![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গতকাল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিদের একটা অনুস্ঠানে গিয়েছিলাম। যাবার আগে বুঝিনি কি উপলদ্ধি নিয়ে ফিরে আসবো, শুধুই জেনেছিলাম একটা নাচ করতে হবে। বেছে নিয়েছিলাম একটি রবীন্দ্র সংগীত। যেটা ঐ অনুস্ঠানের জন্য যথার্থ মনে হয়েছিলো।
অনুস্ঠানে দর্শক স্রোতাদের দুই তৃতীয়াংশ যে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি সেটা গ্রীন রুমে বসে থাকার সময় বুঝিনি। স্টেজে উঠলাম। ধীর লয়ে বেজে উঠলো গান,নাচ শুরু হল। "আলো আমার আলো ওগো আলোয় ভুবন ভরা, আলো নয়ন ধোয়া আমার আলো হৃদয় হরা।"
পিন পতন নীরবতায়, হিম ঘরের স্তব্ধতা নেমে আসলো যেন চারিদিকে। হঠাৎ খেয়াল করলাম সারি সারি কালো চশমায় ঢাকা চোখ, ছোট ছোট শিশুমুখগুলি,অখন্ড মনোযোগে, হদয় দিয়ে উপভোগ করছে নাচ। এক সেকেন্ডের জন্য চমকে উঠলাম হয়তোবা। সাথে সাথেই সামলে নিলাম। চকিতে মনে পড়লো, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিদের অন্যান্য ইন্দ্রীয়গুলি সাধারনদের তুলনায় অতিমাত্রায় প্রখর। অন্যরা চর্মচক্ষুতে তাল ,লয় ,সোম ফাঁকের যে সুক্ষভুল টুকু ধরতে পারবেনা , সামান্য সে ভুল অনেক বড় ভাবেই ধরে ফেলতে পারবে ওরা। কারন ওরা নাচটি চর্মচক্ষুতে দেখছিলোনা ওরা দেখছিলো হদয় দিয়ে।
ছোট্ট ছোট্ট শিশুগুলি , এদের মাঝে কেউ কেউ জন্মান্ধ। প্রকৃতির এত আলো, এত রুপ কখনও যাদের চোখে ধরা দেয়নি, কখনো প্রিয় মাতৃমুখটি ও যাদের দেখা হয়নি দুচোখের আলোয়। তারা মন দিয়ে উপভোগ করেছিলো সূরের মূর্ছনা। ওদের জন্য আমার এ ক্ষুদ্র উপহারটুকু।
ডিনার শুরুর আগে ওদের সাথে কিছুক্ষন সময় কাটাতে ইচ্ছে হল। স্বর্গের দেবশিশু আমি কখনও দেখিনি কিন্তু মর্ত্যের দেবশিশুদের কথা আগেই বলেছি। আর দৃষ্টিশক্তিহীন এই ফুলের মত শিশু গুলিকে আমি কিসের সাথে তুলনা করবো??ইচ্ছে হচ্ছিলো যদি পারতাম বুক দিয়ে শুষে নিতাম ওদের কষ্টগুলো। সব থেকে কষ্ট হচ্ছিলো এটা ভেবে যে,ছোট বেলার রংগীন চোখে আমি যে বর্ণীল পৃথিবী দেখেছিলাম, এই ফুলের মত শিশুগুলোর তা দেখা হলনা। ভাবনাটা আমাকে কষ্ট দিচ্ছিলো।
তখনই মাথায় এলো এদের জন্য কি আমি কিছু করতে পারিনা?
আমি কি পারিনা কিছুসময় হাসি আনন্দ গানে ওদের জীবনটা ভরিয়ে তুলতে। জগতে অনেক মানুষ, অনেক অনেক মহৎ মানুষ জন্মেছেন আমি তাদের তুলনায় অতি ক্ষুদ্র। তবে আমার মত পিছুটানহীন মানুষ গুলো এগিয়ে না এলে সংসারের শত বেড়াজালে আবদ্ধ কজন মানুষ পারবে ওদের জন্য এগিয়ে আসতে?
ভাবনাটা আমাকে ভাবাচ্ছে।
একটা সূর মাথায় গুন গুন করে ভেসে চলেছে...
পৃথিবী আমারে চায় , রেখোনা বেধে আমায়
খুলে দাও প্রিয়া, খুলে দাও বাহূডোর।
আমার সামনের পৃথিবীটা খোলা পড়ে রয়েছে। এইবার আমার সত্যি করেই কিছু ভাবার সময় হয়েছে।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৫১
অপ্সরা বলেছেন: জানিনা ছবিটা কোথাকার। কোনো সিনেমার হবে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৪৭
আরিফ থেকে আনা বলেছেন: খারাপ লাগে
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৫২
অপ্সরা বলেছেন: হুম !! আমারো।
৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৫০
পারভেজ বলেছেন: শুভ চিন্তাটা জেগে থাক।
ভাল থেকো।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৫৩
অপ্সরা বলেছেন: শুধুই কি শুভ চিন্তা জেগে থাকলেই চলবে?
কিছু করতে হবেতো।
৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৫০
আবু সালেহ বলেছেন:
পৃথিবী আমারে চায় , রেখোনা বেধে আমায়
খুলে দাও প্রিয়া, খুলে দাও বাহূডোর।
কিন্তু কে খুলে এই বাহূডোর...............
আমাদের আসলেই কিছু করে দেখানো উচিত..........
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৫৬
অপ্সরা বলেছেন: হুম!!
