নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার আল্লাহ আমাকে একজন নারী হিসাবে সৃষ্টি করেছেন আর আল্লাহর সিন্ধান্তে আমি সন্তুষ্ঠ আছি।

ওমেরা

শালীনতাই সৌন্দর্য্য

ওমেরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

**** বাথান বাড়ি **** ( স্মৃতির পাতা থেকে )

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১০



আমার নানুদের গ্রামে একটা বাড়ি ছিল , সেই বাড়ির নাম ছিল বাথানবাড়ি । আসলে সেটাকে গ্রাম বলা যায় কিনা আমি ঠিক বলতে পারছি না । এটা ছিল চকের মাঝখানে আশে পাশে অন্য কোন বাড়ি ঘর ছিল না চার পাশে শুধু ফসলের জমি আর জমি, মাঝখানে একটা মাত্র বাড়ি আমার নানাদের তিন ভাইয়ের ছিল সেই বাড়ি সেখানে আমার নানারা কেউ থাকত না। আমি ঠিক জানিনা তবে শুনেছি আমার নানাদের কয়েকশত বিঘা জমিন ছিল । এই জমিতে কাজ করার জন্য অনেক গুলো রাখাল ছিল , তারা এই বাড়িতে থাকত , গরুও ছিল অনেক গুলো।
আমার নানা, মামারা মাঝে মাঝেই যেত জমি টমি, ফসল দেখতে আর কয়েক বছর পর পর বাড়ির মহিলাদের নিয়ে যেত একদিনের জন্য বেড়াতে ,অনেক লোকজন মিলে যেত অনেকটা পিকনিকের মত।

আমার বয়স যখন সাত বা আট বছর তখন ছিল বর্ষাকাল , আমার আম্মুরা সব ভাই বোনেরা মিলে প্লান করে বাথান বাড়ি বেড়াতে যাবে সবাই মিলে । আমার আম্মুর আপন ভাই বোন তো আছেই সাথে চাচাতো, ফুপাতো ভাই বোনরাও অনেকে যাবে।

বাথান বাড়ি যাওয়ার কথা শোনে আমি মহা খুশী । আম্মুর মুখে এই বাথান বাড়ির অনেক গল্প শুনে শুনে সেখানে যাওয়ার একটা স্বপ্ল ছিল ।বর্ষাকালে ওখানে নৌকায় যেতে হয়, এর আগে আমি কখনো নৌকায় উঠিনি ,স্বপ্নের বাথান বাড়ি যাব, আবার জীবনের প্রথম নৌকায় চরব আমার ভিতর অনেক উৎসাহ আর উদ্দীপনা কাজ করছিল। দুই সপ্তাহ পর আমরা যাব, এই দুই সপ্তাহে আমার এত এত প্রশ্ন বাসার সবাইকে করেছি তার জন্য সবার কাছে কত বকা শুনেছি সেগুলো এখন মনে করে হাসি পায়। যাই হোক আমার সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে এলো সেই মহেন্দ্রক্ষন।

সকাল দশটায় আমরা ওখানে পৌঁছে যাই। ( আব্বু্, আম্মুর সাথে আমি, আপু , ভাইয়ারা কেউ যাবে না) আমিন বাজারের আশে পাশে কোন একটা জায়গা হবে , এখান থেকেই নৌকা করে আমাদের যেতে হবে বাথানবাড়ি। আমরা পৌছে দেখি অনেকেই আমাদের আগেই পৌছেছে অনেকেই এখনো আসেনি। অল্প সময়ের ভিতরেই সবাই এসে পৌছে গেল। অনেক মানুষ আমার আম্মুর চাচাতো, ফোপাতো ভাই,বোনই সব তবু অনেককেই আমি চিনি না যাই হোক বড় বড় তিনটা নৌকা করে আমাদের যাত্রা শুরু হল ।নৌকা গুলো আমার নানাদের নিজেদেরই। আমি আব্বু আম্মুর সাথেই ছিলাম, এই নৌকাতে আমার কয়েকজন খালামনি, খালুরা, মামা,মামীরা ও তাদের ছেলে মেয়েরা মিলে প্রায় পচিঁশ জনের মতো ছিলাম।

