নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীও একদিন হয়ে যাবে শেষ আমাদের প্রেম তবু হবে নাতো ক্ষয়

ইন্দ্রনীলা

ইন্দ্রনীলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিচ্ছবি

৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:২০


- নীল খেতে আসো
- আমি এখন খেতে যেতে পারবো না। তোমরা খাও।
- কেনো পারবেনা?
- উফ চুপ করো তো যাও এখন আমি বিজি আছি।
- কি নিয়ে এত বিজি তুমি শুনি?
- কি নিয়ে বিজি শোনা লাগবে না। আমি বিজি। যেতে পারবোনা।


- নীল তোমার রুম ঝাঁট দিতে বুয়া এসেছিলো তুমি ঢুকতে দাও নি কেনো?
- আমার রুম ঝাঁট দিতে হবে না।
- কেনো হবে না?
- কারণ আমার দরকার নেই। আমার রুমে কেউ আসুক চাইনা আমি।

- নীল তুমি কতদিন গোসল করো না?
-জানিনা।
- কেনো জানোনা?
- দেখো মা তুমি এই সব নিয়ে আমাকে বলতে আসবা না আমার যখন ইচ্ছা হবে তখন করবো।
- তোমার বেডশিট চেঞ্জ করতে হবে তুমি কাউকে এই রুমে ঢুকতে দাও না কেনো?
- উফ মা বলেছি না আমার রুমে আমি কাউকে চাইনা।


নীলা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে ওর টিন এইজ ছেলেটার দিকে। দিন নেই রাত নেই ২৪টা ঘন্টার মধ্যে মনে হয় ২০ ঘন্টায় সে মনিটরে তাকিয়ে আছে। গেইম খেলছে, নয়ত ম্যুভি দেখছে। প্রায় প্রায় তাকে দেখলে স্ক্রিন চেইঞ্জও করে দেয়। কোনো মেয়ের সাথে কথা বলে। বুঝতে পারে নীলা। প্রায়ই তার ম্যুড অফ হয়ে যায়। মাঝে মাঝে শুনতে পায় চিৎকার করে রাগ দেখাচ্ছে কারো সাথে। মাঝে মাঝে মন খারাপ। বেশি ভাগ সময়ই মন খারাপ থাকে ওর। নীলা বুঝতে পারে। সবই বুঝতে পারে নীলা। মন খারাপ হয়ে যায় ওর নিজেরও।

নিজেকে অপরাধী মনে হয়। মনে পড়ে ২০ বছর আগের একটি মুখ।

ঠিক একই ভাবেই নীলা যখনই এম এস এন মেসেনঞ্জার সেই মান্ধাতার আমল বা আদি যুগের মেসেঞ্জারে লগ ইন করতো। প্রায় সাথে সাথেই ভেসে উঠতো ছেলেটা। নীলা অবাক হত খুব! ভাবতো এই ছেলের কি নাওয়া খাওয়া নেই। দিন রাত অনলাইনে করছে টা কি?
- এ্যই তোমার নাওয়া খাওয়া নেই?
- ধ্যাৎ কি বলো এইসব ? থাকবেনা কেনো?
- কখন খাও? কখন ঘুমাও?
- চুপ করো তো। ঠিকই করি। খাই ঘুমাই সবই করি। তোমাকে ভাবতে হবে না।

ঠিক এভাবেই কথা বলতো সে। নীলা সেই কথা বলার স্টাইলটা লেখা দিয়েই ঠিক ঠিক বুঝে যেত ওকে। রাগী রাগী মুখের সেই ছেলেটাকে চোখে না দেখেও দেখতে পেত সে। নীলা জানতে চাইত-

- তাহলে যখনই অনলাইনে আসি তুমি থাকো কি করে? আচ্ছা তুমি কি করো বলোতো? কোথায় থাকো? কি করো ? কি খাও? প্রশ্নে প্রশ্নে জর্জরিতে করে তুলতো ওকে নীলা।
ছেলেটা খুব বেশি কথা বলতো না। চুপচাপ থাকতো। হু হা করতো। কিন্তু নীলা একটু চ্যাট বন্ধ রাখলেই অস্থির হয়ে উঠতো ছেলেটা।
- এই নীলা। এ্যাই এ্যাই কি করো? কথা বলো না কেনো?

