![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শালীনতাই সৌন্দর্য্য
সুইডিশরা খুব ভাল চেনা আর অচেনা নেই চোখে চোখ পড়লেই সুন্দর একটা হাসি উপহার আপনি পাবেনই। এদের মাঝে সবচেয়ে বড় যে গুণটা দেখেছি, রাস্তায় কারো কাছে কোন ঠিকানা জানতে চাইলে, তার জানা না থাকলেও পূর্ণ আন্তরিকতার সাথে আপনাকে হেল্প করার চেষ্টা করবে তার পক্ষে যতটুকু সম্ভব।আপনার মনে হবেই কত ভাল মানুষ।
তিন বছর আগে ২ সপ্তাহের জন্য আমাকে যেতে হয়েছিল সুইডেনের উত্তরের শেষ সীমানায় কিরনাতে। আমি যেখানে ছিলাম সেটা শহরের একটু বাহিরে। সেখান থেকে শহরে হেঁটে গেলে ৪০ মিনিট আর বাসে গেলে প্রায় ২০ মিনিট, বাস একটু ঘুরে ঘুরে যায়।
এখানকার একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল, স্যামারে দিন খুব বড় জুনমাসে কয়েকদিন সূর্য অস্তই যায় না আবার উইন্টারে দিন খুব ছোট ডিসেম্বরে কয়েকদিন সূর্য্যই দেখা যায়। তবে এবারে আমার লিখার বিষয় এটা না।
এখানে আমি পেয়েছি এক বিনা সূতার মায়ার বন্ধন, সেই ভালবাসায় কখনো আমার চোখে জল আসে, কখনো আনন্দে উদ্বেলিত হই, কখনো অবাক হয়ে ভাবি , কি ভাবে একটা মানুষ অচেনা অজানা মানুষ হৃদয়ের এতটা কাছাকাছি পৌঁঁছে যায়। আমার জীবনে এই ঘটনা না ঘটলে কারো মুখে এই গল্প শুনলে হয়ত আমার নিজেরই বিস্বাস করতে কষ্ট হত। সুইডিশদের কাছে এই ধরনের আচরন কল্পনাতীত।
চলার পথে কুড়িয়ে পাওয়া আমার সেই অদ্ভুত মায়ার বন্ধনের কথা শুনুন এবার।
এখানে আসার সময় প্লেনে এসেছি, যাওয়ার সময় ভাবলাম ট্রেনে যাই, প্রায় ১৭ ঘন্টার জার্নি একটু উপভোগ করে দেখি না কেমন।
আমি যেখানে আছি ট্রেন ইষ্টেশন সেখান থেকে বেশ দুর, শহরের কাছাকাছি।
শুক্রবার আমি চলে যাব, সমবারে ভাবলাম শহরে একটু ঘুরে ট্রেন ইষ্টেশন দেখে আসব। আমি হাঁটতে অনেক পছন্দ করি তাই বাসে না যেয়ে হেঁটেই যাওয়ার সিন্ধান্ত নিলাম। কিছুদুর যাওয়ার পর রাস্তা চিনতে পারছি না, কয়েকটা রাস্তা কোন দিকে যাব,গুগল ম্যাপসও কাজ করছে না নেট খুব স্লো, এখানে লোকজন এত কম রাস্তা ঘাটে কোন লোকজনও দেখা যাচ্ছে না, বিকাল ৩টা কিন্ত অন্ধকার হয়ে আসছে যে দিকে তাকাই এত উঁচু উঁচু কালো পাহাড় দেখলেই ভয় করে , এদিক সেদিক তাকাচ্ছি দেখি একজন মহিলা আসতেছে, কাছে আসলে তাকে হেই দিয়ে দাড়া করালাম, সরি বলে, বল্লাম, আমি ট্রেন ইষ্টিশনে যেতে যাই, কোন দিকে যাব। সে খুব মিষ্টি করে হেসে বল্ল,আমার সাথে চল।
