নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীও একদিন হয়ে যাবে শেষ আমাদের প্রেম তবু হবে নাতো ক্ষয়

ইন্দ্রনীলা

ইন্দ্রনীলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আকাশে সূর্য্য আছে যতদিন, তুমি তো আমারই আর কারো নও

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৫০

আকাশে সূর্য আছে যতদিন
তুমিতো আমারই, আর কারও নয়

গানটা প্রায়ই শুনি। আজও শুনছি। আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে বলতে গেলে রোজই শুনতাম। সিডিতে বা প্লেয়ারে বা মনে মনে গুন গুন করতাম সারাটাক্ষন।এই গানের রেশ জড়িয়ে থাকতো আমার হৃদয়ে অষ্ট প্রহর সারাবেলা। যাকে উদ্দেশ্য করে বা যাকে নিয়ে এই গানের রেশ আমার হৃদয়ে সুরভী ছড়াতো তার হৃদয়েও হয়ত ছুঁয়ে যেত এই গানের কথাগুলো একইভাবে। তবে সে ছিলো স্বল্পভাষী এবং ভীষন রকমের অন্তর্মুখী স্বভাবের একজন মানুষ। আর সে বাংলা গান তখন খুব একটা পছন্দও করতো না তার পছন্দের ছিলো যত রকম ইংলিশ বা হিন্দী উর্দু গানগুলিই। বাংলা গান তার মনে তখন একটু বিরক্তিরই সৃষ্টি করতো হয়ত তা তার আচরনে আমি ভালোই আঁচ করতে পারতাম। কিন্তু সে আমাকে কখনও কিছুতে কষ্ট দিতে চাইতো না তাই কিছু বলতোনা, চুপ করে শুনতো আমার এই গান । অপছন্দ স্বত্বেও যে এই চুপ করে থাকাটা সেও আমি খুব ভালো করেই জানতাম। আমি ছাড়া আর তার মনের খবর আঁচ করতে বা পুরোটাই জানতে পারবেই বা কে আর?

হ্যাঁ আমার ধারনা দূরে থেকেও হৃদয়ের অনেক কাছাকাছি বা একদম মনের গভীরে যদি কেউ কারো প্রবেশ করে ফেলতে পারে সে ছিলাম আমরা দুজনা। দু'জন দুটি প্রান্তের কৈশোর পেরিয়ে তারুন্য ছোঁয়া মানব মানবী। আমরা ছিলাম নেট জগতের আদিম যুগের প্রথম প্রজন্ম। টেলিফোনের তার জুড়ে কার্ডের নাম্বার ভরে তখন ইন্টারনেটে লগইন করতে হত। আজকের ছেলেমেয়েরা যে হাতে হাতে ফোন নিয়ে ঘুরছে। কথায় কথায় অডিও বার্তা ভিডিও বার্তা পাঠাচ্ছে তা কিন্তু মোটেও সম্ভব ছিলো না আমাদের সেসব দিনে। কত কীর্তি কান্ড করে কার্ড নিয়ে আসতে হত। সবখানে পাওয়াও যেত না সেসব কার্ড। তারপর মায়ের চোখ রাঙ্গানী সহ্য করে কার্ড কিনতে পারা বা মনিটরে বেশিক্ষন বসে থাকা নিয়ে গঞ্জনা সহ্য করা সেসব তো ছিলোই। তবুও আমরা এই পৃথিবীর সকল লাঞ্ছনা গঞ্জনা সহ্যকারী একাত্ম প্রাণ দুটি মানব মানবী সহ্য করে নিতাম সবকিছুই দুজনে দুজনের জন্য।

সে যাইহোক বলছি সেই আশ্চর্য্য এক ভালোবাসার গল্প। যে ভালোবাসা শুরু হয়েছিলো সুদূর অতীতে তবে তার শেষ কোথায় আজও জানিনা আমরা। প্রায় দুই যুগ আগে ইন্টারনেট দুনিয়ার সেই অজানা গ্রহে প্রবেশকারী এমনই দুজন বালক বালিকার দেখা হলো একদিন। সেই পরাবাস্তব জগতের অন্তর্জালে একে অন্যের সেই মোহময় নীল জানালায় উঁকি দিয়ে তাদের সে কি অবাক বিস্ময়! একে অন্যের দিকে চেয়ে প্রথম দেখাতেই মুগ্ধ হলো। মেয়েটার মনে হলো এই বুঝি সেই স্বপ্নের রাজকুমার যে ঠিক তার মনের মত সকল উপকরণে গড়া। ছেলেটার কি মনে হয়েছিলো জানিনা তবে মেয়েটার মনের খবর তো আমি জানি।মেয়েটা বললো-