নৌকা ছাড়ার পর সবাই সুবিধা করে বসে, ছেলেরা হেরে গলায় গান গাচ্ছে বিভিন্ন রকম ঠাট্টা মশকরা করছে , বড়রাও যে সময়ে ছোট হয়ে যায় এটা দেখতে আমার বেশ লাগছিল , কিন্ত আমার যত আনন্দ , উচ্ছলতা কিছুক্ষনের মধ্যেই স্তিমিত হয়ে এল ——-আমি গাড়িতে চরতে পারি না , প্রচন্ড বমি হয় , আম্মু বলেছিল নৌকাতে এ সমস্যা হবে না , কিন্ত অল্প কিছুক্ষনের ভিতর ই আমার বমি শুরু হল , কয়েকবার বমি করার পর আমি দূর্বল হয়ে আম্মুর কোলে ঘুমিয়ে যাাই, বড়দের আনন্দ আর দেখতে পেলাম না। হই- চইয়ের শব্দে যখন ঘুম ভাংল তখন আমাদের নৌকা বাথানবাড়ির ঘাটে, সবাই নামার জন্য ব্যাস্ত ।

বাথানবাড়ি এত সুন্দর আম্মুর মুখে গল্প শুনে শুনে আমি যতটুকু কল্পনা করেছিলাম তার চেয়েও অনেক বেশী সুন্দর , চারদিকে অনেকগুলো ঘর মাঝে অনেক বড় উঠান , আর ঘরগুলোর পিছন দিয়ে তাল, নারিকেল আর সুপারী গাছে ঘেরা ।ওহ্ —- কিছু কলাগাছও ছিল।
বাথানবাড়িতে মানে উপরে যাওয়ার পর মনে হচ্ছিল আমরা একটা দ্বীপে আছি চারিদিকে শুধু পানি আর পানি । এত ভালো লাগছিল আমার কোন দূর্বলই লাগছিল না ।

উঠানের এক পাশে কয়েকটা খেজুর পাতার মাদুর একত্র করে মেলা হয়,সবাই কিছু না কিছু খারার নিয়ে এসেছিল প্রথমে সেগুলো বের করে সবাই যার যার পছন্দ মত খাচ্ছে । মহিলারা সবাই গল্প জুরে দিয়েছে , অনেকের সাথেই অনেকদিন পর দেখা হয়েছে। একটু পর ছেলেরা উঠানের এক পাশে গর্ত করে চুলো তৈরী করে রান্নার আয়োজন করছে । সব কিছু শহর থেকেই নিয়ে আসা হয়েছে।

ঢাকা শহরের বন্ধি জীবনের বাচ্চারা খোলা মেলা জায়গা পেয়ে আমরা তো খুশীতে লাফা-লাফি , দৌড়া-দৌড়ি শুরু করেছি, কিন্ত সমস্যা হল চারিদিকে শুধু পানি আর পানি বাড়ির চারপাশ তো খোলা বড়দের এটা নিয়ে টেনশন কিন্ত বাচ্চারা তো আর বসে থাকবেনা।যেগুলো বেশী ছোট বাচ্চা তারা তো মায়েদের সাথে থাকবে, সাত থেকে ১১ বছরের বাচ্চাও অনেক গুলো । চৌদ্দ- পনের বছরের বাচ্চা ছিল তিনজন
।এই তিনজনকে দায়িত্ব দেয়া হল আমাদের নিয়ে কিছু একটা করার আর কেউ যেন পানির দিকে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখার । তারা তিনজনে মিলে সিন্ধান্ত নিল পলান - টুক্কু খেলার। বড়রা বলে দিল তোমরা ঘরের ভিতর লোকাবে গাছ টাছের কাছে বা পানির কাছে যাবা না