চলতে চলতে উনার সাথে অনেক কথা হল, আমার,নাম,কোথা থেকে এসেছি,কেন এসেছি,কতদিন এখানে থাকব,এরপর আমার দেশ, আমার পরিবার সম্পর্কে জানার পর তার সম্পর্কে বলা শুরু,উনার নাম মনিকা,বয়স ৫৮,তার স্বামীর নাম পুল,বয়স ৬২,উনাদের দুই ছেলে বয়স ৩০ ও ২৬ তারা অন্য শহরে থাকে। সে একটা স্কুলে জব করে,সে একটু অসুস্থ তাই আজকে স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে হাসপাতালে এসেছিল এখন বাসায় ফিরছে। কিছু দুর যাওয়ার পর মহিলা,আমার বাসা সোজা রাস্তায় যেতে হবে, রেল ষ্টেশনে যেতে হাত দিয়ে ইশারা করে তোমাকে এদিকে যেতে হবে। উনার কথার গতি এত বেশী ছিল আমি বুঝতেই পারলাম না কতদূর এলাম।
আমি ওকে, তোমাকে অনেক গধন্যবাদ।
মনিকা : মুচকি হেসে,তার চেয়ে তুমি এখন আমার বাসায় চল এক কাপ কফি খাবে, ৫ টায় আমার হ্যাজব্যন্ড বাসায় আসলে সে তোমাকে ট্রেন ষ্টেশন দেখিয়ে তোমার বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসবে।
আমি তো অবাক,মহিলা পাগল নাকি!! না,না আমি তোমার বাসায় যাব না, এটুকু আমি যেতে পারব। আর যাওয়ার সময় আমি বাসে চলে যাব।
মনিকা : না চল, অন্ধকার হয়েছে তুমি নতুন মানুষ রাস্তাঘাট চিন না, ৫টা তো প্রায় বেজেই গিয়েছে,আমরা কফি খেতে খেতেই পুল চলে আসবে।
সুইডিশদের কাছে এই ধরনের আচরন অসম্ভব!! আমার এখন এই মহিলাকে ভয় লাগছে, তার উদ্দেশ্য কি আল্লাহ ভাল জানেন। আবার মনে মনে ভাবছি এখানে তো আর তেমন বিদেশী নেই তাই হয়ত আমার প্রতি তার এত কৌতোহল। আমি যতই না, না করছি সে ততই জোর করছে, মহিলা এত নাছোর বান্দা আমি কিছুতেই এড়াতে পারলাম না, ভয় নিয়েই মহিলার বাসায় আসলাম।
মনিকা, আমাকে কিচেনে নিয়ে টেবিলের উপর বিভিন্ন খাবার ও ফল দেখিয়ে তোমার যা ইচ্ছা খাও, আমি তোমাকে কফি করে দিচ্ছি।
আমি না আমার অন্য কিছু লাগবে না শুধু একটু কফি হলেই চলবে।
মনিকা দুইমগ কফি নিয়ে, চল আমরা ড্রইংরুমে যেয়ে বসি। এরপর তার ফ্যামেলী এ্যালবাম বের করে, একে একে তার পুরো পরিবারের সাথে পরিচয় করিয়ে দিল। তার দাদা দাদী পর্যন্ত।
মনিকা আমার ডান গালে একটা হাত রেখে, তুমি অনেক সুন্দর তোমাকে আমার অনেক পছন্দ হয়েছে,তোমাকে দেখেই তোমার প্রতি আমার একটা মায়া জন্মেছে, আমার দুইটা ছেলে আছে, একটা মেয়ের অনেক শখ ছিল কিন্ত পাইনি।
আমার কাছে বেশ আশ্চার্য লাগছে, উনি কি বলতে চাচ্ছেন,বা আমার কি বলা উচিত তাও বুঝতে পারছি না। আমি প্রসঙ্গ পাল্টানোর জন্য বলি, ৫টার উপরে বাজে পুল তো এখনো আসছে না কেন ?
মনিকা : অন্যদিন সে ঠিক ৫ টায় চলে আসে, সবুর কর আসুক না একটু দেরী করে, তোমার কি আমার সাথে গল্প করতে খারাপ লাগছে?
