নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার আল্লাহ আমাকে একজন নারী হিসাবে সৃষ্টি করেছেন আর আল্লাহর সিন্ধান্তে আমি সন্তুষ্ঠ আছি।

ওমেরা

শালীনতাই সৌন্দর্য্য

ওমেরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পথে চলতে চলতে ( পর্ব ছয় )

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১৭




একটু সহানুভূতি

জীবন চলার পথে প্রতিদিনই আমরা সবাই কম বেশি বিপদ-আপদ, বালা- মুসিবত বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হই । এই দুঃসময়ে টাকা পয়সা দিয়ে না হোক (সব সমস্যায় টাকা পয়সার দরকার হয় না) আপনার মুখের একটু সহানুভূতি, একটু মায়া মমতাপূর্ণ কথায় সমস্যাগ্রস্থ ব্যাক্তির সমস্যার সমাধান না হলেও তার মনে এনে দিতে পারে প্রশান্তির সুবাতাস I সে মনে সাহস পায়, উৎসাহ পায়। সব শেষ হয়ে যাবার পরেও আবার নতুন করে শুরু করার স্বপ্ন দেখতে পারে। আপনার এই একটু সহানুভূতি, একটু মায়া,মমতাপূর্ণ কথা কোনো একজন সমস্যাগ্রস্থ ব্যক্তি আজীবন মনে রাখে পারে আপনার অজান্তেই।

অনেক ক্ষেত্রে আমাদের সমাজে ভিন্নচিত্রও দেখা যায় I কারো সমস্যায় ভাল পরামর্শ দিলেও শুনতে হয়, এসেছে বিনে পয়সায় উপদেশ বিলাতে ! বিপদে সহানুভূতি দেখালে শুনতে হয় আসছে করুনা করতে, নিজের উপর এই বিপদ আসলে বুঝতে পারত। এই ধরনের নানা কথাই মানুষ বলে।

কয়েক বছর আগে এরকম একটা বড় বিপদ আমাদের ফ্যামিলিতেও এসেছিলো কাউকে এতটুকু না জানিয়েই I হঠাৎ করেই আমার আম্মুর ক্যানসার ধরা পরে I ডাক্তাররা রিপোর্ট দেখে বলেই দেয় আম্মু আর বড় জোর একমাস বাঁচবেন I তারপর আল্লাহর ইচ্ছা। সন্তানের কাছে এর চেয়ে বড় দু:সংবাদ তো আর কিছু হতে পারে না । খবর শুনার পর কয়েকদিন ধরেই স্কুলে যাচ্ছি না I হঠাৎ করেই দেশে যেতে হবে ঠিক হলো I স্কুল থেকে ছুটি নেওয়ার জন্য ক্লাস টিচারের সাথে কথা বলতে গেলাম।

টিচারের রুমে ঢুকে হেই! বলতেই উনি আমার দিকে তাকিয়েই বললে
“ডু ছের ব্লেক উত” ( ইউ লুক পেল )?
“নগত প্রব্লেম” (এনি প্রব্লেম )?

- 'সমস্যা তেমন কিচ্চু না',এত সমস্যার মাঝেও আমি ধীরে ধীরে বললাম, 'কিন্ত এই মূহুর্তে আমাকে দেশে যেতে হচ্ছে ।'
-টিচার : 'বছরের এই সময়ে দেশে যাবে ! কি কারন?'
-'আমার আম্মুর ক্যান্সার ধরা পড়েছে, তার অবস্থা খুবই ক্রিটিকাল' বলতেই আমার চোখ দিয়ে এতোক্ষনের আটকে রাখা পানিগুলো বাধা না মেনেই বেরিয়ে এলো ।
- টিচার আমার কথাগুলো শুনে কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বল্লেন,’ দেখ পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তা এমন কোন সমস্যা দেন নি যার কোন সমাধান নেই', সমস্যা যত বড়ই হোক তার সমাধান আছে । কখনো হয়ত সমাধানের সঠিক পথটা খুঁজে পেতে আমাদের দেরী হয়।কিন্ত এই মূহুর্তে তোমার সমস্যার সঠিক পথ আমার জানা নেই I আমার সান্তনার কথাও তোমার মনকে শান্ত করবে না I তবু বলি,আমি রিলিজিয়াস না তবে বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে পড়াশুনা করেছি I তুমি রিলিজিয়াস আর তোমার ধর্মে তো এটাই বলা আছে মৃত্যুর পর আবার কোন একসময় সবাইকে জীবিত করা হবে। সেখানে তো সবার সাথে আবার দেখা হবে' I