-আচ্ছা তোমার নাম কি? ছেলেটা বললো-
- এ্যাডি।
- এ্যাডি এটা আবার কেমন নাম?
- এ্যাডি মানে আদিত্য। তার থেকে ছোট করে এ্যাডি
-বাহ! খুব সুন্দর নাম। আচ্ছা আদিত্য মানে কি?
- আমি কি জানি? যে রেখেছে তাকে জিগাসা করে দেখো।
- আরে আমি তাকে কোথায় পাবো? কে রেখেছে তোমার নাম?
- বাদ দাও আমার নামের কথা। তোমার নাম কি?
-শেহনীলা
- হুম। রাগ লাগলো মেয়েটার। এত সুন্দর একটা নাম শুনে কেউ শুধু হুম বলে? মেয়েটা বললো তুমি কি করো?
- স্টাডি এন্ড বিজনেস।
- বাপরে! স্টাডি করা বয়সেই বিজনেস!
- হুম বিজনেস। কেনো? করা যাবে না নাকি?
- না যাবে। কিন্তু আমি দেখিনি।
- তুমি কি করো? কিসে পড়ো?
- ধ্যাৎ পড়ালেখা তো আমার ভালোই লাগেনা।
- কি বলো! তাইলে কি ভালো লাগে?
- নাচতে।
- নাচতে! (এমন আশ্চর্য্য কথা মনে হয় জীবনেও শোনেনি ছেলেটা। আর মেয়েটা তো তার আৎকে ওঠা দেখে হাসতে হাসতেই শেষ।)
- হ্যাঁ নাচতে, আঁকতে, গান গাইতে শুধু লেখাপড়াটাই আমার ভালো লাগেনা জানো?
- আরে কি বলছো এসব? লেখাপড়া তো করতেই হবে .. নইলে......এভাবেই শুরু...... তারপর রোজ রোজ প্রতিদিন।

তখন মেয়েটার দীর্ঘ ছুটি চলছিলো। সকলা ৯টা বাঁজতেই মা অফিসের উদ্দেশ্যে বের হলেই দৌড়ে গিয়ে মনিটর অন। মেসেঞ্জারের নীল জানালায়-
- এ্যডিই ই ই ই ই
- হুম। বলো। আছি তো
প্রায় সাথে সাথেই ও প্রান্ত থেকে জেগে উঠতো এ্যডি নামের ছেলেটি। মেয়েটা খুবই অবাক হত! এই ছেলে কি ঘুমায় না! সে নাাকি বিজনেস করে? পড়ালেখাও! তাহলে অষ্টপ্রহর ডাকলেই সাড়া দেয় কি করে! এমনই নানা প্রশ্ন তখন মেয়েটার মনে।
- আচ্ছা তুমি ঘুমাও না?
- ঘুমাই তো।
- যখনই ডাক দেই তখনই কিভাবে জানতে পারো? তুমি কি ২৪ ঘন্টাই অনলাইনে থাকো নাকি? তুমি কখন কাজ করো? কখন পড়ালেখা? ছেলেটা চুপ। মেয়েটা অস্থির হয়ে ওঠে কথা বলো না কেনো? বলো না?
- কি বলবো?
- কি করে সব সময় আমি ডাকলেই সাড়া দাও?
- তোমার জন্য
- আমার জন্য?
- হুম তোমার জন্য অপেক্ষা করি আমি
চুপ করে যায় মেয়েটা। লজ্জায় লাল হয়ে যায় এ প্রান্তে। ছেলেটা মনে হয় দেখতে পায় না। নাকি পায়? জানিনা আমি। শুধু জানি রিনরিনে এক সুখের স্রোত বয়ে যায় বুকের গভীরে। সেই অনুভূতির প্রকাশ কি করে করে বা কোন ভাষায় লেখে এটাও জানা নেই আমার। আসলে মনের অনুভূতি কি করে ভাষায় লেখে আজও জানাই হলো না আমার।
- আচ্ছা তুমি কি খেয়েছো?
- কফি
- শুধু কফি? অবাক হয় মেয়েটা
- হুম শুধু কফি
- কেনো আর কিছু খাওনা?
- না শুধু কফি খাই? আর চিকেন। মাছ বা সব্জী কিছুই খাইনা আমি
- সে কি? মেয়েটারও শুধুই চিকেন ভালো লাগে মাছ বা সব্জী খেলে বমি পায় কিন্তু ভয়ংকর রাগী মায়ের উপরে কথা বলার সাধ্য আছে!মেয়েটা বলে-
- জানো আমিও একদম মাছ আর সব্জি খেতে ভালোবাসিনা কিন্তু আমার মায়ের ভয়ে কিছুই করার নেই।
- কেনো ? ভয় কিসের?
এই প্রশ্নে মেয়েটার মুখ মলিন হয়ে যায়। ছেলেটা মনে হয় বুঝতে পারে। বলে ঠিক আছে বলতে হবেনা একটা গান শোনাও তো-

