নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার আল্লাহ আমাকে একজন নারী হিসাবে সৃষ্টি করেছেন আর আল্লাহর সিন্ধান্তে আমি সন্তুষ্ঠ আছি।

ওমেরা

শালীনতাই সৌন্দর্য্য

ওমেরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভাগী থেকে ফেলানী অতঃপর ——— পর্ব ৪

০৯ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৬



-‘আচ্ছা, এখন আমাদের ডেইলি রুটিন কাজগুলো সম্পর্কে কোনো সাজেশন আছে তোমার’? সাহেদ নার্সকে জিজ্ঞেস করে I
- ‘তোমরা এখন রিসিপশনে যেয়ে ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারো I ডাক্তারের সাথে মিট করলে সেই তোমাদের সব কিছু বলবে।‘ এরপর আমার দিকে তাকিয়ে নার্স বলে, ‘এরপর ডাক্তার তোমার জন্য একজন হেলথকাউন্সিলর (বর্নমোশকা) রেকমেন্ড করবে। প্রথমদিকে দুই সপ্তাহে একবার, তারপর সপ্তাহে একবার বা আরো বেশি, শেষ দিকে একটু ঘন ঘন আর বেবী আসার পরও ছয় মাস পর্যন্ত সে তোমাকে ভিজিট করে বেবীর সেবা যত্ন সম্পর্কে সব শিখিয়ে দিবে। গুড লাক I’
- ‘থাঙ্কস’ বলে আমরা রিসিপশনের দিকে এগিয়ে যাই I

- ‘তিন সপ্তাহ পর অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ রিসেপশনিস্ট আমাদের জানায় ।

-‘আমরা তো আগামী সপ্তাহে দেশে যাব তার আগে কি আমরা ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে পারি ?’ সাহেদ বলে I

-‘এত তাড়াতাড়ি ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া যাবে না, তবে তোমারা কাল সকাল আটটা থেকে নয়টায় মধ্যে ফোন করে ইমারজেন্সি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারো I তাহলে তোমরা কালকেই ডাক্তারের সাথে মিট করতে পারবে’।

-‘তাহল চল, আমরা এখন চলে যাই I কালকে সকাল পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে,‘ সাহেদ আমার দিকে তাকিয়ে বলে I

-’হ্যা চলো যাই, তোমার অফিসেরও দেরী হয়ে যাচ্ছে’, আমি বলি।

- না না আমার অফিসে কোনো দেরি হবে না । আমি অফিসে ফোন করে জানিয়ে দিয়েছি আমার আজকে যেতে একটু দেরী হবে’, সাহেদ বলে।
আমরা ক্লিনিক থেকে বের হয়ে গাড়ির দিকে হাটতে থাকি।

এতক্ষন তো যাও স্বাভাবিক ছিলাম, গাড়িতে সাহেদের পাশে বসে, আনন্দ, ভয়, লজ্জা এই তিনে আমি একেবারে জড়োসড়ো হয়ে যাচ্ছি। এতটাইলজ্জা লাগছে আমি সাহেদের দিকে তাকাতেই পারছি না I

- ‘এই তুমি এত নার্ভাস হচ্ছো কেন? বলেছিলাম তো সবুর করতে নাকি,’ আমার অবস্থা দেখে সাহেদ দুই হাত দিয়ে আমার মুখটা উঁচু করে ধরে আমার কপালে চুমু দিয়ে মুচকি হেসে বলে।

আমি চুপ করে থাকি ।
- ‘তোমার আজকে স্কুলে যেতে হবে না, কালকেও মনে হয় যেতে পারবেনা,আমি তোমাকে বাসায় নামিয়ে যাচ্ছি I তুমি স্কুলে মেইল করে এটা জানিয়ে দাও,’ সাহেদ বলেI

- ‘ওকে’, তাহলে তুমিও কালকে ছুটি নিয়ে এসো, আমি কিন্ত একা ডাক্তারের কাছে যেতে পারবো না,’ আমি বলি !

