নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার আল্লাহ আমাকে একজন নারী হিসাবে সৃষ্টি করেছেন আর আল্লাহর সিন্ধান্তে আমি সন্তুষ্ঠ আছি।

ওমেরা

শালীনতাই সৌন্দর্য্য

ওমেরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

——অতি আশ্চার্যজনক দুটি ঘটনা——

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৪


১ :
সুইডেনে আমাদের পরিচিত এক বাংলাদেশী ছেলে বিয়ে করবে। বাবা মায়ের ইচ্ছে ছিল বাংলাদেশে বিয়ে দিতে। কিন্ত ছেলে বাংলাদেশে বড় হয়েছে বা এখনো বাংলাদেশে থাকে এমন মেয়ে বিয়ে করবে না । তখন বাবা,মা ছেলেকে বলেছে যে দেশেই বিয়ে কর মেয়েটা যেন অন্তত বাংলাদেশী হয় । তাদের দুর সম্পর্কের এক আত্বীয় অনেক বছর ধরে দুবাই থাকে, উনার মেয়ে আছে, মেয়ের জন্ম ওখানেই । বাবা, মা সেই মেয়েকে ছেলের বৌ হিসেবে পছন্দ করে । একদিন হঠাৎ আমরা জানলাম মা-বাবা ছেলেকে নিয়ে দুবাই গিয়েছে মেয়ে দেখাতে ।

ছেলে ইথিওপিয়ানদের মত কালো হলেও ফ্রেঞ্চকাট দারিতে বেশ ভালই লাগে। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো সে সিভিল ইন্জিনিয়র, পড়াশুনা শেষ করে ভালো জবও শুরু করেছে । কয়েকদিন আগে শপিং মলে সেই ছেলের সাথে দেখা ।
-হাই হ্যালো বলার পর জিগেস করলাম। দুবাইতে যে মেয়ে দেখতে গিয়েছিলে তার কি খবর?'
-'মেয়েটা বেশ সুন্দরী আর ষ্মার্ট ছিল কিন্ত তার একটা মূর্দ্রাদোষ আছে সেটা আমার পছন্দ হয়নি' ।
-'কি এমন মূদ্রাদোষ' ?
-'মেয়ে কথায় কথায় “ইনশা আল্লাহ” বলে !
এ'কথা শুনার পর আর কোন কথাই বলতে পারিনি । আল্লাহ হাফেজ বলে চলে আসি।
২:
আমার এক পাকিস্থানি ক্লাসমেটের বড় বোন যখন কলেজ শেষ করে ইউনির্ভাসিটিতে ভর্তি হয় তখন তার বাবা,মা তাদের পরিচিত এক ফ্যামেলীর ছেলের সাথে মেয়ের বিয়ের কথাবার্তা শুরু করে । ছেলে ও তার ফ্যামিলি থাকে ইংল্যান্ডে । গার্জিয়ানরা কথা বার্তা বলে দুই পরিবার সিন্ধান্ত নেয় এখন ছেলে মেয়ে কথা বার্তা বলে তারা পরস্পরকে জানুক, তারপর তারা ওকে বললেই, ছেলে পক্ষ সুইডেন আসবে আর তখন আকদও হবে। পর পর কয়েকবার ছেলে মেয়ে কথা বলেছে দুইজনেই মোটামুটি পজেটিভ।শেষবার যখন ছেলে ফোন দেন তখন মেয়ে স্কুল থেকে বাসায় ফিরছিল, মেয়েটা দরজার তালা খুলে সালাম দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে ।
কিন্ত কেউ সালামের জবাব দিচ্ছে না দেখে ছেলেটা জানতে চায় ।

-'তুমি যে সালাম দিলে কেউ তো জবাব দিল না’?

-'কেউ তো নেই ঘরে জবাব দিবে কে!' উত্তরে মেয়েটা বলে ।

-'তাহলে তুমি সালাম দিলে কেন ?'

-'ঘরে মানুষ না থাকুক ঘরে ফেরেশতা আছে । তাই সালাম দিয়েছি' !

-'পাগল কোথাকার তুমি ফেরেস্তাদের সালাম দাও!' বলেই খটাশ করে ছেলে ফোন কেটে দেয়। ছেলে তার গার্জিয়ানদের জানায় এই মেয়ে পাগল সে তাকে বিয়ে করবে না !

এই দুটো ঘটনাতেই আমি এতটা অবাক হয়েছি, আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না আসলে কতটা!!

‘ইনশা আল্লাহ’ বলাটা যে কারো মূদ্রাদোষ হতে পারে বা এ'রকম কেউ মনে করতে পারে সেটা আমি কখনো কল্পনাও করতে পারিনি।

আলহামদুলিল্লাহ ! জাজাকাল্লাহ, ইনশাআল্লাহ ! মাশাআল্লাহ, সুবহানাল্লাহ সেই ছোট বয়সে কত কষ্ট করে আম্মু এগুলো শিখিয়েছে। প্রথম প্রথম এগুলো আম্মুর সাথে বলতাম । আস্তে আস্তে একাই বলা শুরু করি কিন্ত অনেক সময়ই বলতে ভুলে যেতাম বা উলটা পাল্টা বলতাম আম্মু ঠিক করে দিতেন আর এভাবেই বলতে বলতে অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। আর এতটাই অভ্যাস হয়েছে অনেক সময় বা অনেকের সাথে কথা বলার সময় বলতে চাই না তবু বলে ফেলি।
এতদিন জানতাম এগুলো বল্লে যেমন আল্লাহর প্রশংসা করা হয় তেমনি ভাষার সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায় আর এতদিনে জানলাম এগুলো নাকি মূদ্রাদোষ !!

আর সালাম দেয়াও শিখেছি সেই ছোট বেলা থেকে । ছোট বেলা দেশে যখন বাইরে থেকে বাসায় ফিরতাম তখন আম্মু দরজা খুলে আমার আগেই সালাম দিতো । এরপর শিখলাম যে বাহির থেকে ঘরে আসবে, সে সালাম দিবে আর যে দরজা খুলবে সে সালামের জবাব দিবে। দেশে এটা কোন সমস্য হত না । ঘরে কেউ না কেউ থাকত । বেল টেপার পর কেউ দরজা খুললে সালাম দিয়েই ঘরে ঢুকতাম । এছাড়া আমাদের বাসায় সালামের প্রচলন সব সময়ই ছিল । যেহেতু আমাদের ভাইবোনদের যার যার রুম আলাদা ছিল তাই দিনে যতবার আমরা ভাইবোন বা আব্বু আম্মুর মুখামুখি হতাম তখনই একে অপরকে সালাম দিতাম ।
এখনেও আমাদের বাসায় এটা আমরা করি, আমাদের বাসার পিচ্চিগুলো তো প্রতিযোগীতা করে কার আগে কে সালাম দিবে।কিন্ত প্রথম যখন ভাইয়া ভাবীর সাথে আমি ছাড়া আর কেউ ছিল না, ভাইয়া, ভাবীর সামনা সামনি দিনে যতবার হতাম ততবারই সালাম দিতাম।
কিন্ত এখানে পরিবারের সবাই বাইরে চলে যায় । সবার হাতেই ঘরের চাবি থাকে। সবাই যার যার সময় মত বাইরে যায়, যার যার সময় মত বাসায় ফিরে।আমাদের বাসাতেও তাই হয়। অনেক সময় আমি যখন বাসায় ফিরি কেউই তখন থাকে না । তাছারা হাতে চাবি থাকলে বেল টিপে অন্যকে কেন বিরক্ত করব। আমি নিজেই তালা খুলে ঘরে ঢুকি, সামনে কেউ থাকে না সালামও দেই না ।
তো ভাইয়া, ভাবি একদিন বলে দিল দরজা খুলে সালাম দিয়ে ঘরে ঢুকবে। আমরা কেউ থাকি বা না থাকি । ভাইয়া ভাবীর কথা শুনে শূন্য বাসাতে ঢুকেও সালাম দেই মাঝে মাঝে । আবার দেইও না অনেক সময়ই । এমন ভাবেই চলছিল ।