বাহ! নীলা যেন সারাদিন ওর সাথে কথা বলার জব নিয়েছেন। অনর্গল যেমন বক বক করতে পারে নীলা একই ভাবে ঐ মেসেঞ্জারেও বক বক লিখে যেত সে। সারাদিন কি করলো, কোথায় গেলো, কি খেলো, কি পরলো, তার মা কি কি বকা দিলো, পাশের বাড়ির আন্টি কি পাঠালো। দুনিয়ার হাবিজাবি কথা।

আর চুপ করে শুনতো ছেলেটা। কি যে মায়া লাগতো নীলার ওকে। না দেখে না জেনে না শুনেও যে কারো সাথে এই ভাবে লিখে লিখেও মনের ভাবের আদান প্রদান হয়ে যেতে পারে সে কথা সে বুঝতেই পারতোনা তখন সে, জানতোও না। তবুও মেয়েদের স্বভাবজাত কিছু সহজাত মায়াময় স্বভাবের কারণেই রোজই সে জিগাসা করতো-
- এ্যই তুমি কখন উঠেছো? কি খেয়েছো? নাস্তা করেছো? গোসল? ক্লাস? মানে শুধুই মেয়েলী সহজাত বৈশিষ্ঠেই না কেমন যেন এক অধিকার জন্মেচ্ছিলো ওর উপরে দিনের পর দিন একটু সময় পেলেই ছুটে আসতো ওর কাছে তাই। ছেলেটাও উত্তর দিত হুম হাম করে হ্যাঁ উনি সবই করেছেন। যেন কত লক্ষী বাচ্চার মত সকালে উঠেছেন। ব্রেকফাস্ট, শাওয়ার, ক্লাস।

হ্যাঁ নীলা বলতো নাস্তা ও বলতো ব্রেকফাস্ট, নীলা বলতো গোসল ও বলতো শাওয়ার। মানে একটু অন্য টাইপ স্টাইলই ছিলো ওর। এটা খুব খুব এনজয় করতো বোধ হয় নীলাও। তবুও নীলা মাঝে মাঝে কেনো যেন কনফিউজড হয়ে যেত। মনে হ্ত সে একটা রোবোট। কখনও ঘুমায় না খায় না, গোসল করে না, কোনো কাজ তো করেই না। তাতে নীলার কিছুই সমস্যা ছিলো না। সে জানতো তার একজন খুব মনের মত বন্ধু আছে যে এই মনিটরটার মাঝে বাস করে। যখনই সে তাকে চায় তখনই তাকে পাওয়া যায়।

তখন কিন্তু এই এখনকার মত ফোনেই মেসেঞ্জার, ফেসবুক, হোয়াটস আপ ভাইবারের জন্মও হয়নি। সে ছিলো এনালগ টেলিফোন দিয়ে কার্ড ভরে ভরে নেট চালাবার দিন। চাইলেই টুকুস করেই নেটে ঢুকে যাওয়া যেত না তখন। তার উপর ছিলো মায়ের বকা ঝকা। ঐ দিন নেই রাত নেই কি করিস এই বক্সের সামনে বসে বসে? হ্যাঁ সেই ঢাউস বক্স পিসি মনিটরও দেখার ছিলো বটে। এখনকার ছেলেমেয়েরা সেসব দেখতে যাদুঘরে যাবে। সেই বক্সটার মধ্যে তখন থাকে সেই যাদুকর ছেলেটা। যে নীলাকে চুম্বক আকর্ষন করে।