আর কিছু না হোক ওদের জন্য একটু সময় করে একটু আনন্দ দিতে পারলেও, ওরা যে ভাগ্য বন্চনার স্বীকার,আজীবন যে ব্যাথা বুকে বয়ে নিয়ে বেড়ায়, তাথেকে একটু সময় হলেও ভালো থাকবে।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৪৪
অপ্সরা বলেছেন: Click This Link
৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৫৯
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: হ্যাঁ, সত্যিই কিছু করে দেখাবার সময় এসেছে! আমাদের সবারই কিছু না কিছু করার আছে। সেই 'কিছু'টা কী, সেটা নিজেকেই ঠিক করে নিতে হয়। আপনি আপনার মতো করে কিছু করার কথা ভাবছেন, এই ভাবনাটা সত্যি হয়ে উঠুক - শুভকামনা রইলো।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০২
অপ্সরা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মোস্তফা কামাল।
৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০১
...অসমাপ্ত বলেছেন: "ছোট্ট ছোট্ট শিশুগুলি , এদের মাঝে কেউ কেউ জন্মান্ধ। প্রকৃতির এত আলো, এত রুপ কখনও যাদের চোখে ধরা দেয়নি, কখনো প্রিয় মাতৃমুখটি ও যাদের দেখা হয়নি দুচোখের আলোয়। তারা মন দিয়ে উপভোগ করেছিলো সূরের মূর্ছনা। ওদের জন্য আমার এ ক্ষুদ্র উপহারটুকু।"
হ্যাটস অফ টু অল....
আমরা অনেক কিছু করতে পারি। অ--নেকক কিছু। আমাদের দেহের চোখ নামের চমৎকার অংশটুকু খুব সহজেই আমরা আরেকজনের মাঝে রেখে যেতে পারি।
তাহলে এই দেবশিশুদের শুধু মনের চোখেই কল্পনার রং গুলো না এঁকে ...আরো অসম্ভব সুন্দর এই পৃথিবীটা দেখার সুযোগ হত।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৩
অপ্সরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তোমাকে অসমাপ্ত । সুন্দর একটা ভাবনার জন্য।
৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৩
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: ভালো লিখেছো........।
অনেক কিছু তো হচ্ছে.....।দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য কর্মশালা হওয়া দরকার ।.....আমার ভাই এমন একটা সংস্হায় জড়িত।লিখেছিলাম একটা পোস্ট এ।
আমি অবাক হয়েছিলাম.......ওরা কত কিছু যে পারে।
ওদের মনে চোখ দিয়ে ওরা সব দেখে.......।কি জানি সে দেখা কতটুকু।
আমরা কেউ কি ভাবতে পারি ওদের সেই সত্যিকারের আকাশ দেখতে না পারার বেদনা?
না কি ওরা আমাদের চেয়েই সুন্দর কিছু দেখে?
শুভকামনা।
আমরাই পারি.....ওদের জন্য আলো দেখাতে।
যার যতটুকু সম্ভব সেই প্রচেষ্টায়।
শুভেচ্ছা নাও।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৭
অপ্সরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তোমাকে সাজি আপু। হ্যা হয়তোবা ওদের মনের চোখ আমাদের চাইতে অনেক বেশী দূরদর্শী অনেক বেশী সুন্দর!!!যা দিয়ে ওরা দেখতে পায় আমাদের চাইতে লক্ষ্য কোটী গুণ বেশী সৌন্দর্য্য।
৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৬
বিবর্তনবাদী বলেছেন: বন্ধু তোমার কোন এক নাচের অনুষ্ঠানে আমাকে দাওয়াত দেবে না?
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৯
অপ্সরা বলেছেন: হুম দেবো বন্ধু। একদিন আমার নিজের মত করে করা কোনো অনুস্ঠানে।
৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৬
নষ্ট মাথার দুষ্ট বালিকা... বলেছেন: সব ভাল ভাবনাই সত্য হোক...
মন খারাপ লাগে...কত প্রতিবন্ধকতা...এগুলো পেরিয়ে কাজ করার মত মানসিক শক্তি আছে আমার?
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১১
অপ্সরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শুভকামনার জন্য তোমাকে দুষ্টুবালিকা।
১০| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১০
চাণক্য বলেছেন: শিশুদের আনন্দদানেই প্রকৃত আনন্দ। আজ তুমি একটি পূন্য অর্জন করিলে বালিকা।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১২
অপ্সরা বলেছেন: পাপ আর পূন্যের সংগা কি চাণক্য?
১১| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১২
...অসমাপ্ত বলেছেন: দৃষ্টিহীন দের নিয়ে আনিসুল হকের চমৎকার একটা লেখা আছে পড়েছেন? অনেকদিন আগে পড়েছিলাম। লেখাটা পড়ার পর বহুদিন নিজের মধ্যে হিনমন্যতায় ভুগেছিলাম।
আপনার লেখাটা আবার একবার পড়ে ঠিক ওইদিনের অনুভূতিটা হচ্ছে।
চমৎকার লেখাটার জন্য ধন্যবাদ দিতে ভুলে গিয়েছিলাম।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১৬
অপ্সরা বলেছেন: লেখাটার নাম মনে পড়লে আমাকে দিওতো।
তোমাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ!!
১২| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১৪
লুকার বলেছেন:
ওহ্!
চোখ না থাকলে পৃথিবীটা হয়ে যায় অর্থহীন,
গোটা জীবনটাই হয়ে যায় অভিশপ্ত।
আগামী কয়েক বছরের মধ্যে কৃত্রিমভাবে অন্তত আংশিক দৃষ্টিলাভের ব্যবস্থা হবে আশা করা যায়।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১৭
অপ্সরা বলেছেন: হুম!! চোখ না থাকলে কত অজানা থেকে যায় আমাদের চারিদিকের ভুবন।
১৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২১
...অসমাপ্ত বলেছেন: বইটার নাম "আলো-অন্ধকারে যাই"
এখান থেকে পড়তে পারবেন ...
http://www.banglabook.com/bangla/Alo ondhokare zai_by Anisul haque.pdf
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২৫
অপ্সরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তোমাকে ।
১৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২৪
ভাঙ্গা পেন্সিল বলেছেন: তবে আমার মত পিছুটানহীন মানুষ গুলো এগিয়ে না এলে সংসারের শত বেড়াজালে আবদ্ধ কজন মানুষ পারবে ওদের জন্য এগিয়ে আসতে?