আমাদের বাসায় গল্প,উপন্যাসের বই বেশি না থাকলেও হাদীস, কোরআনের বই এর অভাব নেই। যখনই সময় সুযোগ পাই হাদীস কোরআন পড়ি। হাদিস পড়তে পড়তেই ঘরে প্রবেশ করার আদবের ব্যাপারে কয়েকটাই হাদীস পেলাম । কিন্ত যেই হাদীসটা শুনে সবচেয়ে বেশী আলোড়িত হয়েছি , আমি এই হাদীসের রেফারেন্স দিতে পারব না তবে হাদীসটা এখনো মনে আছে ।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন” “আল্লাহতায়ালা তিন ব্যাক্তিকে গ্যারান্টি দিয়েছেন, দুনিয়াতে রিজিকের ও আখেরাততে জান্নাতের। সেই তিন ব্যাক্তি হল:
১: যে ব্যক্তি সালাম দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে।
২: যে ব্যক্তি মসজিদে যায় নামাজ পড়তে ও দ্বীনি এলেমের চর্চা করতে ।
৩: যে ব্যক্তি দ্বীনের কাজ করার উদ্দেশ্য ঘর থেকে বের হয়।

এই হাদীসটা আমি প্রায় পাঁচ বছর আগে একজন ইসলামী স্কালারের মুখে শুনেছি। সেদিন থেকেই পণ করেছিলাম ২/৩ নাম্বার পারি বা না পারি ১ নাম্বারটা আর কখনো মিস করবো না ।

সেদিন থেকেই সালাম দিয়ে ঘরে ঢোকার চর্চাটা আমার চলছে। এর জন্য কেউ যদি আমাকে পাগল বলে বলুক না, তাতে আমি কাউকে কেয়ার করি না।


ছবি আমার তোলা ।

মন্তব্য ৮০ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৮০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ঠিক আছে।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬

ওমেরা বলেছেন: কি ঠিক আছে?
প্রথম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: ছেলেটির কোরআান এর শিক্ষা কম। সে মুসলিম হয়েও আল্লাহ্‌র প্রসংশার বিপরীতমুখী। তাই মনে হয় না মেয়েটির সাথে আল্লাহ তার জুটি বেধে রেখেছেন।

তবে ফুল আর মুরগী দিয়ে আপনি যা বোঝাতে চেয়েছেন সে বিষয়ে আমার ধারনা এখনো অসপষ্ট।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫১

ওমেরা বলেছেন: আপনার কথার সাথে আমিও একমত।
ফুল আর মুরগী পোষ্টের সাথে কোন সম্পর্ক নেই,শুধু পোষ্টের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ফটো দেয়া। আবার আপনি লিখাটা পড়ার সাথে সাথে যদি সুন্দর একটা দৃশ্য দেখতে পান তাহলে আপনার ভালো লাগবে না তাই না?

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে কমেন্টের জন্য।

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: 'মেয়ে কথায় কথায় “ইনশা আল্লাহ” বলে ! আপনার বলা উচিত ছিল, চিন্তা করবেন না। পরেরবার ইনশা আল্লাহ যে মেয়ে দেখতে যাবেন, সে কথায় কথায় ইনশা আল্লাহ বলবে না। =p~

সেদিন থেকেই সালাম দিয়ে ঘরে ঢোকার চর্চাটা আমার চলছে। এর জন্য কেউ যদি আমাকে পাগল বলে বলুক না, তাতে আমি কাউকে কেয়ার করি না। এটাই হলো স্পিরিট। দুর্মুখেরা বহু কিছুই বলে। তবে ভালো কাজের জন্য কাউকে কেয়ার করার দরকার নাই।

তবে, ইনশা আল্লাহ আর সালামের সাথে মুরগী দুইটার সম্পর্ক বুঝি নাই। আপনি কি ব্লগার রাজীব নুরের কাছ থেকে ট্রেনিং নিচ্ছেন? :P

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০৭

ওমেরা বলেছেন: আরে ভাইয়া কথা শুনে তো আমি বাকহারা হয়েছি বলবো কি ভাবে! কতকথাই তো বলবে মানুষ তাতে আমি কেন ভুল করবো। আমাদের এখানে মাঝে মাঝে ইংল্যান্ড থেকে ইসলামী স্কলার নিয়ে আসে , একবার একজন স্বার্থপরতা খারাপদিক গুলো নিয়ে আলোচনা করেছিল উনি বলেছিলেন “ শুধু আপনি কি ভাবে আখেরাতে নাজাত পাবেন সেই কাজের ব্যাপারে আপনি স্বার্থপর হতে পারবেন “ আপনার আখেরাত ঠিক রাখার জন্য, বাবা,মা , স্বামী, সন্তান কাউকে ছাড় দেওয়ার দরকার নেই।

আপনাদের কথায় মুরগী দুটো খেয়েই ফেল্লাম।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কোনো মুসলিম ইনশা আল্লাহ বলাটা কে মূদ্রাদোষ বলতেই পারে না!
খালি ঘরে ফেরেস্তাদের সালাম দেয়ার বিষয়টা জানা নেই। শুক্রবারে জেনে নিবো।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১৪

ওমেরা বলেছেন: আমার ধারনাও তাই ছিল কোন মুসলমান এরকম বলতে পারে আমি ভাবতে পারি না। আমি হয়ত অনেক কিছুই জানি না বা মানি না কিন্ত যে করে তাকে তো আমার রেসপেক্ট করা উচিত ।
ভাইয়া আপনি জানলে আমাকেও জানাবেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুসলমানরা পৃথিবীটাকে ভার্চুয়াল বানায়ে ফেলেছে, এজন্য বিশ্বের সাথে এদের মিল কম; অপ্রয়োজনীয়, সস্তা ব্যাপার নিয়েই ব্যস্ত।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬

ওমেরা বলেছেন: জী আপনি ঠিকই বলেছেন, তবে বাধ্য হয়ে , শক্তিতে বুদ্ধিতে মুসলমানেরা , ইহুদী, খৃষ্টানদের সাথে পারছে না।
আমি সুইডিস বই পড়েই মুসলমানদের অনেক অবদানের কথা জেনেছি কিন্ত, সেগুলো চাপা পড়ে গিয়েছে কারন বর্তমানে আমরা উল্লেখ যোগ্য তেমন অবদান রাখতে পারছি না বলে।যাও করা হয় তা আলোচনায় আসে না।

