![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্য কাঁদে নিভৃতে, সাথে তার থাকে শুধু মহাকাল। সত্যের দীপশিখা চিরদিন জ্বলে । সত্য কখনো মিথ্যাকে করে নাকো ক্ষমা।
প্রকৃতির এক অপরুপ সৌন্দর্য্য মিশ্রিত শিলং। পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ সেই সাথে মেঘের খেলা আর তার মাঝখান দিয়ে যাওয়া এ যেন এক বিস্ময়!
কিযে সুন্দর শিলং তা শুধু চোখ দুটিই জানে। এই সৌন্দর্য্য আসলে ক্যামেরায় যথার্থ আসেনা কখনোও আমার কাছে তাই মনে হয় । মনে হচ্ছিল প্রকৃতির মাঝেই থেকে যাই আজীবনের জন্য। শিলং এর পথ ঘাট খুবই সুন্দর, পরিষ্কার পরিচ্ছিন্ন। দেখে মনে হয় কেউ নিজ হাতে পরিপাটি করে সাজিয়ে রেখেছে এমন। যখন পাহাড়ের উপর দিকে উঠছিল গাড়ি অবাক হয়ে দেখছিলাম।
এই বছরের কুরবানী ঈদে যখন জাফলং ঘুরে গিয়েছিলাম তখন জাফলং থেকে দেখেছিলাম দূরে বিশাল এক পাথর(ভেবেছিলাম এটা কোন ঝর্না হবে) একটা ব্রিজ যেখান দিয়ে গাড়ি চলছিল।মজা লেগেছিল যখন দেখলাম দূর থেকে দেখা সেই পাথর আসলে কোন ঝর্না নয় ওটা একটা পাথরের পাহাড়। আর সেই দেখা ব্রিজ দিয়েই যাচ্ছি আমরা। জাফলং থেকে যত উঁচু পাহাড় দেখা যায় ঠিক তত উপর দিয়েই গাড়ি যাচ্ছিল। আমাদের বিস্ময়ও যেন বাড়ছিল অনেক। কত মিষ্টি একটা আবহাওয়া ছিল। নির্মল সতেজ একটা পরিবেশ যা মুগ্ধ করেছে অনায়াসে।
শিলং এ কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর "শেষের কবিতা" লিখেছিলেন। শেষের কবিতার কিছু লাইন যা আমার ভীষণ প্রিয়
" ওগো তুমি নিরুপম,
হে ঐশ্বর্যবান,
তোমারে যা দিয়েছিনু সে তোমারি দান--
গ্রহণ করেছ যত ঋণী তত করেছ আমায়।
হে বন্ধু, বিদায়"
তামাবিল বর্ডার
বর্ডারের ফর্মালিটিজ শেষ করে আমরা ডাউকি বাজার যাই, সেখান থেকে টাকা রুপিতে করে নেয় আমাদের গ্রুপের অনেকেই। আমার কাছে ডলার থাকায় ভেবেছি শিলং শহরে গিয়ে চেঞ্জ করব। এখানে বলে রাখি, ডাউকি বাজারে টাকার রেট ভাল পাওয়া যায়। আমি ভুল করেছিলাম রুপি না নেয়াতে। পরে শিলং এ গিয়ে ডলারের রেট ভাল পাইনি।
ডাউকি বাজার থেকে বাস আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথে এগিয়ে চলল। বেশ কিছুক্ষণ শেষে আমরা সোনেংপেডাং এ পৌছালাম। ঝুলন্ত ব্রিজের নিচে সবুজ জলের ঝর্নার নদী প্রবাহিত হচ্ছে। নীল আকাশ, সবুজ পাহাড়, আর নদীর জলও সবুজ ছিল। সব মিলিয়ে এক অপরুপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করেছি।
আমাদের গ্রুপের অনেকেই ব্রীজের শেষ মাথা পর্যন্ত গিয়েছিল। কিন্তু আমি এতটাই ভীতু যে কিছুদূর যাওয়ার পর আর সাহস হয়নি যাওয়ার জন্য। কিছুদূর গিয়েই ফিরে আসছি।
সোনেং পেডাং
সোনেং পেডাং
সোনেংপেডাং ঘুরে আমরা গিয়েছিলাম Riwai village এ, সেখানে আমরা দুপুরের লাঞ্চ শেষে ১৫০ সিড়ি বেয়ে নিচে নেমেছিলাম লিভিং রুট ব্রিজ দেখার জন্য।
লিভিং রুট ব্রিজ । নিচে নামার সময় খারাপ লাগেনি। কিন্তু উঠার সময় আর ঊঠতে পারছিলাম না। লাঞ্চ করেই নেমেছিলাম বলেই আমাদের সবারই কষ্ট হচ্ছিল।
বর্ষাকাল থাকলে জায়গাটা আরো সুন্দর লাগত।
Riwai ভিলেজ ঘুরে আমরা গিয়েছিলাম এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ক্লিন ভিলেজ Mawlynnong ভিলেজে। আমার কাছে কেন জানি এই ভিলেজ খুবই আর্টিফিশিয়াল মনে হয়েছে। যাইওহোক ক্লিন ভিলজে কিছু দোকানপাট আছে। চাইলেই কেউ কিছু কিনে নিতে পারবে। আমাদের হাতে সময় কম ছিল। আমরা যখন Mawlynnong ভিলজে আসি তখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে আসছিল।
