে
-এত রাতে বাসায় যাবি
-তাহলে কাপড় চুপুড় গুছিয়ে
রাখতে হবে না
-আচ্ছা তাহলে ভাত খেয়ে
চলে যা
-ওকে
মারিয়ার দিকে তাকিয়ে
দেখি তার মুখ কালো হয়ে
গেলো।এটা তার আবেগ
ছাড়া কিছুই নয় তাই তার
প্রেমে সাড়া না দেওয়ায়
ভালো । খাবার খেয়ে
বাসায় চলে এলাম । সে সব
কিছু গুছিয়ে রেখে দিলাম।
সকাল বেলা অ্যালামের
শব্দে ঘুম ভাঙ্গল। ফ্রেশ হয়ে
কিছু খেয়ে বেরিয়ে
পড়লাম।তখনি মোবাইলে
একটি অচেনা নাম্বার
থেকে ফোন এলো আমিও
রিসিভ করলাম
-আসসালামু আলাইকুম
-কেমন আছেন(সালামের
জবাব দিয়ে )
-ভালো আর কে আপনি
-আমি মারিয়া
-ওহহ
-কি চিনতে পেরেছেন
-হুম তুমি কেমন আছো
-ভালো নেই
- কেন.?
-ভালোবাসার মানুষ কাছে
নেই চলে গেছে অনেক দূর
-ওহহহ ভালোবাসার মানুষ
কাছে থাকলে বুঝি ভালো
থাকা যায়
-হুম
-তে কি করছো এখন
-আকাশের দেখিকে
তাকিয়ে আছি
-আচ্ছা আমার সময় হয়ে
যাচ্ছে এখন রাখলাম
-হুম আর ভালো ভাবে
ট্রেনিং দিবেন
-আচ্ছা
একটা রিকশা নিয়ে বাস
স্টান্ডে চলে গেলাম।
সেখানে গিয়ে খাগড়াছড়ি
যাওয়ার একটা বাসের
টিকিট কিনলাম।বাসে ওঠে
ভাবছি সেই অনার্স পড়ার
সময়ের কথা
তখন কল্পনায় ডুবে গেলাম
আমি একটি জরুলী কাজের
জন্য তাড়াহুড়া করে সিড়ি
বেয়ে নামার সময় খেলাম
একটা ধাক্কা
আমিতো তার ঝাড়ি
খাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি
-সরি(মেয়েটি)
আরে যেখানে আমাকে সরি
বলার কথা সেখানে এই
মেয়েটি সরি বললো কেন
-আমি দেখতে পাইনি যার
কারণে দুঃখিত একটি
কাজের জন্য তাড়াহুড়া করে
নামার সময় আপনার সাথে
ধাক্কা খায়ছি যার কারণে
আবারো দুঃখিত
-না এখানে কারো কোনো
দোষ নেই এটা একটা দুর্ঘটনা
-আচ্ছা বাই
-হুম বাই
"
-
"
মেয়েটি চলে গেলো আর
আমি তার চলে যাওয়ার
দিকে তাকিয়ে আছি
আমিও চলে এলাম।বাসায়
এসে ঘুম পাড়ার চেষ্টা
করলাম কিন্তু ঘুম যে আর
আসতেছে না। শুধু ঐ
মেয়েটির কথা বারে বারে
মনে পড়ছে তার মায়াবী
চেহাড়া বারে বারে
আমাকে বাকুল করে তুলছে ।
মনে হচ্ছে তার সাথে আগের
জন্মে আমার কোনো সম্পর্ক
ছিলো তা না হলে তার কথা
বারে বারে আমার মনে
হচ্ছে কেন । অন্য কারো কথা
তো আমার মনে পড়ছেনা। শুধু
সেই মেয়েটির কথা
বারেবারে মনে হচ্ছে।
তাহলে কি আমি ঐ
মেয়েটির প্রেমে পড়ে
গেলাম ।কাউকে বারে
বারে মনে করা তার কথা সব
সময় ভাবা তাকে নিয়ে
কল্পনা করা এর নাম যদি হয়
প্রেম বা ভালোবাসা ।
তাহলে আমি সেই মেয়েটির