আপনার এই কথাটার সাথে একেবারেই একমত হতে পারলাম না । ইসলামে কোন সস্তা ও অপ্রয়োজনীয় বিষয় নেই । ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান । একজন মুসলমানের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জীবন কি ভাবে চলবে, ছোট থেকে বড় সবই দেয়া আছে । কাজেই এগুলো না জানলে আমরা ভালো মুসলমান হতে পারবো না।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে চাঁদ সুন্দর ভাইয়া।

৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: ক্যাম্পাসে থাকতে দেখতাম ইয়াংদের একটা বড় অংশই বন্ধুদের সাথে কথার আগে পরে 'ব' বর্গের শব্দ ব্যবহার করে বেশ তৃপ্তি পেতো। তারই ধারাবহিকতায় হয়তো ইনশাআল্লাহ'কে মুদ্রাদোষ মনে হয়...

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪২

ওমেরা বলেছেন: জী ভাইয়া , অনেক ধরনের শব্দই মানুষের মুখে শুনা যায় সেগুলো বলা তো আধুনিকতা !
ধন্যবাদ ভাইয়া।

৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


ছেলে ২টি পুরোপুরি সঠক নয়, মাত্র ২/১টি বিষয়ের উপর সিদ্ধান্ত নিয়েছে; তবে, কিছু হারায়নি। আপনি যেভাবে ইহাকে বিরাট বিষয় বানায়েছেন, ইহা এমন কোন বিশাল ঘটনা নয়।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪৭

ওমেরা বলেছেন: বড় কি আমি বানিয়েছি না তারা ? আর এগুলো কি আপনার কাছে মেয়েগুলোর দোষ মনে হল? মেয়েদের অন্য কোন ধরনের দোষ বল্লে আমি অবাক হতাম না কিন্ত আমার কাছে খুবই অদ্ভুদ লেগেছে কোন মুসলমান ইসশা আল্লাহ বলাকে মূদ্রাদোষ বলতে পারে !!

৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনাদের পরিবারের পরবর্তী জেনারেশন সুইডেনের মুসলামন হবে, আপনাদের মতো হবে না, সেটা জানেন?

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৫১

ওমেরা বলেছেন: জী চাঁদ সুন্দর ভাইয়া সে জন্য আমরা চেষ্টা করছি তবে খুব কঠিন এখানে না শুধু সারা বিশ্বই এখন ইসলামের প্রতিকুলে তবু চেষ্টা করবো যতটুকু সম্ভব । তার পর আল্লাহ ভরষা।

৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩

সোহানাজোহা বলেছেন: মূদ্রাদোষ সংসার জীবনের জন্য বড় ধরনের সমস্যা নয়। আমি আপনার লেখার উপর ভিত্তি করে এবং উক্তবাক্য ব্যয়ে সমাজের আবহ পরিস্থিতি নিয়ে সামান্য লেখা দিয়েছি পড়ে দেখতে পারেন।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৫২

ওমেরা বলেছেন: দেখবো ।

১০| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধর্মের ছোট বড় প্রত্যেকটি বিষয় আমাদের প্রত্যেকের মেনে চলার চেষ্টা করা উচিত ।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭

ওমেরা বলেছেন: জী, আমাদের চেষ্টা করা উচিত । সময় , সুযোগ ও প্রতিকূল অবস্থার জন্য অনেক সময় আমরা অনেক কিছুই করতে পারি না
কিন্ত আল্লাহ সেটাই দেখবেন আমি কতটুকু আন্তরিকতার সাথে আল্লাহর হুকুম মেনে চলার চেষ্টা করেছি । আল্লাহ ক্ষমশীল তিনি চাইলে আমাদের ক্ষমা করতে পারেন ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১১| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ছেলে ২টির আরো অন্য অনেক কিছু পছন্দ হয়নি, আমার ধারণা।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১

ওমেরা বলেছেন: হতে পারে, কিন্ত প্রথম ছেলেটা নিজেই আমাকে এটা বলেছে অন্য কোন কারন থাকলেও আমাকে বলেনি।
দ্বীতিয়টা আমার ক্লাসমেট এর কাছে শুনেছি তার আপন বোনের ঘটনা, সে কিছু লোকাতেও পারে আমার কাছে ।

আবারও ধন্যবাদ চাঁদ সুন্দর ভাইয়া।

১২| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বেড়ে লিখেছ নাতনি।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩

ওমেরা বলেছেন: কি বল্লেন দাদু ভাইয়া বুঝি নাই ।
আপনারা , নয়নতারা ছোট বোন সবাই কেমন আছেন?

১৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৫২

অজ্ঞ বালক বলেছেন: এইগুলা করাটা দোষের না, কারো ক্ষতিও হইতাসে না। কাজেই সমস্যাও দেখি না।

চাঁদগাজী ভাই যা কইসেন, একদম ঠিক, ছেলেগুলার তেমন কোনো দোষ নাই, তাদের মেন্টালিটির সাথে মিলে নাই, বাদ দিসে। ফেয়ার এনাফ।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬

ওমেরা বলেছেন: আমি কি ছেলেগুলোর কোন দোষ বলেছি কোথাও ?
তারা ঠিক সিন্ধান্তই নিয়েছে কারন তাদের মেন্টালিটির মিল হত না। আর মেন্টালিটির মিল না হলে এক ছাদের নীচে থাকা যায় না।
ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " জী চাঁদ সুন্দর ভাইয়া সে জন্য আমরা চেষ্টা করছি তবে খুব কঠিন এখানে না শুধু সারা বিশ্বই এখন ইসলামের প্রতিকুলে তবু চেষ্টা করবো যতটুকু সম্ভব । তার পর আল্লাহ ভরষা। "

-এখানে আপনি মুসলমানদের ভুল ধারণাকে তুলে ধরেছেন; বিশ্বের ৮০ ভাগ মানুষ ধর্ম পালন করেন; সঠিক ধর্মীয়রা নিজের ধর্মের মতো অন্য ধর্মেকেই সন্মান করেন; ফলে, কেহ ইসলামের প্রতিকুলে নয়; সুন্নীরা শিয়ারদের প্রতিকুলে, শিয়ারা সুন্নী ও ওহাবীদের প্রতিকুলে।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২

ওমেরা বলেছেন: আমি কোন ধর্মকেই ইসলামের প্রতিকূলে বলি , আমি যেটা বলেছি সেটা হল প্রতিকূল পরিবেশ । ইউরোপ, আমেরিকার পরিবেশ কি ইসলামের অনুকুলে বলতে চান ?