এগিয়ে আসতে পিছুটানহীন হতে হবে কেন?
লেখাটা ভালো লাগলো...ধন্যবাদ
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৩০
অপ্সরা বলেছেন: সংসারী মানুষরা নানা ভাবে নানা রকম বেড়াজালে আটকে পড়ে।শত ইচ্ছে থাকলেও সম্ভব হয়না অনেক কিছু করা।নিরবিছিন্ন দ্বীপের মত মানুষ যেথা ইচ্ছে ভেসে যেতে পারে।তাই বলেছি আমি তো পারি, আমার তো কোনো বাঁধা নেই।
অনেক ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য ।
১৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২৪
কালপুরুষ বলেছেন: হাতের আঙ্গুলে কী-বোর্ড চেপে নয়- হৃদয় দিয়ে লিখেছো এই লেখাটা। আর সেটা টের পেলাম যখন আমি নিজেই দু'চোখ বন্ধ করে ঐ দৃষ্টিহীন শিশুদের কথা ভাবছিলাম। তোমাকে মন থেকে অভিনন্দন ওদের জন্য কিছু করতে পেরেছো ভেবে।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৩৪
অপ্সরা বলেছেন: আমিও তেমনটাই ভাবছিলাম কালপূরুষ ভাইয়া। এত টুকু টুকু বাচ্চাগুলো কিভাবে পৃথিবীর রং রস গন্ধ বিবর্জিত জীবনে অভ্যস্থ হয়ে উঠেছে। কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেইওদের।
অনেক ধন্যবাদ তোমাকে মন্তব্য ও সহমর্মিতার জন্য।
১৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৩৭
নিঃসঙ্গ বলেছেন:
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৩৯
অপ্সরা বলেছেন: আমারো মন টা খারাপ হয়েছে নিঃসঙ্গ ।
১৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৪১
মহাকালর্ষি বলেছেন: শ্রদ্ধা.............
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৪৩
অপ্সরা বলেছেন: ধন্যবাদ তোমাকে।
১৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫৪
দূরন্ত বলেছেন: সত্যিই ভাববার মতো বিষয়।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০৬
অপ্সরা বলেছেন: হুম। আমাদের সবাইকেই ভাবতে হবে।
অনেক ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য।
১৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫৭
এ. এস. এম. রাহাত খান বলেছেন: আলো আমার আলো ওগো, আলোয় ভুবন ভরা
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০৭
অপ্সরা বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ও লেখাটা পড়ার জন্য রাহাত।
২০| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫৮
ডালটন বলেছেন: মন ছুঁয়ে দিয়েছেন। এই তো হল একজন প্রকৃত শিল্পী।
ওদের জন্য আমাদের অনেক কিছু করবার আছে। সবচেয়ে বেশী যা দরকার সেটা হল কি কি কারণে গর্ভস্থ সন্তানের অন্ধ হয়ে জন্ম নেবার সম্ভাবনা থাকে তা এড়িয়ে চলার মত যথাযথ সচেতনতা সৃষ্টি করা সবার মাঝে। আর শিশু অন্ধত্ব দুর করতে সস্তায় ভিটামিন 'এ'র উৎসগুলো খুঁজে বের করা ও তা সবাইকে জানানো।
আবারও ধন্যবাদ।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১৩
অপ্সরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও। প্রকৃত শিল্পী কিনা জানিনা তবে সত্যি কিছু একটা করতে হবে বা করতে পারি, এটা অনুভব করছি।
আপনার সুচিন্তিত ভাবনাটাও অনেক বেশী মূল্যবান।অনেক অগগতা মুক্ত হতে পারলে আমাদের দেশের অনেক শিশুকেই হয়তোবা এধরনের কষ্টগুলো থেকে রক্ষা করা যেতো।
২১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০২
চাণক্য বলেছেন: বালিকা,
যাহা মানুষকে অহেতুক কষ্ট দেওয়ার জন্য করা হয় তাহাই পাপ। তবে অপরাধী বা যে তোমার বিপদের কারন হইতে পারে তাহাকে কষ্ট দেওয়া বা আঘাত করা পাপ নহে, উহা কৌশল।
অন্যদিকে, মানুষের ভালর জন্য মন হইতে করা সকল কার্যই পূন্য। তা তুমি সফল হও আর না হও, উক্ত ব্যক্তি বুঝুক আর নাই বুঝুক।
আর একটি বাক্য বলিয়াছিলাম প্রথমোক্ত মন্তব্যে। শিশুদের আনন্দদানই প্রকৃত আনন্দ। কেন বলিলাম জান বৎস। কারন শিশুদের আনন্দদানের কোন চেষ্টাই ব্যর্থ হয় না।
তবে হ্যা, মনে রাখিবে তোমাদের সময়ে প্রমানিত হইয়াছে, সকল কিছুই আপেক্ষিক। বিধায়, আমার প্রদত্ত সংজ্ঞা অন্যের সাথে মিলাইতে যাইও না। ইহা আমার জ্ঞানের সাপেক্ষে সংজ্ঞা।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১৯
অপ্সরা বলেছেন: বাহ!! খুবই জ্ঞানগর্ভ মন্তব্য ও সংজ্ঞা। তোমাকে হাজার হাজার লক্ষ্য কোটী সালাম/ নমস্কার/ শ্রদ্ধা।
তোমার বাক্য মনে রাখিবো। মানিয়া চলিবো সর্বান্তকরণে।
তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ চাণক্য দেব।
২২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২৩
রাস্তার ছেলে বলেছেন: অনুভূতির প্রকাশ কমেন্টের এই সীমাবদ্ধ গন্ডীতে সম্ভব নয়। সম্ভব হলেও অন্তত এখন পারছিনা।
ভাল থাকুন।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩১
অপ্সরা বলেছেন: তুমিও ভালো থেকো ছেলে।
অনেক ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য ।
অনেকেই ভাবতে পারে তুমি এমন একজন মনে হয় আমার।
২৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২৩
চাণক্য বলেছেন: বালিকা, তুমি বড়ই স্নিগ্ধ, বড়ই মিস্টি, বড়ই শ্রদ্ধার পাত্রী। এই সাধুর তুচ্ছ উপহারটি গ্রহণ কর।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:০১
অপ্সরা বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ নীল গোলাপটির জন্য।
২৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২৯
নকীবুল বারী বলেছেন: মানুষের প্রতি ভালোবাসা হচ্ছে সকল শুভ কর্মের মূলমন্ত্র। আমরা মানুষকে ভালোবাসলেই দেন তাদের জন্য যার যার অবস্থান থেকে কিছু না কিছূ করতে পারবো, আর সবার এই কিছু না কিছু মিলে পৃথিবীটাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারবো...........