আমি এক দৃষ্টিতে আমার টিচারের দিকে তাকিয়ে থাকলাম অনেকক্ষন আর প্রানপনে চেষ্টা করছি আমার কান্নার পানি যেন চোখ দিয়ে বাঁধ না ভাঙা জোয়ারের মতো না বেড়িয়ে আসে I

টিচার আমার উদাস, কষ্টের দৃষ্টি দেখেই মনে হয় আমার মাথায় হাত বুলিয়ে আরো বল্লেন, 'তুমি মনে কর তোমার আম্মু অন্য কোন দেশে সেটেল্ড হওয়ার জন্য যাচ্ছে কিছুদিন বা কয়েক বছর পর তুমিও সেখানে যাবে, তুমি এটাকে এভাবে ভাবতে পারো না ? মানুষ তো মরবেই I সবাই মরবে কেউ আগে কেউ পরে।মৃত্যুকে তো মানুষ এখনো জয় করতে পারেনি। কিন্ত তোমরা যারা মৃত্যুর পরের জীবনকে বিশ্বাস কর তাদেরতো একটা আশা আছে যে তারা মায়া মমতার বন্ধনের পরিবারের সবাই আবার একদিন একত্রিত হবে । যাদের এই বিশ্বাস নেই তাদের তো সেই আশাও নেই'।

তুমি দেশে যাও যতটুকু সময় পাও আম্মুর পাশে থাক, স্কুল নিয়ে চিন্তা কর না , তোমার যে ক্লাস গুলো মিস হবে সেই সময়ের প্রবগুলো তুমি ফিরে এলে আমি নিয়ে নেবো।

“ লিকা থিল” (গুড লাক) I

সেদিন আমার টিচারের কথা আমার তেমন ভাল লাগেনি I সেই সময় এমন করে চিন্তা করার মেন্টালিটিও আমার ছিল না। কিন্ত যে দিন আমার আম্মু সত্যি সত্যি মারা গেলেন প্রথমে আমি চিৎকার করে কেঁদে উঠেছিলাম I কিন্তু হঠাৎ করেই আমার টিচারের কথা গুলো মনে পরল I আমি জানি না কেমন করে যেন আমি শান্ত হয়ে গেলাম I যদিও আমার চোখ দিয়ে পানি পরছিল কিন্ত আমি আর চিৎকার করে কাঁদিনি I আমাদের আত্বীয় স্বজনেরা বলাবলি করছিল ছোট মেয়েটাতো খুব শক্ত !

আমার আপু, দুই ভাইয়া আমার চেয়ে বয়সে অনেক বড় সবারই ফ্যামিলি আছে,বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে তাদের আলাদা একটা জগত আছে। আম্মুর জন্য তাদের খারাপ লাগে না তাও বলছিনা তবে আম্মু মারা যাওয়াতে যদিও আমি আম্মুর কাছে ছিলাম না নয় বছর বয়স থেকেই কিন্ত প্রতিদিন স্কাইপিতে এক, দেড় ঘন্টা করে কথা হত,দেখা হত তাই আমার খারাপ লাগাটা তাদের চেয়ে আমার মনে হয় একটু বেশী I আম্মুকে আমার একটু বেশী মনে পরে I আম্মুর জন্য মন খারাপ লাগে খুবই I কিন্ত তখনই আমি সব সময় টিচারের কথা গুলো মনে করি I আমার মনে শান্তি শান্তি লাগে, আমি স্বপ্ন দেখি, আশা রাখি আবার একদিন দেখা হবে আম্মুর সাথে I আম্মুকে জরিয়ে ধরব, আম্মুর বুকে মাথা রাখব। আম্মু আমাকে ছোট বেলায় মাথায় হাত বুলিয়ে যেমন গল্প বলতেন তেমন করে গল্প বলবেন !

এ ছারা ব্যক্তিগত জীবনে আমাদের ফ্যামেলিতে বিভিন্ন সময় ছোট খাট সমস্যা দেখা দিলেও আমি ফ্যামিলির সবার ছোট হওয়াতে আমাকে কখনো সেগুলো ফেস করতে হয়নি। যদিও এখন আমি বেশ বড় হয়েছি, কিন্ত তবু আমি সবার কাছে ছোটই রয়ে গেছি, কথায় কথায় শুনতে হয় তুমি কি বুঝ ছোট মানুষ!!