এই কথা মাকে বললেই তো সোজা আছাড় মেরে ভেঙ্গেই ফেলবে নীলার যাদুর বক্সটাই। নীলা বলে টাইপিং শিখি মা। কি সুন্দর খটাখট টাইপ করতো আমাদের সাবিহা আন্টি সেই থেকেই টাইপ শেখার শখ আমার। আবার কখনও বলে এই দেখো দেখো পেইন্ট ব্রাশে ছবি আঁকছি। বাহ কি সুন্দর ছবি। আবার কখনও গেইমস খেলার অজুহাত দেখাতো। কিন্তু তার মেইন আকর্ষনটাই তো আসলে ছিলো ঐ ছেলেটা।

সে যাইহোক একদিন নীলা আসতে পারলো না নেটে। কারণ তার কার্ড নেই। অতি কম্পিউটারে বসে থাাকার কারণে মাও শাস্তি দিয়েছেন। কিনে দিচ্ছে না কার্ড। আর দেবেও না বলেছে। নীলার দিন কাটেনা, রাত কাটেনা, শুধু মনে হয় কি করছে এখন ছেলেটা? ওকে নিয়ে নিশ্চয়ই চিন্তায় পড়েছে। অনেক ভাবছে কি হলো তার। সে না আসলে না কথা বললে তো অস্থির হয়ে যায় ছেলেটা। আসলে নীলাই তখন অস্থির হয়ে উঠছিলো। বুকের মধ্যে উথাল পাথাল। নীলার সে সময় কোনো মোবাইল ফোনও ছিলো না। ছেলেটার নাম্বারও নেওয়া হয়নি। মন খারাপ করে থাকে নীলা দিন রাত।

এরপর কয়েকদিন পরে যখন মায়ের দয়া হলো। নীলার নেট কানেকশন ফিরে ফেলো। সাথে সাথে মেসেঞ্জারে ঢুকেই চিৎকার।
-এ্যই ই ই ই ই ই ই ই ই ই ই । কেমন আছো?
- কি ব্যাপার ? কোথায় ছিলে এতদিন? কোনো আসোনি? কেনো আসোনি শুনি? কেনো? জানো আমার কত চিন্তা হয়েছিলো? এত খারাপ লাগছিলো মনে হচ্ছিলো মরে যাবো আমি। চুপচাপ ছেলেটা হঠাৎ রাগে পাগল হয়ে গেছে। চোখ বড় বড় করে দেখে নীলা। একি হলো ছেলেটার!
- তুমি এত রাগ করেছো? কিন্তু কেনো?
- কেনো মানে? জানোনা ? তোমার সাথে না কথা বললে আমার কত কষ্ট হয়?
- কষ্ট হয়! কেনো কষ্ট হয়?
- চুপ। একদম চুপ। কেনো কষ্ট হয় জানোনা?

নীলার চোখে পানি ভরে আসে। কেনো কে জানে? কিন্তু নীলার মুখে তখন মিটিমিটি হাসি। তবুও সে সব চেপে রেখে বলে,
-স্যরি আসলে আমারও খুব খারাপ লাগছিলো। কিন্তু আসতে পারিনি আমার নেটের কার্ড ছিলো না।
- শুনো এখন থেকে কার্ড না থাকলেও তুমি আসবা। আমার জন্য তোমাকে আসতেই হবে।
- কার্ড না থাকলে আসবো কেমনে? তোমার বাড়িতে চলে আসবো নাকি? হি হি করে হাসতে থাকে নীলা।
- না আমি তোমাকে কার্ড পাঠাবো। আবারও চোখ গোল্লা করে তাকিয়ে থাকে নীলা।
- তুমি পাঠাবে কেমনে? তোমার কি এত টাকা আছে?
- টাকা আছে কি নেই তোমাকে ভাবতে হবে না। তুমি শুধু চুপ করে বসে থাকো আমার কাছে।
- চুপ করে বসে থাকবো?
- না বক বক করো।

