নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীও একদিন হয়ে যাবে শেষ আমাদের প্রেম তবু হবে নাতো ক্ষয়

ইন্দ্রনীলা

ইন্দ্রনীলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীও একদিন হয়ে যাবে শেষ আমাদের প্রেম তবু হবে নাতো ক্ষয়

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৩

আমি ছিলাম ভীষন একটা ভীতু মেয়ে। মায়ের ভয়ে কুঁকড়ে থাকা ভীতুর এক ডিমকন্যা। হ্যাঁ এমনই ছিলাম আমি আসলেও। ভীতুর ডিম বলে যদি কিছু থেকে থাকে পৃথিবীতে তবে আমি তারও বাচ্চা বা কন্যাই ছিলাম। আমার নিজের কোনো ফোনও ছিলো না তখন। কি অত্যাচারেই না ছিলাম আমি সেসব দিনে। ফোন দিলে মেয়েটা নষ্ট হয়ে যাবে, পড়ালেখা করবে না। কার না কার পাল্লায় পড়বে, কাকে না কাকে ফোন দিয়ে প্রেম শুরু করবে এমনই নানা রকম সন্দেহে ফোন না নিয়েই কাটাতে হত আমাকে। কিন্তু এত কড়াকড়ি খবরদারী, নজরদারীর পরেও কোনো লাভ হলো না। চারিদিকে এত আয়োজন নজরবন্দী দশা থেকেও র‌্যাপুঞ্জেলের মত টাওয়ারে বন্দী করে রেখেও কেউ আমাকে পারলো না রক্ষা করতে। আমার স্বপ্নের রাজকুমার ঠিকই চলে এলো আমার একটি মাত্র বদ্ধ জানালায়। টোকা দিয়ে ঘুম ভাঙ্গালো।

তখন তো টি এন টি ফোন ছিলো। এই টি এন টি ফোনেই নেট লাগাতাম আমরা। আমার ঐ বন্দীদশার জীবনে সেটাই ছিলো একমাত্র মুক্ত হাওয়ার এক টুকরো খোলা পথ। তবুও কি সেখানেও কোনো রক্ষা ছিলো? মা যতক্ষন থাকতো না বাড়িতে মানে অফিসে থাকতো ততক্ষনের বুক ভরে শ্বাস নেওয়া। বাড়ি ফিরতেই মানে গাড়ির হর্ন শুনলেই তাড়াতাড়ি জানালা বন্ধ করে ভালোমানুষ সেজে বসে থাকা। আসলেই রাপুঞ্জেলের ঐ বন্দী রাজকন্যার সাথে বিশেষ কোনো পার্থক্য ছিলো না আমারও। তারপরও মা থাকতেন ডালে ডালে আর আমি পাতায় পাতায়। অফিসে যাবার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত ভালোমানুষী মুখ করে ঘুরে বেড়ানো আর দরজা পেরুলেই এক দৌড়ে সেই নীল জানালার কপাট খুলে বসা। অবশ্য একফোটাও সময় নিয়ে বসতাম না আমি। খুলেই তোমাকে চিল্লিয়ে ডেকে উঠতাম ....মমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমম।

ওমনি তুমি সেই স্বপ্নের রাজপুত্র ঘুম থেকে আড়মোড়া ভেঙ্গে উঠে বসতে। চিল্লিয়ে ডাকা বললাম কারন আমাদের সেই লিখে লিখে মনের ভাব আদান প্রদানের দিনে আমরা শুরু করেছিলাম এমন সব নানা রকম শব্দ বাক্যের গঠন যা আসলে যে কারো থেকেই আলাদা রকম ছিলো। তবে তুমি সাধু বাবা আজ এই কথা বললেই বলো এসব নাকি সবই আমার থেকেই তুমি শিখেছিলে। আচ্ছা ধীরে ধীরে সবই বলবো। তোমার শেখানো দুষ্টুমীগুলো, কোড, ইমোজী সবই। তুমিও কি কম দুষ্টু ছিলে? বিশ্বাস করো তুমি ছিলে আমার গুরু। কিন্তু তুমি উল্টা ভাবো আমিই আজীবন দুষ্টের শিরোমনি।