-‘দেখি তিনদিন পরই তো আমার ছুটি শুরু হবে তাই কাজের চাপ একটু বেশী,তবু চেষ্টা করবো’ সাহেদ আমার দিকে তাকিয়ে হেসে বলে I সাহেদ বাসায় আমাকে নামিয়ে দিয়ে চলে যায় I

আমি দরজা খুলে বাসায় ঢুকলাম টিকই কিন্ত কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না, আমি আনন্দে এত বেশী আপ্লুত আমার ব্রেন কোন কাজ করছে না I কিছুক্ষন এঘর-ওঘর করি, একবার উপর যাচ্ছি আবার নিচে নামছি I কিছুতেই স্থির হতে পারছি না I কত অগোছালো ভাবনা, কত কল্পনা মাথায় আসছে ! এমনি করে ঘন্টা পেরিয়ে যায়। লাঞ্চ ব্রেকে সাহেদের ফোনে একটু স্থির হই ।

-‘এই তুমি কি স্কুলে মেইল করেছ’? সাহেদ জানতে চায় I

-‘সরি সাহেদ, আমি ভুলে গেছি I আর আমি তো কিছুই করতে পারছি না, আমার কেমন যেন অস্থির অস্থির লাগছে কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিনা’ আমি বলি।

-‘আছবা শান্ত হও I কোন টেনশন না I আগে স্কুলে মেইলটা করে, লাঞ্চ করো I তারপর শুয়ে রেষ্ট নাও I কিছুক্ষন ঘুমালে সব ঠিক হয়ে যাবেI আর তোমার কিছু করার দরকার নেই I খুশীর খবরে তোমাকে তো মিষ্টি খাওয়ানো দরকার কিন্ত এখানে তো মিষ্টি পাওয়া যাবে না I আমি তোমার জন্য কেক আর ডিনার নিয়ে আসবো. সাহেদ হেসে বলে I

- ‘ওকে,বলে আমি লজ্জায় তাড়াতাড়ি ফোন রেখে দেই।

পরের দিন সকাল আটটায় ক্লিনিকে ফোন করে অটো রেস্পন্স পেলাম, ‘তোমার আইডি নাম্বার দিয়ে রাখো পাঁচমিনিট পর কলব্যাক করবো’। পাঁচমিনিট পর ফিজিশিয়ানের অফিস থেকে জানতে চাইলো:

-‘তুমি ফোন করেছিলে’?

আমি বলি ‘হ্যা’ !

-‘তোমার ইমার্জেন্সি কি? কি প্রবলেম বল,’ ওপাশ থেকে বলে I

আমি বলি আমার ইমার্জেন্সি। প্রেগনেন্সি আর নেক্সট উইকে দেশে যাবার কথা । সে আরো অনেক গুলো প্রশ্ল করে আমার জবাব পেয়ে লাঞ্চের পরে দুইটায় আমাদের ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেয়।

আমরা এপয়েন্টমেন্ট টাইমের একটু আগেই পৌঁছাই । ক্লিনিকে পৌছে রিসিপশনে এন্ট্রি করার করার পর পরই ওরা আবার কিছু টেস্ট টেষ্ট করলো I আমরা ওয়েটিং রুমে ডাক্তারের জন্য অপেক্ষা করছি। ঠিক দুইটায় টেস্ট রেজাল্ট রেডি করার সাথে সাথেই ফিজিশিয়ানের রুম থেকে কল করলো করলো ।

-‘ওয়েলকাম’, আমাকে আর সাহেদকে রুমে ঢুকতে দেখে ডাক্তার বলে I

- থাঙ্কস, উত্তরে আমরা বলি ।

-‘আরে এতো খুশীর খবর,’ ডাক্তার সব টেস্ট রিপোর্টগুলো দেখে খুশী হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলে I
আমি ও হেসে মাথা ঝাঁকাই।

-‘এ’সময় মেয়েদের বিভিন্ন রকম উপসর্গ দেখা দেয় I এগুলো স্বাভাবিক I তুমি কেমন ফিল করছ’? ডাক্তার বলে I