মনের কথাতো মুখে বলা যায় না,তাই বল্লাম, না তা লাগছে না।
সারে ৫টার দিকে পুল এল। পুল খুবই নিরিহ ও নরম স্বভাবের, ঘরে ঢুকতেই মনিকা আমার পরিচয় দিয়েই,এখন তুমি ওকে নিয়ে ট্রেন ইষ্টিশনে যাবে, সেখান থেকে ওকে ওর বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসবে। পুল কোন কথা না বলে, ওকে বলেই যাওয়ার জন্য উঠে দাড়াল।
মনিকা : না বস, আমি খাবার গরম করছি খেয়ে তারপর যাবে
পুল : ওকে, বলেই বসে পরল।
না, আমি খাব না বলেই, আমি মনিকাকে ধন্যবাদ দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আসলাম বাধ্য হয়ে উনারা আমার পিছু পিছু এলেন।
১দিন পর ৬ টার দিকে আমার মোবাইলে রিং হচ্ছে, অপরিচিত নাম্বার, ( মনিকা তার নাম্বার আমাকে দিয়েছিল কিন্ত সেভ করা হয়নি ) ফোন রিসিপ করে হ্যালো বলতেই, আমি মনিকা, তোমার বাসার নীচে আছি। নীচে যেয়ে বাসায় নিয়ে আসলাম।
মনিকা : সেদিন তোমাকে কিছু খাওয়াতে পারি নাই, আমার খুব খারাপ লেগেছে, তাই আজকে একটু খাবার রান্না করে নিয়ে এসেছি, তোমাকে সাথে নিয়ে খাব।
মনিকাই টেবিলে সব কিছু রেডী করল, মনিকা,পুল আমি একসাথে খেতে বসেছি।
মনিকা : তুমি টিকিট কেটেছ ?
জী, শুক্রবার বিকাল সারে ৫ টায় ট্রেন।
মনিকা : তাহলে তোমাকে ৫ টার মধ্যেই ইষ্টিশনে থাকতে হবে। আমরা সারে ৪টায় এসে তোমাকে নিয়ে যাব তুমি রেডী থেক।
আমি যারপরনাই আশ্চার্য হয়ে, না, না তোমাদের কষ্ট করে আসতে হবে না, আমি বাসে যেতে পারব।
মনিকা : তুমি না করছ কেন? আমার বোন রোজমেরী তোমার সাথে দেখা করতে চেয়েছে, আজকে নিয়ে আসতে চেয়েছিলাম কিন্ত ও ছেলের বাসায় গিয়েছে।
এরপর কি আর কিছু বলা যায়।
উনারা খাওয়া দাওয়ার পর কিছুক্ষন গল্প করে চলে গেল।
মানুষের মন বড়ই অদ্ভুত কখন কাকে ভাললাগে,সেই ভাললাগা জাতি,ধর্ম,বর্ণ ভেদ করে পৌঁছে যায় হৃদয়ের গভীরে বলা মুশকিল।
আমার চলে আসার দিন,মনিকা তার বড় বোনসহ চারটায়ই চলে এল। রাস্তায় আমার খাওয়ার জন্য খাবার রান্না করে হটপটে করে নিয়ে এসেছে। রোজমেরীও খুব ভাল ঠিক খালামনির মতই তার আচরন। আমরা একসাথে কফি খেয়ে পৌনে ৫টায় বাসা থেকে বের হয়ে মাত্র ১০ মিনিটেই আমরা ট্রেনইষ্টিশনে পৌঁছালাম। ট্রেন ছাড়ার আগ মূহুর্ত পর্যন্ত মনিকা আমাকে জড়িয়ে ধরে বসে থাকল।
মনিকার শেষ কথা গুলো এখনো কানে বাজে, তোমার সাথে হয়ত আর কখনো দেখা হবে না, কিন্ত তোমাকে আমি কখনো ভুলব না, তুমি রবে আমার হৃদয়ে একটা মেয়ের যে শূন্যতা ছিল সেখানে। আমি সব সময় ভাবব ষ্টকহোমে আমার একটা মেয়ে আছে। তার চোখদুটো জলে টলমল করছিল, আমার মনের গভীরেও তার জন্য একটা মায়া অনুভব করলাম খুব কান্নাও পাচ্ছিল। আমি পরেরদিন বাসায় পৌঁছে মনিকাকে ফোন দিয়ে জানালাম আমি ভালভাবে এসে পৌঁছেছি।
কাহিনীটা এখানেই শেষ হতে পারত কিন্ত মনিকা শেষ হতে দেয়নি বাকী টুকু আগামী কাল।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৪
ওমেরা বলেছেন: দাদু ভাইয়া আমি যে কি খুশী হয়েছি আপনি আমার পোষ্টে প্রথম কমেন্ট করেছেন। দাদু ভাইয়া চেষ্টা তো করছি!!
ইনশা আল্লাহ !
দাদু ভাইয়া আপনি কি খাবেন বলেন ?