সেই শুরু ফোন নাম্বার, কার্ড নাম্বার আর দিন রাত লেগে থাকা দুজনের দুজনার মনে মনে । এইভাবে দুই প্রান্তের দুই বীপরিতমুখী দুইটা পাগল আর পাগলী ছেলে আর মেয়ের ভালোবাসার শুরু। আজকালকার ছেলেমেয়েরা শুনলে পাগলই ভাববে। আসলেই তারা হয়ত পাগলই ছিলো।

ছেলেটা যেদিন কথা নেই বার্তা নেই বলে বসলো,
- আই লাভ ইউ।
নীলা তো শেষ। বলে কি ? আজকালকার দিনে কত রকম প্রোপোজ করে ছেলেমেয়েরা আর সেসব দিনে ছেলেটা কিন্তু তার অনুমতীর ধারও ধারেনি। যেন ধরেই নিয়েছে এই মেয়েটা তারই একার সম্পত্তি। তাকে ছাড়া আর কাউকেই ভালোবাসতে পারবেনা সে।


দীর্ঘশ্বাস পড়ে ওর। ভূত ভবিষ্যৎহীন সেই ভালোবাসার গল্প হারিয়ে গিয়েছিলো একদিন। সে আরেক গল্প। নীলা ভেবেছিলো ভালোই আছে সে। তার স্বপ্নের রাজকুমারটা বুঝি ভালোই আছে তার স্বপ্ন রাজ্যে। তাই সুযোগ থাকা স্বত্ত্বেও নীলা দূরে থেকেছিলো। কিন্তু একদিন হঠাৎ ওর সামনে এসে দাঁড়ালো ছেলেটা। বললো,
- নীলা তোমাকে দেখে খুব ভালো লাগছে জানো? কত বছর পর তোমার সাথে দেখা হলো। নিশ্চয় ভুলে গেছো আমাকে তুমি।
নীলার বুকটা ফেটে যাচ্ছিলো। কেমন করে বললো সে এই কথাটা? কি করে ভুলবে তাকে নীলা! কত কত দিন ক্ষন ঘন্টা কেটেছিলো তার সাথে। কত কত মাস বছর দিন। ছেলেটা তার জন্য যে কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাড়াতেও রাজী ছিলো। তবুও হারিয়ে যেতে হয়েছিলো নীলাকে। নীলা ভেবেছিলো সেই ভালো। কিন্তু সত্যিই কি সেটা ভালো ছিলো? ওদের দুজনের কারো জন্যই?

