নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার আল্লাহ আমাকে একজন নারী হিসাবে সৃষ্টি করেছেন আর আল্লাহর সিন্ধান্তে আমি সন্তুষ্ঠ আছি।

ওমেরা

শালীনতাই সৌন্দর্য্য

ওমেরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

— মাদ্রাসা শিক্ষকের শিশু নির্যাতন, মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধের দাবী ও কিছু কথা —

১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:১২

ফটো লিংক

সুইডেনে প্রতিটা শিশুকে ঠিক ততটাই গুরুত্ব দেয়া হয় ঠিক যতটা গুরুত্ব একটা শিশুর প্রাপ্য । এখানে অনেক বাবা,মা আছে যারা এখানে পার্মানেন্ট না ( জব বা পড়াশুনার জন্য কিছুদিন বা কয়েক বছর থেকে চলে যাবে), অনেক বাবা,মা এখানে অবৈধ ভাবে আছেন কিন্ত এসবের জন্য তাদের শিশুদের প্রতি কোন বৈষম্য করা হয় না I প্রতিটি শিশুর জন্য রয়েছে একই সমান সুযোগ সুবিধা। শিশু নির্যাতনের ব্যাপারে সুইডেনের জিরোটলারেন্স নীতি কিছু ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি মনে হলেও পর ক্ষনে মনে হয় ওরাই ঠিক। শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। এরাই গড়ে তুলবে এক নতুন বিশ্ব কিন্ত যদি সঠিক ভাবে তাদের বিকশিত হবার সুযোগ না দেয়া হয় তাহলে তারা হবে জাতির জন্য বোঝা। এখানে কোন শিক্ষক কোন ছাত্র - ছাত্রীর গায়ে হাত তুলেছেন এমন কথা শুনিনি আমি নিজেও ক্লাস ফোর থেকে এখানে পড়াশুনা করছি এমন কোন শিক্ষকের দেখা পাইনি । বরং দেখেছি, শিক্ষকদের দায়িত্বশীলতা,আন্তরিকতা I কোন স্টুডেন্ট যদি পড়াশুনায় অমনোযোগী হয়, কেন ? এই কেনটাকে খুঁজে বের করার জন্য কত চেষ্টাই না করেন। শুধু পড়াশুনাই না কোন স্টুডেন্ট মানসিক বা শারিরীক দিয়ে দূর্বল থাকলে সেই দূর্বলতা কি ভাবে কাটানো যায় সে ব্যাপারে এরা চেষ্টা করে। পড়াশুনাকে ভীতিকর না করে কি ভাবে আনন্দদায়ক যায় তাই এখানকার শিক্ষা ব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ঠ্য। তবে শাসন যে করে না তা কিন্ত নয় তবে সেটা পিটিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে নয়।এরা মনে করে প্রতিটা শিশুর জীবন বিকাশের অধিকার রয়েছে। এর জন্য বাহিরের সহিংসতা থেকে যেমন,তেমনি পারিবারিক সহিংসতা থেকেও শিশুকে রক্ষা করতে হবে। পিতা মাতা তার সন্তানকে অবশ্যই বড় করবে,একটা শিশুর অধিকার রয়েছে সুন্দর শৈশবের। তাই বাবা মাকে সন্তানকে ঘরে সুন্দর পরিবেশ দিতে হবে যাতে তার সন্তানের শারিরীক মানসিক বিকাশ সুন্দর ভাবে হতে পারে ।

কোন ঘরে যদি পারিবারিক সংঘাত বিরাজ করে,সন্তানের সঠিক ভাবে যত্ন নেয়া না হয়, শিশু বলে যদি তার মতামতের গুরুত্ব না দেয়া হয়, তার গোপনীয়তা রক্ষা করা না নয় (তার বিনা অনুমতিতে তার ডায়রী বা চিঠি পড়া হয়) এগুলো শিশুনির্যাতনের মাঝে পরে। আর এব্যাপারে কোন বাচ্চা যদি স্কুলে অভিযোগ করে তাহলে বাবা,মায়ের অবস্থা শোচনীয়। প্রয়োজনে অভিভাবকের কাছ থেকে বাচ্চা নিয়ে নেয়া হবে ।আর এই সমস্ত সিদ্ধান্ত একটা শিশুর সর্বোত্তম স্বার্থ বিবেচনা করে নেয়া হয়। কারন শিশু নির্যাতনের বৈশিষ্ট্যটি হ'ল সহিংসতা যা শিশুর জন্য মারাত্মক মানসিক পরিণতি ঘটাতে পারে। তাই সুইডেন সরকার চায় এই রকম নির্যাতিত শিশুদেরকে একটি ভালো পরিবেশ তৈরী করে দিতে যাতে শিশুর শারীরিক মানষিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত না হয় তাই তাদের এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাতেই হয়। এতো বল্লাম আধুনিক সুইডেনের কথা।

আমরা যদি সারে চৌদ্দ শত বছর আগে আমাদের নবী,রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সময়ে ফিরে দেখি , উনি কি রকম আচরন করেছেন শিশুদের সাথে আর কি বলেছেন শিশুদের সম্পর্কে।শিশুর প্রতি আচরণ সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যেব্যক্তি শিশুকে স্নেহ করে না এবং বড়দের সম্মান দেখায় না সে আমাদের দলভুক্ত নয়’ (তিরমিজি, হাদিস নং: ১৯২১) I আবুহুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, ‘একবার রাসুল (সাঃ) নিজ নাতিহাসান (রা.)-কে চুমু খেলেন। সে সময় তার কাছে আকরা বিনহারেস উপস্থিত ছিলেন। তিনি বললেন, ‘আমি দশ সন্তানেরজনক। কিন্তু আমি কখনও তাদের আদর করে চুমু খাইনি।তখন মহানবী (সা.) তার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘যে দয়া করেনা, তার প্রতিও দয়া করা হয় না’ (বোখারি, হাদিস নং:৫৬৫১) I আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার এক ব্যক্তিমহানবী (সা.)-এর কাছে হাজির হয়ে বলল, আমার হৃদয় খুবকঠিন। তিনি বললেন, তুমি কি তোমার অন্তর কোমল করতে চাও? সে বলল, হ্যাঁ। তখন তিনি বলেন, তাহলে এতিমবাচ্চাদের আদর করো, স্নেহ-ভালোবাসা প্রদান করো, তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে দাও, তাদের খাবার দাও। তবেই তোমার অন্তর কোমল হবে।”উনি তো পৃথিবী এসেছিলেন একজন শিক্ষক হিসাবে। তিনি নিজেই বলেন, ‘নিশ্চয় আমি শিক্ষক রূপে প্রেরিত হয়েছি’ (সুনানে ইবনে মাজাহ : ২২৯)। তার অনুপম শিক্ষানীতি ও পদ্ধতিতে মুগ্ধ ছিলেন তার সাহাবি ও শিষ্যগণ। হজরত মুয়াবিয়া (রা.) বলেন, ‘তার জন্য আমার বাবা ও মা উৎসর্গিত হোক। আমি তারপূর্বে ও পরে তার চেয়ে উত্তম কোনো শিক্ষক দেখিনি। আল্লাহর শপথ! তিনি কখনো কঠোরতা করেননি, কখনো প্রহার করেননি, কখনো গালমন্দ করেননি’(সহিহ মুসলিম)I তারপর রাসুল ( সাঃ) এর সাহাবী-তাবেয়ীন-তাবে-তাবেয়ীনদের যুগেবাচ্চাদেরকে মারধর করিয়ে পড়ানো হতো, এমন কোন কিছু আমি এখনো কোন বইয়ে পাইনি, আপনারা কেউ কি পেয়েছেন ?