খেলার নিয়ম হল : একজন চোর থাকবে বাকীরা সবাই লুকিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে টুক্কু বলবে ,চোর একজন , একজন সবাইকে খুঁজে বের করবে , প্রথমে যাকে পাবে পরবর্তীতে সে চোর হবে কিন্ত চোর কোন একজনকে দেখার আগেই সে চোরকে ছুয়ে দিতে পারে তাহলে সেইই আবারও চোর হবে ।
এভাবেই খেলা চলছে , কয়েক রাউন্ড খেলার পর হঠাৎ খেয়াল হল আমাদের এক খেলোয়ার তানভীর ভাইয়াকে খুঁজে পাচ্ছে না চোর, আমরা সবাই বাহিরে চোর যে সে বলতেছে কোন ঘরেই তাকে পাইনি, ছোটদের বলাবলিতে বড়রাও শুনে ফেলেছে আমার খালামনি তো চিৎকার করছে আমার ছেলে পানিতে পরেছে , সবার ভিতর উত্তেজনা , টেনশন , সবাই বাড়ির চারপাশ ঝোপ ঝারগুলো খুজছে , ঘর গুলো বড়রা আবার ভালো করে চেক করছে, একটা ঘর থেকে আমার মামা তানভীর ভাইয়াকে কোলে করে হাসতে হাসতে, সে ঘেমে একেবারে গোছল হয়ে গিয়েছে, সে কান্নাও করছে।

ঘটনা হল: সেই ঘরে বড় একটা চাল রাখার ড্রাম ছিল , চাল বেশী ছিল না , সে সেই ড্রামের ভিতর লুকিয়ে ছিল কিন্ত সে যখন ভিতরে ঢুকে ডাকনা দিয়ে দেয় দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ডাকনার কয়রাটা আটকে যায় সেটা সে আর ভিতর থেকে খুলতে পারছিল না , বের হতেও পারছিল না , সে ভিতর থেকে অনেক ডেকেছে কিন্ত তার ডাক বাহির পর্যন্ত আসেনি , সে হাত দিয়ে ড্রামের গায়ে থাপ্পর দিয়ে শব্দ করেছে সেটাও কেউ শুনতে পায়নি।
যাক বাবা বাচাঁ গেল বলে সবাই নি:শ্বাস নিলেন ।কিন্ত আমাদের ছোটদের মন খারাপ এত মজা ঘরে খেলছিলাম সেটা বন্ধ হয়ে গেল ।

এরই মধ্যে রান্নাও শেষ হয়েছে এবার খাওয়া দাওয়ার পালা । ছোট বড় সবাই গোল হয়ে বসেছে সবার সাথে আমিও বসেছি । আমার এক মামা সবার সামনে কলা পাতা দিয়ে যাচ্ছে , আমি ফট করেই বলে ফেলি মামা এটা কি খাব? মামা হেসে বলে বেটি তুমি কি ছাগল নাকি কলা পাতা খাবা ? ওটাতে খাবার খাবা । খাবার আহামরি কিছু ছিল না , আলু ভর্তা, গরুর গোস্ত, মুশুরীর ডাল । আমি অবশ্য খাইনি , আম্মু খাইয়ে দিয়েছিল একটু আর খাবারটা টেষ্টি ছিল এটা আমার কথা না সবাই বলছিল।

এর পর আমরা আরো কিছুক্ষন ছিলাম , অনেকেই গোছল করছিল। আমার বয়সী ছেলেমেয়েরা খুব আনন্দ করছিল কিন্ত ফিরে যাবার সময় যত ঘনাচ্ছিল আমার ভিতর বমির টেনশন ছিল তাই আমার আর কিছু ভালো লাগছিল না আম্মুর গা ঘেসে বসেই ছিলাম।


বাথানবাড়ির কথা মনে পরে, খুব মনে পরে, যখন খুব বেশী মন খারাপ হয় কোন কারনে আমি চোখ বন্ধ করে চলে যাই আমার স্বপ্নের সেই বাথানবাড়ির । ওরকম সুন্দর দ্বীপের মত একটা বাড়ি যদি আমার থাকত , এত বড় না হলে হবে ছোট একটা বাড়ি হলেই হবে।