তো যাইহোক আমাদের খুব ইচ্ছে হয়েছিলো দু,জনের কন্ঠ শুনি। তাই নাম্বার আদান প্রদান হলো। আমি ফোন দিলাম তোমাকে মানে আমার স্বপ্নের রাজকুমারকে। ওপাশ থেকে ঠিক আমার স্বপ্নের রাজকুমারের যেমনটা ভয়েস হওয়া দরকার ঠিক তেমনটাই ভেসে এলো।
-হ্যালো নীলমনি.... কিন্তু নীলমনি তখন ভয়ে বা আনন্দেই বা অজানা অকারনে একদম চুপ।
- কথা বলো না কেনো নীলমনি? হা হা আজ সেই কথা মনে পড়ে বড় হাসি পাচ্ছে আমার। আমার চুপ করে থাকায় অস্থির হয়ে উঠছিলে তুমি। কিন্তু যদি সেদিন কান পেতে আমার বুকে আমার হার্টবিট শুনতে পেতে। আমি জানি ঠিক সেই স্বগীয় আনন্দ তুমি আর কখনই ভুলতে না। বুকের মধ্যে তো তখন ড্রাম পিটছিলো। কিন্তু সেই ড্রামের অদ্ভূত সেই শিহরিত আবেগের সূর ঠিক বুঝে যেতে তুমি। এই সূর সৃষ্টি হয়েছিলো শুধু তোমার জন্য। আর কারো জন্য নয়। তোমার গলা শুনেই আমার এত্ত এত্ত আদর লাগছিলো। এই কথা আমি মরে গেলেও তোমাকে বলিনি সেসব দিনে। কিন্তু আজ আর বলতে কোনো দ্বিধা নেই।

আচ্ছা তুমি আমার এত প্রিয় হয়ে উঠেছিলে কি করে বলোতো? আজও ভেবে পাইনা আমি। সেই আদি যুগের যেই চ্যাটরুমে আমাদের পরিচয় হয়েছিলো কত শত মানুষই তো ছিলো সেখানে কিনতু সবাইকে ছাপিয়ে তুমি কেনো আদরের হয়ে উঠলে আমার? তখন এত কিছু মনে পড়েনি আমার। আমরা দু'জন শুধুই বুঁদ হয়ে থাকতাম দু'জনাতে। কোনো চাওয়া পাওয়া নেই, কোনো দাবী দাওয়াহীন মুখোমুখি বসে থাকা। যত টুকুই আছে তাই নিয়েই সুখী থাকা। আচ্ছা এই যে আজকাল এত কিছু বদলে গেলো। ছোট ছোট ১২/১৩ বছরের ছেলেমেয়েদের হাতেও ফোন থাকে। এই যে এত প্রেম অকালে ঝরে যায়। আজ আছে কাল নেই হয়ে যায়।

ছোট ছোট ১৫/১৬ এর ছেলেমেয়েরা ডেট করতে গিয়ে মৃত্যুর মুখেও পড়ে যায় নিজেদের অজান্তেই। আর আমরা দিনের পর দিন কেউ কারো মুখটুকু না দেখেও মন দিয়ে মনটাকে ভালোবেসে ফেল্লাম কি করে? দেখা নেই , কথা নেই , একটু হাঁত দুটোও ছোঁয়া নেই শুধু অদৃশ্যমান এই মন দিয়ে আরেকটি মনের সাথে আষ্ঠে পিষ্ঠে জড়িয়ে যাওয়া। কি আশ্চর্য্য অদ্ভুত তাই না বলো? এত প্রতিকূলতা এত প্রতিবন্ধকতা তবুও সেই অদম্য হাহাকারের মাঝেও অন্তর্জালের একটি জানালার এপাশ আর ওপাশের দুটি অশান্ত হৃদয় শান্ত হয়ে যেত দু,জনের অনুভবেই।