স্কুলের সব পর্যায়েই (ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রেতো বলাই বাহুল্য) শারীরিক শাস্তির ব্যাপারটা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা দরকার ।আমাদের দেশে অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষার নামে(মাদ্রাসা আর স্কুল ব্যবস্থা) বাচ্চাদেরকে মারধর করার এইকালচারটির জন্য শুধু একশ্রেণীর শিক্ষকই দায়ী তা কিন্ত না। এর জন্য আমাদের দেশের কালচার আর শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকাংশেই দায়ী আর কিছু বাবা-মাও দায়ী।
আমার আম্মুর কাছে শুনেছি, আমাদের এক আত্বীয় তার সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করাতে যাচ্ছে সাথে বাঁশ ঝাড় থেকে চিকন বাঁশ নিয়ে I সেটা টিচারের হাতে দিয়ে বলে, আজকে থেকে এর শরীরের গোস্ত আপনার হারগুলো আমার। আমার এক কাজিন বর্তমানে সে কানাডাতে আছে। সে যখন ফিফ্থ গ্রেডে পড়তো তখন একদিন স্কুলে (মাদ্রাসায় না কিন্তু) না যাওয়াতে টিচার তাকে বেত দিয়ে এমন করে মেরে ছিল যে কয়েকটা আঘাত হাতের একই জায়গায় পরাতে তার হাত ফেটে গিয়েছিল I সে বাড়িতে এসে তার বাবা,মাকে জানালে উনারা উল্টো তাকেই বকে ছিল। তার সেই দাগ এখনো আছে। এমন অনেক বাবা,মা-ই আছেন যারা মনে করে স্কুলের/ মাদ্রাসার কঠিন শাসন বাচ্চাদের জন্য কল্যাণকর।এটা আামাদের দেশের একটা ব্যাড ক্যালচার। সিস্টেমের প্রশ্নটা আসে এজন্যই আমাদের দেশে শিক্ষা সিস্টেম স্টুডেন্ট বা টিচার কারো জন্যই আনন্দদায়ক না, যেটা আমি এখানে পেয়েছি ( এটা আমার অভিজ্ঞতা থেকে বল্লাম আমি ক্লাস নার্সারি থেকে ক্লাস থ্রী পর্যন্ত পড়েছি)যেই কাজে আনন্দ পাওয়া যায় না, সেই কাজে কখনো ভালো রেজাল্ট আসে না। যার কারনে স্টুডেন্টরা হয় পড়ার প্রতি অমনোযোগী আর টিচাররা দায়সারা দায়িত্ব পালন করতে যেয়ে হয়ে যায় রাগী। এছাড়া বাচ্চাদের পড়াশোনার দক্ষতা বৃদ্ধির সাথে অনেক বিজ্ঞান এবং মনোবিজ্ঞানগত ইস্যু জড়িয়ে আছে । সেটা সব ধরণের পড়াশোনার জন্যই একই রকম সত্যি । একজন নিম্নবৃত্ত ঘরের যে সন্তান মাদ্রাসা শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে তার কি শিক্ষা সম্পর্কিত সেই বিজ্ঞান বা মনোবিজ্ঞানগত বিষয়গুলো জানা আছে না থাকার কথা ?সরকারকে সব পর্যায়ে শিক্ষা দেবার কারিগর শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যাপারে সমন্বিত একটা কারিকুলার তৈরী করতে হবে। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ না থাকলে শিক্ষক হয়তো ছাত্রদের শারীরিক শাস্তি দেবেন না কিন্তু অর্থবহ শিক্ষা দানও করতে সক্ষম হবেন না।

স্কুল বা মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের শারিরীক শাস্তি দেবার এই ব্যাড ক্যালচার থেকে বের হতে হলে বাবা,মা, শিক্ষক , আলেম-উলামা, সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। স্কুলে, এতিমখানায়, মাদ্রাসায়, ঘরের ভিতরে, রাস্তা-ঘাটে, কোথাও শিশু নির্যাতন কাম্য নয়। একটি শিশুকে যখন নির্যাতন করা হয়,অমানুষিকভাবে পেটানো হয় হোক শিক্ষক বা পিতা-মাতারদ্বারা এই শিশুটি সারা জীবনের জন্য মানসিকভাবে ক্ষত-বিক্ষত হয়, হয়ে যেতে পারে বড় ধরনের কোন ক্ষতি।হয়ত তার আগামী ভবিষ্যতটাই হয়ে যেতে পারে অন্ধকার। মাদ্রাসার হুজুর মেরেছেন বলেই সেটা ইসলামে অনুমোদন আছে সেটা না । মাদ্রাসা হোক আর স্কুল সব জায়গাতেই বাচ্চাদের শিক্ষা দানের জন্য পর্যাপ্ত ট্রেনিয়ের ব্যাবস্থা থাকা দরকার শিক্ষকদের । একজন শিক্ষকের সমস্যার কারনে পুরো শিক্ষা সিস্টেম বাতিল করে দেবার ক্যানসেল ক্যালচার কারো লাভ হবার সম্ভাবনা নেই বরং তাতে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি ।যে কারো মন্দ কাজের প্রতিবাদ আমাদের করা উচিত। তবে মানুষের মন্দ আচরণের প্রতিরোধ করতে হবে উৎকৃষ্ট আচরণ দিয়ে। অথচ আমরা মানুষের মন্দ আচরণে আরো নিকৃষ্টতর মন্দ আচরণ করে থাকি। এটা মোটেই কাম্য নয়।কারন মন্দ আচরন দিয়ে আপনি কখনো ভালো কিছুর প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন না। শুধু নিজের কুৎসিত চেহারাটাই প্রকাশ হয়ে যাবে সবার কাছে।


ফটো লিংক

মন্তব্য ৭২ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৭২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



শুরু করলেন সুইডেনের শিশুদের সুন্দর জীবন নিয়ে, এরপর চলেগেলে ১৪০০ বছর আগে আমাদের নবী(স: ) শিশুদের কি রকম ভালো বাসতেন সেটা নিয়ে; আপনি কি সুইডেনের ক্লাশ রুমে ক্লাশ করেছেন, নাকি আমাদের নবীর(স: ) ক্লাশে উপস্হিত ছিলেন?

বাংলাদেশ কি সুইডেনকে অনুসরণ করার কথা আপনি বলছেন, নাকি শিশুদের বেলায় নবীকে(স:) অনুসরণ করতে বলছেন?

১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৪৫

ওমেরা বলেছেন: আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের নবী(স: ) স্কুলে যাবার সুযোগ পাননি; তিনি কি শিশুদের পড়ায়েছেন?

১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৪৬

ওমেরা বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার একজায়গাতে (সাঃ) এ হাসির ইমো চলে এসেছে। ঠিক করে দিবেন।

শিশুদেরকে শারীরিক নির্যাতনের বিষয়টা উন্নত বিশ্বে অনেক আগে থেকেই গুরুত্ব দেয়া হয়। আমাদের দেশে মোটামুটি নতুন। আমরা যখন স্কুলে পড়েছি, তখন এটা ভয়াবহ আকারে ছিল। এখনও মফস্বল বা গ্রামের স্কুলে এর প্রচলন আছে। মাদ্রাসা এর বাইরে না। মাদ্রাসা নিয়ে বিশেষভাবে নাচানাচি করা এক শ্রেণীর মানুষের অভ্যাস। এরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এটা করে। কিছু পথভ্রষ্ট শিক্ষক নামধারীকে দায়ী করার নামে পুরোটা ইসলামকে কলুষিত করার চেষ্টা করে। এদেরকে গুরুত্ব দেয়ার কিছু নাই।

এসব বন্ধে সবচেয়ে আগে কার্যকরভাবে এগিয়ে আসতে হবে সরকারকে। সমস্যার গোড়ায় পানি ঢালতে হবে। তা না করে, সমস্যার আগায় পানি ঢাললে কাজের কাজ কিছুই হবে না। সরকার আন্তরিকভাবে চাইলে, সঠিক পরিকল্পনা করলে কোন কিছুই অসম্ভব না।

লেখা ভালো হয়েছে। ওয়েল ডান!! :)

১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:০৬

ওমেরা বলেছেন: জী , সরকার উদ্দোগ না নিলে তো কিছুই করা সম্ভব না , জনগনের উচিত সরকারকে বাধ্য করা। সরকার করবে কাজ, জনগন দিবে চাপ।
সেটা তো পোষ্ট দেওয়ার সাথে সাথে বুঝে গেলাম!! :D
আমি বুঝি না আল্লাহ , নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এদের নাম দেখলেই এত এলার্জি কেন এদের !!