যতটুকু শুনেছি আমার মামাদের সেই বাথানবাড়ি আর সেই রকম নেই, আশে পাশে অনেক বাড়ি ঘর হয়েছে, মামারা এখন আর নিজেরা চাষাবাদ করে না , জমিগুলো প্রতি বছর পত্তন দিয়ে নগদ টাকা নিয়ে আসে। তাই আর রাখাল, গরু কিছুই নেই। সেই বাড়িতেও নাকি অন্যলোকদের থাকতে দিয়েছে।

বেলা অনেক গরিয়ে গিয়েছে ,আমি বড় হয়েছি , কয়েকদিন আগে আমার আপুর সাথে কথা বলছিলাম , আপু বলল , জানিস তানভীরের বিয়ে । আমি কোন তানভীর ? কারন আমাদের আপন আত্বীয়দের ভিতর দুইজন তানভীর আছে । তখন আপু হাসতে হাসতে বলে ড্রাম তানভীর ----। সেই ঘটনার পর আমরা সবাই তাকে ড্রাম তানভীর বলতাম।

আমিও খুব হাসলাম , হাসতে হাসতে চোখে পানি চলে এল , জানি না এই পানিটা সুখের নাকি কষ্টের বাথান বাড়ির কথা খুব মনে পরল খুব ।

ফটো : আমাদের উঠোন থেকে ।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু খেলতে খেলতে চালের গ্রামে লুকিয়ে ভয়ঙ্কর বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার ঘটনা শুনে আশ্বস্ত হলাম। বহু ক্ষেত্রে শিশুরা এরকম লুকোচুরি খেলতে গিয়ে বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
আর আপনার কলাপাতা খাওয়ার ঘটনায় মজা পেলাম। হাহা হা....

শুভকামনা জানবেন।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৬

ওমেরা বলেছেন: এত তাড়াতাড়ি পড়ে ফেল্লেন ভাইয়া। জী ভাইয়া সেটা সবার জন্য ভীতির কারনও ছিল। প্রথম কমেন্ট ও লাইকের জন্য আমার আন্তরিক ধন্যবাদ নিবেন ।

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার শৈশব কেটেছে আনন্দে, ভালো
আমাদের একটা ছিল, খামার বাড়ী; ইহা আপনাদের মতো এত বড় ছিলো না; আমি স্কুল জীবনের বড় অংশ ওখানে থাকতাম, আমি প্রায় সময় একা থাকতাম, গরুছাগলের দেখাশোনা করতাম; ইহা আমার জন্য বিশাল এক পৃথিবী ছিল

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩২

ওমেরা বলেছেন: চাঁদ সুন্দর ভাইয়া ভালো আছেন আশাকরি । ব্লগের সবাই আপনার জন্য খুব চিন্তিত ছিল। আপনার শৈশব আনন্দে কেটেছে জেনে ভালো লাগল। আমার শৈশব আসলে আনন্দ আর নিরানন্দ দুই রকমই ছিল। ঐ বাথানবাড়ি আমাদের না আমার নানাদের ছিল । অনেক অনেক ধন্যবাদ চাঁদ সুন্দর ভাইয়া।

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৬

ইসিয়াক বলেছেন: খুব ভালো লাগো।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৮

ওমেরা বলেছেন: অাপনার ভালো লাগা জেনে আমি আনন্দিত । অনেক ধন্যবাদ আপনার জন্য।

৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪১

ফয়সাল রকি বলেছেন: আপনার শৈশবের বাথান বাড়ির গল্প ভালো লাগলো। সময়ের সাথে সাথে সবকিছুই পরিবর্তন হয়। আমার তো নানাবাড়ী যেতেই ইচ্ছা করে না, এতো বেশি পরিবর্তন যে, নিজের বলে মনে হয় না।
ভালো থাকবেন।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৯