তুমি বেশিভাগ সময় হু হা করতে আর আমি বক বক। সারাদিনের জমানো কথা বা আবোল তাবোল কথা উগরে দিতাম আমি তোমার হৃদয়ে। সেটাই ছিলো আমার সকল শান্তির আশ্রয়স্থল। তোমার বুকের মধ্যেখানে আজও একটা লুকানো সিন্দুকের গায়ে খোদাই করে লেখা আছে আমার নাম। নীলমনি নামে এক বিশাল সিন্দুক। এতটাই ভরে আছে যে সেখানে আর কোনো সিন্দুক রাখার জায়গাই নেই। সেই সিন্দুকে তালা বদ্ধ আছে সে সব দিন, সে সব কথা, সেই ভালোবাসার অনুভুতি আর ক্ষয়ে যাওয়া ক্ষন আর হাজার হাজার অশ্রুজল।

আমি বকবক করতাম আর তুমি বেশিভাগ সময় হু হা। আমি ছোট থেকে বরীন্দ্রসঙ্গীত গাই বটে কিন্তু তখনও আমি সেই গানটা শুনিনি।
এ পারে মুখর হলো কেকা ঐ। ও পারে নীরব কেনো কুহু হায়! আমি ছিলাম কেকা আর তুমি এই কুহু। অনেক পরে এই গানটা শুনতে শুনতে এমনই মনে হয়েছিলো আমার। এই জীবনে এতগুলো দিনের পরে কত অর্জন, কত সুন্দর ক্ষন কিন্তু সেই সোনালী সোনার আভার মোড়ানো অতীত যার খবর জানে শুধুই দুটি হৃদয়। আর এই পৃথিবীর কেউ জানে না।

এই কথাগুলির মানে নিশ্চয়ই জানোনা তুমি। যদিও আমাকে অবাক করে দিয়ে তুমি এমন সব বাংলা শব্দ লেখো আমি আকাশ থেকে পাতালে পড়ে যাই। আচ্ছা বলতে পারবে এই কথাগুলোর মানে কি? "অধীর সমীর পুরবৈয়াঁ নিবিড় বিরহব্যথা বইয়া, নিশ্বাস ফেলে মুহু মুহু হায়" জানি পারবেনা। আমিই বলে দেই, এর মানে হলো অধীর বাতাস পূর্ব দিক থেকে বয়ে আসছে নিবিড় বিরহ ব্যথা বয়ে নিয়ে, সেও নিশ্বাস ফেলছে মুহুর্মুহু মানে বারে বার। হ্যাঁ আমাদের বিরহ বুঝি এক জনমেও শেষ হবার নয়। তাই তো রবিঠাকুরের মত নজরুলও লিখেছিলেন তোমার আমার এই যে বিরহ এক জনমের নহে।

আচ্ছা সত্যি যদি পরজনম বলে কিছু থাকে। সেই জনমে তোমার কাছেই যাবো। আর কোথাও যাবোনা। সত্যিই দেখো এই কথার আর নড়চড় হবে। অনেক দেখলাম তো। শেষ পর্যন্ত নিজের কাছেই ফিরে যাওয়া। আর এই নিজের কাছটাই তো তুমি। আমার আয়না। মানুষ আয়নায় তো নিজেকেই দেখে তাইনা? আর আমি দেখি তোমাকে। বিশ্বাস করো আমি একটু অহংকারীও বটে। কখনও কারো কাছে দীনতা প্রকাশ করিনা। শুধু তোমার কাছেই আমি অহংকারহীন। হেরে যেতে আমার কোনো কষ্ট নেই। জানি তুমি একটু রাগ করেই বলবে হ্যাঁ ঐ পরজনমের আশাতেই থাকো। জানি আমার উপরে আসলে তোমার অনেক রাগ মানে ঠিক রাগ না অভিমান আছে শুধু ভালোবাসার কাছে তুমি এক পরাজিত সৈনিক তাই সেই রাগ আর দেখানো হয়না তোমার।

আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
'আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে .......

বর্যা তোমার অনেক প্রিয়। আমার ঠিক প্রিয় না তবে এমন আঁধারে কিংবা আলোকেও আমার মনে বহু বহু বার এই দূরাশাই হয়েছিলো। তুমি ছিলে আমার কাছে এক ফাগুনের ফল্গুধারা আর আমি অনেক অনেক দুরের তিথির ডোরে বাঁধা এক বন্দী রাজকন্যা। তিথিডোর শব্দটার মানে কি জানো? নিশ্চয় না।