আপনার নৃত্যর কোন অনুষ্ঠান হলে জানাবেন.........আমি দেখতে আসবো.............
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৭
অপ্সরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আচ্ছা জানাবো এর পর।
২৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:১৩
চাণক্য বলেছেন: তোমার প্রশ্নটি আমার ভাল লাগিল না। তোমাকে হয়ত একটি নীল কমল দিতে চেষ্টা করিতাম। যাই হউক, তোমার এখানে আর আসিব না। সুখে থাক।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৬:৫২
অপ্সরা বলেছেন: সাধু বাবা আপনার মনে কষ্ট দেওয়ায় আমি বড়ই লজ্জিত ও দুঃখিত। আমি আমার প্রশ্নটি ফিরাইয়া লইতেছি।
জানেন তো আমি বড়ই পাপিষ্ঠা ও অবুঝ। মানুষ চিনিতে অতিশয় অগ্গ। জীবনে তো কম পাইলাম না তাহার মূল্য। যদিও তাহার কারণ আমার নিজের দোষ ও কম নহে।
তারপরও আমি অতিশয় দুঃখিত সাধুবাবার সাথে বেয়াদপী করায়।
বুঝিতেছি আজকের দিনটি খারাপ যাইবে। সকাল তাহার প্রমান।পাপীষ্ঠা হই আর যাহাই হই অবুঝ বলুন আর যাহাই বলুন কারো মনে এতটুকু দুঃখ দিতে চাহিনা। কিন্তু কপাল মন্দ সেটাই বার বার দিয়া ফেলি।
আপনাকে শুভেচ্ছা জানাইবো সেই ধৃষ্ঠতা নাই আমার। শুধু একটা কথাই বলিতে চাই না বুঝে আপনার মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে আমি সর্বান্তকরণে দুঃখিত।
২৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:৩১
উধাও ভাবুক বলেছেন: সৃষ্টিকর্তা ইমপারশিয়াল।
দেবার সময় ভেতর বাহিরের একটা সুন্দর কম্বিনেশন করেন অবশ্যই।
আর প্রতিবন্ধিদের বাহ্যিক দুর্বলতা থাকলেও ওদের ইনটুইশন পাওয়ার খুবই শক্তিশালী হয়।
যদি পারেন তো অবশ্যই কিছু করুন ওদের জন্য।
শুভকামনা রইল।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:০২
অপ্সরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য ও শুভকামনার জন্য।
২৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:৩৮
আখসানুল বলেছেন: মন খারাপ হল
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:০৩
অপ্সরা বলেছেন: আমারও মন খারাপ হয় এমন অনেক কিছুতে, আবার মন খারাপ করিয়ে দিতেও আমি ওস্তাদ এটাও বুঝি।
২৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৫৮
সুরভিছায়া বলেছেন: পিছুটান নেই বলেই যে তোমার মত মানুষ এগিয়ে যাবে আর সংসারের শত কাজের অজুহাতে অন্যরা পারবে না ,সেটা ভুল । কিছু করার মানসিকতা নিয়ে থাকলে সবাই কম বেশী অবদান রাখতে পারে । আর পিছুটান তোমার আজ নেই কাল যখন হবে তখন কেন ওরা বঞ্চিত হবে ? ভাল থেকো অপ্সরা ।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:০৭
অপ্সরা বলেছেন: আর পিছুটান তোমার আজ নেই কাল যখন হবে তখন কেন ওরা বঞ্চিত হবে ?