-‘আমি বলি, না আমি কোন সমস্যা ফিল করছি না I আমার খাওয়া ঘুম সবই নরম্যাল সময়ের মতই আছে I মাথা ঘুরা বা বমিও হয়নি এখন পর্যন্ত’।

-‘খুব ভালো। তোমার টেস্টগুলোর রেজাল্টও সব নরমাল । আমি এখন তোমাকে আরো কিছু টেষ্ট দিচ্ছি I সেগুলোর রেজাল্ট দেখলে আমি বুঝতে পারবো তোমাকে কোন মেডিসিন দিতে হবে নাকি। তোমরা কি আর কিছু বলতে চাও’? ডাক্তার বলে I

-আমরা চার মাস আগে টিকেট করে রেখেছি বাংলাদেশে যাওয়ার I আগামী ফ্রাইডে আমাদের ফ্লাইট। তুমি কি এখন এই ট্রাভেল সাজেস্ট করো,’? সাহেদ জানতে চায় ।

-ওহ্ নেই ! গর্ভকালীন প্রথম তিনমাস ও শেষ তিনমাস ভারি কাজ, দীর্ঘজার্নি একটু ঝুঁকিপূর্ন। তবে সমস্যা হতে পারে আবার নাও হতে পারে আমরা নিশ্চিত নই, কিন্ত একজন ডাক্তার হিসাবে আমি আমার সব পেশেন্টকেই প্রথম ও শেষের তিনমাস দূরের জার্নি ও কঠিন কাজ থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দেই। তোমাদের জন্যও এটা আমার পরামর্শ Iতবে তোমরা কি করবে সেই ডিসিশন তোমাদের নিতে হবে’, সাহেদের কথা শেষ না হতেই, ডাক্তার বলে I

সাহেদ কিছু না বলে, আমার দিকে তাকায় ।
- ‘সাহেদ, তুমি মন খারাপ করো না প্লিজ! আমারা এখন দেশে যাবো না’,আমি সাহেদের হাত ধরে বলি।

- আরে - আমার তো আমার জন্য না, তোমার জন্য মন খারাপ হচ্ছে I তুমি কত আনন্দ নিয়ে আছো, সবার জন্য কেনাকাটা কত প্লান করেছে , সাহেদ হেসে বলে।

- ‘সাহেদ আমি এখন দেশে যাওয়ার চেয়েও বেশী আনন্দে আছি। আমরা না হয় আরো দেড় বা দুই বছর পরই দেশে যাব সাথে আমাদের বেবী থাকবে সেটা আরো অনেক বেশী আনন্দ হবে তাই না সাহেদ । ইস্! আমার এটা ভাবতেই কত ভালো লাগছে,’ আমি বলি।

সাহেদ আসলে এটাই চাচ্ছিল কিন্ত আমার কথা ভেবে ও মুখে বলতে পারছিল না I এবার আমার মুখ থেকে এ’কথা শুনে ও হাফ ছেড়ে বাঁচল I এবার সে ডাক্তারকে বলে, ‘ওকে ডক,আমরা এখন দেশে যাচ্ছি না’।

-‘ভেরি গুড, এটাই বেটার’ I তাহলে তোমরা এখনই ল্যাব হয়ে যাও I নাহ্ এখন না তুমি বরং কালকে সকালে এসো একটা টেষ্ট আছে সেটা কোন কিছু খাওয়ার আগে ব্লাড নিতে হবে, কাজেই তুমি কালকে সকালে এসো না খেয়ে তখনই অন্যগুলোও নিতে পারবে, আর টেষ্টের রেজাল্ট গুলো পেলে যদি কোন জরুরী দরকার হয় আমি তোমাদের ডাকবো, আর সব যদি ঠিক থাকে তাহলে দুইমাস পর আমাদের আবার দেখা হবে,’ আগামী টাইম সিটটা আমাদের হাতে দিতে দিতে শুভ কামনা জানিয়ে ডাক্তার হেসে বলে।