ভালো আছেন নিশ্চয় আরো ভালো থাকার কামনার সাথে অনেক ধন্যবাদ।

৪| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:০০

জুল ভার্ন বলেছেন: একটা ভালো পোস্ট কিন্তু উপস্থাপনায় কিছুটা এলোমেলো হয়ে গিয়েছে।
ধন্যবাদ।

১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:০৮

ওমেরা বলেছেন: তাই, কি রকম বল্লে একটু ভালো লাগতো । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

৫| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:০৬

জাহিদ হাসান বলেছেন: পোস্ট পড়ে মনে হয়েছে আপনি দুর্গন্ধযুক্ত আবর্জনায় পারফিউম ছিটাচ্ছেন।

কওমী মাদ্রাসায় পড়ে নির্যাতিত হয়ে এসেছি। যে বা যারাই কওমী মাদ্রাসার পক্ষে বলবে তাকেই ‘ওয়াক থু....।’

১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:১০

ওমেরা বলেছেন: আপনার ওয়াক থু দেখেন আপনার গায়েই লেগেছে !!

৬| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ২বার ধন্যবাদ দিয়েছেন; আপনি যদি মনে করেন, আামাদের নবী (স: ) নিজে লেখাপড়া না করলেও আমাদের শিশুদের তিনি ভালোভাবে পড়াতে পারবেন, উনাকে সেই কাজের দায়িত্ব দেয়ার কথা বলুন।

১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:১৮

ওমেরা বলেছেন: আপনারে ৩য় বারের মত ধন্যবাদ ।

৭| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:১২

জাহিদ হাসান বলেছেন: এনায়েত আলির ছাগল এখন ব্লগেও প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে। বাহ!

৮| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে সব কথায় নবী(স: )'এর নাম নিলে ইউরোপের লোকজন আপনাকে ভয় করতে পারে।

১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:২১

ওমেরা বলেছেন: চতুর্থ ধন্যবাদ ।

৯| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:১৭

নজসু বলেছেন:




শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী বলেছেন, আমাদের নবী (স:)
শুনে ভালো লাগলো। উনি বলেননি যে আপনাদের নবী (স:)
নবীর নামের সাথে দরূদও পাঠ করেছেন।
মুখে যতো কিছুই বলুন। হৃদয়ের কোণে দূর্বলতা আছেই।

১০| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:১৭

নজসু বলেছেন: শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী বলেছেন, আমাদের নবী (স: )।
শুনে ভালো লাগলো। উনি বলেননি যে আপনাদের নবী (স: )
নবীর নামের সাথে দরূদও পাঠ করেছেন।
মুখে যতো কিছুই বলুন। হৃদয়ের কোণে দূর্বলতা আছেই।

১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৪৮

ওমেরা বলেছেন: রমজান মাসে উনি রোজাও রাখেন, কোন এক পোষ্টে উনি বলেছিলেন।

১১| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



মাদ্রাসার সব পড়ালেখার মুলে তো নবী(স: ) ও আল্লাহ, সেখানে এই অবস্হা কেন? ওখানকার শিক্ষকদের চেয়ে আপনি কি নবী(স: ) সম্পর্কে বেশী জানেন?

১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৪২

ওমেরা বলেছেন: পোষ্ট লিখার সময় , পোষ্ট দেওয়ার সময় আপনার কথা আমার মাথায় ছিল আপনি যে একটার পর প্রশ্ন করবেন। সেজন্য বেশী কথা না বলে আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে দিয়েছি তবু আপনি একটার পর কথা বলেই যাচ্ছেন।
আচ্ছা এখন আপনার কাছে আমার প্রশ্ন আপনি কেন আমার পোষ্টে লাইক দিয়েছেন, এটা কি মন থেকে দিয়েছেন নাকি ভুলে ক্লিক করেছেন?

১২| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার লেখা থেকে কি প্রমাণিত হচ্ছে না, যে খৃষ্টান দেশে (সুইডেনে ) লেখাপড়া মুসলিম দেশ থেকে ভালো?

১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৪৬

ওমেরা বলেছেন: জী , অবশ্যই খৃষ্টান দেশে ভালো হচ্ছে এটা তো অস্বীকার করছি না। আর শিক্ষায় পিছিয়ে আছে বলেই সবদিকেই মুসলমান দেশ গুলো পিছনে পরে আছে ।

১৩| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৩৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহাহাহাহা আফা গো আপনার ধৈর্য্য দেইখা আমি খুশি

যে বেত্তমিজ আমরার দেশের হুরুত্তা (পোলাপান) ইতারে ছিংলা (বাঁশের কঞ্চি) দিয়া পিঠান লাগে মাঝে মাঝে। তবে মাদ্রাসার বাচ্চাটাকে যেভাবে মারছে তাকে মানুষ বলা যায় না :( খুবই খারাপ লাগলো ভিডিও টা দেখে।

১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৫৩

ওমেরা বলেছেন: হি হি হি কি করবো আপু কথায় আছে না, বোবার কোন শত্র নেই। মানুষ বাচ্চার গায়ে হাত তুলে কি ভাবে আমি তো সেটাই বুঝতে পারি না । মানুষ এত নিষ্ঠুর হয় কি ভাবে !

অনেক ধন্যবাদ আপু।

১৪| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৪৯

নতুন বলেছেন: মাদ্রাসার হুজুর মেরেছেন বলেই সেটা ইসলামে অনুমোদন আছে সেটা না । মাদ্রাসা হোক আর স্কুল সব জায়গাতেই বাচ্চাদের শিক্ষা দানের জন্য পর্যাপ্ত ট্রেনিয়ের ব্যাবস্থা থাকা দরকার শিক্ষকদের । একজন শিক্ষকের সমস্যার কারনে পুরো শিক্ষা সিস্টেম বাতিল করে দেবার ক্যানসেল ক্যালচার কারো লাভ হবার সম্ভাবনা নেই বরং তাতে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি । যে কারো মন্দ কাজের প্রতিবাদ আমাদের করা উচিত। তবে মানুষের মন্দ আচরণের প্রতিরোধ করতে হবে উৎকৃষ্ট আচরণ দিয়ে। অথচ আমরা মানুষের মন্দ আচরণে আরো নিকৃষ্টতর মন্দ আচরণ করে থাকি। এটা মোটেই কাম্য নয়।কারন মন্দ আচরন দিয়ে আপনি কখনো ভালো কিছুর প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন না। শুধু নিজের কুৎসিত চেহারাটাই প্রকাশ হয়ে যাবে সবার কাছে।

ইসলামে শিশুদের নিযাতনের নিষেধ আছে, ভালো শিক্ষার কথা আছে। কিন্তু আমাদের দেশের মাদ্রাসা, ভারত,পাকিস্তানের মাদ্রাসা ব্যবস্থায় পিটাইয়া মানুষ করা সাভাবিক বিষয়। তার মানে হইলো ইসলামের নিয়মের অনুসারন এই শিক্ষকরাই করছেনা। করছে সুইডেনের শিক্ষক।