সে সম্ভাবনা নেই বলেই তো এমনটা ভাবনা আমার। নিস্বার্থ ভাবে যদি কিছু করতে পারি এই আমি স্বার্থপরটা।
২৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:১৫
নিবিড় বলেছেন: আমরা হতে হতে ও হয়ে উঠি না..।আর ওরা না হয়ে ও হতে পারে ,
ভাল লাগলো লিখাটা খুব ..এরকম লিখা আসলেই ভাবায়
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:২৩
অপ্সরা বলেছেন: নিবিড় বলেছেন: আমরা হতে হতে ও হয়ে উঠি না..।আর ওরা না হয়ে ও হতে পারে।
খুব সুন্দর বলেছো নিবিড়।আসলেও তাই।
৩০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৩৯
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: অপ্রাসঙ্গিক অংশ_ সসবধরনের কলার প্রতিই আমার একধরেনর অন্ধতা কাজ করে।।। বিশেষ করে গান আর ছবি আঁকা।।। ছোটবেলায় গান শেখার প্রবল আগ্রহ ছিল, আম্মু শিখতে দেননি।। যদিও আমাদের ডিপার্টমেন্টের অনুষ্ঠানগুলোতে দুষ্টুমিমূলক গান তবুও গাই।।। আর ছবি আকার প্রতি আগ্রহ থাকলেও এই ব্যাপারে ঈশ্বর আমাকে একেবারে নিঃস্ব করে দিয়েছেন, আপনি হয়ত বিশ্বাস করবেননা_ আমি স্কেল দিয়েও সোজা একটা লাইন টানতে পারিনা।।। তবে নাচ ব্ ব্যাপারটি আমার কে যেন ভালো লাগেনা।।। নাচের কনসেপ্টটিই আমি ভালো বুঝিনা।।
অংশ_ আপনার কোন একটি লেখায় আমি বলেছিলাম আমার সঙ্গে পাগলদের বেশ ভাল সম্পর্ক, এমনকি একজন সিজোফ্রেনিয়া রোগীর সাথেও আমার ভাব আছে।।।। আমি যখন স্কুলে পড়তাম বেশ কয়েকটা প্রতিবন্ধী শিশুর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটাতাম, যদিও ওদের সঙ্গে বয়সের ব্যবধান ছিল অনেক।।। এমনও হয়েছে আমি যখন ক্রিকেট খেলা বাদ দিলাম টেনের প্রথম সাময়িক পরীক্ষার পর, প্রায় বিকেলেই ওদের নিয়ে মাঠে বসতাম।।। এর মধ্যে একটি শিশু হচ্ছে আমার মা-বাবার কলিগের ছেলে।।। ও জন্মগত প্রতিবন্ধী।। জন্মের প থেকেই ওকে যে কতবার অপারেশন করা হয়েছে হিসেব নেই।।। সেসময় ওর বয়স প্রায় ৯বছর, অথচ লম্বায় ৫বছরের বাচ্চার সমান, ওর জিহ্বার তালু ছিল ফাকা, সেখানে অপারেশন করার কারণে এর কথা স্পষ্ট বোঝা যেতনা। ওর পিঠে ছিল বিশাল একটা কুঁজের মত।যেজন্য ওকে পেঝন থেকে দেখতে খুবই অদ্ভুত লাগত।। আরও বেশকিছু প্রতিবন্ধকতা ছিল যা বলতে চাইছিনা।।। তো সেই ছেলেটিকে নিয়ে আমি অনেক বিকেল ঘুরে বেড়িয়েছি।।।। খুব ভালো লাগত শিশুটিকে।।।। সেসময় আমার কাব্যের ঘোড়ারোগ ছিল চরম। তাই ওকে নিয়েই একট কবিতা লিখে ফেললাম একদিন।। ওরা ২ভাই-বোন, বোন বড় , ও ছোট, ওর নাম ছিল শুভ।। কবিতাটি মন্তব্যে লিখতে চাইছি, যেহেতু এটা আপনার ব্লগ।।। এখানে আমি বড় মন্তব্য লিখতেই পারি।।। সেসময় আমাার নিজেরও ১৪-১৫ বছর থাকলেও আমি বলব কবিতাটিতে প্রতিবন্ধীদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশিত হয়েছে।
শুভ ও কিঞ্চৎ ভাবনা
শুভক্ষণে জন্ম তোমার, নামটি তোমার শুভ
জীবনের যত শান্তি আছে হোক তোমারই লভ।
প্রতিবন্ধকতা জয় করে জীবনটাকে গড়ো
মানষ হিসেবে হয়ে উঠো তুমি আকাশের চেয়ে বড়।
হীন ভেবে তুমি হয়ে না'কো হেয়, তোমার কিসের ভয়
আঁধার ঠেলে জীবনে তোমার জয় হবে নিশ্চয়।
চলার পথে থাকলে কাটা, পথিক কি কভু থামে
কাটার পথকে মসৃণ করে নিজের মাথার ঘামে।
তুমিও তেমনি এগিয়ে চল, থাকুক যতই বিপদ
জীবন হবে সত্য-শাশ্বত, আজ হোক এ শপথ।
বন্ধুবেশে শ্রেষ্ঠ তুমি, ভাই হিসেবে দুরন্ত
মনটা তোমার আরো সুন্দর, পাখির মত উড়ন্ত।
জীবনে যা কিছু সুন্দর, আর চির কল্যাণকর
সবকিছু নিয়ে জীবনে তুমি হয়ে উঠো যশধর।
......................স্বাভাবিক থাকলে শিশুটির এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দেবার কথা, কিন্তু আমি যতদূর জানি ওর মা-বাবা ওকে সিক্স এর পরে আর পড়ায়নি। কারণ ওর শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কও অপরিণত।।। তাছাড়া ওকে স্কুলে আনা-নেয়া করার ঝামেলা তো আছেই,সঙ্গে সমবয়সীরাও ওকে নিয়ে বিদ্রুপ করে।।। তাই ও এখন বাসায়ই থাকে শুনেছি।।। আমি ঈদ ছাড়া বাসায় যাইনা, তাই ওর সঙ্গে দেখা হয়না অনেকদিন।।।
তবে এই ধরনের শিশুদের প্রতি আমার সবসময়ই একটা বিশেষ দুর্বলতা কাজ করে।। বয়সের ব্যবধান যা-ই হোক,ওদের সঙ্গে মিশে যাই কুব সহজেই।।। আফ্রোদিতি আপু, মন্তব্যটা পোস্ট এর চেয়ও বড় হয়ঢে গেল বোধহয়।।। কি করব বলেন, আপনি যে কী সব পোস্ট দেন!!!শুধু কথা বলতে ইচ্ছে হয় সেইসব বিষয়ে।।।