অনেক ধন্যবাদ দাদুভাইয়া ।
২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৮
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: মনিকা নামটা কিন্তু উপমহদেশীয় বলে মনে হয়। আপনি সুইডিশ উল্লেখ করায় ক্লিয়ার হল। মায়ের মন আসলে এমনই হয়। হয়ত তার মেয়ে নেই বলে মনের কোণে চাপা পড়ে থাকা মেয়েকে আদর করার সাধটা আপনাকে দিয়েই পূরণ করতে চেয়েছিলেন। স্যাল্যুট এমন মানুষকে।
একটি সুন্দর মানসিকতার সুন্দর পরিবারের সুন্দর কাহিনী উপহার দেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩১
ওমেরা বলেছেন: জী, ভাইয়া সব এলাকার নামের কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে । আবার এমন কিছু নাম আছে যেগুলো সারা বিশ্বেই আছে, মনিকা, মোনা,ইউনাস এরকম আরেকিছু নাম । ভাইয়া আমার লিখার চেয়ে আপনার কমেন্ট অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: ওমেরা ,
মানুষের মন, কখন যে কোথায় থিতু হয়ে বসে !
ভালো লাগলো । একটু গুছিয়ে লিখলে আরও ভালো লাগতো ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৯
ওমেরা বলেছেন: ভাইয়া বানানতো ঠিক করে দিলেন না !! ভাইয়া আমি কি আর আপনাদের মত পারব! ইনশা আল্লাহ! সামনে আরো গুছিয়ে লিখার চেষ্টা করব । অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৯
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: হয়তো মনিকার ভালোবাসা নিগুঢ় তাই কাহিনিও যেন টানে কাছে, মনিকাদের মতো মানুষ আছে বলেই পৃথিবী আছে। জয়তু মনিকাদের ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৮
ওমেরা বলেছেন: জী, ভাইয়া আমার কাছে মনে এখনো পৃথিবীতে ভাল মানুষের সংখ্যা বেশী তবে কিছু খারাপলোক এত বেশী অশান্তি ঘটায় ভাল মানুষের ভাল কাজগুলো দেখা যায় না। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৮
মলাসইলমুইনা বলেছেন: ভালো লাগলো খুব মনিকা, পুলের গল্প | খুব অবাক হলাম না কিন্তু মনিকার ব্যবহারে আমাদের ওমেরাকে ও পছন্দ করবে না ! উলফ পামের (Olof Palme)দেশের মানুষ এতো খারাপ হতেই পারেনা কখনো |
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩০
ওমেরা বলেছেন: ভাপু সবাই কি আর সাইকে পছন্দ করে। এই কিরনাতেই বিপরীদ একটা ঘটনা আছে আমার। পরের লিখায় দেওয়ার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ ভাপু ।
৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এই কাহিনী শেষ হবার হলে ঠিক সেদিন বিকেলে রেল ষ্টেশনে ই শেষ হত !
আসলে মায়া সার্বজনীন এর ভাষা এর কোন দেশ কাল নেই ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩২
ওমেরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপুনি সুন্দর কমেন্টের জন্য ।
৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩১
কানিজ রিনা বলেছেন: মনিকার মেয়ে নেই, তোমাকে দেখে মায়ের
মন মাতৃত্ব জেগে উঠেছে, পারলে মনিকার
মেয়ে হয়ে থেক। খুব ভাল লাগা রইল
আবার লিখবে আসায় রইলাম। শুভকামনা।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৫
ওমেরা বলেছেন: বড় আপু কেমন আছেন ? অনেকদিন পর আমার পোষ্টে কমেন্ট করলেন আমি অনেক খুশী হয়েছি বড় আপু।অনেক অনেক ধন্যবাদ বড় আপু।
৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৩
নীল-দর্পণ বলেছেন:
লেখাটা পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল মমতার মোলায়েম এক চাদর যেন ঘিরে ধরছে। আবেগী ব্যাপার গুলো মনে হয় আমাকে খুব বেশি স্পর্শ করে!