এরা ইসলাম না জেনেও যদি ভালো করে থাকে আর ইসলাম জেনেও যদি আমাদের দেশের মোল্যারা অত্যাচার করে তবে পুরু সিসটেমে সমস্যা আছে সেটা বুঝতে হবে।

তবে মাদ্রাসার ব্যবস্থা সুইডেনের মতন করতে পারলে ভালো হতো না।

১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:০৮

ওমেরা বলেছেন: ঝজী, ইসলামে যা আছে সবই মানুষের কল্যাণের জন্য ।আমি যে দুইটা উদাহারন দিয়েছি সেই দুটোই কিন্ত স্কুলের মাদ্রাসার না ।
আর মাদ্রাসার সব শিক্ষকরাই যে পিটায় তাও কিন্ত না। দুষ্ট লোক সব জায়গাতেই আছে।
সাদা কাপড়ে ময়লা লাগলে চোখে লাগে বেশী।
শুধু মাদ্রাসায় কেন সুইডেনের নিয়ম নীতি আমাদের সরকার চালু করুক । তাহলে স্কুল বলেন মাদ্রাসা বলেন, অফিস , আদালত সব ঠিক হয়ে যাবে ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।

১৫| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, "আচ্ছা এখন আপনার কাছে আমার প্রশ্ন আপনি কেন আমার পোষ্টে লাইক দিয়েছেন, এটা কি মন থেকে দিয়েছেন নাকি ভুলে ক্লিক করেছেন? "

-আমি ভুলে দিইনি, ইচ্ছা করে দিয়েছি; আমি সাম্প্রতিক কালে ব্লগার ভুয়া মফিজ ও আপনার পোষ্টে "লাইক" দিয়েছি; আপনাকে উৎসাহিত করা উচিত।

১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৫৬

ওমেরা বলেছেন: থাক সুমিংকে —— অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৬| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:১৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: মানুষের ভাল কাজ করার ইচছা বা ক্ষমতা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে তার মাঝে ধর্মও হয়ত একটা বিষয় হতে পারে।তবে তাই একমাত্র ও চূড়ান্ত কারন নয়। ভাল কাজ করার ক্ষেত্রে ধর্ম থেকেও বেশী ভূমিকা রাখে তার পারিবারিক-সামাজিক শিক্ষা,অবস্থা-অবস্থান ও দেশের অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতি।

উন্নত রাষ্ট্রে সবগুলি সূচকেই ভাল অবস্থা-অবস্থানে থাকার দরুন তার নাগরিকরা উন্নত মানষিকতা ও মানবিকতা সম্পন্ন হয় এবং তারা সর্বদা কাঠিন্য পরিহার করে কোমলতার চর্চা করে।সেখানে সব ধর্মের মানুষেরাই মানবিক হয়।যেটা তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে অনেকটা কম কারন সে সব দেশে নানা কারনে মানুষের মাঝে মানবিক গুনগুলি বিকশিত হয়না।আর নামে মাত্র মুসলিম হলেও অভাব তথা পরিপার্শ্বিক অবস্থার কারনে তারা ধর্মের বিধি-বিধান যথাযথ ভাবে মানেনা বা যথাযথ ধর্মীয় জ্ঞানের অভাবে তারা চলার পথে অনেক ভূল বা অন্যায় করে এবং তাদের দোষ গুলি অনেকে ধর্মের দূর্বলতা হিসাবে বিবেচিত করে ।

ইসলামে আসলে কোন জোর-জবরদস্তির ই স্থান নেই। এখন কিছু মানুষের ভূল আচরনের কারনে (বিশেষ করে ধর্মগুরু / হুজুরদের কারন তাদের আসলে সমাজের মানুষের কাছে আদর্শ হবার কথা কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক ভাবে তাদের কেউ কেউ সেই অবস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ) ইসলামের দোষ হয় বা ধর্মের দোষ দেয়।

আর সবার ক্ষেত্রে ব্যক্তির দোষ ব্যক্তির বিবেচনা করা হলেও সমালোচনাকারীরা ইসলামের ক্ষেত্রে ব্যক্তির দোষ ইসলাম ধর্মের দোষ হিসাবে বিবেচনা করে বা দেখে।তবে এটা বিবেচনা করেনা যে, কোন ধর্মেই জোর-জবরদস্তি বা অন্যায় সমর্থন করেনা তা সে ইসলাম কিংবা অন্য যে কোন ধর্ম ।

আল্লাহ আমাদের সকলকে সহ্যশক্তি অর্জন করার তওফিক দান করুন এবং সব সময়, সবার সাথে সহনশীল এবং ভাল আচেরন করার তওফিক দান করুন।

১৬ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৩৯

ওমেরা বলেছেন: ভুল নেই ফেরেস্তাদের আর ভুল নেই শয়তানের । মানুষ ভুল করবেই, ভুল হবে তার জন্য সে শাস্তি পাবে । যে কোন মানুষের যে কোন সময় পদক্ষলন ঘটতে পারে, তার জন্য ইসলাম দায়ী নয় ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

১৭| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:২১

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষকে ধর্মীয় ভাবে সচেতন, ধর্মীয় শিক্ষাবিদ, চিন্তাবিদ ও ধার্মিক নেতা হবার জন্য মাদ্রাসায় পড়াশোনার মোটেই প্রয়োজন নেই। মাদ্রাসা চিরতরে বন্ধ না করলে এরা জাতির জন্য বোঝা হবে। জাতি যত তাড়াতাড়ি এখান থেকে বেড়িয়ে আসতে পারবে ততই মঙ্গল।

১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:০২

ওমেরা বলেছেন: তাহলে কোথা থেকে শিখবে এগুলো ? আপনার মত ইউকিপিডিয়া থেকে বা মখছিদুল মুমিন বই পড়ে ?

১৮| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:২২

রাজীব নুর বলেছেন: উন্নত দেশে পশুকে মারাও আইনের চোখে অপরাধ।
যে শিক্ষকের মানসিকতা পশুর মতো হিংস্র তার শিক্ষকতা পেশায় না আসাই শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের জন্য কল্যাণকর।

প্রতিটা হুজুর মার খেয়ে এবং বলৎকারের শিকার হয়ে আজ এই পর্যায়ে এসেছে, তাদের মগজে এই বিষয়গুলো সেট হয়ে গেছে। তাই তারা সুযোগ পেলেই এইগুলো ব্যবহার করে।

১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:১৫

ওমেরা বলেছেন: আপনি যা বলেছেন তাই ঠিক আপনার কাছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৯| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


ব্লগে ওয়াজ শুনতে/পড়তে ভালো লাগে না।

১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:২৪

ওমেরা বলেছেন: আপনার যা ভালো লাগে আপনি তাই পড়বেন যা ভালো লাগে না এড়িয়ে যাবেন। এই স্বাধীনতা আপনার আছে। সেই রকম আমারও স্বাধীনতা আছে আমার পছন্দমত লিখার। তবে কারো পোষ্টে এসে এধরনের মন্তব্য রেখে যাওয়া ভদ্রতা না।
ধন্যবাদ আপনাকে।

২০| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ফেবুতে আজ একটা ভিডিও দেখলাম মাদ্রাসার এক শিক্ষক এক শিশু ছাদকে নিজ হাতে খাইয়ে দিচ্ছে। শুধু মন্দ দিকটা উপস্থাপন করে যারা মাদ্রাসা শিক্ষা বন্দের ব্যাপারে সোচ্ছার বুঝতে হবে তাদের দ্বীলমে কুচ কালা হ্যায়।

১৭ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৩৩

ওমেরা বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপনি । যে কোন মানুষ ভুল করতেই পারে , তার ভুলের জন্য সে শাস্তি পাবে । তার জন্য ইসলাম বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন দায়ী হবে !
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২১| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:০৫