২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:০০
অপ্সরা বলেছেন: হিমালয়,
তুমি আমার দেখা অনেক অনেক মানুষগুলোর মধ্যে অদ্ভুত, আশ্চর্য্য,প্রতিভাবান, মেধাবী তো বটেই সর্বোপরি একজন অন্যন্য সাধারন মানুষ। আমার চাইতে বয়সে অবশ্যই ছোটো কিন্তু পিচ্চিদেরকে শ্রদ্ধা করার মধ্যে তো কোনো লজ্জা নেই। শুধু বড়রাই শ্রদ্ধা পাবে এমন তো কোনো কথা নেই, কাজেই তুমি আমার অনেক অনেক শ্রদ্ধার পাত্রও ।
তোমার ভেতরে হিমালয় টাইপ একটা উদার, অবিচল, অনড় অটল মনোভাব যেন আমি দেখতে পাই।
আমি এমন কোনো গ্যানী(টাইপ পারিনা) গুণী ব্যাক্তি না যে তোমার চরিত্রের বিশ্লেষন করবো।তবুও মনে হয় জগতে কত গুলো মানুষ আছে যারা সকল প্রকার অন্যায়, অনিয়ম বর্জন করে চলতে পারে। স্পষ্টভাষী ও অকুতভয় তারা।
আসলে যারা সঠিক পথে চলার চেষ্টা করে তারা হয়ত এমনি হয়, ঠিক তোমার মত।পাপী, অন্যায়কারী এরাই আসলে পৃথিবীতে সবচেয়ে দূর্বল।তোমার মধ্যে খুব সুন্দর কোমল একটা মন ও আছে যেটা দেখতে পাই তোমার বিভিন্ন লেখায় প্রকাশ পাওয়া বিভিন্ন ঘটনায়। যেমন এই প্রতিবন্ধি শিশুটির কথাই যদি বলি।
তোমার ধৈয্য সিনসিয়ারিটি, স্পষ্টবাদীতা র ছোয়া দেখি তোমার করা সকলের লেখার বিভিন দীর্ঘ সুচিন্তিত মন্তব্যে। এত সুষ্ঠ বিশ্লেষন এত ধৈয্য নিয়ে মানুষের ভাবনা গুলোর গবেষনা ধর্মী চিন্তা ভাবনা,এই ব্লগে আর একটি মানুষও করে কিনা আমার সন্দেহ।
অবাক হয়ে দেখি প্রতিটি মানুষের লেখায় তুমি কি পরিমাণ মূল্য দিয়ে থাকো। গতকাল একজনের পোস্ট পড়ে যেখানে আমার বমি আসছিলো, এত বাজে একটি বিষয় নিয়ে সে লিখেছে।আমার কোনো মন্তব্যের ভাষা ছিলোনা। এমন একটি পোস্টে আমি কি করে ঢুকে পড়লাম বা কেনো ই বা পড়লাম তার জন্য অনুশোচনা হচ্ছিলো।কিন্তু সেখানে তোমার কমেন্ট পড়ে আমি বুঝলাম, পৃথিবীতে আসলে কোনো কিছুই ফেলনা নয়, এই পোস্টে ভুল করে না ঢুকে পড়লে জীবনেও জানতে পারতাম না তুমি কি পরিমাণ এক পজিটিভ থিংকার।
আমি বা অনেকেই হয়তোবা এমন একটি পোস্ট লেখায় তার চিন্তা ভাবনা বা রুচি অসুস্থ্য বা বাজে বলতাম, কেউ কেউ হয়তোবা গালিও দিয়ে ফেলতাম। তুমি কিন্তু তা করনি।খুব পজিটিভলি দেখেছো।
সত্যই তুমি একজন অনেক অনেক বড় মনের মানুষ। তোমাকে দিয়ে অনেক কিছু হবে।
আমি খুবি নেগেটিভ একজন মানুষ, কোনো কোনো ক্ষেত্রে অসম্ভব রুড। আমি জানি এসব কোনো ভালো মনের পরিচয় না।কিন্তু আমি নিরুপায়। মাঝেমধ্যে জেনে বুঝে, মাঝে মধ্যে নিজের অজান্তেই এমন সব বিহেভ করে ফেলি ।নিজের উপরে কন্ট্রোল হয়তোবা অনেক অনেক কম ।কিন্তু তোমাদের মত কিছু অসাধারণ মানুষ দেখলে শ্রদ্ধায় মাথা নুইয়ে আসে ।
অনেক অনেক বড় হও আর অনেক ভালো থেকো হিমালয়।
৩১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:২৯
বিবেক সত্যি বলেছেন: হুমম.. মন খারাপ করা লেখা ... ভালো থাকুক সবাই..
২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:২৮
অপ্সরা বলেছেন: হুম। পৃথিবীর যে যেখানে আছে সবাই ভালো থাকুক।
ভালো থেকো।
৩২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৪৭
বর্তমানবাংলা বলেছেন: ভালো
২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:২৬
অপ্সরা বলেছেন: ধন্যবাদ
৩৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:২০
ফ্রুলিংক্স বলেছেন: ওদের জন্য বাস্তবিক কিছু করার ইচ্ছে থাকলে আওয়াজ দিয়েন। সাথে থাকার চেষ্টা থাকবে।
দেশে থাকাকালীন সময়ে কিছু বধির ছেলে-মেয়ের সাথে সামাজিক অনুষ্টানে অংশগ্রহন করেছিলাম। বড়ই বিচিত্র ওদের জীবন। আর দৃষ্টিহীনদের কথা নাই বা বল্লাম।
সত্যি, কতো ভাগ্যবান আমরা।
২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:২৩
অপ্সরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য ও সদিচ্ছার জন্য।
সত্যি ই কষ্ট হয়, যখন ভাবি এত সুন্দর পৃথিবীটার বর্ণীল সৌন্দর্য্য কখনও ওদের দেখা হলনা।
৩৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮
ঝুমী বলেছেন: লেখাটা সুন্দর। +
২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:১৭
অপ্সরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ঝুমী।
৩৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:১১
আইরিন সুলতানা বলেছেন: সুন্দর ভাবনা অপসরা ...কিছু করতে পারা না পারা টা পরের কথা, তবে তার আগে দরকার মতত্ববোধটুকু, কারো কষ্ট উপলব্ধি করার মানসিকতাটুকু ...