এখন আপনি হয়ত বলবেন তাহলে এখানে থাকছি কেন ? জী এখানে থাকছি কারন হল সারা দুনিয়াটাই আল্লাহর , আর রাসুল (সাঃ) এর উম্মত হিসাবে দ্বীনের প্রচার ও প্রসার করা আমাদের দায়িত্ব। আমি ইউরোপে ইসলাম প্রচার করে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলাম কিনা সেটা বড় বিষয় না বড় বিষয় হল, আমি আমার যোগাতা অনুযায়ী চেষ্টা করলাম কিনা আমার আল্লাহ সেটাই দেখবেন।

১৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
নামে মুসলিম হলে কি হবে প্রকৃত ধর্মশিক্ষা না পেলে যা হয় আরকি? আর প্রবাসে বড় হওয়া ছেলে মেয়েরা েএমন হবে এটা অনুমেয়।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪১

ওমেরা বলেছেন: জী ঠিক বলেছেন , আমাদের ধর্মজ্ঞান নেই , তাই ধর্মের সব কিছুকেই বাড়বাড়ি মনে হয় । অনেক ধন্যবাদ মাইদুল ভাইয়া।

১৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, " আমি কোন ধর্মকেই ইসলামের প্রতিকূলে বলি , আমি যেটা বলেছি সেটা হল প্রতিকূল পরিবেশ । ইউরোপ, আমেরিকার পরিবেশ কি ইসলামের অনুকুলে বলতে চান ? "

-মুসলমানদের জন্য এখন খৃষ্টান দেশগুলো হলো নিরাপদ; আপনার সুইডেন কেন গেছেন?

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫০

ওমেরা বলেছেন: জী মুসলমানদের জন্য খৃষ্টানদেশ হল নিরাপদ এক্কেবারে ঠিক বলেছেন , হয়ত আমি দেখতে পারবো না তবু আমার বিস্বাস এই খৃস্টানদের দেশ থেকেই আবার ইসলামের জাগরন শুরু হবে । ইনশা আল্লাহ । না খাওয়া মুসলিমদেশ আর স্রোতের অনুকুলে গা ভাসানো মুসলিমদেশ তাদের দ্বারা ইসলামের কোন কল্যাণ হবে না।

সুইডেনে কেন এসেছি সেটা তো আপনি বলেই দিলেন।

ধন্যবাদ চাঁদ সুন্দর ভাইয়া।

১৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫২

মা.হাসান বলেছেন: জান্নাতে যাওয়া সহজ হবার বিষয়ে অনেক হাদিস আছে। তবে মনে রাখবেন শুধু নেক আমল দ্বারা জান্নাতে যাওয়া সম্ভব হবে না। নেক আমল হলো হক্কুল্লাহ। এটা ছাড়া আছে হক্কুল এবাদ। মানুষের সাথে অন্যায় করলে, অন্যের সম্পত্তি জবর দখল করলে, মানুষকে অযৌক্তিক কষ্ট দিলে, ঘুষ নিলে, মানুষের নামে মিথ্যা অপবাদ দিলে, ট্যাক্স ফাকি দিলে- মোট কথা মানুষের হক যে কোন ভাবে নষ্ট করলে, হক্কুলে এবাদ নষ্ট হয়। এমন হলে, নেক আমল যত ভারি হউক না কেনো, জান্নাতে যাওয়া সম্ভব হবে না।

নেক আমল করার সাথে সাথে সতর্ক থাকতে হবে যেন মানুষের হক নষ্ট না হয়। কানায়াত বা অল্পে সন্তুষ্টি বিরাট গুন। যে আল্লাহর তরফ থেকে অল্প রিজিকে সন্তোষ্ট থাকে আল্লাহ তার কাছ থেকে অল্প আমলে সন্তোষ্ট থাকেন। আল্লাহর কাছে পার্থনা করি আপনাকে যেন সৎ কাজে অটল থাকার তৌফিক দেন।

যা হোক- সালামের হাদিসের রেফারেন্স এখানে দেখতে পারেন--reference

কম্প্যাটিবিলিটি না থাকলে বিয়ে না হওয়াই ভালো, না হলে পরে সমস্যা হবার সম্ভাবনা খুব বেশি।
জগতে বহু রকমের মানুষ, সবাই তাদের পছন্দের লোকদের নিয়েই সংসার করুক।
বাংলাদেশি মেয়ে কেন বিয়ে করতে হবে বুঝলাম না। অন্য দেশের মেয়েরা কি এখনো পুরোপুরি মেয়ে হয়ে ওঠে নাই? :|

ছেলে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, ভাল জব করে এটা সবচেয়ে বড় কথা - এই বাক্যের সাথে একমত হতে পারলাম না, দুঃখিত।


দুর্মুখেরা বহু কিছুই বলে। তবে ভালো কাজের জন্য কাউকে কেয়ার করার দরকার নাই।
ভুয়া ভাই ঠিক কথা বলেছেন। তবে বিয়ে ভাঙার ঘটনাতে আপনি যত আশ্চর্য হয়েছেন তার চেয়ে বেশি আশ্চর্য হলাম ওনার উষ্কানিতে আপনার মুরগী গুলো খেয়ে ফেলার ঘটনায় । |-)

মাত্র একটা কমেন্ট করলাম বলে ভাববেন না পোস্ট ভালো লাগে নি, পোস্ট ভালো লেগেছে। B-)

অনেক শুভ কামনা।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৪৮

ওমেরা বলেছেন: আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তোমাদের কোনো ব্যক্তিকে তার নেক আমল জান্নাতে প্রবেশ করাতে পারবে না। লোকজন প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসুল! আপনাকেও নয়? তিনি বলেন, আমাকেও নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ আমাকে তাঁর করুণা ও দয়া দিয়ে আবৃত না করেন। কাজেই মধ্যমপন্থা গ্রহণ করো এবং নৈকট্য লাভের চেষ্টা চালিয়ে যাও। আর তোমাদের মধ্যে কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে। কেননা সে ভালো লোক হলে (বয়স দ্বারা) তার নেক আমল বৃদ্ধি হতে পারে। আর খারাপ লোক হলে সে তওবা করার সুযোগ পাবে। (বুখারি, হাদিস : ৫৬৭৩)

যেখানে রাসুল (সাঃ) নিজেই উনার নেক আমল দ্বারা জান্নাতে যেতে পারবেন না । আমরা তো কিছুই না । তাই বলে নেক আমল তো ছাড়া যাবে না , সাথে আল্লাহর অনুগ্রহ চাইতে হবে ।
আমাদের উপর যেমন আল্লাহর হক আসছে তেমনি অন্য মানুষের হকওআছে। আমরা যদি আল্লাহর আদায় না করি পরে ভুল বুঝতে পেরে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে তওবা করি তাহলে আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করতেও পারেন কিন্ত কোন মানুষের হক নষ্ট করলে সেই গুনাহ আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করবেন না যতক্ষন না সেই মানুষ আমাদের ক্ষমা করবে । তাই আপনি যেগুলো বলেছেন আমাদের ওগুলো থেকে অবশ্যই দুরে থাকতে হবে।
বাংলাদেশী মা,বাবারা এটা চায় তারা মনে করে মুসলমান হল ক্যালচার ভিন্ন হয় পরে এটা নিয়ে সমস্যা হয়। ক্যালচারের কথা এখন আর মানছে না সন্তানেরা ।
কিছু ব্যাপারে আপোষ না করাই উত্তম।
মনের দুঃখে মুরগী খেয়ে ফেলেছি , তবে আপনার জন্য একটু রেখেছি , অন্য কোন পোষ্টে দিব ।
হাদীসের রেফারেন্স দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ , কমেন্টের জন্যও ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: অতি আশ্চার্যজনক লাগলো না।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৭