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৮
ওমেরা বলেছেন: ওহ্ মা গো কত্ত সুন্দর ভাষায় কমেন্ট করেছেন আপুমনি। অনেক ধন্যবাদ আপুমনি।
৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২১
আহমেদ জী এস বলেছেন: ওমেরা ,
প্রতি মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
আমাদের মতো লিখতে পারতে হবে , এমন কোনও কথা নেই । নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়ে লিখবেন । আমাদেরটা ফলো করে লেখার দরকার নেই । নিজের মতো করে লিখবেন , দেখবেন লিখতে লিখতে হাত খুলেছে । তখন হয়তো একদিন আমরাও বলবো, "ওমেরা ! আপনার মতো কি লিখতে পারবো আমরা ? "
ভালো থাকুন । উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি ঘটুক আপনার ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪২
ওমেরা বলেছেন: ভাইয়া আমি আমার মত করেই চেষ্টা করব, আপনারা শুধু আমার ভুল- ভ্রান্তিগুলো ধরিয়ে দিবেন। অনেক খুশী হয়েছি আমার ২য় কমেন্ট পেয়ে। আবারও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
১০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০০
প্রামানিক বলেছেন: মানুষের মন বড়ই অদ্ভুত কখন কাকে ভাললাগে,সেই ভাললাগা জাতি,ধর্ম,বর্ণ ভেদ করে পৌঁছে যায় হৃদয়ের গভীরে বলা মুশকিল।
খুব ভালো লাগল। কাহিনীর বাকী টুকুর আশায় রইলাম।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৩
ওমেরা বলেছেন: অনেক খুশী হয়েছি ভাইয়া, আগামী কালই দেওয়ার চেষ্টা করব ভাইয়া। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
১১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দাদু ভাইয়া আপনি কি খাবেন বলেন ?
তুমি যখন সুইডেনে আছো, তখন যে কোন একটা সুইডিশ ডিশ হয়ে যাক। দু'জনে মিলে খাই। এরপর না হয় আমার বাড়িতে তোমাকে ট্যাংরা মাছের চচ্চরি, শর্ষে ইলিশ আর ডাল সহযোগে বাংলা ডিশ খাওয়াবো। দেশে এলে আমার বাড়িতে চলে এসো। তোমার দাওয়াত রইল।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৩
ওমেরা বলেছেন: দাদু ভাইয়া মিটবল ও আলু সুইডেনের জাতীয় খাবার , আসেন এবার একসাথে খাই দাদু ভাইয়া।
১২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৭
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: জগতারন আর স্বপ্নের ফেরিওয়ালা আপনাদের কারো ব্লগে কোন পোষ্ট নেই কেন ? আপনারা কারা জানতে পারি ? সত্যি না মিথ্যা বলছেন পরিষ্কার করুন ।এভাবে একজন কে ছোট করা কি ঠিক হচ্ছে ?
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩১
ওমেরা বলেছেন: লক্ষী আপু আপনাকে আমি বলছি, আমি কখনো কারো লিখা থেকে একটা লাইনও নেই নি । আমি আগে অন্য একটা ব্লগে অন্য নামে লিখতাম, সেই লিখা গুলো যখন এই ব্লগে দিয়েছি তখন আমি বলি নাই এই লিখা গুলো আগে প্রকাশিত এ টুকু আমার অপরাধ। এক সময় আমি সত্যকে প্রকাশ করেছি । উনি এখন যা করছেন পুরাটাই প্রতিহিংসা মূলক।
১৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪১
মলাসইলমুইনা বলেছেন: @ স্বপ্নের_ফেরিওয়ালা আর @জগতারন: ব্যাপারটাতো বুঝলাম না | এসেই আবার সেই পুরোনো কাসুন্দি ঘটতে শুরু করলেন ? যদি মনেই হয় ওমেরার আজকের লেখাটা কোনো লেখার ট্রান্সলেশন আর সেটার ক্রেডিট দেওয়া হয় নি তবে সেটার একটা লিংক দিলেইতো ঝামেলা শেষ |আমরা সহজেই বুঝে যাই লেখাটা নকল | সেটা না করে শুধু সন্দেহের উপর নকল বললেতো ব্যক্তিগত আক্রমণ কর হয়ে গেলো | এই অর্থহীন কাজগুলো করে ব্লগের পরিবেশটা নষ্ট না করলে কি হয় না | আবার বলি, ভাই প্লিজ আপনারা একটু টোন ডাউন করুন, থামুন |
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫০
ওমেরা বলেছেন: আরে ভাপু সেটা পারছে না বলেই তো জ্বালা।
১৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৭
Mysterious Mystery বলেছেন: সুডেনের StockHolmes এ মামা থাকেন স্বপরিবারে ২৯ বছর ধরে।, লিখা নিদারুণ ভালো লেগেছে পরবর্তীর অপেক্ষায় রইলাম।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১৩
ওমেরা বলেছেন: ২৯ বছর তাহলে তো অনেক পুরানো, নাম বল্লে হয়ত চিনতে পারব। আমি ষ্টকহোমেই থাকি ,ভাইয়া ভাবীর সাথে থাকি । ধন্যবাদ ভাইয়া ।
১৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১০
শুভ_ঢাকা বলেছেন: ওমেরা,
আগ্রহ নিয়ে পড়লাম। ভাল লেগেছে। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। কিরুনা তে আপনি কি উইন্টারে গিয়েছিলেন।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১৫
ওমেরা বলেছেন: না ভাইয়া উইন্টারে ওখানে যেতে চাই না , অক্টোবরে তাই চারিদিক বরফে ডাকা আর অনেক শীত ছিল। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
১৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২৩
জাহিদ অনিক বলেছেন:
বাহ ! বন্ধু ওমেরা ! ভালই লাগলো সুইডেনের অভিজ্ঞতা।
আরও লিখুন, আমাদের জানান বিদেশ বিভূঁইয়ের কথা।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯
ওমেরা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ বন্ধু।
১৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫২
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: লেখা অনেক ভালো লেগেছে এবং পরবর্তী পর্বের অপেক্ষাতে থাকলাম কিন্তু একটা বিষয় বুঝলামনা মন্তবে কিছু কাদা ছোড়াছুড়ি হচ্ছে ; কেন?
