নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি যা ভেবেছিলাম। যা বলেছিলাম, যা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তাই করেছিলাম। সব কিছুই স্বার্থপরের মত ছিলো আমার, একচেটিয়া। শুধু নিজের কথা ভাবা। তোমার ভেতরে কি হচ্ছে। তুমি কতটা পুড়ে যাচ্ছো ভাবিনি আমি কোনোদিন। যখন যা ইচ্ছে হয়েছে, খামখেয়ালীপনায় তাই করেছিও আমি। তুমি তার সবই মেনে নিয়েছিলে। কোনোদিন প্রতিবাদ করোনি আমার যে কোনো সিদ্ধান্ততেই। বার বার হারিয়েছি, বার বার ফিরে এসেছিও। তুমি বার বার নির্দ্বিধায় আমাকে টেনে নিয়েছো তোমার বুকের কুঠুরে। একবারও কি ভেবেছো এই হারিয়ে যাওয়া আর বার বার ফিরে আসা এর কারণ কি ছিলো? দ্বিধা দ্বন্দ ভুল বুঝাবুঝির বাইরেও এমন কিছু শান্তি দিচ্ছিলোনা আমাকে কোনোভাবেই, যার কারণে আমি নিজেই স্থিরতায় আসতে পারিনি। আর তাই আমি শেষমেশ তোমাকেই হারিয়ে ফেলতে হয়েছিলো।
একটা ফাটা রেকর্ডের মতো শুধু একি কথা শুনালাম্।
আমি তোমার কাছে আসবো বলে তোমাকেই হারালাম।
শুধু আমার নিজের কথাই ভেবে গেলাম।
অঞ্জন দত্তের এই গান কি আমাদের জন্যই লেখা? আমার তেমনই মনে হয়। তোমার কাছে আসবো বলে তোমাকেই হারালাম। আমি শুধু নিজের কথাই ভেবে গেলাম। আসলেই কি তাই? নিজের কথাই শুধু ভেবেছিলাম আমি? তোমার কথা ভাবিনি একটুও? দ্বিধাদ্বন্দ মান অভিমান, ভুল বুঝাবুঝি। এর মাঝেও সেই আশ্চর্য্য কোমল অদ্ভুত ভালোবাসা। সে মায়াজাল কেটে কি করে গেলাম আমি? আসলেও কি কাটতে পারলাম!
আমি তোমার সাথে অনেক গুলো দিন কাটিয়েছি
তোমার কথা ভেবে তোমার হাতটা ধরে রেখেছি
আমরা কি সত্যি সত্যিই ভালোবেসেছি ?
এই প্রশ্নের কোনো অবকাশ নেই আজ আর। এই যদি সত্যি না হয় তবে মিথ্যে কাকে বলে জানা নেই আমার। এ শুধু সত্যিই না ধ্রুবসত্যি। এ আমাদের ধ্রুব সত্য ভালোবাসা। জনম জনম ধরে অস্পৃষ্যে হাতটা ধরে রেখেছি তোমার। আর অনেকগুলো দিন? দিন, রাত, ঘন্টা প্রহর মাসের পর মাস বছরের পর বছর কারো দিকেই চাইনি আমি। সারা জগত জুড়ে শুধু তখন একটাই মুখ, শুধু একটাই তুমি। শুধু তুমি।
একটা দিন ছিলো একটা দিন একটা বৃষ্টি ভেজা পাহাড়ের মাথায়
ছিলো না ছিলো না লজ্জা ছিলো না কোনো কষ্ট
ছিলো না কিছু হারিয়ে ফেলার ভয়।
একটা রাত ছিলো একটা রাত ছিলো অনিশ্চয়তা হাতে পায়
ছিলো না কোনো আফসোস ছিলো না অপরাধবোধ
ছিলো না সারা শরীরে শংসয়।
সেই পাহাড় আমার হারিয়ে গেলো কোথায়?