- নীলা। এই জীবনে আর কাউকে ভালোবাসাই হলোনা আমার জানো?
- কেনো? বউকে? এত সুন্দর মিষ্টি একটা মেয়ে। তাকে ভালোবাসবেনা কেনো?
- কেনো? তুমি জিগাসা করছো? জানো তোমাকে মাঝে মাঝে আমার খুন করে ফেলতে ইচ্ছা করে কিন্তু পারিনা।
- কেনো? পারোনা কেনো?
- কারণ তুমি আমার প্রিন্সেস। তোমাকে কি করে খুন করবো বলো? ভালোবেসেই তো কূল পাইনা আমি। সেসব দিনে আমি খুব ইন্ট্রোভার্ট ছিলাম। কারো সাথেই মিশতাম না। আমার সবটুকু ঘিরেই ছিলে তুমি। শুধু তুমি পৃথিবী অন্য দিকে। তুমি আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছো নীলা। এমন করে আমাকে ফেলে চলে যাবে কখনও ভাবতেই পারিনি আমি। আমার বুকের ভেতরটা শূন্য হয়ে গেছে। কেউ আর তা পুরণ করতেই পারেনি।
নীলা চুপ করে থাকে। ভীষন কষ্ট হয় ওর। ছেলেটা আবার বলে,
- জানো আমি সব সময় তোমার জন্য ওয়েট করতাম। তুমি আসবে। এসেই শুরু করবে তোমার বক বক বক বক। সেই ছিলো আমার শান্তির জায়গা। কাউকে ভালো লাগতোনা আমার। শুধু তুমি আসলেই তোমার নামটা মেসেঞ্জারে ভেসে উঠলেই চাঙ্গা হয়ে উঠতাম আমি।
আমি তোমার উপর একটু বেশিই ডিপেনডেন্ট হয়ে পড়েছিলাম একটু বেশিই অধিকারও খাটাতাম। রাগও করতাম বেশি বেশি। আমি সেটা এখন বুঝি। তোমাকে আমি বড় বেশি আঁকড়ে ধরেছিলাম। জানো আমি আমার রুমে কাউকে ঢুকতে দিতাম না। আমি খেতাম না এমনকি শাওয়ারও করতাম না। এক মুহুর্ত আমি তোমাকে ছেড়ে যেতে চাইতাম না। আর যখন তুমি থাকতে না শুধুই তোমার অপেক্ষায় কেটে যেত আমার ঘন্টার পর ঘন্টা তুমি আসবে। সেই অপেক্ষায়....
- তুমি খেতে না?
- না
তুমি ঘুমাতেও না
- না ঠিক মত ঘুমাতামও না
- গোসল ?
- দুই সপ্তাহে একদিন তাও খুব দ্রুত। বাথরুমের দরজা খোলা রেখেই। চুলও কাটতাম না জানো? দুই মাসে একবার। কোনোমতে আবার চলে আসতাম তোমার কাছে।
-আর কি কি করতে?
- রুমে কাউকে ঢুকতে দিতাম না। বেডশিট চেইঞ্জ করারও টাইম দিতাম না কাউকে।

নীলার চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে। বহু বছর পর। সামলে নিয়ে বলে,
- জানো আমার টিন এইজ ছেলেটাও একদম হুবুহু এসবই করে।
- তাই নাকি?
- হুম। কিন্তু কি করে সম্ভব ? এত মিল!
- হা হা দেখো তোমার মত কোনো নীলমনিকে খুঁজে পেয়েছে কিনা? যেমন আমি হঠাৎ একদিন খুঁজে পেয়েছিলাম আমার প্রিন্সেসকে? কিউটের ডিব্বা। হাসতে থাকে ছেলেটা।
নীলার বুকটা কষ্টে ফেটে যায়। খুব অবাক লাগে ওর।
- কিন্তু ঠিক তোমার মত করে একই আচরণ কি করে করে আমার ছেলেটা ? তোমার কথা শুনে আমি সত্যিই অবাক হচ্ছি। কি করে এত মিল সম্ভব!
- যাক আমি খুশি হলাম। আমি নেই কিন্তু আমার প্রতিচ্ছবি রয়ে গেছে তোমার কাছে। আর না হয়েই বা কোথায় যাবে বলো? আমি তো জানি আমার জন্যই তোমার জন্ম হয়েছিলো। তুমি যেখানেই যাও না কেনো আমাকে ফেলে পালাতে পারবেনা। একজন মা সন্তান পেটে থাকতে যাকে ভাবে সে তার মতই হয় জানোনা? আর তুমি আমাকে ছাড়া আর কাউকে কি ভাবতে পারো? অসম্ভব! পৃথিবী উলটে গেলেও এটা সম্ভব না। যেখানেই যাও যত দূরেই পালাও। আমি থেকে যাবো তোমার হৃদয়ের গভীরে। এ আমি নিশ্চিৎ জানি।

নীলার দু'চোখে জল ঝরে অবিরল।
বুকটা ফেটে যাচ্ছে ওর।
বহুদিন পর ওর খুব খুব ইচ্ছে করে ফিরে যেতে সেই কিশোরীকালের দিনগুলোতে।
এবারে নিশ্চয় আর কোনো ভুল করবে না সে...