তবে ছোট হলে এটাও সত্যি যে আমি কখনো কোন কিছু নিয়ে সহজে ভেংগে পরি না বা বিচলিত হই না I আমি সহজে ধৈর্য হারাই না। এজন্য অনেকেই বলে, আমার নিজের কাছেও মনে হয়, আমি অনেক শক্ত মনের মেয়ে

কিন্ত সামু ব্লগে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে একটা মিথ্যাকে পুঁজির করে আমাকে এত অশ্লীল ভাষায় গালি দেওয়া হয়েছে যে সব ভাষা আমার পরিবারের কারো মুখে কখনো শুনিনি তাই আমার জানাও ছিল না তেমন একটা বুঝিও নাই এগুলোর মেনিং কি। কিন্তু পুরো ব্যাপারটায় খুব কষ্ট পেয়েছি I মন খারাপ হয়েছে খুব ।

সেই মূহুর্তে সহ ব্লগারদের সহাভূতিপূর্ন কমেন্টে আমার মনে শান্তির প্রলেপ দিয়েছে I তাদের দেয়া উৎসাহে আমি অনুপ্রানিত হয়েছি I আমি টিকে থাকার দৃঢতা পেয়েছি তাদের সহানুভূতিপূর্ণ কমেন্টে । হয়ত আমি ব্লগে এখনো তাই টিকেও আছি তাদের কারনেই ব্লগ ছেড়ে যাইনি। নাম বলতে গেলে অনেকের নামই বলতে হবে তাই কারো নামই বলছি না তবে সময়ের নিষ্ঠুরতায় জীবনের বাস্তবতায় হয়ত ব্লগে থাকা হবে না কিন্ত অদেখা অজানা কিছু মানুষের নাম রয়ে যাবে আমার মনের মনিকোঠায় আজীবন।
আমি আপনাদের সবার কাছে কৃতজ্ঞ ও সবাইকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ। ”Utan min vapu”।

ফটো ক্রেডিট : আমার আই ফোন ক্যামেরা।

মন্তব্য ৫১ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৫১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৭

মলাসইলমুইনা বলেছেন:
প্রিয় ওমেরা,

আপনার আরেকটা সিগনেচার লেখা পড়লাম ! জীবনের ছোট ছোট ঘটনাগুলোও কখনো কখনো অসামান্য হয়ে যায় I ঘটার সময় বোঝা যায় না যদিও |আপনার টিচারের কথা, নিজের আম্মুর মৃত্যু আর ব্লগে আপনার সাথে গত এক বছর অবিশ্রাম নোংরামির কারণে ঘটে যাওয়া তিনটে ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার সাথে নিজের কষ্টের যে মিলটা দেখালেন সেটা বাবুই পাখির বোনা বাসার মতোই শৈল্পিক বুননে হয়ে গেলো অসাধারণ সাহিত্য আর তাই ভালো লাগাও হলো অনেক অনেক I আপনার মতো সুন্দর করে এই লেখাগুলো ব্লগে কিন্তু আমরা কেউ লিখতে পারিনা সেটা আমার সব সময়ই মনে হয় I খুবই ভালো লাগলো I অনেক ধন্যবাদ নেবেন I

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৪৫

ওমেরা বলেছেন: ভাপু —- আপনি শুধু আমার লিখার প্রশংসা করবেন না তো, তাহলে আমাকে শিখাবো কে ? আপনারা তো অনেক বড়মাপের লেখক আমি ছোট মানুষ ছোট খাট লিখা লিখি যখন যা মনে আসে , তবু আপনার প্রশংসায় মনে ভাল লাগার শিহরন বয়ে গেল । অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রথম কমেন্টের জন্য ভাপু।

২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৩১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

লেখাটা সাবলীল! বেশ ভাল লাগল আপনার পথে চলতে চলতে...

সামনের দিনে সেই পথ আরো মসৃন হোক! শুভকামনা সবসময়।

আপনাত প্লিজ আপুরা ভাইয়ারা আমাকে ভুল বুঝবেন না পোষ্টে বিগত ১৫ তারিখে একটি মন্তব্য করেছিলাম! দুঃখের বিষয় হলো আজো মন্তব্য পাইনি!