সাহেদ সব সময়ই খুব কেয়ারিং I এই সময়টাতে ও আরো বেশী কেয়ার নিত আমার I ওর ছুটির দুই মাস তো কোন কাজই আমাকে করতে দিত না I রান্না থেকে শুরু করে ঘর পরিস্কার, লন্ড্রি সব ও নিজেই করত I আর আমাকে কখন কি খেতে হবে সব ও রেডী করে দিত। কখন আমার ডাক্তারের টাইম,কখন বর্নমোশকারের টাইম সব ওই খেয়াল রাখত।

খুশী আর আনন্দে আমাদের সময় গুলো খুব দ্রুতই চলে যাচ্ছিল, একটু সময়ের জন্যও আমি অসুস্থ বা খারাপ ফিল করিনি কোন কিছু নিয়ে। মাঝে মাঝে মনে হত সত্যি আমার পেটে কোন বেবী আছে তো ? তাহলে আমি কোন কিছু ফিল করছি না কেন ! এসব মনে করে খুব ভয় লাগত। চার মাসের পর থেকে আমার পেটে আমি তার নড়াচড়া অনুভব করি, আমার ভয় কেটে যায় I মনে মনে বলতাম সে আমার শরীরের ভেতরই আছে আমার অংশ হয়ে। সারে চার মাসের সময় আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার জন্য আমাকে ডাকা হল। সাহেদও ছিল আমার সাথে।

সেদিন আমাদের বেবীকে আমরা নিজের চোখে দেখি I তার হার্টবিট আমরা নিজের কানে শুনি I তার একটা ফটোও আমাদের দেয়া হয়। ওরা বলে বেবীর সবই স্বাভাবিক আছেI আমাদের একটা বেবী গার্ল হবে সেটা জানায় । এতে আমি আরো বেশীখুশী হই।

মেয়েকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখি ! কত রকম করে মেয়েকে সাজাই I মেয়ের জন্য খাট,দোলনা, ট্রলি কিনি, ফিডার , কত খেলনা, ছোট বড় জামা কাপড় কিনে কিনে ওর জন্য কেনা ওয়্যারড্রবে গুছিয়ে রাখি । যখনই সময় হয় এগুলো বের করে করে দেখি আর আমি আনন্দে আত্মহারা হই। আর সেই ফটোগ্রাফি যদিও খুবইঝাপসা তবু সেটার দিকে তাকিয়ে থাকতে কি যে ভালো লাগতো। জীবনে তেমন দু:খ,কষ্ট ছিল না, তবে জীবন যে এত সুন্দর এতটা আনন্দময় লাগে সেটাও কখনো এর আগে এমন ভাবে অনুভব করিনি।

সাত মাসেই আমার শরীরটা বেশ ভারি হয়ে যায় আমার চলতে ফিরতে বেশকষ্ট হয়। স্কুল বন্ধ করে দিলাম। আমাদের ছোট টাউন হাউসের উপর তলাতে শুধু দুটো বেডরুম আর নিচ তলাতে কিচেন, ড্রইংরুম ও একটা বাথরুম।সিড়ি দিয়ে উঠা- নামা করতে আমার কষ্ট হয় I সাহেদও খুব ভয় পেত যদি আমি পরে যাই ।তাই সাহেদ একটা ছোট খাট কিনে নীচে ড্রইংরুমে সেট করে দেয় যাতে আমি সারাদিন টুকটাক কাজের ফাকে নীচেই রেষ্ট নিতে পারি। সকালে সাহেদ ধরে ধরে সিড়ি দিয়ে নীচে নামিয়ে দিত আবার রাতে ওধরে ধরে উপরে নিয়ে যেত । এভাবেই আরো একটা মাস কেটে যায় I আর মাত্র একটা মাস ! এতো কষ্টের মাঝেও যে এত আনন্দ থাকতে পারে সেটা আমি জীবনে আগে আর কখনো সেভাবে অনুভব করতে পারিনি I আর সাহেদ চুপচাপ শান্তশিষ্ট হলেও সেই সময় ওর হাসি, ওর আনন্দ আরপ্রানচাঞ্চল্য দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে যেতাম আর মনে মনে ভাবতাম এই সোজাশান্ত লোকটার মনে একটা বাচ্চার জন্য এতটা আকুতি ছিল অথচ আমাকে কখনো কিছুই বলেনি !

