নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কোন কিছুতে অবাক হইনা।।।।।

মাজহার মুরাদ

আমি অচেনা

মাজহার মুরাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজব দেশে আজব বিশ্ববিদ্যালয়

১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০১

আমাদের দেশ পৃথিবীর অনেক আজবের মাঝে চমত্‍কার এক আজবের নাম । এখানে ভাষার জন্য জীবন দিতে হয় , নয় মাসে স্বাধীনতা আসে আর সৈরাচার সরাতে রক্ত দিতে হয় এবং গণতন্ত্রের ফলে আসা রাজনৈতিক নেতার দেশের সম্পদ লোপাট করে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকে, দুর্নীতি এবং হাজারো অন্যায়ের মধ্যেও দেশের সাধারণ জনতার হাড় ভাংগা পরিশ্রমে প্রবৃদ্ধি বাড়ে । অনেক উন্নত দেশ তা দেখে চোখ বড় বড় করে তাকায় এ দেশের দিকে ।

আজবের আরেকটা উদাহরণ দেই । প্রতি বছরই এখানে বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্ধ বেশি হয় । আর প্রাথমিক আর মাধ্যমিক স্কুলের এমপিও ভুক্তিকরণ ও বিল্ডিং এবং সুবিধা বৃদ্ধিকরণ হয়। ফলে পাশের হার বাড়ছে । কিন্তু এখানে শিক্ষাগ্রহণে যেমন উত্‍সাহিত করা হয় তেমনি উচ্চশিক্ষাগ্রহণে নিরুত্‍সাহি করা হয় ।

বলবেন কিভাবে ? গত ৯ জুন প্রথম আলো সারাদেশ পাতায় একটা নিউজ ছাপা হয় যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ২০১০ সালের স্নাতক সম্মান ৪র্থ বর্ষের ২২টি বিষয়ের ফলাফল প্রকাশ হবে । সাল দেখেন আর চিন্তা করেন আজব না ! এখন একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০ সালের ফলাফল ২০১৩ সালে দিচ্ছে ।

এ বিষয়ে আমাদের কারো কোন মাথাব্যথা নাই । এই ছাত্ররা গরিব ঘরের সন্তান । তারা তো আর প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়তে পারেনা আর কম মেধাবী, পরিবেশ , প্রতিকুলতা, বাস্তবতা বা কম আসনের জন্য সুযোগ পায়না । আর যেহেতু সুশীল বা ক্ষমতাধারী কারো ছেলে কিংবা মেয়ে না । তাদের কলেজ গুলোতে স্যার কম । বাস নাই বললেও চলে । ভবন নাই । ল্যাব সুবিধা নাই । কম্পিউটার ব্যবহারের জন্য ফ্রি ওয়াইফাই নাই । আর কত কি নাই ।

সবচেয়ে বড় কথা এদের কে মানসিকভাবে মেরে ফেলা হচ্ছে । ৪ বছরের কোর্স ৭ বছরেও শেষ হতে চায় না । তারা পরীক্ষার পর বসে থাকে আর পরিবারে কৌতুহলের এবং আশার প্রতিফলন ঘটাতে না পেরে নিভৃতে কাঁদে । আপনি কি জবাব দিবেন আপনার বাবা মাকে যে পরীক্ষার রিসাল্ট দিতে ৩ বছর লাগে ॥ অথচ আশায় বুক বেধে থাকে যে একসময় চাকরি করবে পরিবারের সদস্যদের বলবে যে আমাকে পড়ালেখা করানো বৃথা যায়নি । কিন্তু এই বহুমুখী বৈষম্যবাদী শিক্ষা তাদের ক্রমাগত বঞ্চিত করছে । তীব্র মানসিক যন্ত্রণা দিয়ে এসব শিক্ষার্থীদের বয়স বাড়িয়ে চলেছে ॥ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫% শিক্ষার্থীরই মাল্টিমিডিয়া ফোন নেই । তারা অনলাইনের এ যুগে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম গুলোতে সাড়া জাগাতে পারেনা । পারেনা করতে কোন প্রতিবাদ । আমার ভেবে অবাক লাগে যে তাহলে কেন প্রতি পাবলিক পরীক্ষায় এত পাশের হার বৃদ্ধি করার প্রতিযোগিতা ? আর কেনইবা এদের প্রতি এত অবহেলা ? তাহলে কেন পড়ালেখার প্রতি এত উত্‍সাহ দান ? কেন এত কলেজে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ দিয়ে মানসিকভাবে শিক্ষার্থীদের ভেংগে পড়তে বাধ্য করা ? কেন ? কেন ?

আসলেই কি আজব আর আশ্চর্যতায় পরিপূর্ণ আমাদের এই দেশ !!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.