শত সহস্র দিন রাত্রী সংশয়বিহীন প্রহর কাটিয়েছিলাম আমরা। সেই বৃষ্টিভেজা পাহাড়ে আমরা ছিলাম অপ্রতিরোধ্য। নীল সাদা স্কুল ড্রেস। বাড়ি ফিরেই এক দৌড়ে তোমার কাছে ছুটে যাওয়া। সেই বৃষ্টি ভেজা পাহাড়ের মাথায়। চিৎকার ডাকে অপেক্ষা শেষে তন্দ্রা ভেঙ্গে উঠে বসা তুমি রাখাল বালক। সারাদিনের গল্প বলে চলা মুখের পরে মুগ্ধ দৃষ্টি মন্ত্র বালক! অনর্গল কথার ফাঁকে একটু আধটু হু হা। সবুজ ঘাসের বিছানায় একসাথে আকাশ দেখা। সেই আকাশ আমাদের কোথায় হারালো?
এখন টেবিল ল্যাম্পের আলো এখন আমাদের সেলফোন
ঘুরে ফিরে একি এসএমএস স্বান্তনাও তেমন।
এটাই তোমার”আমাদের জীবন।”
হ্যাঁ এটাই জীবন। হারিয়ে ফেলা জীবনের একটুখানি ছায়া। একটুখানি সান্তনা। এটাই জীবন এটাই এখন আমাদের জীবন।
ধরো আমি চলে যাবো শুধু হাতে রয়েছে একটা রাত
সেই একটা রাতের বদলে খুঁজে পাবো সেই আমাদের পাহাড়
সেই একটা রাতের জন্য আবার।
সেই পাহাড়টা খুঁজে পেতে সেই একটা রাত আসলেই বড় দরকার আমার। হোক সেটা জীবনের শেষ দিন। তবুও শেষবারের মত হলেও
পাহাড়টাকে দেখতে চাই আমি আবারও একটাবার। সেই একটা রাতের জন্য আবার। সেই একটা রাতের বদলে নিশ্চয়ই খুঁজে পাবো আমাদের সেই পাহাড়।
সেই একটা রাতের বদলে আমি কি আমাদের ফিরে পাবো ?
সেই একটা রাতের পর সারা জীবন একা কাটাবো?
সেই একটা রাতের পর
বাঁচবো…….?
অনেক গুলি প্রশ্ন বয়ে চলে বুকের গভীরে। সান্তনা খুঁজে ফেরে। উত্তর জানা নেই। তবুও মনে হয় এই একটা রাতের বড় দরকার আমার। তারপর মৃত্যু বা বেঁচে থাকা কোনোটাতেই আপত্তি নেই আর ......
১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:০৩
ইন্দ্রনীলা বলেছেন: প্যাচ আবার খাবে কি?
ঘটনারে এক যুগ ধরে প্যাচ খাওয়াতে খাওয়াতে আমি নিজেই পেঁচা হয়ে গেছি।
এই প্যাচ হইলো খোলা প্যাচ। রোজ লাগে রোজ খুলে ...... প্যাচের আর মান সন্মান নাই!
মানে রাখলাম না আমি।
প্যাচ নিজেই বিরক্ত হয়ে গেছে আমার উপরে।
২| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৭:০৮
বিজন রয় বলেছেন: যেন বিলুপ্ত সভ্যতায় অনুপ্রাণ স্পর্শ, যেন বিলুপ্ত অনুভবের প্রান্তিক মায়াযোগ।
ভাল লিখেছেন আপনার অনুভব।
১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:০৬
ইন্দ্রনীলা বলেছেন: না ভাই সাইকিয়াট্রিস্ট লাগবে আমার।
মাথার ভেতরে এলোমেলো প্যাচ লেগে গেছে। দেখলেন না প্রথম কমেন্টে ভাই ঠিকই ধরে ফেলছে।
চিকিৎসার পর অবশ্য আর কাব্য বের হবে না।
অনুযোগ মায়াযোগ সব বিয়োগ হয়ে যাবে।
ঘটনা হলো আমি চিকিৎসা নেবো কিনা?
আপনি কি বলেন?
৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:১০
শেরজা তপন বলেছেন: অঞ্জনের কোন গান? এই জীবনে তার কোন গান বাদ দিয়েছি মনে হয় না- এই লিরিক্সের কোন গানতো শুনিনি মনে হয়
তবে লিখেছেন বেশ ভাল
১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:০৭
ইন্দ্রনীলা বলেছেন: এই লিরিক্স এই লিরিক্সই । দাঁড়ান আমি লিন্ক দিচ্ছি একটু পরে এসে।
শোনেন নাই কারণ অঞ্জন দত্ত এই গান রিসেন্টলি আমার জন্য লিখছে তো তাই। উনি ইন্দ্রনীলার স্বপন ভাই।
১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:২৫
ইন্দ্রনীলা বলেছেন: আমি তোমার কাছে আসবো বলে তোমাকেই হারালাম
এই নেন শুনেন.....
৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:১৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খাম খেয়ালি আর স্বার্থপরতার জন্য আম, ছালা সব গেলো মনে হয়। এখন চোখের পানি, নাকের পানি এক জায়গায় হয়ে যাচ্ছে। কবিতা নির্গত হচ্ছে অনর্গল বানের পানির মত।
সকল খামখেয়ালীপনা বিনা প্রতিবাদে মেনে নিয়েছে। তার মানে ছেলেটা মফিজ টাইপের ছিল মনে হয়। নায়িকা তারে নাকে দড়ি দিয়া ঘুরাইত। এখন ঘুরানোর লোক নাই তাই এতো কান্নাকাটি। ধরতে পারলে আবারও নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরাতে পারে।
জনম জনম হাত ধরে রাখার পরও কেমনে চলে গেলো, বুঝলাম না। কাঁঠালের আঠা দিয়ে দুইজনের হাত বেঁধে রাখা দরকার ছিল।
প্রেম করার জন্য পাহাড়-জঙ্গলে রাতের বেলা না গিয়ে দিনের বেলা অন্য কোথাও যাওয়া উত্তম। ধরা পড়লে মানুষে ছ্যাচা দেবে কিন্তু। তবে ছেলেটা মনে হয় নায়িকার ভয়ে পলাইয়া আছে। যে ভুল জীবনে একবার করসে, দ্বিতীয়বার সেই ভুল সে করতে চায় না।
এই প্রেম তো পরীমণি আর সাকলাইন শিথিলের প্রেমকে হার মানায়। কেক খাওয়ার দৃশ্যটা জোস ছিল।
১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:১৮
ইন্দ্রনীলা বলেছেন: সারারাত দুঃখের জলে ভাসতে ভাসতে এই লেখা লিখিলাম
আর এখন এই কমেন্ট পড়িয়া হাসিতে হাসিতে মরিলাম।
আমি কি পাগল সত্যিই হইলাম!
একবার কাঁদিলাম আবার হাসিলাম!
অঞ্জন দত্তের স্টাইলে গান লিখিলাম। গান খানা কেমন হইলাম?
ভাইজান ২০ বছর আগের মফিস মনে হইতাসে প্রতিশোধ নিতে আসছে। এখন মফিসারে নাকে দড়ি আর চোখে টিস্যু দিয়া রাত বিরাইতে কাঁদাইতাসে। কারণ এখন সে আর অবোধ বালক নহে। মফিসারে প্রতিশোধের আগুনে পুড়াইতে সুই হইয়া ঢুকিয়াছে।
জনম জনম কাঁঠালের আঠাখানা অস্পৃশ্যে ছিলো তাই ইলাসটিকের মত একটু ঢিলা হয়ে গেছিলো আর কি মানে ঢিলা করে দিসিলাম। আবার ছুটে আসছে ইলাসটিক। সিজার লাগবে। এন্ড একশন কাট।
না না দিনে রাইতে কোথাও কি বিশ্বাস আছে ভাই? পরিমনিরে দেইখাও বুঝি শিক্ষা হইলো না? এত বোকা কেন আপনে? নাকি ইচ্ছা কইরা বদ বুদ্ধি দিয়া আমারে ফাসানোর চেষ্টা?
আর বেটা পালাইলে তো ভালা আছিলো। ইলাসটিক ছুইটা আসছে কই থেকে যে। আল্লাহ এই ছিলো মনে? প্রতিশোধ প্রতিশোধ।
পরিমনি আর সাকলায়েন কি লাইলী মজনু শিরি ফরহাদ রোমিও জুলিয়েটও ফেইল ভাই।
শুধু কেউ লিখলো না তাই জানলো না।
৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:২০
ঝুমুর জারোফা বলেছেন: স্পর্শ পাওয়ার অপেক্ষায় আজ প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার অবস্থা
১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:১৯
ইন্দ্রনীলা বলেছেন: হ্যাঁ আপা। ঠিক বলছেন। আমি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছি।
৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:১১
বিজন রয় বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে আমি কি মন্তব্য করেছি আর আপনি কি প্রতিউত্তর করলেন!!!