ওমেরা বলেছেন: আপনার তো নানাবাড়ি যেতে ইচ্ছা করে না আর আমার তো আম্মু মারা যাবার পর থেকে বাবার বাড়িই যেতে মন চায়না, অবশ্য আমি যেখানে থাকি সেটাও ভাইয়ের বাড়ি। সময়ের সাথে সাথে সবকিছুই পরিবর্তন হয়, এটা আমাদের মেনে নিয়েই জীবন চলতে হয়। অনেক ধন্যবাদ লিখা পড়ে কমেন্টের জন্য।
আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুন সুস্থ্য রাখুন।

৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫১

ফয়সাল রকি বলেছেন: আপনার আম্মু নেই জানতাম না, সরি।
ভালো থাকবেন।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৬

ওমেরা বলেছেন: আামার নয় বছর বয়ষে আমি আব্বু আম্মুকে রেখে ভাইয়া ভাবীর সাথে সুইডেন চলে আসি । আমি যখন কলেজে পড়ি প্রায় ছয় বছর হল আমার আম্মু মারা গিয়েছে।

সরি বলার কিছু নেই, আপনি জানবেন কেমন করে ।

আবারও ধন্যবাদ নিবেন।

৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:০১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিচারণা। ধন্যবাদ ওমেরা বুবু।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৫

ওমেরা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ দাদুভাইয়া।

৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: বাথান বাড়ির কথা যে আজও আপনার মনে আছে এটা অনেক বড় ব্যাপার।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৯

ওমেরা বলেছেন: ধন্যবাদ নিবেন।

৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৯

হাবিব বলেছেন: ফুলগুলো দারুণ লাগছে..... তুলার মতো

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৪

ওমেরা বলেছেন: লিখা না পড়ে শুধু ফুল দেখলেন!! ধন্যবাদ

৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: স্মৃতিময় লেখা ভালো হয়েছে খুব । চমৎকার লেখার শুভেচ্ছা ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৫

ওমেরা বলেছেন: ধন্যবাদ কমেন্টের ঝন্য।

১০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




গ্রামের বাড়ি ঘর আর আগের মতো নেই। বাড়ির অরিজিনাল মানুষজন না থাকলে বাড়ির আর সেই সৌন্দর্য্যও থাকে না। বাড়ি হয়ে পরে উদাস বাড়ি। দেখে মনে হয় বাড়িতে কি যেনো নেই কি যেনো নেই - আসল সত্য “বাড়িতে নেই বাড়ির মানুষজন”। বাড়ি নিয়ে মনের এক ঝাঁক দুঃখ মনে করে দিলেন।

শুভ কামনা রাইলো বোন।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৩

ওমেরা বলেছেন: বাড়ির সৌন্দর্য হল বাড়ির লোকজন । বাড়িতে যদি মানুষজনই না থাকে বাড়ির কোন কিছুই ঠিক থাকে না ।
অনেক ধন্যবাদ নিবেন ভাইয়া।

১১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫০

শিখা রহমান বলেছেন: স্মৃতির মতো সুন্দর অথচ মন কেমন করা আর কিচ্ছু নেই। বদলে যাওয়াই সত্য অথচ কি যে কষ্টকর!!

ভালো লাগলো ওমেরামনি। নানাবাড়ি নিয়ে আমারও সুন্দর সব স্মৃতি আছে। তোমার লেখা সেইসন সুখস্মৃতি মনে করিয়ে দিলো।

শুভকামনা নিরন্তর!!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪২

ওমেরা বলেছেন: ছোট বেলায় দেশ ছেরে আসার জন্য দেশের খুব বেশী স্মৃতি আমার মনে নেই। বাথান বাড়িটা আমার খুব পছন্দ হয়েছিল আর কিছু ঘটনার জন্য এখনো মনে আছে । তানভীর ভাইয়ার বিয়ের খবর শুনে সবই যেন চোখের সামনে ভাষা উঠল ,মনের ভিতর জমে থাকা স্মৃতি টুকু লিখে ফেল্লাম।
অনেক ধন্যবাদ আপু ।