মেয়েটার লজ্জা লাগে। সে গান শোনাতে পারে না বা কোন গানটা শোনাবে খুব সুন্দর খুব প্রিয় সেই গানটাই খুঁজে পায় না। ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে যায় আবোল তাবোল কথার পিঠে কথা দিয়ে। শুরু হয় এই পৃথিবীর নেভার এন্ডিং এক আশ্চর্য্য লাভস্টোরীর পৃথিবীর দুটি প্রান্তে তাদের নিজেদের অজান্তেই। মেয়েটার মনে হয় এই বুঝি তার স্বপ্ন দিয়ে গড়া এক স্বপ্নের রাজকুমার আর ছেলেটারও মনে হয় হয়ত ওমন কিছুই। ছেলেটা জানতে চায়,
- তোমার বার্থডে কবে?
- অগাস্টে। তোমার?
- আমারও অগাস্টে......
-আরে কি বলো ? তুমি আর আমি তো একই রাশির তাহলে। তাই তো তোমাকে আমার এত ভালো লাগে। বলেই লজ্জা পায় মেয়েটা হয়ত চুপ করে যায়। আর ছেলেটা হয়ত মনে মনে হাসে। কে জানে? ছেলেটা বলে, গান শোনাও। মেয়েটা গান খুঁজে পায় আজ মনে মনে-
আকাশে সূর্য আছে যতদিন
তুমিতো আমারই, আর কারও নয়,
তুমি তো আমারই আর কারও নয়


রাত ছাড়া চাঁদ নেই নদী ছাড়া ঢেউ
তুমি কার জানিনা তো আমি ছাড়া কেউ
ফুটবে একটাও ফুল যতদিন
তুমি যে আমার যেন, এই মনে হয় !!

কথা ছাড়া সুর বলো আসে কাছে কার?
তুমি ছাড়া আমার কে আছে আর?
পৃথিবীও একদিন হয়ে যাবে শেষ
আমাদের প্রেম তবু হবেনা তো ক্ষয় !!

গান শেষে চুপ করে থাকে দুজনেই। চোখ দিয়ে জল পড়ে মেয়েটার। ছেলেটা বলে,
- লাভ ইউ নীলমনি...

মেয়েটা জল ভরা চোখে হা করে তাকিয়ে থাকে...
তার চোখ দিয়ে জল পড়া বন্ধ হয়ে গেছে.....

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:১৬

মিরোরডডল বলেছেন:



প্রেমে পড়লে এরকম কতকিছুই যে হয় ।
আর অল্প বয়সের প্রেম হলেতো কথাই নেই, সব কালারফুল !!!
ভুলটাও ততই বেশী হয় ।

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:২০

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: ভালোবাসায় কোনো ভুল নাই।

সেই রুপকথাময় ভালোবাসা কোথায় পাবো আর?