দুঃখিত, আমি আমার মন্তব্য দিয়ে আপনার এই লেখার মর্যাদা দিতে পারিনি অথবা আপনাকে বোঝাতে পারিনি।
১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:২০
ইন্দ্রনীলা বলেছেন: ভাই মাথায় প্যাচ খাওয়া মানুষ কি লিখে কি বলে সে কি জানে? সে কি বুঝে?
আমি বুঝে নাই জ্ঞানে নাই।
দুঃখে আছি
কষ্টে আছি।
আমারে মর্যাদা দিয়ে লাভ নাই।
তবুও দিসেন তাই ধন্যবাদ জানাই।
বিজন রয় ভাই।
১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:২৮
ইন্দ্রনীলা বলেছেন: আপনার জন্যও একটা গান দিলাম
৭| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম অনুচ্ছেদটা পড়ার সময় ভাবতেও পারিনি যে শেষে এসে সবকিছু এমনভাবে 'প্যাচ খাবে'! এই অনুচ্ছেদের শেষ বাক্যটিতে বোধকরি 'আমি' শব্দটা 'আমাকে' হবে।
অঞ্জন দত্ত এর গানের লিরিক্স এর সাথে গল্পটাকে খুব সুন্দর করে মিলিয়েছেন। কিংবা হয়তো বা অঞ্জন দত্তই আপনার গল্পের সাথে মিলিয়ে গানটি লিখেছেন।
'সংশয়' শব্দটা দু'বার এসেছে। পরেরবার শুদ্ধ বানানে লেখা, কিন্তু প্রথমটা ভয়ঙ্কর রকমের দৃষ্টিকটু। আশাকরি সময় করে সম্পাদনা করে নেবেন।
পোস্টে তৃতীয় ভাললাগা। + +
৩০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:২৫
ইন্দ্রনীলা বলেছেন: গানটা শুনেও আমার মাথায় প্যাচ খেয়েছিলো। আমাদের গল্প গাইলো কিভাবে?
আমারও মনে হয়েছে আমাদের জন্যই লেখা আর গাওয়া এই গান।
ওহ প্রথমটা আমি লিখিনি।
ওটা গানের লিরিক। ওভাবে লেখা ছিলো।
পরেরটা আমার লেখা।
জানিনা শং দিয়ে আরও কোনো মিনিং আছে কিনা। তবে এই দোষ একেবারেই আমার না। আমি সংশয়ে থেকে থেকে সংশয় বানান এক্সপার্ট হয়ে গেছি।
এটা লিরিক যে লিখেছে নেটে তার ভুল। সেখান থেকে কপি করা।
৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৪৪
মিরোরডডল বলেছেন:
সেই পাহাড়টা খুঁজে পেতে সেই একটা রাত আসলেই বড় দরকার আমার। হোক সেটা জীবনের শেষ দিন। তবুও শেষবারের মত হলেও পাহাড়টাকে দেখতে চাই আমি আবারও একটাবার। সেই একটা রাতের জন্য আবার। সেই একটা রাতের বদলে নিশ্চয়ই খুঁজে পাবো আমাদের সেই পাহাড়।
পায়নি বলেই পাবার এই আকুতি, হারায়ে খুঁজি ।
বেটার নট টু গেট ইট, আপুটা
তাহলেই এই আকর্ষণটা থাকবে, আর এর মাঝেই ভালোলাগা ।
৩০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:২৬
ইন্দ্রনীলা বলেছেন: আমারও এমনটাই মনে হয় পেয়ে গেলে সব হারিয়ে যায়।
তাই না পাওয়াই ভালো।
না পাওয়াতেই অনেক পাওয়া লুকিয়ে থাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৪:৫২
স্প্যানকড বলেছেন: বুঝছি ঘটনা প্যাঁচ খাইছে ! জলদি ঠিক করেন নইলে কিন্তু গেছেন