ঋতুর দু ধারে থাকে দুজনে,মেলে না যে কাকলি ও কূজনে,
আকাশের প্রাণ করে হূহু হায়॥

আচ্ছা বলোতো, ঋতুর দু ধারে কি আজীবনই রয়ে যাবো আমরা? কাকলী আর কুজনের মিল কি কখনই হবে না আমাদের। আমার প্রাণেই সেই হাহাকার বাঁজে। জানিনা তার শেষ কোথায়।

যা বলছিলাম রবিঠাকুরের এই কঠিন অর্থবহ গানটাই আজ তুমি হয়ে আসে আমার হৃদয়ে। কিন্তু সেই বহুদিন আগে আমাদের এসব গানের ভাবার্থ বুঝবার ক্ষমতাই ছিলো না । আমরা দুজন কান পেতে শুনতাম যে একটাই গান সেই গানটাই আমাদের প্রানের গান ছিলো আর আসলে সেই গানটাই সত্যি আমাদের জীবনে। পৃথিবীও একদিন হয়ে যাবে শেষ আমাদের প্রেম তবু হবে নাতো ক্ষয়। আসলেই এই সকলের অগোচরে নীরবে নিভৃতে বয়ে চলা কোনো এক কিশোর কিশোরীর প্রেম যে এই ভাবেই অক্ষয় হতে পারে তা কি কেউ জানতো? নাকি জানে? নাকি জানবেই কোনোদিন?

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১৫

স্প্যানকড বলেছেন: আহ! এত বিরহ কাটবে কবে ?

জলদি এসে যাক বসন্ত
এবেলার সুরুজ জানে
ওবেলার খবর তো !

ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৫

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: কাটবে একদিন।

বসন্ত না শীতে দেখা হবে ফের
এই মিথ্যা অথবা সত্যি প্রতিশ্রুতির ডানায় ভেসে
কেটে যাচ্ছে দিন।
দীর্ঘ হচ্ছে রাত
নির্ঘুম নীরবতায় অকারণ অভিমানে।

শীতে উপেক্ষিতা এতদিনে বুঝেছি সেই মানে।

২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৩

একলব্য২১ বলেছেন: মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে তোমার লেখা পড়লাম।


০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৭

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: এই লেখার কোনোই মাথা মুন্ডু নেই আসলে। এই লেখা কোনো চিঠি অথবা ডায়েরীর পাতা।

৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মুখ না দেখে শুধু মন দিয়ে ভালবাসতে সবাই পারে না। এই জীবনে মিলন না হলেও পরের জনমে ওদের নিশ্চয়ই মিলন হবে। প্রেমিকা তো প্রেমিককে তার আয়না বানিয়ে ফেলেছে। একজন কেকা আরেকজন কুহু। কেকা যখন কুহুর কাছে যায় সকল অহংকার মাটি হয়ে যায় তার। কুহুর কাছে কেকা হেরে জেতে ভালোবাসে। কুহু কৃত্রিম রাগ করলেও কেকার ভালোবাসার কাছে সে একজন পরাজিত সৈনিক। কুহু হোল ফাগুণের ফল্গু ধারা আর কেকা হোল এক বন্দিনী রাজকন্যা। ফাগুনের হাওয়াই শুধু পারে বন্দি রাজকন্যাকে মুক্ত করতে বর্ষার সজলঘন আঁধার থেকে। ঋতুর দুধার থেকে কবে যে ওরা এক হবে কেউ জানে না। কাকলি আর কুজনের মিল হয় না বলেই যেন আকাশের প্রান করে হুহু।

রবি ঠাকুরের ঐ গানের মতই ওদের প্রেমও অক্ষয়। কৈশোরের এই অক্ষয় প্রেমের খবর সবাই জানার পর কেউ নিন্দা করবে না কারণ মানুষ জানে কিশোর বেলার প্রেম থাকে নিষ্পাপ। প্রেমিকার এই প্রেমের খোলা চিঠি প্রেমিকের কাছে যাওয়া খুব জরুরী।এখানে পাঠকের ভুমিকা এই চিঠি পড়ে শুধু ওদের মনের আবেগের তীব্রতাকে বুঝতে চেষ্টা করা। এই প্রেমপত্রের মধ্যে একটা সার্বজনীনতা আছে। কারণ কৈশোর কাল সবাইকে পার হতে হয়। কৈশোরের প্রেম নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। প্রেমের কিছু শাশ্বত বৈশিষ্ট্য এই প্রেম পত্রে পাঠক খুঁজে পাবে। লেখিকা যে এই চিঠি তীব্র আবেগ নিয়ে লিখেছেন এটা বোঝা যায়। প্রেমিক-প্রেমিকাকে পাঠক হয়তো মিল করে দিতে পারবে না কিন্তু এই চিঠি অনেক প্রেমিক পাঠককে নস্টালজিক করে তুলবে তাদের কৈশোরের স্মৃতি রোমন্থনের কারণে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৯