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০৫

ওমেরা বলেছেন: লিখা ভাল লেগেছে আবার শুভ কামনার জন্য আপনাকে দুইটা ধন্যবাদ দিলাম ভাইয়া।
সরি, ভাইয়া শুধু আপনার না আরো কয়েক জনেরই কমেন্টেরই জবাব দেয়া হয়নি । আসলে ঐ পোষ্টটাতে যেতে আমার ভাল লাগা না তাই দেয়া হয়নি, মনে কষ্ট নিয়েন না ভাইয়া এক সময় দিয়ে দিব। আবারও ধন্যবাদ ভাইয়া।

৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৩১

কাইকর বলেছেন: আপনার সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম ও বুঝলাম

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০৭

ওমেরা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।

৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৪৬

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আপনার দৃঢ়তাকে সাধুবাদ জানাই।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ২:০৩

ওমেরা বলেছেন: ধন্যবাদ সম্রাটজী।

৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: জীবনে চলতে চলতে কিছুকিছু সময় মনে হয় দুনিয়ার যতো পানি চোখের পাতায় এসে জড়ো হয়েছে, যতই বাঁধ দিতে চেষ্টা করা হোক না কেন সেই জল চক্ষ নদীর পাড় ভাসিয়েই যায়, সেই বাঁধভাঙা অশ্রুজলে লুকানো থাকে হৃদয়ের সমস্ত ভালোবাসা।

সুন্দর লিখেছেন। সুন্দর ফুটিয়ে তুলেছেন মায়ের প্রতি ভালোবাসা।

শুভকামনা জানবেন সবসময়

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ২:০৫

ওমেরা বলেছেন: কেমন আছেন ভাইয়া ? আপনি তো আমাদের একেবারেই ভুলে গিয়েছেন ভাইয়া। আপনার কমেন্ট পেয়ে খুব ভাল লাগল। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০৫

শুভ_ঢাকা বলেছেন: ওমেরা,

তোমার লেখা আমাকে হৃদয়কে তীব্রভাবে স্পর্শ করে গেল। আমার বাবার কথা মনে পড়ে গেল। প্রতিদিনই তাকে স্মরণ করি। আজকে বাবাকে আর একবার মনে করিয়ে দিবার জন্য তোমাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

অনেক অনেক ভাল থাকো।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

ওমেরা বলেছেন: ভাইয়া আপনি আমার কষ্টের সময় গুলো আমাকে আমাকে সাহস, উৎসাহ দিয়েছেন সেই প্রথম থেকে তার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন আমার পক্ষ থেকে।

ভাইয়া শুধু মনে না, সব সময় দোওয়া করবেন উনার জন্য যা উনার জন্য উপকার হবে। একটা হাদীস পড়েছি,” কিয়ামতের দিন এক লোক নিজের ভাল আমলনামা পেয়ে খুশী যেমন হবে তেমনি কৌতুহলী হয়ে আল্লাহকে প্রশ্ন করবে, “ আমি ভাল আমল করেছি কিন্ত এত ভাল মনে হয় না , আমার আমল নামায় এত ভাল আমল কি ভাবে যোগ হল ? তখন আল্লাহ বলবেন, “ দুনিয়াতে তুমি একজন সৎ সন্তান রেখে এসেছিলে তোমার সেই সন্তান তোমার জন্য দোয়া করেছে , আর সে যত ভাল আমল করেছে সবই তোমার আমল নামায় যোগ হয়েছে।

ভাইয়া আবার এর বিপরীদ টাও পাবে মানে সন্তান যদি খারাপ কাজ করে তবে বদ আমল ও তাদের আমল নামায় যোগ হবে।

ভাইয়া এখন যাদের জন্য আমাদের কষ্ট হচ্ছে আমাদের তো উচিত আমাদের জন্য তাদের যেন কষ্ট না হয়, বাবা,মা বেঁচে থাকলে তাদের জন্য তো আমাদের কতকিছুই করতে হত, উনারা আমাদের কাছে কিছুই চাচ্ছে না, কিছুই করতে পারছি না , আমরা যেন সৎ সন্তান হই, উনাদের জন্য সব সময় দোয়া করি, ভাল আমল করি , ইনশা আল্লাহ জান্নাতে আবার আমরা সবাই একত্রিত হব ।

