নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওয়াহিদবুরাদ রাকিব হাসান

ওয়াহিদবুরাদ রাকিব হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি ভালোবাসার বন্ধনের গল্প

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৫২

-হ্যালো(নীলা)
-হুম বলো(রাকিব)
-কি করছো
-কিছুনা
-জানি তুমি নিশ্চয় এখনো
ঘুমাচ্ছো
-হুম
-তোমাকে কত বার বলবো
যে বেশি ঘুমানো ভালো
নয়।তারপরেও তুমি আমার
কথায় কেন গুরুত্ব দাও
বলোতো
- তে কি করব বলো
- ঘুরতে যেতে পারো না
- ঘুরতে গেলে বলে আমি অন্য
মেয়ের দিকে তাকিয়ে
থাকি এই বলে তো তুমি
আমার সাথে অভিমান
করেছিলে।তারপর আর ঘুরতে
যাই না । নিজেকে ঘরের
মধ্যে আবদ্ধ করে রাখি
-এভাবে থাকলেতো একটা
অসুখ বারিয়ে বসবে
-তে কি করব বলো
-তুমি আমাদের বাসায় চলে
আসো
-আচ্ছা
এত ক্ষণ যার সাথে কথা
হচ্ছিল সে হলো আমার ছোট
খালার মেয়ে নীলা আর
আমার হলো প্রিয়তমা । আর
আমি হলাম রাকিব এবার
অনার্স শেষ বর্ষে পড়ছি আর
নীলা ইন্টার 2বর্ষে পড়ে।
তারাতারি রেডি হয়ে
বেরিয়ে পড়লাম নীলাদের
বাসার উদ্দেশ্যে
-
-কেমন আছেন আন্টি
-ভালো বাবা তুমি
-এইতো ভালোই
-তোমার বাবা মা কেমন
আছে
-সবাই ভালো আছে
-তাহলে এত দিন পর খালার
বাসায় আসার কথা মনে পড়ল
-হুম আন্টি নীলা কোথায়
-ওতো ওর ঘরেই আছে বাবা
-আচ্ছা
এই বলে নীলার রুমের দিকে
এগিয়ে গেলাম
-কেমন আছো নীলা
-ভালো কখন এলে
-এইতো কেবলই
-চলো
-কথায়
-শপিং মলে
-কেন
-তোমাকে নিয়ে শপিং করব
-আচ্ছা চলো
এই বলে বাহিরে এসে একটা
রিকশা নিয়ে দুজনে
পাশাপাশি বসলাম।
কিছুক্ষণ পরে রিকশা এসে
একটি শপিংমলে থামলো
শপিংমলে গিয়ে কিছু
টুকটাক শপিং করে বাহিরে
বের হলাম
-চলো একটু ঘুরি (নীলা)
-কোথায় যাবে
-নদীর পাড়ে
-আচ্ছা চলো
এখন আমরা নদীর পাড়ে বসে
আছি।নীলা আমার কাদে
মাথা রেখে গল্প করছে।আর
নদী তার আপন গতিতে ঢেউ
তুলে কিনারায় নিয়ে
আসছে। নদীর পানির উপর
বিকেলের সূর্যের কিরণ পরে
পুরো নদী চিকচিক করছে তা
দেকে খুবি ভালো লাগছে
-আচ্ছা রাকিব তোমাকে
একটা কথা বলি
-হুম বলো
-আমাকে কোন দিন ছেড়ে
যাবে নাতো
নীলার হাত ধরে বললাম
-ধরেছি এ হাত ছাড়বার নয়
এই বিশ্বাস টুকু রেখ আমার
উপর
-হুম এই বলে নীলা আমাকে
জড়িয়ে ধরে কাদতে
লাগলো
-এই পাগলী কাদছো কেন
-কয় নাতো চলো সন্ধ্যা হয়ে
আসছে
-হুম চলো
-এভাবে অনেক কয় দিন