প্রেমে পড়ে গিয়েছি।
তাকে অজানায় আমার
বুকের কোনে জায়গা করে
দিছি।সেই মেয়েটির
মায়ার প্রেমে পড়ে গেছি।
ঘুম যখন আসতেছেধা তাই
ছাদে চলে গেলাম ছাদে
গিয়ে বসে আছি আর চাদ
দেখছি চাদ তার আপন মনে
চারিদিকে আলো ছড়িয়ে
দিচ্ছে আর আমার মনে বয়ে
যাচ্ছে এক অনুভুতি।সেই
অনুভুতি জুড়ে আছে সেই
মেয়েটি। দু দিন কাজের
চাপে কলেজ যাওয়া হয়নি
তাই আজ কলেজ গেলাম
কলেজ গিয়ে বন্ধুদের সাথে
আড্ডা দিচ্ছি এমন সময় এক
বন্ধু বলেই ফেলল
-মামা ঐ দেখ ভাবি এ
দিকেই আসতেছে
-ঐ মিয়া তোর ভাবি
কোথায় পেলি
-গত কাল যে রোমান্টিক
কাহিনী দেখালী
ভেবেছিস আমরা দেখিনি
আরেক জন বলল
-ওই যে দেখো ভাবি এ
দিকেই আসতেছে
-এই যে শুনুন(সেই মেয়েটি)
-জি কাকে বলছেন
-আপনাকেই
-আচ্ছা বলুন
-চলুন ঐ গাছটার নিচে গিয়ে
বসি
-আচ্ছা চলুন
দেখলাম বন্ধু গুলো হাসিতে
গড়াগড়ি খাচ্ছে
আমিও ঐ মেয়েটির সাথে
গিয়ে গাছটার নিচে বসলাম
-আচ্ছা আমরা কি পরিচিত
হতে পারি
-আচ্ছা ঠিক আছে
-আমি মেঘা আপনি
-আমি রাকিব
-ওহহ আমরা কিন্তু একই
ডিপার্মেন্টে পড়ি তাই
তুমি করে বলতে পারি
-ওকে আর তোমাকে আগে
কখনোতো দেখিনি
-মেয়েদের দিকে কোনো
দিন তাকাইছো যে দেখতে
পাবে
-হুম সেটাও অবশ্য ঠিক।
আসলে মেয়েদের সাথে
আমি একটু কম কথা বলি
-আচ্ছা আমরা কি ভালো বন্ধু
হতে পারি
-আচ্ছা
এখন থেকে শুরু হলো আমাদের
বন্ধুত্বের পথ চলা
যখন খুশি আড্ডা দেওয়া
ঘুরতে যাওয়া এটা আমাদের
পারি বারিক রুটিনের মধ্যে
পড়ে গেছে
-কলেজে বন্ধুদের সাথে
আড্ডা দিচ্ছি এমন সময়
মেঘা এসে বললো
-চলো আজ একটু ঘুরতে যাবো
নদীর পাড়ে
এখন আমরা নদীর পাড়ে বসে
আছি। দুজনেই নিরব।
অবশেষে নিরবতা ভেঙ্গে
মেঘা বললো চলোতো ফুচকা
খাবো। হুম চলো। অনেক
ঘুরাঘুরি করার পর বাসায়
চলে এলাম। এভাবে অনেক
দিন কেটে গেলো। আমিতো
আগে থেকেই মেঘার প্রতি
দুর্বল ছিলাম।যতো মেঘাকে
দেখছি ততো তার মায়ায়
পড়ে যাচ্ছি।তাই ফোন করে
মেঘাকে নদীর পাড়ে
আসতে বললাম
পরের দিন সকালে ফ্রেশ হয়ে
বেরিয়ে পড়লাম নদীর
পাড়ে সেখানে গিয়ে
দেখি মেঘা নদীর পানির
দিকে তাকিয়ে আছে
আমি গিয়ে তার পাশে
বসলামমেঘাকে বললাম
-মেঘা তোমাকে একটা কথা
বলার ছিলো
-হুম বলো
-আমি জানি দুটি ছেলে
মেয়ে কখনো ভালো বন্ধু
হতে পারেনা এদের একজন
না একজন আরেক জনের
প্রেমে পড়ে যায় তাই আমিও
তোমার প্রেমে পড়ে গেছি
অথাৎ আমি তোমাকে
ভালোবাসি মেঘা
এক নিঃশ্বাসে উপরের এই