রেজওয়ান ইসলাম বলেছেন: শিশু নির্যাতনের পক্ষে সাফাই গাইতে মুরুব্বিরা ভাঙা রেকর্ডের মত যে কথা বলে আসছে---বিদেশের শিশুরা অনেক ভদ্র।বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা এমন বদের বদ যে এদের না পিটিয়ে মানুষ করা যায় না।

১৭ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:০৮

ওমেরা বলেছেন: কেউ যদি এটা বলে তাহলে ভুল । বাচ্চা তো বাচ্চাই দেশ আর বিদেশ । ছোট বেলাথেকেই একটা বাচ্চাকে তার লিমিট শিক্ষা দিতে হবে তানা হলে সে লিমিট ক্রস করবেই। সুইডেনে সপ্তাহে একদিন শনিবার বাচ্চাদের চকলেট দেয়া হয়। এটা বাচ্চাটা চকলেট খেতে শিখার পর থেকেই জেনেছে, এখন সে অন্যকোন দিন চকলেট চায় না, যে জানে শনিবার ছাড়া সে চকলেট পাবে না।
আর যেই বাচ্চাকে এটা শিখানো হয়নি সেতো যখন তখন চকলেটের জন্য বায়না করবেই। এখন যদি আপনি তাকে বেশী দুষ্ট বলেন তাহলে দোষটা কার ?
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২২| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:২৩

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। বিভিন্ন উন্নত দেশে থাকা বন্ধুদের কাছ থেকেও শুনেছি যে সেখানে শিশুদের কিভাবে পড়ানো হয়। মারারতো প্রশ্নই উঠে না। আর আমাদের মাদ্রাসার কথাই ধরুন। কদিন পরপর ভাইরাল হয় তাতে আগের ঘটনাগুলো ভুলে নতুনটা মনে রাখি। নির্যাতন কারে বলে, কত প্রকার তার নজির মিলে তার উপলে রয়েছে বলাৎকার। এরা কিভাবে মানুষ হয়, হবে? হচ্ছেও না।

১৭ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:১৩

ওমেরা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

২৩| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৫০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ঠিকই বলেছেন মা বাবা শিক্ষক সবাই শিশুর প্রতি সহনশীল হতে হবে

১৭ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:১৫

ওমেরা বলেছেন: জী সবাইকেই শিশুর প্রতি যত্নশীল হতে হবে, ওরাই তো ভবিষ্যত ওরা গড়ে তুলবে এক নতুন পৃথিবী।
ধন্যবাদ ও ভালো থাকবেন ।

২৪| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:০০

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। মন্তব্য গুলোতে চোখ বুলাতে।

১৭ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:২২

ওমেরা বলেছেন: ভালো কমেন্ট থেকে অনেক কিছু শিখার আছে।

২৫| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৫৯

নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ দিতে চাইঃ
১। অসীম ধৈর্য্যের জন্য
২। পোস্টের থীমের জন্য
৩। ইসলামের সত্য এবং সৌন্দর্য্য তুলে ধরার জন্য।
যে অসীম ধৈর্য নিয়ে প্রতি মন্তব্যগুলি দিয়েছেন তার জন্য আল্লাহ আপনাকে পুরষ্কার দান করুন, আমীন। এদ্র মূল উদ্দেশ্য ছিল পোস্ট নষ্ট করা যেটা আপনার ধৈর্য্যের জন্য পারেনি।

মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধ করার পায়তারা একটা সুগভীর ষড়যন্ত্র। কারণ এরা জানে যতদিন আল্লাহর কালাম হাফিজদের কলবে থাকবে ততদিন ইসলাম নিশ্চিহ্ন করা যাবে না। এই ইলম তো আর সাধারণ শিক্ষায় দিতে পারবে না। সুতরাং মাদ্রাসা শিক্ষা যেভাবেই হোক বন্ধ করতে হবে।

ভেবে দেখুনঃ দিহান আনুশকার ঘটনায় কি একবারের জন্যও এরা কি ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ করার দাবী করেছে? এর পরের আরো কয়েকটা ঘটনায়? কেন করেনি?

শুভ রাত্রী।





১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:০২

ওমেরা বলেছেন: আপনার ধন্যবাদ আনন্দে গ্রহন করলাম।
আপনার কথাই হয়তো ঠিক । না হলে এক ব্যাক্তির অন্যায়ের জন্য তারা কেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবী করবে। যেখানে হাজার লোক জব করছে হাজার হাজার ছেলে মেয়ে পড়াশুনা করছে । বরং শিক্ষা ব্যাবস্থা পরিবর্তনের কথা বলতে পারে , যেটা আমাদের দেশের জন্য জরুরী আর সেটা শুধু মাদ্রাসা না স্কুলেও শিক্ষা ব্যাবস্থা পরিবর্তন দরকার । শিক্ষকদের বিভিন্ন ট্রেনিংয় ব্যাবস্থা নেয়া দরকার সেগুলো বলতে যেগুলো প্রয়োজন সেসব না বলে —— মাদ্রাসা বন্ধ করে দাও ।তাহলেই নাকি দেশ উন্নত হয়ে যাবে ।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।


২৬| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৪:০৩

সোহানী বলেছেন: সম্প্রতি এ ঘটনা যে তোমার মনে প্রভাব ফেলেছে তা বোঝা যাচ্ছে।

আমি বরাবরেই শিশুদেরকে নিয়ে লিখতে ভালোবাসি। কারন একটি জাতির উন্নয়ন তখনই সম্ভব যখন শিশুদের সঠিক শিক্ষা দেয়া হবে। আর তাই তুমি সুইডেন থেকে এটা দেখছো। আর দেশের সাথে তুলনা করে হতাশ হচ্ছো।

আসলে মাথা ব্যাথা হলে মাথা কেটে ফেলার পক্ষে আমি না তবে মনে করি পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাই আধুনিকায়ন করতে হবে। আর মাদ্রাসা এর ব্যাতিক্রম নয় কিছুতেই। তবে মাদ্রাসার শুধু শিক্ষা ব্যবস্থাই নয় সেখানকার শিক্ষকদেরকেও আধুনিক করতে হবে। তুমি নিশ্চয় জানো সুইডেন কানাডা আমেরিকা সবখানেই মিশনারী স্কুল আছে। সে স্কুলগুলো পেইড স্কুল। এবং সেখানকার শিক্ষা ব্যবস্থা সাধারন স্কুল থেকেও অনেক ভালো। আমার অনেক পরিচিত মুসলিম বা অন্য ধর্ম থেকেও সে স্কুলগুলোতে পড়ে। তারমানে এই নয় যে সেখানে পড়লেই তোমাকে খ্রীস্টান হয়ে যেতে হবে। সেখানে ওরা প্রতিদিন একবার প্রার্থনা করায়। তুমি অন্য ধর্মের হলে তাতে অংশগ্রহন না করলেই হলো। শেষ........ তোমাকে কেউ জোর করবে না।

সেরকমভাবে আমাদের মাদ্রাসাগুলোকে আধুনিকায়ন করতে হবে। শুধু কোরআন মুখস্থ করে বেহেস্তের দরজা খুজঁলেতো সমস্যা। জীবনে শুধু বেহেস্তে যাওয়া ছাড়াও আরো অনেক কাজ আছে সেটাতো জানাতে হবে শিশুদের!

আর যে শিক্ষক এরকম একটি কোমল শিশুর গায়ে হাত তুলতে পারে সেটা ওই লোকের মানসিক সমস্যা। কিন্তু পরিতাপের বিষয় দেশের একটা বড় অংশই এরকম মানসিকতার লোক। সবকিছুর আগে মানবিক হতে হবে তবে সম্ভব হবে অনেক জটিল সমস্যার সমাধান।

আর আকাশ ভাইকে বলছি, দিহান আনুশকা এ ঘটনার জন্য কি কোন ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষক দায়ী??? না এককভাবে দায়ী করবো না ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষাকে। দায়ী আমাদের এ পরিবর্তিত সমাজ। অথচ মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতিটি ঘটনার সাথেই কোন না কোন ভাবে শিক্ষকরা জড়িত। তাই নয় কি!!!!!!