প্রতিদিনের মত সেদিনও আমি সাহেদের হাত ধরে নীচে নেমে আসি I আমি টেবিলে নাস্তা রেডি করি I সাহেদের লাঞ্চের জন্য স্যান্ডউইচ বানিয়ে দেই I সাহেদ শাওয়ার শেষ করে অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে টেবিলে আসে, আমরা দুজনে একসাথে নাস্তা করি । সাহেদকে বিদায় দিয়ে দরজা বন্ধ করে আমি ওয়াশ রুমে ঢুকেছি শুনি আমার মোবাইলে রিং হচ্ছে । আমি ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে মোবাইল খুঁজতে থাকি । কিন্ত খুঁজে পাবার আগেই আবারো মোবাইল ফোনের রিং বেজে উঠে । রিংয়ের শব্দে আমি বুঝতে পারি আমি ভুলে মোবাইল উপরে রেখে এসেছি !

আমি কি করবো ? এখন আমি কি উপরে যাব মোবাইলটা আনতে? আমিসিঁড়ির কাছে যেয়ে থমকে দাঁড়াই আমার মনে পড়ে সাহেদ সব সময় সাবধান করে বলে ভুল করেও সিড়িতে পা রাখবে না আমাকে ছাড়া I যদি ব্যাথা পাই ওখুব রাগ হবে I এসব ভাবতে ভাবতেই আবারো রিং বন্ধ হয়ে গেলI থাক, ‘ মোবাইল আনতে হবে না ভেবে আমি রুমে ফেরত এসে খাটে বসতে যাচ্ছি আবার মোবাইল বেজে উঠে I

এবার আমার মনে চিন্তা আসে, সাহেদ তো মাত্রই গেল ওতো এখনই ফোন করবে না, নিশ্চয় দেশ থেকে কেউ জরুরী কারনে কল করছে I না হলে বার বার রিং করছে কেন ? আব্বু, আম্মু কেউঅসুস্থ্য হল নাকি, এসব কথা মনে করে, ‘ আমার বুকের ভিতর মোচর দিয়ে উঠে আমি ব্যাকুল হয়ে একটু তাড়াহুরা করেই মোবাইলটা আনতে ছুঁটে যাই ———চলবে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৪২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: প্রিয় ওমেরা,
এবারের পর্বের আগের তিনটে পর্ব পড়তে গিয়ে সামনে অনেক অলি গলি পড়ছিলো যাতে ঢুকে যাওয়া যায় । মানে ওই পর্বগুলো পড়তে পড়তে অনেক সম্ভাবনার কথাই মনে এসেছিলো । এবার মনে হয় গল্পের ডাইরেকশনটা খানিকটা বোঝা যাচ্ছে । তবে স্বীকার করছি টেক্কাটা আপনার কাছে এখনো লুকোনোই আছে মানে এখনো বুঝতে পারছি না গল্পটা ফাইনালি কোন দিকে যাবে বা ঠিক কি ঘটবে । পাকা লেখিকার গুনের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে আপনার লেখায়। গল্প বলছেন কিন্তু সামনে কি ঘটবে সেটা লুকোনোই থাকছে । ঝরঝরে গতিশীল হয়েছে এই পর্ব । চমৎকার লেখার শুভেচ্ছা রইলো ।

বাই দ্যা ওয়ে, আপনি লেখা পোস্ট করার প্রায় চার ঘন্টা পরেও মন্তব্যে আমি ফার্স্ট হয়ে গেলাম মনে হয় । তাহলে চা-র আয়োজনতো করতে হয় আমার জন্য ।হাহাহা ----।