ভাইয়া, বিনে পয়সায় অনেক উপদেশই দিয়ে ফেল্লাম । ধন্যবাদ ভাইয়া।

৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আপনার সাথে কি ঘটেছিল আমি কিছুই জানি না, ওমেরা। জানতেও চাই না। কারণ লেখা থেকেই আন্দাজ করেছি। মায়ের ব্যাপারে আপনার টিচারের বলা কথাগুলো ছিল খুব মোটিভেশনাল। আপনার লেখার বর্ণনায় সেটা মন ছুঁয়ে গেছে। আর আপনার এই পোস্ট হল নিজের সাহসী মনের প্রতি মোটিভেশনাল। বেশ কিছু জানতে পারলাম আপনার ব্যাপারে। আবেগ অনুভূতির কিছুটা বুঝতে পারলাম। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার প্রতি।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০৩

ওমেরা বলেছেন: আমি ওসব কথা মনে করতে চাই না আপু কিন্ত এক বছরের ও বেশী সময় ধরে এক নিক যায় আরেক নিক আসে এভাবে আমাকে যন্ত্রনা দিয়েই যাচ্ছে। সহ ব্লগাররাই আমাকে সাহস , উৎসাহ দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে প্রেরনা পেয়েছি ।

আপু এই বিদেশে আমার ভাইয়া ভাবী আমার পড়া শুনার ব্যাপারে আমাকে তেমন হেল্প করতে পারেনি, কিন্ত আমি আমার টিচারদের সাথে ভাল সম্পর্ক ও সব বিষয়ে কথা বলি , তাদের কাছ থেকে ভাল পরামর্শ গুলো আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে খুবই সাহায্য করেছে ।

আপনার কমেন্ট খুব ভাল লেগেছে আপু অনেক ধন্যবাদ।

৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



অনেকদিন পর আপনার লেখা পেলাম। লেখায় ভাল লাগা রইলো।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০৬

ওমেরা বলেছেন: ভাল লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

৯| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:১৫

সিগন্যাস বলেছেন: অবশেষে মেঘ দূর হলো । আপনি ব্লগের অল্প কয়েকজনের একজন যারা না থাকলে ব্লগটাকে কেমন নীরব মনে হয় । আশা করি এবার নিয়মিত লিখে যাবেন !:#P

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:২০

ওমেরা বলেছেন: আসলে ভাইয়া আমার এই বয়সে আমি কতটা বিজি থাকি আপনি না দেখলে বিস্বাস করবেন না , একদিকে আমার কঠিন পড়াশুনার পাশাপাশি জব এর পরও যখনই একটু সময় পাই আমি এই ব্লগে আসি কমেন্টে সবার সাথে একটু দুষ্টামী করি আমার ভাল লাগে আমার কষ্ট দুর হয় আমার ক্লান্তি দুর হয় । আমি আছি থাকব ইনশা আল্লাহ । অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

১০| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:২২

সুমন কর বলেছেন: এধরনের লেখাগুলো মনকে খারাপ করে দেয়। জানি সবাই একদিন মৃত্যুকে সাথি করে চলে যাবে !! তবুও আমাদের বেঁচে থাকতে হয়। +।

আর ব্লগ ছেড়ে যাবার চিন্তা বাদ দিন। আপনি আপনার কথাগুলো (লেখাগুলো) আমাদের মাঝে শেয়ার করুন। ভালো লাগবে। শুধুশুধু ছেড়ে কি লাভ? এইযে এখানে কতগুলো ভার্চুয়াল বন্ধুদের সাথে পরিচয় হলো, কথা হলো কিন্তু দেখা হয়নি (হতেও পারে) তবুও তো তারা কাছের মানুষ। কি বলেন !! আমিও ভাবি, আর ব্লগে আসব না.....তবুও ব্লগে না আসলে কেমন কেমন জানি লাগে !!

ইগনর করুন। দরকার হলে কিছুদিন পোস্ট দিয়েন না। পোস্ট পড়ুন এবং মন্তব্য করুন। দেখবেন, আবার সব ঠিক হয়ে গেছে।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা....