কথা গুলো বলে ফেললাম
-কি হলো মেঘা কথা বলো
-সরি রাকিব আমি
তোমাকে ভালোবাসতে
পারবনা
-কিন্তু কেন
-সে বলতে পারব না তার
চেয়ে আমরা ভালো বন্ধু হয়ে
থাকি
আমি আর কোনো কথা বললাম
না । মেঘার কাছ থেকে চলে
এলাম।রাতে আমাকে মেঘা
ফোন করে ছিলো কিন্তু
আমি রাগ করে রিসিভ
করিনি।এভাবে কেটে
গেলো কয়েক দিন একদিন
অচেনা নাম্বার থেকে
আমার ফোনে কল আসলো
আমিও রিসিভ করলাম
-আসসালামু আলাইকুম
-ওয়ালাইকুম আসসালাম
-কে বলছেন
-বাবা আমি মেঘার বাবা
মেঘা তোমার সাথে কিছু
কথা বলতে চায়
-আচ্ছা মেঘা কোথায়
-ওহহ হাসপাতালে আছে
-কেন মেঘার কি হয়ছে
-তুমি তারা তারি
হাসপাতালে চলে আসো
আমিও বেরিয়ে পড়লাম
হাসপাতালের উদেশ্যে
গিয়ে দেখি আন্টি মেঘার
কাছে বসে থেকে কান্না
করছে
আমি যাওয়া সাথে সাথে
মেঘা তার বাবা মা একটু
বাহিরে চলে যেতে বললো
-কি হয়ছে মেঘা তোমার
মেঘা তার মুখ থেকে
অক্সিজেনটা সরিয়ে বলল
-জানো রাকিব তুমি যখন
আমাকে বললে ভালোবাসি
তখন আমারও বলতে ইচ্ছা
করেছিলো তোমাকে
জড়িয়ে ধরে বলতে
ভালোবাসি কিন্তু আমি
বলতে পারিনি কারণ আমার
দেহে যে মরণ ব্যাধি এক
ক্যান্সার বাসা বেধেছে
এজন্য এই জীবনের সাথে
তোমাকে জড়াতে চাইনি।
আমিও তোমাকে আগে
থেকেই ভালোবাসি । কিন্তু
সেই ভালোবাসার ঠায়
আমি পেলাম না
-চুপ করো তোমার কিছু হবে
না
-আমার হাতে আর সময় নেই
তুমি কি আমাকে একটু
তোমার বুকে জড়িয়ে ধরবে
আমিও মেঘাকে আমার বুকে
জড়িয়ে ধরলাম।সে আস্তে
আস্তে ঘুমিয়ে পড়ল।যদি
জানতাম এটায় আমার শেষ
জড়িয়ে ধরা হবে তাহলে আর
তাকে ছেড়ে দিতাম না ।
তাকে জড়িয়ে ধরে কান্না
করছি আমার এই কান্না
শুনার মানুষ নেই যে ছিলো
সে চলে গেছে অজানায় শুধু
আমাকে একা রেখে
হঠাৎ কারো কথায় ভাবনার
ছেদ পড়ল
-কি বাবা তুমি কান্না
করছো কেন
-কই নাতো আঙ্কেল
চোখ মুছতে মুছতে বললাম
-না তুমি কান্না করছিলে
আচ্ছা তুমি কোথায় যাবে
বাবা
-আমি খাগড়াছড়ি
-আচ্ছা
বাস চলছে তার আপন গতিতে
আমিও বাহিরে তাকিয়ে
প্রকৃতির বৈচিত্র মুগ্ধ হয়ে
দেখছি....:...
-
-
অচেনা ছেলে (নীল রাজ্যের
রাজকুমার)
"
"
(বিঃদ্রঃ ভালো লাগলে
পরেরটুকু দেওয়া হবে। আর ভুল
ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে
দেখবেন)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৫৯

ওয়াহিদবুরাদ রাকিব হাসান বলেছেন: @[100014852670647:]

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.