১২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৬

হাবিব বলেছেন: আলু ভর্তা, গরুর গোস্ত, ডাল..... দারুণ খাবার। তাও আবার কলা পাতায় !!! তাহলে তো মজাই মজা হবে। আমাদের গ্রামে একটা গভীর নলকূপ আছে যেখানে বছরে একবার করে খিচুরি দেয়া হয় কলা পাতায়। অবশ্য এখন কলাপাতা পা্ওয়া কঠিন। কলাগাছ সব কেটে ফেলা হয়েছে। ........

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০১

ওমেরা বলেছেন: জী ডাল ভাতের সাথে আলু ভর্তা আমার কাছে ভালো লাগে।কি বলেন দেশে কলা পাতা পাওয়া যায় না , আমাদের এখানে থাইল্যান্ডের দোকানে কিনতে পাওয়া যায়। আবারও আসার জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১১

মুক্তা নীল বলেছেন:
ওমেরা আপু ,
আপনার মত ছোটবেলায় আমিও ফিরে গেলাম । অপেক্ষায় থাকতাম কবে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হবে এবং নানা বাড়ি গিয়ে অনেক মজা করবো । এখন আর যাওয়া হয়না আর সেই
দিনও আর নেই । ভালোলাগছে সাংকেতিক নাম এটা
মনে হয় সব ফ্যামিলিতেই থাকে ।
স্মৃতিচারণ এ ভালোলাগা রইলো ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩০

ওমেরা বলেছেন: আমি খুব বেশী নানু বাড়ি যাইনি, আমি আমার আব্বু আম্মুর ছোট সন্তান, আমার দুই ভাইয়া বড় তার পর আপু আর আপুর চৌদ্দ বছর পর আমার জন্ম । আমার যখন চার বছর বয়স তখন আপুর বিয়ে হয়। আম্মুই শাশুরি সে আর বাবার বাড়ি কত যাবে। আর নয় বছর বয়সে তো আমিই দেশ থেকেই চলে এসেছি।

আপু আপনি কেন নতুন লিখা দিচ্ছেন না?।

অনেক ধন্যবাদ আপু ।

১৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৬

রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: শৈশবের অনেক সুন্দর স্মৃতিকথন আপনার চমৎকার লিখার মাধ্যমে ফুটে তুলেছেন আপু। আপনার বর্ননার সাথে যেন সবগুলো দৃশ্য ও ঘটনা আমার চোখের সামনে ভেসে উঠলো মুহুর্তেই। পড়ে অনেক মুগ্ধ হয়েছি।
আপু আপনি যে লুকোচুরি খেলাটার কথা বলেছেন ছোটবেলায় এই খেলাটাই আমরা সবচেয়ে বেশি খেলতাম আর আমাদের কাছে এই খেলাটার নাম ছিলো "টিলু এ্যাম্পেরেস"! দারুণ মজার এক খেলা ছিল এটি। আমরা কত জায়গায় যে লুকতাম...
বিশেষ করে এই টিলু এ্যাম্পেরেস রাতের বেলায় চাঁদের আলোয় খেলতে বেশি মজা লাগলো যখন বিদ্যুৎ চলে যেত তখন এলাকার সব ছেলেপেলেরা আনন্দে হৈ হৈ রবে ঘর হতে বেরিয়ে আসত আর তখনই আমরা এই খেলাটা খেলতাম। ইশশ কী যে আনন্দ হতো যা বলে বুঝানো যাবেনা৷ আপনার লিখাটা পড়ে আমার সেইসব স্মৃতিগুলোর কথা আরো বেশি মনে পড়ে গেল।
আর আপনার ড্রাম তানভীর ভাইয়ার কথা শুনে হাসতেছি খুব। বেচারা নিশ্চয়ই খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিল বলা যায় অনেক বড় বিপদ হতে রক্ষা পেয়েছে সাথে সবাইকেও খুব ভয় পাইয়ে দিলো।

অনেক অনেক ভালো থাকবেন আপু। শুভকামনা ও শুভেচ্ছা রইলো....