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:০৭

ওমেরা বলেছেন: সুমন ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন দেখা হয়নি , জানা হয়নি তবু তারা কাছের মানুষ।অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

১১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দরভাবে নিজের মনের কথা গুলো লিখেছেন।

প্রজাপতির ডানায় ভর করে মেলেছে রদ্দুর। সবুজ আলপথ মাড়িয়ে যেতে চাই বহুদূর। সঙ্গে যাবে নাকি। আমার এখনো অনেকটা পথ রয়েছে বাকি।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৫

ওমেরা বলেছেন: কোথায় যাবেন রাজিব ভাইয়া, চাঁন্দের দেশে নাকি !! অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

১২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪২

শুভ_ঢাকা বলেছেন: পৃথিবীর মধ্যে সব থেকে সহজ কাজগুলির মধ্যে একটা হলো উপদেশ দেওয়া। নিচের ছবিসহ এই কথাটি তোমাকে দেওয়ার আগে আমি নিজের সাথে অনেক যুদ্ধ করেছি। আসলেই কি আমি তা বিশ্বাস করি, আসলেই কি আমি তা পালন করি। যে জিনিষ আমি বিশ্বাস করি না বা পালন করি না কিন্তু তোমাকে দিলাম এটা দ্বিচারিতার সামিল। কিন্তু বিশ্বাস করো এই পরামর্শটি আমি মেনে নিতে না মনে নাওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি। এই বাক্যটির মধ্যে একধরনের শান্তি আছে। আর আমি শান্তিতে বাচতে চাই।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:০৬

ওমেরা বলেছেন: ভাইয়া আমি উপদেশ শুনে শুনে অভ্যস্ত ,তাই আমাকে উপদেশ দিতে কষ্ট পাবেন না , এখানেও আপনাকে একটা হাদীস বলি, রাসুল (সাঃ) বলেছেন,” আল্লাহ তা’য়ালা সেই লোকের মুখমণ্ডল উজ্জ্বল - উদ্ভাসিত করিবেন ,চির সবুজ চির তাজা করিয়ে রাখিবেন, যে আমার কথা শুনিয়া মুখস্থ করিয়া রাখিবে কিংবা স্মৃতিপটে সংরক্ষিত রাখিবে এবং অপর লোকের নিকট পৌছাইয়া দিবে। জ্ঞানের বহু ধারকই প্রকৃত জ্ঞানী নহে , তবে জ্ঞানের বহু ধারক উহা এমন ব্যাক্তির নিকট পৌছাইয়া দেয়, যে তাহার অপেক্ষা অধিক সমঝদার! ( আবু দাউদ)
কাজেই ভাইয়া আমরা ভাল কিছু জানলে সেটা অবশ্যই অন্যের নিকট পৌছে দিব, এমন হতেই পারে আমি সেটা তেমনি ভাবে পালন করছি না বা কোন কারনে পালন করতে পারতেছি কিন্ত আমি এমন একজনের কাছে পৌছে দিলাম সে সেটা আমার চেয়ে উত্তম ভাবে পালন করছে এইটা মাত্র বানীই তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তোমার আম্মুকে আল্লাহ বেহেশতে নসিব করুন, এই দোয়া করি। পরকালে তার সাথে তোমার নিশ্চয়ই দেখা হবে।


আর একটা কথা, ব্লগে কেউ কেউ তোমার কষ্টের কারণ হয়েছে এটা যেমন সত্য, তেমনি এই ব্লগেই তোমার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীও রয়েছে। গ্লাসের খালি অর্ধেকটা অংশের দিকে না তাকিয়ে পানি ভর্তি বাঁকি অংশটির দিকে তাকিয়ে দেখ। পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চয় তোমার মনে প্রশান্তি এনে দেবে।

ধন্যবাদ ওমেরা বুবু। আমার প্রো-পিকে তোমার ছোট বোন নয়নতারাকে দেখ। ওকে কেমন লাগছে বল তো?

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:১৫

ওমেরা বলেছেন: দাদু ভাইয়া ব্লগে আমার শুভাকাঙ্ক্ষীই বেশী সেই জন্যই তো এখনো ব্লগে থাকতে পারছি ।

মাশাআল্লাহ নয়ন তারা অনেক কিউট হয়েছে। নয়নতারা আপু কি তার নানু বাড়ি থেকে ফিরেছে ?