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২২
ওমেরা বলেছেন: লিখা ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
১৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সুইডিশদের মত যদি আমরাও হতে পারতাম তাহলে দেশে এত ভেজাল হত না।
লেখাটি পড়তে পড়তে মনে হল সুইডেনের কোন এক নির্জণ পথ ধরে আমিও হেটে যাচ্ছি ।
অসম্ভব ভাল লাগলো।
ভাল থাকুন প্রবাসে।
ধন্যবাদ।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৩
ওমেরা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
১৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: 'চলার পথে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে গন্তব্যে পৌঁছা যায় না।'
কুল এন ইগ্নোর!
লিখা ভাল লেগেছে।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৪
ওমেরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পরামর্শের জন্য।
২০| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১২
সামিয়া বলেছেন: পোষ্টে ভালোলাগা +++++
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮
ওমেরা বলেছেন: ধন্যবাদ আপু ।
২১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৫
তারেক ফাহিম বলেছেন: সুইডিনদের আন্তরিকতা পড়ে ভালো লাগলো।
মন্তব্য কলামে বাঙালীর ক্যাচালগুলো সব ভুলিয়ে দিলো, আবার পরতে হবে এবং চোখ বন্ধ করে নিজের মন্তব্য কলামে এসে মন্তব্য করতে হবে।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫
ওমেরা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
২২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমি আরেক বার লেখাটা পড়লাম |আমার আরো একবার ভালো লাগলো | এতে আমার কোনো দোষ নেই কিন্তু |
১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৭
ওমেরা বলেছেন: ভাপু আমার লিখায় কি ভাল লাগার কিছু আছে নাকি! তবু যখন আপনার ভাল লেগেছে তার জন্য আপনাকে tusen tack ভাপু।
২৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪
মলাসইলমুইনা বলেছেন: প্রিয় ব্লগার ওমেরা, এটাই ব্লগীয় গণতন্ত্র ! আমার ভালো লাগা আমি সেটা খুঁজে পাই মাঠে -ঘাটে, লেখায়, কবিতায়, মেঘের ভেলায় | আপনার লেখাতেও পেলাম | এখন জরুরি কথা: কি বললেন? একটু অনুবাদ করুন প্লিজ !
১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬
ওমেরা বলেছেন: আপনি তো Svenska জানেন ভাপু।
২৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৮
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমি সুইডিশ কে বললো ?