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৮

ওমেরা বলেছেন: আপু আমি খুব এখটা খেলা ধুলা করার সুযোগ পাইনি, আমাদের ছিল একক ফ্যামেলি , ভাই বোনদের থেকে অনেক ছোট তবে একা একাই পুতুল খেলতাম খুব । সুন্দর কমেন্টের জন্য আমার আন্তরিক ধন্যবাদ নিবেন আপু।

১৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার স্মৃতি !!
আমাদের সবার ই মনে হয় শৈশবের স্মৃতিচারণে সুখানুভুতি কাজ করে।
ধন্যবাদ ওমেরা দারুণ লেখার জন্য।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৯

ওমেরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপুনি।

১৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৩

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এতো কথা মনে থাকে কেমনে বুবু!
কতো বছর আগের কথা,এই তুমিতো তখন কতো ছো্ট্ট ছিলে তাইনা? তবে বমি করছিলে কেনো পানির ঢেউয়ের ভয়ে নাকি নোংড়া পানির দুর্গন্ধে?

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৫

ওমেরা বলেছেন: খুব বেশী তো স্মৃতি নেই ভাইয়া দেশ নিয়ে। একটু আকটু যা আছে তাই ঘুরে ফিরে মনে করি তো তাই ভুলে যাই না। না পানির কোন গন্ধ না, গাড়িতে চরলে পেট্রোলের গন্ধে মাথা ঘুরে খুব বমি হত ছোট বেলায়, নৌকাতে সেই সমস্যাই ছিল মনে হয় কারন সেই নৌকাগুলো ইন্জিনচালিত ছিল। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মলাসইলমুইনা বলেছেন: প্রিয় ওমেরা,

আপনার বাথান বাড়িটা আবার পড়লাম । হ্যা, আমার মনে আছে বর্ষার সময় সাভার যাবার সময় (ইউনিভার্সিটি জীবনে আমি ওই পথে বিপিএটিসি-এর লাইব্রেরি ইউজ করতে যেতাম অনেক আর পরে রাজশাহী ইউনিভার্সিটিতে টিচিঙের সময়তো যমুনা ব্রিজ হবার আগে পর্যন্ত ওখান দিয়েই যেতে হতো আরিচা হয়ে) দেখতাম আমিন বাজার পার হবার পরেই আশে পাশের নিচু জায়গাগুলো পানিতে ভরে গিয়ে সাগরের মতো দেখাচ্ছে । আর দূরে গাছে ছাওয়া গ্রামগুলো লাগছে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো । ধারণা করি সে'রকমই চার দিকে থৈ থৈ পানি ঘিরা কোনো জায়গায় গিয়েছিলেন। বর্ষায় কোনো নিঝুম দ্বীপের মতোই লাগার কথা ওই জায়গাগুলো ।

ওই জায়গাগুলিই কিন্তু আবার গ্রীষ্মে পানি নেমে যেয়ে সবুজ ক্ষেত ! বাস থেকেই আমরা দেখতাম এই দুটো রূপই । ছোট বেলার স্মৃতি চমৎকার করে বলেছেন ।ভালোলাগলো । আমি ওই পথে অনেক যেতাম দেখে খানিকটা রিলেট করতে পারছি জায়গাটার সাথে । এই লেখাগুলো আপনার সব সময়ই খুব চমৎকার হয় । আরো লিখুন এই লেখাগুলো দেশে ও বিদেশের ।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৩