ভালো থাকো।

১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৩৬

ওমেরা বলেছেন: আপু আপনার মন্তবাটাই আমার পোষ্ট ।
আসলে মাথা ব্যাথা হলে মাথা কেটে ফেলার পক্ষে আমি না তবে মনে করি পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাই আধুনিকায়ন করতে হবে। আর মাদ্রাসা এর ব্যাতিক্রম নয় কিছুতেই। তবে মাদ্রাসার শুধু শিক্ষা ব্যবস্থাই নয় সেখানকার শিক্ষকদেরকেও আধুনিক করতে হবে।
অথচ এটা না বলে বলছে মাদ্রাসা বন্ধ করে দিতে হবে।
খুব সুন্দর আর ভালোও লাগলো আপু । অনেক ধন্যবাদ আর অনেক শুভ কামনা আপু।

২৭| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৫:০৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জাহিদ হাসান বলেছেন: - আপনি দুর্গন্ধযুক্ত আবর্জনায় পারফিউম ছিটাচ্ছেন।

এদের কে বুঝিয়ে লাভ হবে না।
প্রকৃত আরব আদী ইসলামে স্কুল মাদ্রাসা সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হারাম, শিক্ষাগ্রহনই হারাম।
তারা মনে করে যেহেতু রসুল যুগে ইসলাম আবির্ভাব ও ইসলাম পরবর্তি হাজার বছরে আরব ও অধিকৃত অঞ্চলে কোন বিদ্যাপিঠ বা বিদ্যালয় ছিল না, তাই যে কোন বিদ্যালয় বা মাদ্রাসা হারাম।

মাদ্রাসা ব্যাবস্থা মুলত উপমহাদেশ ভিত্তিক। (ভারত পাকিস্তান বাংলাদেশ আর পুর্ব আফগান)
মোগল আমলে পার্শিরা পার্শি ভাষায় পরে উর্দু ভাষায় মাদ্রাসা ব্যাবস্থা চালু করে, উপমহাদেশের বাইরে কোথাও মাদ্রাসা ভিত্তিক মাদ্রাসা ব্যাবস্থা নেই। (বর্তমানে অবস্য অন্যান্ন দেশে ভারত-পাকিস্তানের কিছু লোক নিউইওর্ক লন্ডনে মাদ্রাসার মত কিছু তৈরি করছে, আফ্রিকার দুএকটি উন্নত দেশেও হয়েছে সেটা ব্যাতিক্রম)

প্রকৃত আরব মুসলিমরা (সালাফি-ওহাবি ইত্যাদি) এখনো শিক্ষাগ্রহনকে হারাম মনে করে।
মধ্যপ্রাচ্যের আলকায়দা, আইসিস, তালেবান। পুর্ব আফ্রিকার আল সাবাব ও মধ্য আফ্রিকার বোকোহারাম। এইসব আরব এলিমেন্টরা কট্টরপন্থি ইসলাম সবদেশে চালু করার ব্যাবস্থা করে যাচ্ছে।

এরা মনেকরে সুধু নারী শিক্ষা না, যে কোন শিক্ষাই হারাম।
এদের কাছে বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, স্কুল কলেজ সবই হারাম।
শিল্প, সাহিত্য, কবিতা ছড়া, সঙ্গিত, চারুকলা টিভি মুভি, কোন প্রানীর ছবি আঁকা, ছবিতোলা, ভাষ্কর্য তৈরি করা, ফটোগ্রাফি সহ সকল শিক্ষা-সংস্কৃতি হারাম। বোকোহারাম শব্দের অর্থই 'শিক্ষা হারাম'।
পাকিস্তানি তালেবানরা অবস্য একটু উদার, শুধু নারী শিক্ষা হারাম, বালক মাদ্রাসা চলতে পারে।
বাংলাদেশের কট্টরপন্থিরা অবস্য আরেকটু উদার, নারী শিক্ষা ৫ম শ্রেনি পর্যন্ত এলাও।
তবে দেশে কোনদিন কট্টরপন্থি আদি আরব ইসলাম চালু হলে এদের উদারতাও বিলুপ্ত হবে। মাদ্রাসা-স্কুল সবই বিলুপ্ত হবে।

১৯ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৩১

ওমেরা বলেছেন: আমরা না হয় কমই বুঝি বা বোকা আপনারা তো বুদ্ধিমান তাহলে দুর্গন্ধযুক্ত এলাকায় এরিয়ে গেলেই তো হয় !!
ধন্যবাদ ।

২৮| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৮:২১

মলাসইলমুইনা বলেছেন: প্রিয় ওমেরা,
চমৎকার লেখা হয়েছে । আসলে মাদ্রাসার কোনো হুজুর শিশু নির্যাতন করেছে তার জন্য ইসলাম আর ইসলামী শিক্ষার ওপর হামলা চালানোটা আসলে মাথা ব্যাথার জন্য মাথা কেটে ফেলবার মতো । সেটাই জোরেসোড়ে কিছু ব্লগার বলছেন দেখে অবাক হলাম । এখানে মূল ইস্যুটা হলো শিক্ষার পদ্ধতিটা নিয়ে । মাদ্রাসার কারিকুলামের ইস্যুটা খুবই ভিন্ন একটা আলোচনার বিষয় হতেই পারে। ইসলামিক শিক্ষা প্রয়োজনীয় কিনা সেটা ভিন্ন আলোচনা যদিও সেই আলোচনা আমার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হয় অনেক কারণেই । কিছু ব্লগারের মন্তব্য থেকে আমি খুবই কনফিউজড ।বাচ্চাদের পড়াশোনা শেখাতে যেয়ে স্কুল বা মাদ্রাসার শিক্ষকদের পদ্ধতিগত ত্রুটি নিয়েই আপনি বলেছেন আর কেমন করে বাচ্চাদের নির্যাতনের বিরুদ্ধেই আপনি বলেছেন সেভাবেই আমি আপনার লেখাটা পড়েছি । আমি ঠিক বুঝতে পারছি না যারা আমাদের শিক্ষার পদ্ধতিগত ত্রুটির এই মূল ইস্যুটা এড়িয়ে ইসলামিক শিক্ষার বিরুদ্ধে বলছেন তারা কোন ধরণের শিক্ষা ব্যবস্থার অধীনে পড়াশোনা করেছেন । আমাদের স্কুল সিস্টেমেও বাচ্চাদের (১ম -১০ম শ্রেণী) ওপর অত্যাচার করা হয়। অনেক কঠিন অত্যাচারই করা হয়। তাহলে তারা কি অদূর ভবিষ্যতে দেশের পাবলিক স্কুল সিস্টেম বন্ধ করে দেবার কথা বলবেন নাকি সেই শংকায় আছি তাদের কথাবার্তা শুনে। আমার বাসা থেকে একঘন্টার ড্রাইভ হলো আমেরিকার বিখ্যাত ক্যাথলিক একাডেমিক ইনস্টিটিউশন --ইউনিভার্সিটি অফ নটরডেম । আমাদের কিছু ব্লগার মনে হয় এটাও বন্ধ করে দিতে চাইবেন। কিন্তু ঝামেলাটা হলো এটা ক্যাথলিক ইনস্টিটিউশন হলেও সারা বিশ্বেরই একটা টপ টায়ার ইউনিভার্সিটি !! কিছু ব্লগার তাদের নিজস্ব মন্তব্য দিয়েছেন ইসলামী শিক্ষার বিরুদ্ধে কোনো ব্যাকআপ না করেই। সেজন্য তাদের মন্তব্যগুলো যৌক্তিক আর ইম্পসিয়ালইমপার্শিয়াল হয়ে ওঠেনি। আর কিছু ব্লগারের কমেন্ট দেখে তাদের ভদ্রতাবোধ নিয়েই প্রশ্ন জাগলো । সোহানীর মন্তব্যটা চমৎকার ।আপনার পোস্টের মূল বক্তব্যের একটা নাইস কমপ্লিমেন্ট হয়েছে। নীল আকাশ আপনাকে যে কারণে ধন্যবাদ দিয়েছেন সেই ধন্যবাদগুলো আমিও দিলাম । ভালো লেখার আরেকটা ধন্যবাদ নিন।