ওমেরা বলেছেন: আপনার কাছে তো লাগার কথাও না ——— ধন্যবাদ আপনাকে।

১৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫৮

আকন বিডি বলেছেন: আপনি রেফারেন্স গুলা দিয়ে একটা পোস্ট দিন।আমার পোস্টটা ডিলিট করি। কারণ পোস্টটা তারাহুরা করে লেখা। ভুল ভ্রান্তি আছে। জবাবটাও ভালো হয় নাই আমার।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৬

ওমেরা বলেছেন: আপনার পোষ্ট আপনি চাইলে মুছে দিতে পারেন, অথবা আপনার ভুলগুলো সংশোধনও করে দিতে পারেন।

২০| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার অন্তরে ইসলামের ভিত্তি অনেক গভিরে প্রথিত। আপনি ঠিক পথে আছেন। আপনার পরিবার আপনাকে ভুল শিক্ষা দেয় নি। কারও উলটা পাল্টা কথা গায়ে মাখবেন না। ভালো থাকবেন। আপনার ভালো আমলের জন্য আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫২

ওমেরা বলেছেন: আপনার কমেন্টে মনে অনেক প্রশান্তি পেলাম । আল্লাহ আপনার মংগল করুন ।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

২১| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পোস্টটা ভালো লেগেছে। হাসান ভাই আর সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়ের কমেন্টও খুব ভালো লাগলো। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন। জাযাকাল্লাহু খাইরান।

২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৫

ওমেরা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

২২| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার কাছে তো লাগার কথাও না ——— ধন্যবাদ আপনাকে।

বিস্মিত হওয়ার ক্ষমতা আমার অসাধারন।

২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭

ওমেরা বলেছেন: ভালো , এটা আপনার একটা অসাধারন গুন।

২৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২৬

ঢুকিচেপা বলেছেন: দুই ঘটনাই পড়লাম। এত ছোট বিষয় নিয়ে বিয়ে বন্ধ হতে পারে জেনে গেলাম।

ছালাম দিয়ে ঘরে প্রবেশ করার রীতিটা আমার অনেক আগে থেকেই চালু আছে।

২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯

ওমেরা বলেছেন: বিয়ে বন্ধ হওয়াতে আমার মনে হয় দুই পক্ষের জন্যই ভালো হয়েছে । অল্পতেই বুঝা যায় দুই পক্ষের মেন্টালিটি মিলত না ।
ধন্যবাদ আপনাকে।

২৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৩৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: পোষ্ট পড়ার থেকে বেশি ভাল লেগেছে নিচের ছবিটা।ছবিটার জন্য ধন্যবাদ

ফেরেশতারা খালি ঘরে কি করে?

২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭

ওমেরা বলেছেন: তাহলে ছবিটা ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ । বিভিন্ন হাদীস থেকে জানা যায় ঘরে ফেরেস্তা থাকে ।

নবী করিম (সা.)-এর সহধর্মিণী আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একটি বালিশ বা গদি কিনে এনেছিলাম, যার মধ্যে ছবি ছিল। যখন রাসুলুল্লাহ (সা.) সেই ছবিটি দেখলেন, তিনি দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে গেলেন; ভেতরে প্রবেশ করলেন না। আমি বুঝতে পারলাম যে তাঁর চোখে এটা অত্যন্ত অপছন্দনীয় ব্যাপার। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমি আল্লাহর কাছে তাওবা করছি এবং তাঁর রাসুলের কাছে ফিরে আসছি। আমি কী অন্যায় করেছি? তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, এ গদি কিসের জন্য? আমি বললাম, এটা আপনার জন্য খরিদ করে এনেছি, যাতে আপনি বসতে পারেন এবং হেলান দিতে পারেন। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, এই ছবি নির্মাতাকে কিয়ামতের দিন শাস্তি দেওয়া হবে এবং বলা হবে, যা তুমি সৃষ্টি করেছ তার প্রাণ দাও এবং তিনি আরো বলেন, যে ঘরে প্রাণীর ছবি থাকে, সে ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে না। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫১৮১)

অপর বর্ণনায় রয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ঘরে কুকুর থাকে বা প্রাণীর ছবি থাকে, সে ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করেন না। (বুখারি, হাদিস : ৫৯৪৯)

২৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার জানা একটি ছেলে 64টা মেয়ে দেখেছিল। তখন নেট চালু হয়নি। যে কারণে ছোট ছোট চিরকুটে বিভিন্ন মেয়েদের ও তাদের ডেস্ক্রিপশন লিখে রাখত। ঘটনাক্রমে একবার আমার হাতে সেই 64 একটা চিরকুট এসে পড়েছিল।প্রত্যেকটা চিরকুটের নিচে স্পেশাল নোট দেওয়া ছিল। যে কারণে তারা ছিল রিজেক্টেড। মাত্র গুটিকয়েক এখানে তুলে ধরছি। যা দেখেছিলাম- কপাল বড়, ভাই-বোন বেশি, পা ফাটা, বাবামা গাইয়া, মাথায় চুল কম, নাক থাবরানো, ভুরুতে কালো চুল, ঠোঁট মোটা, হাতদুটো সরু সরু, এরকম সমস্যা কথা।সে দিনই বুঝেছিলাম আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে থাকা লোকজনের মধ্যে কতইনা মানসিক রোগী বর্তমান। শেষ পর্যন্ত সৌম্যকান্তি সেই যুবকের বিয়ে হয়েছিল কয়লার মতো ফর্সা এক রূপসীর সঙ্গে। রাতদিন অশান্তির পর বধূ নির্যাতনের মামলায়, 27 দিনের জেল খাটার মধ্য দিয়ে তার বিবাহিত জীবনের যবনিকাপাত ঘটে।
আপাতদৃষ্টিতে ছেলেটা ভালো জব করে মনে হলেও। স্রেফ মানসিক রোগী ছাড়া আর কিছুই নয়।

২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

ওমেরা বলেছেন: সে দিনই বুঝেছিলাম আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে থাকা লোকজনের মধ্যে কতইনা মানসিক রোগী বর্তমান।
আসলেই ঠিক বলেছেন ভাইয়া । কত বিচিত্র ধরনের লোক নিয়েই আমাদের বাস।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

২৬| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৩৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: লেখার নিচের তিনটা পয়েন্ট মেনে চলতে চেষ্টা করবো এবং অন্যেরও মেনে চলা উচিত।

২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১৩

ওমেরা বলেছেন: মানুষ যে ভাবে চলতে চায় আল্লাহ মানুষকে সেভাবে চলার সুযোগ করে দেন । ধন্যবাদ আপনাকে ।।

২৭| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৩৩

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: দোষ আমাদের মুসলিম পরিবারের আদব-কায়দা ও রীতি-নীতির;