দুঃখের বিষয় এই ভিলেজের আর কোন ছবিই দিতে পারলাম না কারন এই ভিলেজের প্রতিটা জায়গায় লেখিকার ছবি ছিল ।
যাইহোক, সন্ধ্যায় নেমে এসেছিল এই ভিলেজেই। সন্ধ্যা হবার পর পরই আমরা শিলং শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। আধো অন্ধকারে পাহাড়গুলো অদ্ভুত লাগছিল। ২ ঘন্টা চলার পর পাহাড়ের এক বাঁকে বিরতি নেয়া হল।চা/কফি পাণ করার জন্য বিরতি নিয়েছিলাম আমরা।সাড়ে তিন ঘন্টার মত লাগল শিলং শহরে পৌছাতে। আগের দিন সারারাত জার্নি এবং পরদিন সারাদিনের ঘুরাঘুরির ক্লান্তিতে রাতে হোটেলে ইন করে ডিনার সেরেই ঘুম দিলাম।
প্রথম পর্ব এখানেই শেষ করছি। শুভ রাত্রি।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৫
লাবনী আক্তার বলেছেন: আচ্ছা! আসলেই খুব সুন্দর।
ধন্যবাদ রাজীব ভাই।
ভালো থাকবেন।
২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহা! চমৎকার বর্ণনা সঙ্গে ছবিগুলোও ভীষণ ভালো লাগলো।
পোস্টে প্রথম লাইক।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৬
লাবনী আক্তার বলেছেন: শুভেচ্ছা নিলাম।
বর্ণনা কিন্তু তেমন নেই। আমি ইচ্ছে করেই স্কিপ করেছি আসলে।
পোস্টে প্রথম লাইকের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:২৮
ওমেরা বলেছেন: ধৈর্য একটি মহৎ গুন । কিন্ত লিখা পড়তে গিয়ে মনে হল খুব তাড়াহুরো করে ফেলেছেন সুন্দর বর্ণনা ছিল অল্পতেই শেষ হয়ে গেল ।ছবিগুলোও সুন্দর ।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৯
লাবনী আক্তার বলেছেন: ধৈর্য্য একটি মহৎ গুন এতে সন্দেহ নেই।
আসলেই আপনি ঠিকই ধরেছেন । আমি আসলেই তাড়াহুড়া করেছি। কারন এত সময় ছিলনা। আর লেখা বড় করতে ইচ্ছেও করছিলনা। একটু বেশি বিজি আছি তাই লেখায় সময় দেয়া সম্ভব হয়ে উঠেনি। চেয়েছি যতটুকু সম্ভব কম লিখতে।
বর্ণনাইয় তেমন কিছুই আসেনি। শুরুটা কিভাবে ছিল, কিভাবে কি করলাম কোন কিছুই আনিনি। সংক্ষেপেই শেষ করেছি।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। এর পরের পর্বে চেষ্টা করব কিছু লিখতে।
ভালো থাকবেন।
৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৫৪
হাবিব বলেছেন: আপনার র্ব্ণনা দেখে যেতে ইচ্ছে করছে
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১২
লাবনী আক্তার বলেছেন: ঘুরে আসুন ভালো লাগবে ১০০% শিউর থাকুন।
ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৯
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: অসাধারণ-----------
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৩
লাবনী আক্তার বলেছেন: ধন্যবাদ পোষ্ট পড়ার জন্য।
ভালো থাকুন সবসময়।
৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৮
শের শায়রী বলেছেন: শিলং এর ব্যাপারটা আসলেই কেন যেন রবি ঠাকুরের "শেষের কবিতার কথা" মনে আসে। ভালো থাকুন।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৫
লাবনী আক্তার বলেছেন: আসলেই তাই।
শেষের কবিতা যেখানে লিখেছিলেন সেই জায়গাটা ঘুরে আসছি। ভালই লেগেছে।
ভাইয়া ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য।
ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: শিলং আমি গিয়েছি।
খুব সুন্দর।