১৮ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৫

ওমেরা বলেছেন: ভাপু আমরা তো বোক! আর বুদ্ধিমানেরা যদি মাথা ব্যাথার জন্য মাথাই কেটে ফেলতে চায় কি আর করা যাবে।
ওরা এতজ্ঞানি কিন্ত এটা বুঝে না ইসলাম মানে কোন দেশ কি বল্ল, আর কি ভাবে পালন করলো আর মানলো সেটা কোন বিষয় না। আমরা ইসলাম পালন করবো আল্লাহর কোরআন আর রাসুলের সুন্নাহ দেখে।
ইসলামে শিক্ষাকে কত উৎসাহিত করা হয়ে হয়েছে, আল্লাহর প্রথম বানী ই ছিল পড় ।
যদি তোমরা না জানো, তবে জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস করে জেনে নাও।’ -সূরা আন নহল : আয়াত ৪৩।
যারা জানে আর যারা জানে না তারা উভয় কি সমান হতে পারে?’ -সূরা জুমার : আয়াত ৯।
জ্ঞান অর্জনের ব্যাপারে তাগিদ দিয়ে এরকম আরো কোরআনের আয়াত আছে ।রাসুল সাল্লালাহুআলাইহি ওয়াসালাম এর অনেক সহীহ হাদীস আছে যারা এগুলো না পড়ে কোন দেশ কি করলো, কে কি বল্ল এসব নিয়ে ভাবে আসল সমস্যার সামাধান না খুঁজে মাথা কেটেই সমাধান চাইবে এতে অবাক হবার কিছু নেই ভাপু ।
জী ভাপু আপনি ঠিক বলেছেন,
“বাচ্চাদের পড়াশোনা শেখাতে যেয়ে স্কুল বা মাদ্রাসার শিক্ষকদের পদ্ধতিগত ত্রুটি নিয়েই আপনি বলেছেন আর কেমন করে বাচ্চাদের নির্যাতনের বিরুদ্ধেই আপনি বলেছেন”।
আমার লিখার মূল পয়েন্ট এটাই কিন্ত কিছু মানুষের ইসলাম ফোবিয়া আছে । ইসলামের কিছু দেখলেই এদের গায়ে এলার্জি শুরু হয়।
আর বেশী কিছু বলছি না ভাপু ।
অনেক ভালো থাকবেন ভাপু সাথে অনেক গুলো ধন্যবাদ আপনার জন্য ভাপু।

২৯| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:১১

নতুন নকিব বলেছেন:



পোস্ট ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ। +

মাথা ব্যথা হলে যারা মাথা কেটে ফেলার পরামর্শ দেন, তারা হয়তো মানসিক বিকারগ্রস্ত অথবা, বিশেষ কোনো বিষয়ে সবিশেষ বিদ্বেষ পরায়ন। সঙ্গত কারণে তাদের কথায় বিরক্ত হবার কিছু নেই। হতাশ হবারও কারণ নেই। সমস্যার সমাধানে প্রথমতঃ সরকারি পর্যায়ে যুক্তিসিদ্ধ এবং কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন। প্রয়োজন জনগণেরও জেগে ওঠা। মোটকথা, সার্বজনিন সচেতনতা গড়ে তোলার মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। আমাদের কিছু লোক তো মা-শাআল্লাহ এমন রয়েছেন, যারা ইসলাম ধর্মকেই সহ্য করতে পারেন না। সাম্প্রতিক মাদরাসায় ছাত্র নির্যাতনের ঘটনা তাদের হালে পানি ঢেলেছে। তারা তিলকে তাল বানিয়ে ইসলাম ধর্মের শিক্ষা, আদর্শ এবং নীতি নৈতিকতাসহ সবকিছুকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়ার মোক্ষম হাতিয়ার পেয়ে গেছেন বলে মনে করছেন হয়তো। তবে, তাদের উদ্দেশ্য যা-ই হোক, আমরা চাই- মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় আধুনিকতা আসুক, ইসলাম ধর্মের প্রকৃত আদর্শের প্রয়োগে মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কার আসুক। এটা করা গেলে মাদরাসা শিক্ষায় প্রচলিত যেসব ত্রুটি এবং সমস্যা রয়েছে- তা দূর করা সম্ভব হবে বলে আশা করি।

এই বিষয়ে আমার সাম্প্রতিক একটি পোস্ট ছিল। দেখেছেন কি না, জানি না। লিঙ্কটা যুক্ত করে দিচ্ছি-

ব্লগে ৬০০ তম পোস্টঃ ইসলামে শিশু নির্যাতনের স্থান নেই

শুভকামনাসহ।

১৮ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০

ওমেরা বলেছেন: সাম্প্রতিক মাদরাসায় ছাত্র নির্যাতনের ঘটনা তাদের হালে পানি ঢেলেছে। তারা তিলকে তাল বানিয়ে ইসলাম ধর্মের শিক্ষা, আদর্শ এবং নীতি নৈতিকতাসহ সবকিছুকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়ার মোক্ষম হাতিয়ার পেয়ে গেছেন বলে মনে করছেন হয়তো। তবে, তাদের উদ্দেশ্য যা-ই হোক, আমরা চাই- মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় আধুনিকতা আসুক, ইসলাম ধর্মের প্রকৃত আদর্শের প্রয়োগে মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কার আসুক। এটা করা গেলে মাদরাসা শিক্ষায় প্রচলিত যেসব ত্রুটি এবং সমস্যা রয়েছে- তা দূর করা সম্ভব হবে বলে আশা করি।
আপনার কথার সাথে সহমত। অনেক ধন্যবাদ।

৩০| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: তাহলে কোথা থেকে শিখবে এগুলো ? আপনার মত ইউকিপিডিয়া থেকে বা মখছিদুল মুমিন বই পড়ে ?

আপনি কোথা থেকে শিখেছেন? মাদ্রাসা থেকে?

১৮ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৫

ওমেরা বলেছেন: আপনি কোথা থেকে শিখেছেন? মাদ্রাসা থেকে?
আগেই বলে নেই ইসলাম সম্পর্কে আমি খুব অল্পই জানি। আপনার মত কোরআনের কোন সুরা নিয়ে লিখার মত জ্ঞান আমি অর্জন করতে পারিনি। তবু বলছি,

আমি কোরআন তেলাওয়াত করতে শিখেছি একজন হুজুরের কাছে যে মাদ্রাসাতে পড়েছেন।
আর ইসলাম ছোট বেলায় কিছু শিখেছি আমার আব্বুর কাছে , আর আমার আব্বুও একজন মৌলানা ( মাদ্রাসা থেকে উনি কামিল পাশ করার পর ইংরেজী লিটারেচার নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে , অনার্স , মাষ্টার্স করেন ) আর উনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজীর শিক্ষক ছিলেন।
এখনো শিখছি, কিছু বই পড়ে আবার ইসলামী স্কলারদের আলোচনা শুনে বই লেখক বা ইসলামী স্কলারাও কিন্ত ঐ মাদ্রাসা থেকে পড়াশোনা করেছেন ।
এখন উনারা যদি মাদ্রাসায় পরাশুনা না করতেন আমি যে সামান্যটুকু জেনেছি এটুকু জানতে পারতাম না । আর আপনি যে কোরআনের সূরা তাফসির পোষ্ট দেন সেটাও দিতে পারতেন না।