---যেটা আপনি ছোটবেলায় আপনার পরিবার থেকে পেয়েছেন; আর যেটা ওই সিভিল ইনি্জনিয়ার পায়নি; কারণ অনেক পরিবারই মনে করে বাচ্ছা কথা বলা শিখতে একটু মর্ডান ল্যাঙ্গুয়েজে কথা বললে হয়তো বাবা-মায়ের সম্মান বাড়ে /গর্ব বোধ করেন - সেজন্য তারা কথা বলার বয়সে বাচচাদের শেখান ;

হ্যালো পাপা, ড্যাড, ম্যামি, মম ---হাই, হ্যেলো, বাই-বাই, টা-টা, সি-ইউ. - যা তাদের স্মার্টনেস প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয়;

--কিন্তু , বর্ণনায় বর্ণিত শব্দগুলো যেমন আদব শেখায়, তেমনি আমলও তৈরী করে- যাতে মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়;--যারা এতে অভ্যস্ত নয়, তারা এর স্বাদ কোনদিন বুঝবে না।

---এ রকম ফ্যামেলি থেকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখা সমাজের সবার উচিত।

২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:২৯

ওমেরা বলেছেন: আপনার কথার সাথে একমত না হয়ে পারছি না । সুন্দর কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২৮| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:০৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ছেলের ইসলামিক শিক্ষা নাই, কেবল ব্ত্তি বৈভবের মাঝেই বড় হয়েছে।
অনেক সুন্দর পোস্ট আপি মাশাআল্লাহ

জাজাকিল্লাহ খাইরান
আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন

২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৩২

ওমেরা বলেছেন: কি আর বলবো আপু , আমি নিজে তো মানি না অন্যরা মানলেও আমার কষ্ট লাগে, আমাদের সমস্যা এখানেই ।

ধন্যবাদ আপু।

২৯| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:১৯

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: ছেলে গুলার জন্য মায়া হচ্ছে।
আল্লাহ সবাইকে হেফাজত রাখুন।

২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৭

ওমেরা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।

৩০| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৬

নতুন বলেছেন: যে ঘরে ঢুকে ফেরেস্তাদের সালাম দেয় তার কিন্তু

লিফটে যেই ফেরেস্তা থাকে তাদেরও সালাম দেওয়া উচিত।
করিডোরে যেই ফেরেস্তা থাকে তাদেরও সালাম দেওয়া উচিত।
টয়লেটে যেই ফেরেস্তা থাকে তাদেরও সালাম দেওয়া উচিত।
রান্না ঘরে যেই ফেরেস্তা থাকে তাদেরও সালাম দেওয়া উচিত।
সোবার ঘরে .....<<<<

২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৪

ওমেরা বলেছেন: ভাইয়া আপনারা অনেক জ্ঞানি ও অভিজ্ঞ লোক , আপনারা আমার চেয়ে অনেক বেশী জানেন আমি জানি , শুধু তর্কের খাতিরে কথা বলা আপনাদের মানায় না । তবে ভুল বল্লে সেটা অবশ্যই বলবেন ভাইয়া।

করিড়োর, রান্নাঘর, শোবার রুম সব কিছু নিয়েই একটা বাসা হয়। যখন দরজা খুলে সালাম দিয়ে বাসায় ঢুকা হয় এই একটা সালামই পুরো বাসায়ই হয়ে যাবে । যেমন আপনি কোথাও গেলেন সেখানে দশজন লোক বসে আছে আপনি একবার সালাম দিলেই দশজনই জবাব দিবে ।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া ।

৩১| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৮

নতুন বলেছেন: আরেকটা জিনিস সালাম অথ` হলো আপনার উপর শান্তি বর্শিত হউক।

ফেরেস্তাদের উপরে শান্তি দে্ওয়ার কি দরকার? যেখানে আপনার পাশের সব মানুষকে আপনি সালাম দিচ্ছেন না।

২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৬

ওমেরা বলেছেন: অর্থাৎ, আর যখন তোমাদেরকে অভিবাদন করা হয়, তখন তোমরাও তা অপেক্ষা উত্তম অভিবাদন করবে অথবা অনুরূপই করবে। (সূরা নিসা-৪:৮৬।

সালামের প্রতিটি বাক্যে দশ নেকি। সালামে মোট তিনটি বাক্য আছে। সুতরাং যে পূর্ণ সালাম দেবে তার ত্রিশটি নেকি অর্জন হবে। একবার এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে বলল, 'আস্সালামু আলাইকুম', রাসুল তার উত্তর দিলেন, তারপর সে বসল। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, 'দশ নেকি।' অতঃপর অন্য এক ব্যক্তি এলো। সে বলল, 'আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।' রাসুল (সা.) উত্তর দিলেন। পরে ওই ব্যক্তি বসে পড়ল। রাসুল (সা.) বললেন, 'বিশ নেকি।' অতঃপর অন্য একজন এলো। সে বলল, 'আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।' রাসুল (সা.) উত্তর দিলেন। সেও বসে পড়ল। রাসুল (সা.) বললেন, 'ত্রিশ নেকি।' (তিরমিজি : ২৬৮৯)

এখন আমার পাশে যদি অমুসলিম থাকে তাদের আমি কি ভাবে সালাম দিব। অমুসলিমকে ‘সালাম’ দেওয়া বৈধ নয়। কোনো প্রয়োজনে দিতে হলে ‘আসসালামু আল মানিত্তাবাআল হুদা’ বলবে। আর অমুসলিমরা সালাম দিলে তদুত্তরে শুধু ‘ওয়া আলাইকুম’ বলবে।

বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে মুসলিমদের ওপর অমুসলিমদের প্রাধান্য দেওয়া নিন্দনীয়। তবে তাদের সঙ্গে যাবতীয় লেনদেন, সদাচরণ ও সাধারণ সম্পর্ক রাখা বৈধ। (সুরা মায়েদা, আয়াত : ৫১, সুরা আল ইমরান, আয়াত : ১১৮, আল বাহরুর রায়েক : ৮/৩৭৪, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া : ১৯/৫৪৫, ফাতাওয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাত : ১২/১০৩)

ধন্যবাদ আপনাকেআবারো ।

৩২| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:০৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ইনশাল্লাহ অর্থ যদি আল্লাহ চান;
কেউ যদি ভবিষ্যতে কোন কাজ করতে গেলে ইনশাআল্লাহ বলে। কেননা কুরআন শরীফে আল্লাহ তাআলা বলেছেন," আপনি কোন কাজের বিষয়ে বলবেন না যে, এটি আপনি আগামীকাল করবেন, আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতিরেকে"।সুরা কাহাফ। মূলত এই বাক্যটি তিন শব্দ মিলে গঠিত ১ان,২,شاء৩الله যার সমষ্টি গত অর্থ হচ্ছে, যদি আল্লাহ চান,(তাহলে এটা করবো, বা এটা হবে) ইত্যাদি।

সালাম হলো আদবের একটা বিষয়। ইসলাম ধর্মে আমাদের ! এই আদব রীতি শিক্ষা দিয়েছেন আমাদের নবী মুহাম্মদ (সা:) যারা ধর্ম অনুসরণ করি কিন্তু আদম মনিনা, তারা কেমন ধর্মমানা লোক!