কেটে গেলো ।আমার
লেখাপড়াও শেষ হলো।একটি
চাকরিও পেলাম সাথে
নীলাকে ফোন দিলাম
-হ্যালো নীলা
-হুম বলো
-আজ আমি খুব খুশি
-খুশির কারণটা জানতে
পারি
-আমার চাকরি হয়েছে
-সত্যি
-হুম
এভাবে চাকরির কয়েক মাস
কেটে গেলো একদিন মা এসে
বলল
-আগামী শুক্রবারে তোর
বিয়ে
-মানে আমাকে না
জানিয়ে বিয়ে দিতে চাও
-আমি কিছু জানিনা
-কিন্তু মা
-কোনো কিন্তু নয়
এই বলে মা চলে গেলো । আর
আমিও নীলাকে ফোন
দিলাম
-বলো
-নীলা আমার বিয়ে ঠিক
হয়েছে
-ভালোতো বিয়ে করে নাও
-কিন্তু নীলা তোমাকে
ছাড়া আমার জীবনতো
মূল্যহীন
-আমাকে ভুলে যাও রাকিব
আর নতুন বউ নিয়ে সংসার
সাজাও
-নীলা তুমি আমার সাথে
এমনটা করতে পারলে
টুটটুটটুটুট
ফোন কেটে গেলো
দেখতে দেখতে শুক্রবার চলে
এলো । আজ শুক্রবার অথাৎ
আমার বিয়ে কীন্তু এই
দিনটা আমার কাছে মোটেও
ভালো লাগছেনা অবশেষে
বিয়েটা হয়েই গেলো
কিন্তু মেয়েটা এমন বড়
ঘোমটা দিয়েছে যার
কারণে তার চেহারাটাও
আমি দেখতে পারছি
-অবশেষে বউ নিয়ে বাসায়
চলে আসলাম । সবাই বউ
নিয়ে পাগল আর আমি ছাদে
গিয়ে আনমনে চাদ দেখছি
আর বলছি চাদ তোর মতো আজ
আমিও একা হয়ে গেলাম । এই
পৃথিবীতে সবাই থেকেও
আমার কেউ নেই
রাত বারটার পরে জোর করে
ভাবিরা বাসর ঘরে ঢুকে
দিলো
বাসর ঘরে ঢুকে সরাসরি নতুন
বউকে বলে দিলাম
-দেখুন আমি আপনাকে স্ত্রী
হিসাবে মানিনা আর মানব
নাও । তাইআপনাকে বলছি
কখনো স্বামীর অধিকার
দেখাবেন না ।
একনিঃশ্বাসে সব কথা বলে
ফেললাম
একি নতুন বউ খাট থেকে
নেমে আসছে।একি আমার
কলার ধরছেন কেন
ছাড়ুন ছাড়ুন
-বিয়ে করছো আর বলছো
স্বামীর অধিকার দিবে না
হ্যা
একি গলাটা চেনা চেনা
লাগছে
নতুন বউয়ের ঘোমটা খুলে
দিলাম
-নীলা তুমি
-তে এখানে কে থাকার কথা
-কেন আবার আমার বউ
-আমিইতো তোমার বউ
-তাহলে সেদিন
-আসলে খালা মানে আমার
শ্বাশুড়ি আম্মা আর আমি
মিলে এই প্লান করি ।
তোমাকে সার প্রাইজ
দেওয়ার জন্য
-তোমার এই সার প্রাইজের
জন্য আমাকে কত কষ্ট করতে
হয়েছে না
-ওরে বাবা আমার বোকা
জামাইটা কত কষ্ট পাছে
বুজি। আসো তোমার সব কষ্ট
দূর করে দিই
-
এই বলে লাইট অফ আর
বাকিটা আপনাদের না
শুনলেও চলবে
-
-
:
এভাবে শেস হলো আরেক টি
প্রেমের গল্প
রাকিব ও নীলার
:
"""""""""THE END(সমাপ্ত)""""
""""""
,
:
অচেনা ছেলে (নীল রাজ্যের
রাজকুমার)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.