তোমার এই মমতাটুকু যত্ন করে রেখ....
২৫ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৭
অপ্সরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আইরিন আপু।
৩৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৩৯
অদৃশ্য বলেছেন: যতটুকু ভেবেছেন ঐ ততটুকুই ভাববার প্রকৃত মানুষের বড়ই অভাব আজ। আমিও ভাবি....................কোনদিন কিছু করতে পেরেছি কিনা জানিনা.................কিছু করতে পারবো কিনা তাও জানিনা। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য.....................আর তাদের জন্য............যারা সত্যই ভাবে।
২৫ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৩
অপ্সরা বলেছেন: অনেক ধন্যবার শুভকামনার জন্য অদৃশ্য।
৩৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:২৪
মেহবুবা বলেছেন: আমরা সবাই যদি এমনি করে ভেবে এগিয়ে যেতে পারতাম ! আমাদের ছোট ছোট সহযোগীতা অনেকের বড় থেকে বড় সহায় । ধন্যবাদ ।
২৫ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:৫২
অপ্সরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মেহবুবা আপু মন্তব্যের জন্য। আসলে অনেকেই আছে অনেক মহৎ ব্যাক্তিত্ব। কত কিছু করে মানুষ , কত ভাবে দেখে জগৎ টাকে। আমরা পারিনা অনেককেই, তবুও একটু ভাবলে সবাই মিলে ভালো থাকা যায় এই সুন্দর পৃথিবীটাতে। কিছু না পারলেও আমাদের ভালোবাসার মূল্যটাও কম নয়।
৩৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:২৪
জেরী বলেছেন: মন ছুঁয়ে গেল( আরো কিছু বলার ইচ্ছা ছিলো কিন্তু যথাযথ শব্দের প্রয়োগ ঘটাতে পারছি না)............।
২৫ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৬
অপ্সরা বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ জেরী।
অনেক ভালো থেকো।
৩৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৩২
সবুজ বলেছেন:
অনেক সুন্দর লিখেছেন।
২৭ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:০৪
অপ্সরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৪০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৪৪
রাস্তার ছেলে বলেছেন: নয়া লেহা কনঠে বাহে?
২৭ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:০৮
অপ্সরা বলেছেন: হাহাহা বাহে মানে তোমার বাড়ী রংপুর।
নয়া লেখা নাই। সারাদিন পরে বাসায় ফিরেছি। অনেক অনেক টার্য়াড।
বেশকিছুদিন ধরেই ব্যাস্ত থাকতে হচ্ছে। নেক্সট উইক থেকে ফ্রী হয়ে যাবো। তখন নয়া লেখা।
অনেক ভালো থেকো।
৪১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৩৯
অরণ্য আনাম বলেছেন: আলোকিত হোক
সুন্দর হোক
২৭ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১৪
অপ্সরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
মন ভালো হয়েছে তো আজকে???
৪২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৫৮
বৃষ্টি ভেজা সকাল বলেছেন: আপনার মতন করে যদি সবাই ভাবত।
২৭ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১৩
অপ্সরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য বৃষ্টি ভেজা সকাল ।
৪৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২৫
কালপুরুষ বলেছেন: কেমন আছিস বলতো শুনি
পথ চেয়ে তোর দিন যে গুনি
দেখলে তোকে মন ভাল হয়
তোকে ছেড়ে আর থাকা নয়
এসেই তোকে খুঁজতে থাকি
নাম ধরে তোর চেঁচিয়ে ডাকি
কাজ ফেলে তুই দৌড়ে এসে
দাঁড়িয়ে থাকিস মুচকি হেসে
২৮ শে নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৪৭
অপ্সরা বলেছেন: তোমার মত নইতো কবি
আঁকতে জানি শুধুই ছবি
তাও যে আঁকা হিবিজিবি
মনের পাতায় কথার ঢিপি।
তোমার মত ভাইয়া পেলে
দুঃখ হাওয়ায় পাখনা মেলে
পালায় মনের কোনটি ছেড়ে
সুখটুকু নেয় হাওয়ায় কেড়ে।
তাইতো তোমার পেলে দেখা
এই আমি আর রইনা একা
স্নেহ ভালোবাসায় মাখি
তুমি আছো আমায় ঢাকি।
৪৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৪৩
আমিই রূপক বলেছেন: ইস....
২৮ শে নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৪৭
অপ্সরা বলেছেন: ব্যাথা পেলে?
৪৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৩৭
মাহবুবুল আলম লীংকন বলেছেন: ...এবং যথারীতি .... আমি সবার শেষে.. এতো পরে আর বলার কী থাকে বল? ব্লগে... সময় .. হয়ে উঠছে না। বাচ্চাদের নিয়ে এতা ভাবো.. করে ফেল না কিছু ওদের নিয়ে নিজের মত।
২৮ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:০০
অপ্সরা বলেছেন: হুম কিছু তো করতেই হবে। আমি না করলে কে আর করবে?