ওমেরা বলেছেন: জী ভাপু, ঠিক আপনি যেরকম বলেছেন ঠিক সেই রকম তবে আমি তো আপনার মত সুন্দর করে বলতে পারি না আর তখন আমার বয়সও ছিল খুব অল্প। বাথানবাড়ি এখনো আমার মনে গেথেঁ আছে খুব করে । খুব ইচ্ছা করে ওরকম একটা বাড়ি বানানোর। ব্লাটিক সাগর পারেও একেবারে পানির উপরে সুন্দর সুন্দর অনেক বাড়ি আছে সেগুলোও আমার খুব ভালোলাগে।
অনেক ধন্যবাদ ভাপু আবার এসে সুন্দর একটা কমেন্টের জন্য।

১৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৯

নজসু বলেছেন:




মামা বাড়ি কিংবা নিজেদের গ্রামের বাড়িতে আগে যে রকম আনন্দ আর মজায় ভরপুর ছিলো, এখন সেরকমটা আর পাওয়া যাবেনা।
আমার মনে আছে ছোটবেলায় এরকম শীতে নানা বাড়ি যেতাম। সব খালা, খালাতো ভাই বোনেরা হাজির হতো। মামাতো ভাই বোনেরা তো থাকতোই। পিঠাপুলি আর জমিয়ে আড্ডা হতো। মাকে মাঝে মাঝে সেইসব দিনগুলোর কথা এখনো মাঝে মাঝে বলি।

আপনার লেখাটি পড়লাম। আর হারিয়ে গেলাম আমার সেইসব দিনগুলিতে।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৩৭

ওমেরা বলেছেন: জী মামা বাড়ির আনন্দ ছোট বেলাতেই বড় বেলাতে আর থাকে না । অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে আমার লিখাটা পড়ে কমেন্ট করেছেন।

১৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: বাথানবাড়ীর স্মৃতিচারণ পড়তে খুব ভাল লাগলো। আপনার মোশন সিকনেস এর কথা মনে হচ্ছে এর আগেও আপনার কোন লেখায় পড়েছিলাম। এখনও সেটা আছে কি?
বাড়ির অরিজিনাল মানুষজন না থাকলে বাড়ির আর সেই সৌন্দর্য্যও থাকে না। বাড়ি হয়ে পরে উদাস বাড়ি - ঠাকুরমাহমুদ এর এ কথাটা মনে গেঁথে রইলো। কারণ, আজ আমাদের বাড়ীর অবস্থাটাও হয়েছে সেরকম। আপনার প্রতিমন্তব্যটাও ভাল লেগেছে।
ড্রাম তানভীর এর অভিজ্ঞতাটাও আমাদের জন্য মজার, যদিও তার জন্য সেটা ভয়ঙ্কর ছিল। আশাকরি, গল্পটা আপনি যেমন মনে রেখেছেন, উনিও তেমনি সেটা স্মরণ করবেন এবং কোনদিন হয়তো তার নব-পরিণীতা বধূকেও এ গল্পটি শোনাবেন।
যমুনা সেতু হবার আগে পর্যন্ত আমরাও আরিচা-নগরবাড়ী ঘাট হয়ে বাড়ী যেতাম। আপনার বর্ণনামত এবং মলাসইলমুইনা কর্তৃক স্মরণকৃত আমিনবাজার এলাকার সেই জলে টইটম্বুর দৃশ্য আমারও চোখে ভাসছে।
চমৎকার স্মৃতিচারণমূলক পোস্টে প্লাস + +।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৭

ওমেরা বলেছেন: না ভাইয়া সেই প্রবলেম এখন আর নেই। গ্রামের অনেকের বাড়ির অবস্থাই এখন এরকম।
উনার স্ত্রীর সাথে আমার দেখা বা কথাও এখনো হয়নি, তবে শুনেছি, তার ওয়ালিমা অনুষ্টান এটা নিয়েই নাটক করা হয়ে তাই উনার স্ত্রী এখন সবই জানে।

ব্লগে নোটিফিকেশন সমস্যা ও আরো কিছু কারনে আপনার কমেন্টের জবাব দিতে একটু দেরী হয়ে গেল, আমি তার জন্য ক্ষমাপ্রাথী ভাইয়া।

ধন্যবাদ নিবেন ভাইয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.