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: উত্তর লিখতে গিয়ে মনে পড়ে গেলো আরও কথা আরও গান আরও স্মৃতির কথকথা।

ফোন এসেছে। কিছু পরে উত্তর দিচ্ছি চুয়াত্তরভাই।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৮

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: : মুখ না দেখে শুধু মন দিয়ে ভালবাসতে সবাই পারে না।
হ্যাঁ কিন্তু সেটাই হয়েছিলো আর একেবারেই এটাই।
আয়না বানানোর কথাটা অবশ্য ছেলেটার থেকেই পাওয়া।
আর এই কেকা আর কুহু মনে হয় রবিঠাকুর আমাদের জন্যই লিখেছিলেন। নইলে সেই আমলে তো এমন ছিলো না।

হ্যাঁ প্রতিটা বয়সেরই প্রেমের আলাদা ধর্ম আছে। মানুষ বলে মানে বাবা মা বলে ঐ এই বয়সেই এত? প্রেমের বুঝিস কি?

তারা জানেনা সেটাই প্রেম ঐ বয়সেই নিস্বার্থ ভালোবাসা। এরপরের বয়সের প্রেমগুলোর সাথে স্বার্থ বিদ্বেষ অহংকার এক্সপেকটেশন অনেক কিছুই জড়িয়ে থাকে। এই লেখার পিছে আমার আসলে একটা কারণ কাজ করেছে আমি শুধু কিছু জিনিস নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট বা গবেষনা করতে চেয়েছি।

দেখি পারি কিনা।

৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২২

অপু তানভীর বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে কেন জানি নিজের প্রতিচ্ছবি দেখতে পেলাম ।

আমার বিরহ আসলে কোন দিন দুর হবে না । দিনের পর দিন, মাস বছর কেবল অপেক্ষা করতে হবে । আমি জানি এই অপেক্ষার কোন মানে নেই, কোন শেষ নেই কিন্তু তার জন্য এই অপেক্ষা করা ছাড়া আমার যে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই ।

আপনার বিরহ শেষ হোক একদিন এই কামনা করি !

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩৬

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: মাঝে মাঝে মনে হয় বিরহ হয়তোবা মিলনের চাইতেও সুন্দর।

প্রেম আর বিরহ এই দুটো কথার মাঝে কোনটাই যে আসলে প্রেম হওয়া উচিৎ ভেবে ভেবে উত্তর পাইনা আমি।

অপেক্ষার শেষ আছে। আমি জানি আছে। কিন্তু আমি অপেক্ষা শেষ করতে চাইনা।

৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ২:২২

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: উপস্থিতি জানিয়ে গেলাম। জলদিই পড়ে মতামত জানাবো। সেই সাথে অসংখ্য শুভকামনা।

- দেয়ালিকা বিপাশা

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ২:৩২

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: আচ্ছা তাই হোক। অনেক ধন্যবাদ।

৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার তো মনে হয় আপনি ব্লগারদের মনস্তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করতে চাইছেন।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৯

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: নিজের মনস্তত্ত্ব নিয়েও এবং তাহার মনস্তত্ত্বও।
সে অবশ্য বলেছে মরার পরে পর্যন্ত ট্রাই করলেও নাকি আমি তা পারবোনা।

৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: প্লেটোনিক লাভ- এখন আর কেউ কোট করে! হারিয়ে গিয়েছে ভালবাসার ডিকশোনারি থেকে

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২০

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: হ্যাঁ এখনকার প্রেম মন থাকেনা সেখানে....... কিছুটা লালনতত্ব থাকতে পারে।

৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মিরোরডডল এসে কিন্তু আপনার লেখার কড়া সমালোচনা করবেন। তাই তৈরি হন। উনি আপনার সই হলেও আপনার জন্য এক ফোঁটাও চোখের জল ফেলেন না। :(( কেমন সই পাতালেন!!!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২৮

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: কড়া সমালোচনা করলেই কি ? একমাত্র সেই আমার সমব্যাথী। যদিও আমার চাইতে বেশি প্রাকটিকাল। সই পাতাতে হয় না মনে মনে সই হয়ে যাই আমরা। মানে উপরে উপরে পাতাপাতির রং ঢং নাই। এই লেখা পড়েও বুঝলেনা না এই মনের সাথে মনের লেনদেন এক্সপার্ট আমি।

কাউকেই আমি বাইরে বাইরে ডাকিনা- কেনো?

ডাকবোনা ডাকবোনা ওমন করে বাইরে থেকে ডাকবোনা
পারি যদি অন্তরে তার ডাক পাঠাবো
আনবো ডেকে.....

আপনাকেও অন্তরে ডাক পাঠিয়েছিলাম। চিন্তা করে দেখেন ।

৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মিরোরডডল আপু আপনার চেয়ে বাস্তববাদী কারণ ওনার অভিজ্ঞতা আপনার চেয়ে বেশী। :) আপনার আরও অভিজ্ঞতার দরকার আছে। আপনি খালি কাগজে কলমে অনেক কিছু। :) খালি কলসি বাজে বেশী জানেন তো। :P

ডাকবো না ডাকবো না অমন করে বাইরে থেকে ডাকবো না।

হাই স্কুলে পড়ার সময় এই গানটা আমাদের এক স্যার খুব সুন্দর করে গাইতেন। হারমোনিয়াম বাজাতেন আর উদাস দৃষ্টিতে অন্য দিকে চেয়ে গেয়ে যেতেন। তখন থেকে গানটা পছন্দ হয়ে গিয়েছিল। আমি ক্যাসেট বা সিডিতে কখনও শুনি নাই এই গান। ওনার কণ্ঠেই শুনেছি। উনি আপনার মত সর্বগুনে গুনি ছিলেন। তবে আজকেই বাসায় গিয়ে শুনতে হবে।

আপনার ডাকে তো সাড়াও দিলাম। চিন্তা করে দেখেন। :)

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০৬

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: মিররআপু হয়ত বর্তমান যুগের মানুষ তাই প্রাকটিকাল। আর আমরা ছিলাম আদিযুগের প্রেমভালোবাসায় বিশ্বাসী মানুষ তাই চোখের জল ফেলতে ফেলতে শেষ করে ফেলে হাসতে বসেছি আর এই হাসিও তাই পাগলী হাসি ভাবে মানুষ। দুঃখে কলিজা ফাটলেও ভাবে এইটাও এক পাগলামী।

কদিন আগে একজন প্রিয় বন্ধুকে শেয়ার করেছিলাম মনের কিছু কথা বড় অপকটে। সে বিশ্বাস তো দূরের কথা উল্টো বললো, নতুন গল্পের প্লট না?
মনে পড়ে কাদম্বিনী মরিয়া প্রমান করিলো সে মরে নাই।

আমি গাইবো নাকি ভাবছি কিন্তু এত তাড়াতাড়ি আপনাদেরকে গান শোনানো ঠিক হবে না। আরও কিছুদিন যাক।

আমার ডাকে না সাড়া দিয়ে কেমনে হবে?

আমি তো অন্তরে ডাক পাঠাই।

১০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনারা দুইজন তো একই বয়সী। তবে আপনার ওনার মত একজন বন্ধু দরকার। আমি বুঝতে পেড়েছি। উনি খুব বন্ধু বৎসল এবং সাপরটিভ। তারপরও আপনার জন্য চোখের জল ফেলতে উনি রাজি না। :) সমালোচনার জন্য তৈরি হন।

আপনি কখন সিরিয়াস লেখেন আর কখন ফান করেন বোঝা যায় না। ভার্চুয়াল জগতে বোঝা আরও কঠিন। কারণ ভার্চুয়াল জগতে একজন সম্পর্কে ৫০% এর বেশী জানা আসলে যায় না।

প্রেম ভালোবাসার কোন আদিযুগ আর আধুনিক যুগ নাই। আদম আর হাওয়াও এইভাবেই প্রেম করতেন অনলাইনে। :)

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৮

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: একই বয়সী নাকি? জানি না তো।

আমি সব রকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তূত সকল সময়। এই ব্যাপারে আমার দক্ষতা মোটামুটি আলফা গামা লেভেলের।

কখন সিরিয়াস কখন ফান আমিই কি জানি?