১০ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:০২

ওমেরা বলেছেন: ওরে —- আমার পন্ডিত ভাপু কি কথা বলেন, আমার সোজা সরল গল্প, সোজা দিকেই যাবে। আপনার মত মানুষের কাছে তো এটা দুধ ভাতের মত । আপনি যে আমার গল্পটা পড়ছেন আমি অনেক খুশী তাতে। আমার সাথে মানে আমার গল্পের সাথে কিন্ত আপনাকে থাকতেই হবে ভাপু।

জী, যাই হোক অনেক দিন পর আপনার প্রথম কমেন্ট পেয়ে মানে আপনি ফাষ্ট হয়েছেন আমিও অনেক খুশী হয়েছি , চা না,কফি, না সকাল একেবারে ফ্রুরোষ্ট ( ব্রেকফাষ্ট) দিলাম।

আমি জানি আপনি ব্লাক কফি খান । কিন্ত আমার পছন্দ ক্রিম কফি তাই আমার যা পছন্দ আপনার জন্যও তাই পছন্দ করলাম।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাপু। ভালো থাকবেন ভাপু।

২| ১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: এত খুটীনাটি ডিটেইলস বর্নার দরকার কি? পাঠককে কিছুটা ভেবে নিতে দেন।

১০ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৩৬

ওমেরা বলেছেন: আমি তো আসলে লেখক না আবার গল্পের বইও খুব পড়ি না, তাই গল্প কেমন হয় জানা নেই। আমি আমার মনের ভাবনা গুলোই লিখি।ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ১০ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৩৯

জুল ভার্ন বলেছেন: গল্পটা আত্মস্থ করতে গল্পের আগের দুট পর্বও পড়লাম। কিন্তু তৃতীয় পর্বে এসেও গল্পের গতিপ্রকৃতি বুঝতে পারছিনা। তবে গল্পের খুটিনাটি বিষয়গুলো বর্ণনা ভাল লাগছে।

১১ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৪৬

ওমেরা বলেছেন: বুঝতে তো পারার কথা তবু যখন বুঝেননি সামনের পর্ব পরলেই সব বুঝতে পারবেন ।

অনেক ধন্যবাদ নিবেন কষ্ট করে পড়ে কমেন্ট করার জন্য।

৪| ১০ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:০৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: যখন একজন নারী প্রথমবার গর্ভবতী হয় তখন তার পুরো পরিবারে আনন্দের বন্যা বয়ে যায় আর তার সাথে প্রথমবার মা-বাবা হওয়ার আনন্দ ও অন্যরকম এক অনুভুতিতে স্বামী-স্ত্রী বুদ হয়ে থাকে।আর আপনার লেখা চলছে চমতকার।প্রথমবার মা হওয়া একজন নারীর গর্ভকালীন অনুভুতি চমতকার ভাবে ফুটে উঠছে আপনার লেখনিতে (যদিও এখন ফ্ল্যাশব্যাক চলছে )।

তবে শেষ লাইনে আমাদের রেখে দিলেন আশংকার মাঝে ,যার পরবর্তীতেই হয়ত ঘটবে সেই অনাকাংখিত হৃদয় ভংগের দূর্ঘটনা।

১১ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৪৯

ওমেরা বলেছেন: গল্পটা মনোযোগের সাথে পড়ার জন্য ও কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ অনেক ।
ভালো থাকবেন।

৫| ১০ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৪৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগলো আপি

১২ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৫৬

ওমেরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু।

৬| ১১ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:০৯

করুণাধারা বলেছেন: গল্প সুন্দর ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে ওমেরা, কিন্তু কথা হলো এমন ধারাবাহিকে আগের পর্বের লিঙ্ক দিলে সুবিধা হয়।

দেখি পরের পর্বে কী হয়!!

১৩ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:১১

ওমেরা বলেছেন: আচ্ছা আপু , আগামী পর্বে আগের পর্ব গুলোর লিংক দিয়ে দিব ।
অনেক ধন্যবাদ আপু।ভালো থাকবেন আপু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.