ভুলগুলো সব ফুল হয়ে ফুটে থাকুক। ফুটে থাকে।

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৪৬

মিরোরডডল বলেছেন:




ইউ আর রাইট, ভালোবাসায় ভুল নেই ।
এটা ঠিক ততক্ষন, হোয়েন ইউ আর ইন লাভ । সে সময় সবকিছুই মধুর ।

একটা সারটেইন সময়ের পর মোহমুক্তি হয়, নট অলওয়েজ বাট মোস্ট অভ দ্যা টাইম ।
তখন অনেকসময় মনে হয় কতো সিলি ছিলাম । এমনটা না করলেও হতো ।

সবকিছুর মাঝে যেমন ভালো মন্দ থাকে, ভালোবাসা সম্পর্ক এগুলোও তার বাইরে না ।
এর মাঝেও ভুলত্রুটি হয় । সময়ের সাথে এর প্রকাশ হয়, তখন সম্পর্কটা আর সামনে এগিয়ে যায়না ।
তানাহলে লাইফে একবারই ভালোবাসা আসতো । কিন্তু বাস্তবে সেটা কি হয় !

Love is an ongoing event.
Life goes on.
We fall in love in so many times in so many different shapes.
সব ভালোবাসাই সত্যি কিন্তু রূপগুলো ভিন্ন । স্বাদ, ঘ্রাণটাও ভিন্ন ।

এনিওয়ে আপুটা, ইউ নো আই লাইক ইউর রাইটিং ।
সামনে আরও লাভ স্টোরি চাই ।

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৫৬

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: এইটাই সেই ভালোবাসা।
যেই ভালোবাসায় মোহমুক্তি হয়নি। হবেও না হয়ত কখনও কোনোদিন। কিছুদিন খসড়া লিখছিলাম। আজ থেকে মন দিয়ে লিখবো এই নেভার এন্ডিং লাভস্টোরী।


ইউ আর রাইট, ভালোবাসায় ভুল নেই ।
এটা ঠিক ততক্ষন, হোয়েন ইউ আর ইন লাভ । সে সময় সবকিছুই মধুর ।

পৃথিবীর যেই ভালোবাসাই ছুটুক আর না ছুটুক। এই ভালোবাসা থেকে মনে হয় ছোটা হলোনা আর আমার জীবনে।

আমারও মনে হয়েছিলো একটা সময় কত সিলি ছিলাম। কি যে করতাম সব আবোল তাবোল কাজ। যেন একটুও না রেগে যাই তাই বানায় ছানায় কত কিছু উল্টা পাল্টা বুঝাতাম। যেন একটুও কষ্ট না হয় তার তাই মিথ্যে করে হলেও তাকে বুঝানোর চেষ্টা করা তারপর ধরা খাওয়া।

হা হা এতগুলো দিন পর এসে সেসব নিয়ে হাসি। কিন্তু আমরা জানি কেনো সেটা করেছিলাম। পৃথিবীর সব দুঃখ কষ্ট বেদনা ক্ষোভ রাগ থেকে সব কিছু থেকেই শুধু নিজেদের জন্য ভালোবাসার এক ভূবন গড়ে তোলা।

হ্যাঁ ভুলত্রুটি তার মাঝেও থেকে যায়। মানুষ তো। তাই ঐ অপরিপক্ক বুদ্ধির ভালোবাসা। কত আর সইবে। আজ জানি কোথার কার ভুল ছিলো। তবুও ভুলগুলো আমরা কেউ মনে রাখিনি। মনে রেখেছি শুধুই আমাদের ভালোবাসার ইতিহাসটুকুই।

আর তাই লিখছি। লিখছি সেই ইতিহাস।

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৩১

একলব্য২১ বলেছেন: ওয়াও! ডাবল ধামাকা। হা হা হা।

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৪৫

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: ভাই ভালো আছেন?

৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার জীবনে ভালোবাসা এসেছিলো? আপনি সেটাকে যদি অনুভব করে থাকেন, তা' গল্পে প্রকাশ করতে পারবেন বলে বিশ্বাস করেন?

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৪৮

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: আপনার কি মনে হয়?

পারবো না?