১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১
ওমেরা বলেছেন: আপনি সুইডিশ তাতো বলিনাই বলেছি আপনি সুইডিশ ভাষা পারেন কিছু কিছু।
২৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪
মলাসইলমুইনা বলেছেন: জ্বী, ধরুন আপনাদের অর্ল্যান্ডো এয়ারপোর্টে গিয়ে নামলাম | উপসালা যাবো | ট্রেন স্টেশনে যেতে যে অল্প কয়েকটা কথা আমার ট্যাক্সি ড্রাইভারের সাথে বললে হবে সেটা হয়তো হেই বলে শুরু পারবো |একটাই আশংকা আমার বাঙালি উচ্চারণ আপনার দেশের মানুষ বুঝতে পারবে কি না | আলুকে "পঠেঠু" না বলে পটেটু বলে দোকানিকে বোঝাতে না পেরে আমেরিকায় এসে প্রথমদিকে একদিন যে বিপদে পড়েছিলাম ! অবশ্য আপনাকে যোগাযোগ করলে আমাকে উদ্ধার করতে ট্যাক্সি ড্রাইভারকেতো বলে দিতে পারবেন কোথায় আমাকে ডাম্প করতে হবে তাই না ? সেই ভরসাতে দাবি করতেই পারি কিছু সুইডিশ জানি ! ভালো থাকুন |
২৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৬
আখেনাটেন বলেছেন: ভালো লাগল জীবনের চলার পথে স্মৃতির ঝাঁপি।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৭
ওমেরা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
২৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৫
সুমন কর বলেছেন: মনিকা, পুল এবং আপনার কাহিনী পড়ে ভালো লাগল।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:২০
ওমেরা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
২৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭
নাগরিক কবি বলেছেন: বাহ! এ দেখি বিশাল অবস্থা।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯
ওমেরা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
২৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:০০
মাআইপা বলেছেন: সন্তানের জন্য হাহাকার করা মায়ের মন!!!!!!!!!!!!!!
শেষের প্যারা পড়তে গিয়ে আমারো চোখে জল এসে গেল।
শ্রদ্ধা রইল মনিকার জন্য।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৫
ওমেরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৩০| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব ভাল লাগলো আপনার এ সুন্দর গল্পটা পড়ে। মানুষের মনের কোমলতা আমাকে সহজে স্পর্শ করে, তাই আপনার এ গল্প পড়ে আপনার প্রতি মনিকা, পুল আর রোজমেরি 'খালামনি'র ভালবাসা আমাকে অভিভূত করেছে।
আমার আপন ভাগ্নে আজ থেকে ১৯ বছর আগে আমেরিকায় যায়। সে যখন পিএইচডি করছিল, তখন সে একদিন উইক এন্ডে তার এক ছাত্র-বন্ধুর সাথে তাদের গ্রামের বাড়ীতে যায়। বন্ধুর মা প্রথম দেখাতেই জানতে পারেন যে সে সদ্য মা হারা হয়েছে এবং তার পরে পরেই তাকে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে হয়েছে। তিনি ওকে আলিঙ্গণ করে বলেন, 'আজ থেকে তুমি আমার আরেকটা ছেলে' এবং তিনি প্রথম দিন থেকেই তার সাথে মায়ের মতই আচরণ করতে থাকেন। সেই থেকে ওর প্রতিটি জন্মদিনে তিনি ওর প্রিয় ফ্রুটকেক বানিয়ে সাথে নতুন একটি ১০০ ডলারের বিল (নোট) ও যেখানেই থাকুক, ঠিকানা সংগ্রহ করে পাঠিয়েছেন। ২০১৩ সালে আমি ওর বাসায় আতিথ্য গ্রহণ করেছিলাম এবং আমি সেখানে থাকাকালীন তার জন্মদিন পড়েছিল। আমি নিজ চোখেই দেখেছি সেই মায়ের স্নেহভরা চিঠি, খেয়েছি তার কেক এবং দেখেছি সেই নতুন নোট। আজ পর্যন্ত এর কোন ব্যত্যয় ঘটেনি।
সত্যি, কি বিচিত্র মানুষের মন আর কি গভীর তার মনের ভালবাসার শেকড়!
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৩
ওমেরা বলেছেন: এসব দেশের মানুষ গুলো এরকমই কাউকে ভালো বাসলে সহজে ভুলে যা্য় না।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বাকিটুকু জলদী লিখে ফেল ওমেরা। মনিকার কাহিনী খুব ভালো লাগছে। আর তোমার ঐ কথাটা মানুষের মন বড়ই অদ্ভুত কখন কাকে ভাললাগে,সেই ভাললাগা জাতি,ধর্ম,বর্ণ ভেদ করে পৌঁছে যায় হৃদয়ের গভীরে বলা মুশকিল। খুব সুন্দর লিখেছ।
এভাবেই তো মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষা পেতে হয় আর দিতে হয়। দাঁড়ি কমার দিকে খেয়াল রেখো আর সম্ভব হলে পরের পর্বে মনিকা ও পুলের ছবি দিও। খুব সুন্দর করে লিখছো তুমি আজকাল।
ধন্যবাদ ওমেরা বুবু।