ধন্যবাদ দাদু ভাইয়া।

১৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১০

নাজিম সৌরভ বলেছেন: লিখে যান, ব্লগে কে কি বলল তা না দেখে নিজের মত চলুন। আপনার সাবলীল কমেন্টের জন্য আমার মত অনেক নতুন ব্লগার আপনাকে পছন্দ করে। ব্লগে আপনি আমাদের সহানুভূতি ও ভালোবাসা পাবেন।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫

ওমেরা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



গতরাতেই অফলাইনে পড়েছি সুন্দর এই লেখাটি। অনেক প্রিয় স্মৃতির এ্যালবাম খুলে দিলেন যেন। শুভকামনা প্রতিনিয়ত।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬

ওমেরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ওহে লেখক!!!B:-)
সুদে-আসলে অনেক মন্তব্য করা বাঁকি রহিয়াছে।
অনুমতি পাইলে হালি খানেক মন্তব্য করিতে হইবে....:P


পুনশ্চঃ
এই পেজে সারাদিন ট্র্যাফিকজ্যাম লেগে থাকে কেন???:P

২০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:০০

ওমেরা বলেছেন: পাঠক একটা কেন চারটা কমেন্ট করে তার প্রতিক্রিয়া জানাতেই পারে এতে অনুমতির দরকার নেই তবে চাঁদগাজী ভাইয়ার একটা কথা আমার খুব পছন্দ হয়েছে “ এক পোষ্টে একজনের একের অধিক কমেন্ট পোষ্টের সৌন্দর্য হানি করে “। তবে আড্ডা পোষ্ট হলে ভিন্ন কথা।

আর ট্রাফিক জ্যাম এটা ইদানীং হয়েই যাচ্ছে যদিও এটা আমার খুব অপছন্দের কিন্ত কি করব সময়ের সাথে যে পারি না ।

আর একটা কথা বড়দের মুখে শুনেছি , চুন লেগে গাল পুড়েছে এখন দই দেখেও ভয় লাগে।
আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক ।

১৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় আপু,

আপনি যথেষ্ট শক্তমনের মানুষ। কীভাবে প্রতিকুলতাকে জয় করতে হয় আপনি জানেন। আপনজন হারনোর সান্ত্বনা কোনও কিছুতেই পূরণ হওয়ার নয়। তবুও বলবো এমন অভিজ্ঞতা আমাদের সবার জীবনেই আছে। কেউ আগে কেউবা পরে তার মুখোমুখি হয়। এরই মধ্যে দিয়ে আমরা যদি আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি তাহলেই হবে তাদের স্বপ্নপূরণ।

আপনার মায়ের জন্য আমার দোয়া রইল, উপরওয়ালা যেন ওনাকে বেহেস্তবাসী করেন।

অনেক শুভকামনা আপনাকে।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

ওমেরা বলেছেন: আপনি অনেক সুন্দর করে কমেন্ট করেন ভাইয়া, খুব ভাল লাগে । অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনার মায়ের জন্যে দোয়া রইল।
ব্লগের সকলের জন্যে দোয়া রইল।

ভালো থাকবেন।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:০২

ওমেরা বলেছেন: ভাইয়া আপনি কি হজ্বে যাচ্ছেন ? ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৯| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হুর আর ল্যাগেত?

২০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫

ওমেরা বলেছেন: দে ব্র। হুর এ্যার মে দেই ?

২০| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৩১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ইন্তে ব্রো। মিক্কে ইয়োব্বা। মিক্কে ভার্ম, ভ্যালডিট দলিট ভ্যাদার

২১| ২১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯

আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: আপনার ও ধৈর্য্য আছে । আমি কিছু শিখে গেলাম । ভালো কিছু , কিছু ভালো শব্দ সত্যিই পরিবর্তন করে দেয় এপিঠ ওপিঠ। ভালো থাকবেন। মন ভালো থাকলে পৃথীবিতে সব কিছুতেই সুখ ।

২১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮

ওমেরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

২২| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০০

তারেক সিফাত বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপনা, ভালো লেগেছে পড়ে।

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫

ওমেরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।

২৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:২৯

সাগর শরীফ বলেছেন: যেটা ঘটার ছিল সেটা তো ঘটবেই । তা হোক আমাদের প্রত্যাশিত বা অপ্রত্যাশিত । উপরওয়ালার তা তে ঠিক কিছু আসে যায় না । শুধুমাত্র তিনি যা করেন ভালোর জন্যই করেন সেই আশাতেই আশানুরূপ সাফল্য লাভের প্রত্যাশা আমাদের !!
তবে ওমেরা আপু আজ আপনি কিছু সারভাইভাল ট্রিকস শেখালেন। ধন্যবাদ।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:০৭

ওমেরা বলেছেন: সাগর ভাইয়া অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

২৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭

আখেনাটেন বলেছেন: অনেক কষ্টের কিছু স্মৃতি জমা হয়ে গেছে আপনার ওমেরা। আপনার আম্মার জন্য দোয়া রইল। আমাদের সকলকেই একদিন বিদায় নিতে হবে।