আপনি গুরুজন আপনার মনে হওয়া জেনে নিয়ে ভেবে দেখি পারবো কি পারবোনা।


মানে আপনি উৎসাহ দিবেন কি দিবেন না।

মানে আপনার জীবনেও প্রেম এসেছিলো কি আসে নাই?

আপনি কি ভেবেছিলেন তা গল্পে প্রকাশ করতে পারবেন কি পারবেন না।

নাকি ভেবেছিলেন গোপনেই রাখবেন।

নাকি ভেবেছিলেন এইসব ছাতামাতা কোনো জাতি ও জগতের কাজে আসে কি আসে না?

মানবপ্রেম এক ফালতু ব্যাপার। অপরিনত মস্তিস্কের কাজ কি কাজ না?

মাথায় কত প্রশ্ন এসে গেলো আমার একখানা প্রশ্ন থেকে।

এখন আপনিই বলেন।

আমি কি পারবো?

৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫১

কামাল১৮ বলেছেন: ভালোবাসা একটা আবেগের বহিঃপ্রকাশ।সেই সাথে জড়িয়ে আছে কিছু স্বার্থ।মানবিক হলে আর অতিরিক্ত ভালোবাসার দরকার নাই।

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৪৯

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: মানবিক ভালোবাসা মানে ঐ মামুনুরের মত নাকি?

মানবিক ভালোবাসা কি ভাই?

আমি মানবিক বউ এর কথা শুনেছিলাম।

এখন তো মাথায় জট পাকায় যাচ্ছে।

৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৩৩

কামাল১৮ বলেছেন: মানুষের সহজাত প্রবৃদ্ধি হলো মানবিক।আর মামুনুলের মানবিক হলো ইসলামী মানবিকতা।যেটা পালন করে অমানুষরা।

৩১ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ২:৩৫

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: এই মানবিক ভালোবাসা আমার মাথার উপর দিয়ে গেলো।

মানবিক ভালোবাসা বলতে বুঝেছিলাম মানুষের জন্য মানবতার জন্য ভালোবাসা।

সেটা অন্য প্রেম। যা জগতের জন্য দরকারী এবং উপকারী।

কিন্তু আমাদের প্রেম শুধু দুজনের জন্যই ছিলো। তাতে জগত সংসারের কোনো ক্ষতিবৃদ্ধি হয়নি।

তবে আমাদের সেই অক্ষয় প্রেম নিয়ে মহাকাব্য রচনা করেও কারো কোনো ক্ষতিবৃদ্ধি হবে না। এ শুধু নিজের সাথে নিজের প্রলাপ।


মানুষের সহজাত প্রবৃত্তিতে যে প্রেম সেই প্রেমকে মানবিক বলা হয় না।

ইসলামী মানবিকতাও খারাপ না। তবে চার বিয়ে ব্যাপারটা খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ নয় এ যুগের সমাজে।

৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০২১ ভোর ৫:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



সলিলকি তথা মনে মনে না হয়ে
ছেলেটি যদি সত্যিই বলত-
লাভ ইউ নীলমনি
তাহলে মেয়েটির চোখ দিয়ে
জল পড়া ঠিকই বন্ধ হয়ে যেতো।
তবে এখন অবস্থা দেখে মনে হয়
মেয়েটির চোখেও আর জল নেই
যা দিয়ে হৃদয়ের উত্তাপ নিভাতে পারে ।
তাইতো গানে কবিতায় বলে
সখি ভালবাসা কারে কয়
সে কি কেবলি যাতনাময়।
তবে কামনা করি সকল যাতনার
অবসান হয়ে মিলন ঘটুক শেষকালে।

গল্প সুন্দর হয়েছে
ভাল লাগল পাঠে ।

শুভেচ্ছা রইল

৩১ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:০১

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: ছেলেটি তো সত্যিই বলেছিলো।

স্টিল আছে।
সেই ভালোবাসা অক্ষয়।
অনেক ধন্যবাদ আলীভাই।

৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক দিন এমন মিষ্টি প্রেম কাহিনী পড়িনি। ছোটবেলার প্রেম একদম খাঁটি হয়। খুব ভালো লেগেছে লেখাটা।

৩১ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:০২

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: খুব কি ছোটবেলা?