২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৮

ওমেরা বলেছেন: জী ভাইয়া আপনি যা বলেছেন সবই সঠিক । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

৩৩| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সালাম একটা দোয়া। এটা নিজের জন্যও হতে পারে আবার অন্যের জন্যও হতে পারে। খালি ঘরে ঢুকলে নিজের জন্য দোয়া করতে হয় এভাবে ' আসসালামু আলাইনা ওয়ালা ইবাদিল্লাহিস সলিহিন' অর্থ - 'আমাদের এবং আল্লাহর সকল নেক বান্দাদের উপর আল্লাহ্র রহমত এবং অনুগ্রহ বর্ষিত হউক।' কাজেই আসলে ফেরেশতাদের জন্য এই সালাম না।

২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৩০

ওমেরা বলেছেন: ইনশা আল্লাহ ! এখন থেকে আমি এটাই বলবো । এটা আমি জানতাম না, আজকে জানলাম আজকেই থেকে এটাই শুরু করবো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৩৪| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৯

নতুন বলেছেন: এখন আমার পাশে যদি অমুসলিম থাকে তাদের আমি কি ভাবে সালাম দিব। অমুসলিমকে ‘সালাম’ দেওয়া বৈধ নয়। কোনো প্রয়োজনে দিতে হলে ‘আসসালামু আল মানিত্তাবাআল হুদা’ বলবে। আর অমুসলিমরা সালাম দিলে তদুত্তরে শুধু ‘ওয়া আলাইকুম’ বলবে।
বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে মুসলিমদের ওপর অমুসলিমদের প্রাধান্য দেওয়া নিন্দনীয়। তবে তাদের সঙ্গে যাবতীয় লেনদেন, সদাচরণ ও সাধারণ সম্পর্ক রাখা বৈধ। (সুরা মায়েদা, আয়াত : ৫১, সুরা আল ইমরান, আয়াত : ১১৮, আল বাহরুর রায়েক : ৮/৩৭৪, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া : ১৯/৫৪৫, ফাতাওয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাত : ১২/১০৩)


আপনার উপরে শান্তি বর্ষিত হউক এই শান্তিটুকু অন্য আরেকজন মানুষের আপনি কামনা করতে পারবেন না? এটা তাহলে কিভাবে শান্তির ধর্মের কথা হয়?

যাই হউক এই সব নিয়মের জন্যই ধর্মের প্রতি মানুষের মোহ কেটে যাচ্ছে।

২২ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৬

ওমেরা বলেছেন: ইসলাম শান্তির ধর্ম তবে সেটা সবার জন্য না । ইসলাম ধর্ম যে জানে বুঝে মেনে চলে তার জন্য । যে ঘুষ খায় খায় তার জন্য ইসলাম শান্তির ধর্ম হবে কেমন করে , ইসলাম মানলে কি সে ঘুষ নিতে পারত । যে সমকামীকে সাপোর্ট করে তার কাছে ইসলাম শান্তির ধর্ম হবে কি ভাবে, ইসলামে হারাম জেনে ও যে এটার সাপোর্ট করতে পারে!,

ধর্ম থেকে দুরে সরে গিয়ে মানুষ কি খুব শান্তিতে আছে ? পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ভাবে ? আমার মতে আজকে দুনিয়ায় এত অশান্তি তার একমাত্র কারন আমরা ধর্ম থেকে বিমুখ হয়ে যাচ্ছি বলেই।
আপনাকে ধন্যবাদ ।

৩৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

মুক্তা নীল বলেছেন: ওমেরা আপা ,
কিছু দুষ্ট লোক আছে যারা মুসলমান হয়েও ধর্মকে নিয়ে হাসাহাসি ও বাড়াবাড়ি করে । মহান আল্লাহ এদেরকে হেদায়েত করুন।
আপনার পোষ্টের লেখাগুলো আমার ভালো লেগেছে । ভালো থাকুন আপা ,ধন্যবাদ ।

২৪ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:০৭

ওমেরা বলেছেন: নীল মুক্তা আপু আপনি ঠিক বলেছেন কিছু মানুষের এলার্জি আছে ইসলাম ধর্ম নিয়ে ——আপনার ভালো লাগা জেনে আমারও ভালো লাগলো । অনেক ধন্যবাদ নীল মুক্তা আপু।

৩৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:১৪

নতুন বলেছেন: ধর্ম থেকে দুরে সরে গিয়ে মানুষ কি খুব শান্তিতে আছে ? পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ভাবে ? আমার মতে আজকে দুনিয়ায় এত অশান্তি তার একমাত্র কারন আমরা ধর্ম থেকে বিমুখ হয়ে যাচ্ছি বলেই।
আপনাকে ধন্যবাদ ।


শান্তি আর ধর্মের মাঝে আসলে কোন সম্পর্ক নাই।

শান্তি মানুষের মনে। তাই যেই ধামির্ক মনে করে ধর্ম মেনে তার মনে শান্তি এসেছে তিনি বলবেন যে ধর্মেই শান্তি।

অনেক মানুষই আছে যারা ইসলাম ধর্ম মানেনা। তারা কি তবে অশান্তিতে আছে? মোটেই না।

দুনিয়ার মাত্র ২১% মানুষ ইসলামের অনুসারী। এবং হয়তো ৫-১০ % আসলে ধর্ম মানে এবং ধর্ম ভয় করে।

তাহলে কি দুনিয়ার ৯০% মানুষই অশান্তি তে আছে??? না।

২৪ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২০

ওমেরা বলেছেন: শান্তি আর ধর্মের মাঝে আসলে কোন সম্পর্ক নাই।
ভাইয়া আমার তো মনে হয় শান্তি আর ধর্মের মাঝে নিবির সম্পর্ক আছে। কারন শুধু ইসলাম না প্রতিটা ধর্মেই মানুষের সুখ- শান্তির কথা বলা হয়েছে।ইসলামে একটু বেশীই বলা হয়েছে কারন ইসলাম একটা পরিপূর্ণ জীবন বিধান। আমাদের জীবনের ক্যাটালগ পবিত্র কোরআনে, এখানে আমাদের ব্যক্তিগত জীবন,পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন কেমন হবে তা পরিপূর্ণ ভাবে বলে দেয়া হয়েছে।পুরো কোরআনে আল্লাহ মানুষের কল্যান ও শান্তির জন্য শুধু দুইটি নির্দেশ দিয়েছেন কিছু কাজ করতে বলেছেন আর কিছু কাজ করতে নিষেধ করেছেন ।

কিন্ত আমরা মুসলমানেরাই আল্লাহ যেকাজ গুলো করতে বলেছেন সেগুলো আমরা আমাদের সুবিধামত করছি , কিন্ত যেগুলো করতে নিষেধ করেছেন সেগুলো থেকে বিরত থাকতে পারছি না ।
ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন বিধান এটা আমাদের পরিপূর্ণ ভাবেই মানতে হবে আংশিক মানলে আমরা পূর্ণাঙ্গ মুসলমান হতে পারব না । পৃথিবীতে ২১% মুসলমানই । জী , ভাইয়া এই ২১% মুসলমান যদি কোরআনকে ফলো করে আমরা পূর্ণাঙ্গ মুসলমান হতে পারতাম তাহলে আমাদের চারিত্রিক সৌন্দর্য দেখে আরো ২১% মানুষ ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিত।আস্তে আস্তে আরো বাড়তেই থাকত আর আমাদের পৃথিবীটা হত শান্তির ।

জী ভাইয়া, শান্তিটা মানুষের মনে এটা ঠিক, কিন্ত মনে শান্তি আসবে কোথা থেকে যেখানে আপনার জান,মালের নিরাপত্তা নেই আপনার সন্তানের কোন ভবিষ্যত নেই ? সারাক্ষন মানুষ টেনশন ভিতর দিয়ে সময় পার করছে । মনে এত এত টেনশন শান্তি থাকবে কোথায়!