হাহাহাহা
দেরীতে হলেও আমার লেখা মনে করে পড়বার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ লীংকন।
৪৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৫৭
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
আমার সামনের পৃথিবীটা খোলা পড়ে রয়েছে। এইবার আমার সত্যি করেই কিছু ভাবার সময় হয়েছে।
হুমমমম
২৮ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:০০
অপ্সরা বলেছেন: হুম সত্যিই হুম কিন্তু। আমি খুবখুব ভাবছি আর ভাবনাটাকে সফল করে তুলবোই।
মন্তব্যের জন্য আর লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৪৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:১৩
একরামুল হক শামীম বলেছেন: সুন্দর ভাবনাটার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভকামনা থাকলো।
২৮ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:১৬
অপ্সরা বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ শামীম ।
অনেক ভালো থাকবেন।
৪৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:১৬
মাহবুব লীলেন বলেছেন:
লেখার কোন জায়গাটা ঠিক হয়নি সেটা বোধহয় সবাই বলতে পারে
কিন্তু কীভাবে লিখতে হয় সেটা বোধহয় কেউই ধরিয়ে দিয়ে বলতে পারে না
আর আমি সাধারণত কাউকেই বলি না ওভাবে লেখেন
কিন্তু আমার পোস্টে লেখার উপর কমেন্ট চেয়ে এক ধরনের বিপদেই বোধহয় আমাকে ফেলে দেয়া হলো
০২
আমার হিসেবে লেখা মূলত ক্রমাগত নিজেকে আবিষ্কার করা আর নিজেকে অন্য থেকে আলাদা করে উপস্থাপন করা
যাকে বিশেষজ্ঞরা বলেন স্বকীয়তা
০৩
এই লেখাটার বিষয়টা লেখকের একেবারেই নিজস্ব
কিন্তু এর শব্দগুচ্ছ কিংবা শব্দ কিংবা বাক্যগুলো;
একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে লেখক বিষয়টাকে যতটা নিজের মতো করে নিয়েছেন শব্দ কিংবা বাক্য তৈরির ক্ষেত্রে প্রচলিত ফ্রেজ আর শব্দগুলোকেই ব্যবহার করেছেন
এতে লেখার লাইনগুলো আলাদাভাবে আর কানে বাজে না
কয়েকটা উদারহণ দেই এখানে:
ধীর লয়ে বেজে উঠলো
পিন পতন নীরবতায়
হিম ঘরের স্তব্ধতা নেমে আসলো যেন চারিদিকে
সারি সারি কালো চশমায় ঢাকা চোখ
ছোট ছোট শিশুমুখগুলি,
অখন্ড মনোযোগে
হদয় দিয়ে উপভোগ করছে নাচ
চকিতে মনে পড়লো
এই কথাগুলোকেই যদি নিজের ভাষায় তৈরি করা যায় তাহলে পুরোট লেখাটার চেহারাই কিন্তু বদলে যাবে
০৪
লেখা তো শুধু ভাব না
ভাষাও
তাই না?
২৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:২২
অপ্সরা বলেছেন: বাব্বাহ!!!
আবারো পরচলিত পরবাদ ই মনে পড়লো লীলেন ভাইয়া।তোমার দেখছি আঠারো মাসে বছর।
হাহাহা রাগ করোনা, সেই কবে বলেছিলাম তোমার লেখা আমার এত পছন্দ!!!!!!!!!! কি করে লেখো তুমি? তোমার রহস্য এত দিনে জানতে পারলাম।
এতদিন পরে জানালেও তার জন্যই তোমাকে অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ।তুমি যে মনে রেখেছো আর সত্যই ই জানিয়েছো তার জন্য অনেক অনেক খুশী হয়েছি।
অনেক অনেক ভালো থেকো।
আবার ও বলছি তোমার লেখা আমার খুবই পছন্দের!!!
৪৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:৩৭
নুশেরা বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
২৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:২৪
অপ্সরা বলেছেন: এত গুলো প্লাস দেবার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপুটা।
বাবু কেমন আছে আর তুমি কেমন আছো?
৫০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:২৭
আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: সুন্দর অনুভূতি- আলোর মুখ দেখুক।
২৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:৪২
অপ্সরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শুভকামনার জন্য আশরাফ!
ভালো থেকো অনেক অনেক।
৫১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:২৮
তামিম ইরফান বলেছেন: শুভ চিন্তাটা জেগে থাক চিরদিন +++++++++++++++
শুভকামনা রইলো........।
২৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:৪১
অপ্সরা বলেছেন: শুভকামনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ তামিম। অনেক ভালো থেকো।
৫২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:৫২
~টক্স~ বলেছেন: সবাই আপনার মতন করে ভাবলে সত্যি সত্যি অনেক পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেলা যেত। এমন লেখা পড়লে মন খারাপ করে দেয়, অক্ষম মনেহয় নিজেকে কিছুই কি করতে পারিনা ওদের জন্য ? আপনি নাচ করেন জানতাম না !
২৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:৪১
অপ্সরা বলেছেন: আমারো নিজেকে অক্ষম মনেহয় কখনও ক খনও কিন্তু তারপরেও আমি অনেক আশাবাদী একজন মানুষ । মনে হয় কিছু একটু হলেও করবোই করবো।
হুম আমি নাচ করি এটা আমার অন্যতম সখ ও নেশা।
অনেক অনেক ভালো থেকো।
৫৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:৫০
মেঘাচ্ছন্ন বলেছেন: অনেএএক ভালো লাগলো আপু......মর্মস্পর্শী একটা লেখা.......।
২৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:৫৬
অপ্সরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তোমাকে আপুটা!!!
অনেক অনেক ভালো থেকো।
৫৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৪
কিংশুক০০৭ বলেছেন:
কেমন আছেন আপু?
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৪২
অপ্সরা বলেছেন: আমিতো ভালো। তুমি কেমন আছো দেখিনাতো আজকাল।
৫৫| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ সকাল ৯:০৭
মে ঘ দূ ত বলেছেন: লেখক বলেছেনঃ "আমার সামনের পৃথিবীটা খোলা পড়ে রয়েছে। এইবার আমার সত্যি করেই কিছু ভাবার সময় হয়েছে"
ভালো লাগলো।
০৪ ঠা জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৬
অপ্সরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মেঘদূত
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৪৭
তানজু রাহমান বলেছেন: ভালো লেগেছে পোস্টটা। ছবিটা কি অনুষ্ঠানের নাকি দাদার কীর্তি সিনেমার?