তখন তাহার ২১ বছর বোধহয়। আমি তখন অষ্টাদশীর ছোঁয়ায়।

৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ছেলেটার বয়স ২১ বছর বোধ হয়। আর ১৮ বছর ছোঁয়া মেয়েরা তো লজ্জা জড়ানো ছন্দে কাঁপে। ভয়ের কাছে ওরা ধরা পড়ে যায়।
তাদের গোপন প্রেম কখন যে গোপনে ঝরে যায় আর তারা এক সময় দূরে সরে যায়। ফুলের ঝুড়ি থেকে মালা ঝরে গেলে মালা কি গাঁথা যায়???

প্রেমিকা প্রেমিককে বলছে 'আমাকে ভেবেছ পথের কাঁটা। তোমার মত করে তো বলতে পারিনি। জলছবি ভেবে ভুল করেছিলে, ভালোবাসা সে তো নয়' !!!

ওনাকে বলা হতো উনি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের আধুনিক সংস্করণ। বম্বেতেও ভালো একটা জায়গা করেছিলেন। হেমন্তর সাথে পর্যন্ত গান গেয়েছেন।

খুব ছোটবেলা না তবে বড় বেলাও না! ১৮ বছরের মেয়ে আর ২১ বছরের ছেলে খুব বেশী কিছু বোঝে না, প্রেম করাটা ছাড়া। :)

লেখাটার তো সংস্কার করা হয়েছে। তাই হিসাব মিলাতে একটু কষ্ট হয়েছে। :)

এটা পড়ে আমার মনে হচ্ছে আমার বয়স এখন ২১ বছর বোধ হয়। :)

৩১ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৪৩

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: নেক্সট ওয়ান পড়েন।
হয়তো বা নেক্সটটা পড়ে এইটায় কমেন্ট দিয়েছেন।

কি সংস্কার নাইলে বুঝলাম না।

১০| ৩১ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জি না। :) আমার যতো দূর মনে পড়ছে যে কিছু দিন আগের পোস্টে কিশোর আর কিশোরীর প্রেম ছিল। এটা সেটারই আধুনিক সংস্করণ। ওখানে কিছু মন্তব্য করেছিলাম। আমার ভুল হতে পারে। দুই পোস্টকে এক করে ফেলেছি হয়তো।

৩১ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৪৯

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: হা তাই হবে।

কারন সব লেখারই পাত্র পাত্রী দুজনই।

অবশ্য আমি নিজেও ভুলে গেছি কি লিখেছিলাম।

মনে করাতে হবে।

১১| ৩১ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার আগের একটা পোস্ট প্রতিচ্ছবির সাথে গুলিয়ে ফেলেছি। সরি!!! :) নতুন করে মন্তব্য করবো ইনশাল্লাহ।

৩১ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫০

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: স্যরি হবার কিচ্ছু নেই।

একটু গোলেতালে পড়ার সম্ভাবনা আছে আগের গুলোর সাথে মিলালে।

তবে এই পর্বের পর থেকে সব জলবৎ তরলং হয়ে যাবে।

কারণ সিরিজ স্টার্টেড।

১২| ৩১ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গান শোনা শেষে মেয়েটার চোখে জল এলো কেন? বুঝতে পারিনি। প্রেমে পড়লে তো মুখে সব সময় হাসি থাকার কথা!

৩১ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫২

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: মেয়েটা একটু ছিঁচকাদুনে ছিলো বটে।

তার আবেগের বহিপ্রকাশ একটু গাইঁয়া প্রকৃতির।

কথায় কথায় কাঁদে।

কেউ বাসা থেকে চলে যাবার সময় কাঁদে

কেউ মাইর দিলেও কাঁদে।

কেউ বকা দিলেও কাঁদে।

একদমই ভাঁজা মাছটাও উলটে খেতে পারে না।

এমনই নেকা।

সেটা খেতেও পারলে ্উনি ঐ ছেলেকে ডাকে আরকি ।

শুধু মায়ের পিটনার ভয়রে ডাকতে পারে না।

১৩| ২২ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভালোবাসার গল্প, ভালো লেগেছে।
আর লিখছেন না কেন?

১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৩:০৩

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস। আর লেখার সময়ই পাইনি। কিন্তু আমার মন তো সারাক্ষনই লিখে চলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.