আসলে জানাতে চাইনা বলেই জানিনা বা কেউ জানতে পারেনা।

কি দরকার বলেন? জানেন কবি সাহিত্যিক নিজেরাই বলে গেছেন কত অজানারে।

আমি কি করে জানবো বা জানাবো আর এত ক্ষুদ্র মানুষ হয়ে?

ঠিক বলেছেন শেষের কথাটা। আদিযুগ বলে কিছু নেই। প্রেম সর্বত। সার্বজনিন।

কিন্তু আমি ভাবি আজকালকার ছেলেমেয়েদের কথা।

আমরা ছিলাম হাইব্রিড। নদীর ধার জানতাম বলেই অনলাইনেই বুঝেছিলাম নদীর ধারের ফুরফুরা ফিলিংসটা কি ।

তারা কি সেটা কখনও বুঝবে?

১১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লগে এখন তিন ঘণ্টায় ছয়টা মন্তব্য আসে। আমি ব্লগের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। এই কয়জন মাত্র ব্লগার তাদের মধ্যে আবার দলাদলি। যারা ভালো লেখে তারা বেশীর ভাগই নিয়মিত না। প্রবাসে যারা থাকে তারা মাসে দুইবার আসে। নতুন ব্লগার আসলেও তারা নিয়মিত হচ্ছে কমই। সপ্তাহে অন্তত এক দিন যদি কেউ ব্লগে না আসে তাহলে সে ব্লগে কি ঘটছে বুঝতে পারে না। ফলে খেই হারায়। ব্লগ আগের মতো নেশা তৈরি করতে পাড়ছে না। কিন্তু কিছু নেশা ভালো যদি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এবং নিজের কাজের কোন ক্ষতি না হয়। ব্লগারদের মধ্যে ফেইস বুকে দিনে অন্তত একবার ঢোকে না এমন ব্লগার খুঁজে পাওয়া দূষকর। কিন্তু ব্লগে তারা আগ্রহ পাচ্ছে না। অনেক পুরনো ব্লগারকে প্রতিদিন দেখি লগিন করে আছে। অনেকেই ২ বছর বা ৩/৪ বছর ধরে কোন পোস্ট দেন না। কালে ভদ্রে মন্তব্য করেন। এই ব্লগটাও অনেকের জন্য এক সময় নস্টালজিয়ার কারণ হবে। ব্লগে হাতে গোনা কয়েকজন মনোযোগ দিয়ে পোস্ট পড়েন। যেমন খাইরুল আহসান ভাই, আহমেদ জি এস ভাই প্রমুখ। অস্থির মানুষের কাছ থেকে সৃষ্টিশীল কাজ আশা করা যায় না। অনেক প্রযুক্তি আমাদের অস্থির করে তুলছে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৭

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: এটা কি আমাকে দেওয়া মন্তব্য? নাকি ভুল করে?

ব্লগে সব সময় দলাদলি ছিলো।

বেশি মানুষ বেশি বড় দল।

এখন কম মানুষ তাই ছোট দল।

১২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লগারের সংখ্যা কমে যাওয়া ভালো লক্ষণ না। একটা জিনিস গড়া সহজ, ভাঙতে সময় লাগে না।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১২

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: ভাঙ্গতেও সময় লাগছে।
ভাঙ্গন শুরু হয়েছে ২০১৫ থেকে ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৩

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: আজকের লেখা দিতে একটু দেরী হয়ে গেলো।

১৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩০

একলব্য২১ বলেছেন: তোমার এই সমস্ত লেখা সামুর পাঠক ছাড়া ব্যক্তিগত জীবনের পরিচিত কেউ কি পড়ে। বা কাউকে কি বল যে সামুর ব্লগে তুমি লেখ।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১০

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: না পড়ে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.