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নীলার উচিত ছিল ছেলেটার সেল নাম্বার রাখা। কখনও মন খারাপ হলে ছেলেটার সাথে সুখ দুঃখের কথা বলতে পারতো। ওরা দুইজনেই এখন অনেক বড় হয়েছে। তাই দুর্ঘটনায় না জড়িয়েও একটা ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে পারতো। দুজন ভালো বন্ধু হতে পারত। নীলার ছেলে ও স্বামীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারতো। এগুলি আমার অনুমান মাত্র। হয়তো নীলা নাম্বার রেখেছে। লেখিকা ব্যাপারটা জানে না।

গল্প অনেক ভালো লাগলো। অনেক কম চরিত্রের সুন্দর গল্প।

৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:২৫

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তরভাই।
নীলার কাছে সেল নাম্বার ছিলো। কিন্তু সে ভেবেছিলো অযথা কষ্ট না বাড়াতে।
কিন্তু ঐ যে কবিতার মত
তোমাকে ভুলতে গিয়ে মনে করে ফেলি বারবার। ওমনটা হলো

২| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:০০

ফাহিমা আক্তার বলেছেন: অসাধারণ লেগেছে। অনেকাংশ অনেক মানুষের সাথে মিল রয়েছে।

০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:১২

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: অনেকাংশে না আপি। সর্বাংশেই মিল।

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:০৩

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: সেল ফোন নাম্বারের দরকার কী? নীলা তো এমনেই সারাদিন সেল ফোন ছাড়াই ঐ ছেলের সাথে কথা কয়। হয়তো তাতেই নীলা ভালো থাকে। সাড়ে চুয়ত্তর ভাই, হয়তো এই বিষয়টাও লেখিকা জানে না।

০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:১০

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: আমি সব জানি।
কিন্তু এই ফাউল মার্কা লেখা আপনি পড়েছেন তাই আমার লজ্জা লাগতেসে।

৪| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:১৮

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: একটা মানুষের জীবনের সাথে যে গল্পের সর্বাংশে মিল তা ফাউল হইবো কেমনে? আমি ভাই কুংফু পান্ডা আর হুমায়ূন আহমেদের ভক্ত। এত হাইলেভেলের পাঠক না। গল্প সুন্দর হইছে, আফা।

০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:২৩

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: বাকী চাহিয়া লজ্জা দিবেন না আর আমার গল্প ভালা বলিয়াও লজ্জা পাইবেন না।

আসলে এসব আমার খসড়া প্রস্তুত হচ্ছে।

যা মনে আসে লিখি তো আগে।

পরে ভাবা যাবে কি করা যাই এইটারে।


৫| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ১:০৩

স্প্যানকড বলেছেন: বাঙালি অতি আবেগে মরে ! ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।

০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ১:০৪

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: কথা ভুল না। আপনি কিসে মরেন? আবেগহীনতায়?

৬| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ১:৩১

বারবোসা বলেছেন:

লেখা সুখপাঠ্য হয়েছে ।

০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ২:৩৩

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: ধন্যবাদ বারবোসা

৭| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ৩:১৩

স্প্যানকড বলেছেন: আমি মরি না ঘোর কেটে গেছে এখন মারি =p~ ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন ।

০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ৩:৫৭

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: খুনে স্বভাব কবি?

৮| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:২২

স্প্যানকড বলেছেন: কবিতায় ঘুম
কবিতায় গুম
কবিতায় করি চাষবাস
স্বপনের ধুম!

কবিতায় বেঁচে রই
কবিতায় কথা কই
কবিতায় হা হুতাশ
কবিতায় আছি ভালো
হুম !

ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন । :)

০১ লা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৪৬

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: বুঝচি।
গরীবের সুখ মনে মনে। |-)

লিখেন কবিতায় বাঁচেন মরেন মারেন।

৯| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: নীলা নামটার কারনেই পোষ্ট টি পড়লাম।

০১ লা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৩৮

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: নীলা কি আপনার প্রেমিকারও নাম ছিলো নাকি?

আজকেরটাও পইড়েন। আজ বা কাল পোস্ট করে দেবো।

আগাম দাওয়াৎ আপনাকে।

১০| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:০৯

স্প্যানকড বলেছেন: গরীবের সুখ মনে মনে বড়লোকের সুখ কিসে?

০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৫৩

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: ভোগ বিলাসে এবং এক্সট্রোভাট কার্য্যকলাপে। তারা মনে মনে কিছুই লুকায় না। যাহা খুশি তাহাই করে।

১১| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভালো লাগলো গল্পটা। সাবলীল লেখা। প্রতিচ্ছবি শিরোনামটি দারুণ প্রাসঙ্গিক হয়েছে।++
শুভেচ্ছা জানবেন।

০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৫৫

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: ধন্যবাদ পদাতিকভাই। এই লেখা খসড়া প্রস্তুতি। সময় হবে যখন তখনও যদি মনে চায় তো মহাকাব্য রচনা হবে।

১২| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রতিমন্তব্যে আবার আসা। খুব ভালো। খসড়া সম্মানে উত্তীর্ণ। এবার মহাকাব্য রচনায় ঝাঁপিয়ে পড়ুন। অগ্রিম শুভেচ্ছা রইলো।

০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:১৬

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: মহাকাব্য রচনায় আমি অনড় অটল আর তাই যা মনে আসছে তাই নিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়েছি। জীবনে এত শত ঝামেলার মাঝেও প্রানপনে খসড়া রচনায় রত হয়েছি। আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৩| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:২৬

দিমিত্রি বলেছেন: গতকাল লেখাটা পড়েছি। এখন আবার পড়লাম। সুন্দর লেখেন আপনি

০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৩২

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: ধন্যবাদ দিমিত্রি।
এখন লিখছি আরেকটা। লিখতে লিখতে নিজেই হাসছি। এই আরেক জ্বালা হয়েছে। নিজের লেখায় নিজেই হাসা, নিজেই কাঁদা।
গতরাতে আপনাকে বলেছিলাম শ্যাম রাখি না কূল রাখি মানে কি? সেই অবস্থা হয়েছে আমার আর তাই মিনিং নিয়ে সন্দেহ ঘুচালাম।

১৪| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৪৩

একলব্য২১ বলেছেন: তড়িঘড়ি করে এই পর্বটা পড়লাম। বেশ ভাল লিখেছেন এই এপিসোডটা। আরও একবার শান্ত চিত্তে এই পর্বটি আবার পড়বো।

লেখিকা আপনার লেখা আমাকে distracted করে। আমার স্বাভাবিক কাজের ব্যাঘাত ঘটায়। আমি আবার আপনার লেখার খপ্পরে পড়লাম । আবার এক ঘোরে মধ্যে ঢুকে যাবো।

এইজন্য অনেকেই বলে নীলা সবার স্যুট করে না।

১২ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:০৪

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: কার খপ্পরে পড়লেন ভাই?
বুঝতেসিনা কিছু তো।

১৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: শিরোনামটা যথার্থ!
মাত্র তিনটে চরিত্র নিয়ে এত সুন্দর একটা গল্প লিখে ফেললেন! গল্প ভালো লেগেছে। এটাকে সময়ের প্রতিচ্ছবিও বলা যায়।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৬

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: হ্যাঁ সময়েরও প্রতিচ্ছবি। একই বয়সের কিছু চিরায়ত ধর্ম থাকে।

আমি বিশ্বাস করি শুধু জিনগত কারণেই না মায়ের মনে গেঁথে থাকা কোনো অবয়বও সন্তানের আচার আচরণ ও চেহারায় প্রভাব ফেলতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.