অনেক মানুষই আছে যারা ইসলাম ধর্ম মানেনা। তারা কি তবে অশান্তিতে আছে? মোটেই না।

জী, ভাইয়া এটাও আপনার সাথে আমার কোন দ্বিমত নেই । কারন যারা ইসলাম ধর্ম মানে না তারাও অনেক ভালো কাজ করে এমনি কি ইসলাম ধর্ম যারা মানে তাদের চেয়ে বেশী ।কিন্ত পার্থক্য হল কোন মুসলমান যখন ভালো কাজ করে তার পুরস্কার সে আখেরাতে পাবে দুনিয়াতেও পাবে। আর অমুসলিম যখন ভালো কাজ করে তার ভালো কাজের পুরস্কার সে আখেরাতে পাবে না । তার পুরস্কার আল্লাহ তাকে দুনিয়াতেই দিবেন বিভিন্ন ভাবে, সুখ,সমৃদ্ধি, যশ, খ্যাতি , ক্ষমতা এসব দিয়ে কাজেই তাঁরাই দুনিয়াতে শান্তিতে থাকবে।
ভাইয়া এই বিষয় নিয়ে যুক্তি তর্ক করে আমরা অনেক দুর যেতে পারবো কিন্ত শেষ রেজাল্ট আপনি আপনার অবস্থানেই থাকবেন আমিও আমার অবস্থানেই।

আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।

৩৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:১৯

জুন বলেছেন: কত তুচ্ছ কারনে যে মানুষ মানুষকে খারিজ করে দেয় ভাবলে অবাকই হই ওমেরা। আপনার ঘটনা দুটোও সেমনই।
আমার পরিচিত একজন মা বাবার আগ্রহে এক মেয়ের সাথে দু একদিন কথা বলার পর সরে আসলো কারন মেয়েটি বড় অপরাধ সে হিন্দি সিরিয়াল দেখে।
এরপর সে নিজেই একজনকে খুজে পেল যার সাথে তার সব বিষয়ে অনেক মিল। কিসের মিল জানতে চাইলে ছেলেটি বল্লো মেয়েটি তার মতই প্লে স্টেশনে গেমস খেলতে পছন্দ করে, গান আর ম্যুভিতেও একই রকম পছন্দ। কাপড়-চোপর, গয়না গাটির উপর মেয়ের কোন লোভ নাই। টেনেও নেয়া যায় না ঐসব দোকানে। তারমতই ঘুরতে পছন্দ করে। মোদ্দা কথা সব কিছুই পারফেক্ট।
এখন কি বলবেন বলেন?
লেখাটিতে ভালোলাগা রইলো অনেক।
+

২৪ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪১

ওমেরা বলেছেন: জী আপু আমার মুল লিখার বিষয়টা সেটাই ছিল, কত ছোট কারনে মানুষ মানুষকে রিজেক্ট করতে পারে ! আসলে আমরা প্রতিটা মানুষ আলাদা আমাদের মেনটালিটি, পছন্দ অপছন্দ সবই আলাদা।
একটা ঘটনা শুনছিলাম , ছেলে প্রবাসে বাবা,মা মেয়ে পছন্দ করে মেয়ের ফোন নাম্বার ছেলেকে দিয়েছে কথা বলার জন। ছেলে মেয়েকে ফোন দেয় মেয়ে ফোন রিসিপ করে সালাম দিয়ে ,ছেলে সালামের জবাব দিয়ে জিগেস করে, কেমন আছেন ?
মেয়ে জবাব দেয়, আলহামদুল্লিলাহ! ভালো আছি।
ছেলে, মেয়ের এই আলহামদুল্লিলাহ বলতে এতটাই খুশী হয় সে তার বাবা,মাকে জানায় আমার মেয়েকে দেখতে হবে না তোমরা কথা পাকা করে ফেল । পরে উনাদের বিয় হয় ।
কার কখন কাকে কি কারনে পছন্দ আর অপছন্দ হবে ভাবা যায় না।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।

৩৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৯

করুণাধারা বলেছেন: ব্লগে অফলাইনে এলেও মন্তব্য করা হয়না, তাই এই চমৎকার পোস্টে মন্তব্য করা হয়নি আগে।

চমৎকার বিষয়ে লিখেছেন। খালি ঘরে সালাম দেয়ার কথা জানতাম না, জেনে ভালো লাগলো।

আল্লাহই এমন পাত্রদের সাথে মেয়ে দুটির জোড়া রাখেন নি। ইন শায়া আল্লাহ তারা তাদের মত ঈমানদার পাত্র পাবেন।

পোস্টে ++++

২৪ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬

ওমেরা বলেছেন: ওহ্ আপু এমন করে কথা বলেন কত আপন আপন লাগে। জী আপু করোনায় ঘরে বন্ধি হয়ে আমরা কেমন যেন ব্যাস্ত অনেক( আমরা কখনো বন্ধি ছিলাম অবশ্য এতদিন সামারের ছুটি ছিল , আজকে থেকে শুরু হল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।

৩৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩

রামিসা রোজা বলেছেন:
সুন্দর ধর্মীয়গাম্ভীর্য্যপূর্ণ লেখা পড়ে অনেক কিছু জানতে
পারলাম এবং লেখার সাথে সহমত পোষন করছি।
এই ভেবে ভালো লাগছে যে মেয়ে দুটির ভাগ্য ভালো
অমন পরিবারে বিয়ে হয়নি ।

২৪ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫১

ওমেরা বলেছেন: রামিসা আপু আপনাকে আমার ব্লগে সুস্বাগতম। সুন্দর কমেন্টের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।

৪০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০৬

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: পুরো পোস্টখানা মনযোগ সহকারে পড়লাম ! খুব ভাল লেগেছে।
অনেক অভিজ্ঞ ব্লগার আক্রমনাত্মক ভাবে মন্তব্য করছে।
মাশআল্লাহ তোমার দ্বীনের জ্ঞান দিয়ে খুব ভালোই জবাব দিয়েছো।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০২

ওমেরা বলেছেন: মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন আর আন্তরিক ভাবে কমেন্ট করেছেন তার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.