আপনি লিখতে থাকুন। অশুভ অাত্মারা সবসময় আমাদের চারপাশেই থাকে। এর মাঝেই জীবন। যদিও আপনাকে অনেক শক্ত মেয়ে মনে হয়। অল্পতেই ভেঙে পড়ার নয়। এটা ভালো গুণ।

শুভকামনা আপনার অাগামী দিনগুলোর জন্য। ভালো থাকুন।

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

ওমেরা বলেছেন: প্রেরনা ও শুভ কামনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ অখেনটেন ভাইয়া।

২৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১৪

অচেনা হৃদি বলেছেন: আশ্চর্য, চমৎকার এই পোস্ট আমি মিস করে গিয়েছিলাম!
আপু, অনেক ভালো লেগেছে আপনার অনুভূতি, কিছু কিছু ব্যপারে আপনার সাথে আমার মিল খুঁজে পেলাম।
ভালো থাকবেন আপু।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ২:২৯

ওমেরা বলেছেন: জী আপু অনেক কিছুই আপনার সাথে আমার মিল আছে, আপনার একটা লিখা থেকে জেনেছি আপনি ভাই বোনদের মাঝে ছোট আমিও ছোট , আপনার ভাই বোনদের সাথে বয়সের ব্যাবধান অনেক আমারও ঠিক তাই । প্রথমে আমার দুই ভাইয়া তার পর আমার আপু সেই আপুর চৌদ্দ বছর পর আমার জন্ম । আমার আপুর যখন বিয়ে হয় আমার বয়স তখন চার বছর।

আপু আপনার কমেন্ট পেয়ে খুব ভাল ফিল করলাম ।

আল্লাহ আপনাকেও ভাল রাখুন । ধন্যবাদ আপু।

২৬| ২০ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: শিরোনামের ছবিটা এবং 'একটু সহানুভূতি' এর অধীনে লেখা প্রথম অনুচ্ছেদটা খুব সুন্দর হয়েছে।
আপনার শিক্ষয়িত্রী নিশ্চয়ই মুসলিম নারী ছিলেন না, কিন্তু তিনি তার মন থেকে সেদিন যে কথাটা আপনাকে বলেছিলেন ("দেখ, পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তা এমন কোন সমস্যা দেন নি যার কোন সমাধান নেই। সমস্যা যত বড়ই হোক, তার সমাধান আছে") তা পবিত্র ক্বুর'আন এরই বাণী। আল্লাহতা'লা সুরাহ আল ইনিশিরাহ এ বলেছেন, "ইন্না মা'আল ইউসরি ইউসরা, ফা ইন্না মা'আল ইউসরি ইউসরা"! অর্থাৎ, "সব সমস্যার সমাধান আছে, নিশ্চয়ই সব সমস্যার সমাধান আছে!" একজন নন-রিলিজিয়াস ব্যক্তি হিসেবেও তিনি নিজের অজান্তে পবিত্র ক্বুর'আন এর বাণীকে বুকে ধারণ ও লালন করছেন, যা আপনার দুঃখের সময়ে তিনি আপনাকে বলে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন।

এত কিছুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আপনি অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে ব্লগে শুধু টিকে ছিলেনই বলবো না বরং অনেক ভালো ভালো পোস্ট লিখে নিন্দুকের মুখে ছাই দিয়ে নিজের অবস্থানটিকে সুদৃঢ় করেছিলেন। কিন্তু এখন দেখছি আপনি বহুদিন ধরে ব্লগে অনুপস্থিত, কখনো সখনো উপস্থিত থাকলেও কোন নতুন পোস্ট দেন না, কারও পোস্টে মন্তব্য করেন না, এমনকি নিজের পোস্টে অন্যদের করা মন্তব্যেরও উত্তর দিচ্ছেন না। তাহলে কি শেষ পর্যন্ত আপনি সময়ের কাছে হেরে গেলেন? কিংবা অন্য কোন কিছুর কাছে?

ভালো থাকুন, শুভকামনা....

২৭| ২০ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন এবং আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম এর মন্তব্যদুটো পড়ে ব্লগে তাদের সক্রিয় থাকার দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল! আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন তাদেরকে পরলোকে শান্তিতে রাখুন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.