এখন বিজ্ঞানের কল্যানে দুনিয়া অনেক অগ্রসর হয়েছে , মানুষের জানার,বুঝার,শিখার ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে । কাজেই মাদ্রাসা বন্ধ নয় , মাদ্রাসা শিক্ষাকাকে আধুনিকায়ন করতে হবে ।
তাহলে আপনিও তাদের কল্যানে আরো সুন্দর সুন্দর পোষ্ট দিতে পারবেন ।

৩১| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি যা বলেছেন তাই ঠিক আপনার কাছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

আমি যা বলি, শুধু নিজের কথা বলি না। হাজার মানুষের কথা আমি বলি।

১৯ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৩৫

ওমেরা বলেছেন: তাহলে তো আপনি জননেতা —— কাল্পনিক ভালোবাসা ভাইয়া তো তাহলে আপনার উপযোক্ত নাম ই দিয়েছেন ।

৩২| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৫৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: আজকের যুগে ব্যক্তিগতভাবে মদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আমার অবস্থান। ধর্ম আমার একান্তই ব্যাক্তিগত বিশ্বাস। তার সাথে শিক্ষাকে জুড়ে দেয়ার কোন প্রয়োজন নাই। মাদ্রাসায় ভর্তির সিদ্ধান্ত কোন শিশুর নিয়, শিশুর অভিভাবকের। তাই এটা এক প্রকার শিশুর ওপড় জোড়পুর্বক চাপিয়ে দেয়া শিক্ষাব্যবস্থা।

তবে আমাদের দেশে বাস্তবতা ভিন্ন যেটা অস্বীকার করার কোন উপায় নাই। মাদ্রাসাগুলো বিনা পয়সায় থাকা খাওয়ার সুযোগ করে দেয় বলে দরিদ্র পিতামাতারা সন্তানকে মাদ্রসায় পাঠায়। আর আপনার পোস্টের যৌক্তিকতা সেখানেই। যেহেতু ধর্মিয় আলোকেই মাদ্রাসা , তাই নবীজির আদর্শ এবং দিক নির্দেশনা কঠোরভাবে পালন করার ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন মাদ্রাসাগুলোতে।

ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টের জন্য এবং অসীম ধৈর্যের সাথে বিরক্তিকর কমেন্টের উত্তর প্রদানের জন্য।

২১ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:০৫

ওমেরা বলেছেন: আমরা আলাদা মানুষ আমাদের সত্ত্বা আলাদা , আমাদের চিন্তা ধারাও আলাদা ।
কাজেই আমার মতের সাথে আপনার মতের মিল না হতেই পারে তাই বলে আপনার মতকে অসম্মান করবো কেন!!
আপনার কমেন্ট মতের ভিন্নতা থাকার পরও পারস্পরিক সম্মানের কথাই মনে হল। তার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ।
শুধু মাদ্রাসা নয় আমাদের স্কুল শিক্ষা ব্যাপস্থার পরিবর্তন দরকার ।
ভালো থাকুন ।

৩৩| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৩৬

কাছের-মানুষ বলেছেন: মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যাবস্থা ব্যাপক আধুনিকারয়ন করতে হবে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে! বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা সত্যিই করুক লাগে আমার কাছে! আমি আমার জীবনে এমন কোন মাদ্রাসা ছাত্রকে দেখি নাই যে পড়ার থেকে বাচার জন্য পালিয়ে আসে না বাসায়, আমার নিজস্ব অনেক আত্নীয় আছে যারা মাদ্রাসায় লেখপড়া শিখেছে, বাবা মা জর করে দিয়েছে মাদ্রসায়, কেউ পালিয়ে আসছে, কেউবা পালিয়ে এসেও আবার বাবা মার চাপে টিকে গেছে! আমি ধর্মিয় শিক্ষার বিরুদ্ধে নই তবে সত্যিই একে আধুনিকায়ন করতে হবে।

২১ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:২৭

ওমেরা বলেছেন: জী আপনার কথা ঠিক আমিও এরকম শুনেছি। তবে আমাকে যখন চার বছর বয়সে একটা কিন্ডার গার্ডেনে ভর্তি করা হয়েছিল, প্রথম কয়েকদিন আমিও খুব কান্নাকাটি করে যাইনি পরে কান্না করেও যখন কাজ হয়নি তখন আনন্দের সাথেই যেতাম ।
শুধু মাদ্রাসা নয় স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করা উচিত যাতে বাচ্চারা আনন্দের সাথে শিখতে পারে। আমাদের দেশের মানুষ সেই হিসাবে শিশুরা অনেক মেধাবী কিন্ত তারা সুযোগ পেলে অনেক ভালো করবে আমার ধারনা, আমি সুইডেনে বাংলাদেশী বাচ্চাদের দেখে এটা বল্লাম ।
অনেক ধন্যবাদ ও ভালো থাকুন সব সময় এই কামনা রইলো।

৩৪| ১৮ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:১৬

করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ ওমেরা!

আমি মাদ্রাসা বন্ধের পক্ষে না, কিন্তু এটা লক্ষ্য করেছি যে মাদ্রাসার শিক্ষকেরা অধিকাংশ স্যাডিস্ট হয়, ছাত্রদের শাস্তি দিয়ে এরা আনন্দ পান। এটা সাধারণ শিক্ষার শিক্ষকদের মধ্যেও দেখা যায়। মাদ্রাসা শিক্ষকেরা অন্য শিক্ষকদের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে অনেক কম রোজগার করেন, অবহেলিত হন, তাই হয়তো তারা বিক্ষুব্ধ থাকেন। এর জন্য দরকার এখন এদের জীবনযাপন উন্নয়ন করা, মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করা, মাদ্রাসা বন্ধ করা নয়।

২২ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:০৭

ওমেরা বলেছেন: জী আপু আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত । অনেক ভালো থাকবেন আপু।

৩৫| ১৮ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৯

কল্পদ্রুম বলেছেন: শিক্ষক নিয়োগের সময় কর্তৃপক্ষকে সচেতন হতে হবে।স্কুলগুলোতে বেত মারামারির রেওয়াজ অনেকটাই কমে এসেছে।সমস্যা হচ্ছে মাদ্রাসাগুলোর পরিচালকরা এই ইস্যুটার গুরুত্ব ঠিক বুঝেন না বলে মনে হয়।বুঝলেও এটার সমাধান নিয়ে কাজ করতে চান না।

২২ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:১২

ওমেরা বলেছেন: জী স্কুলগুলোতে অনেকটাই কমে এসেছে । মাদ্রাসায় পড়ে যারা তারাও অবহেলিত আবার শিক্ষকরাও অবহেলিত । শিক্ষা ছাড়া উন্নতি সম্ভব নয় তাই সরকারের উচিত শিক্ষার প্রতি নজর দেয়া স্কুল আর মাদ্রাসা কোন ব্যাপার না ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৩৬| ১৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: সাহস করে বেশ গুরুত্বপূর্ণ "কিছু কথা" বলেছেন, সেজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মাথা ব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলার কোন প্রয়োজন নেই। মিশনারী স্কুল, কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশেও আছে। প্রয়োজন শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং যুগোপযোগী সিলেবাস প্রণয়ন। আর মাদ্রাসা থেকে শারীরিক শাস্তিব্যবস্থা চিরতরে বিলোপ করতে হবে।
"সাদা কাপড়ে ময়লা লাগলে চোখে লাগে বেশী" - কথাটা ঠিক বলেছেন। এজন্য এসব ময়লা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনাও হয় বেশি।

২২ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:২২

ওমেরা বলেছেন: আমিও শুধু এই কথাটাই বলতে চেয়েছি , আমাদের দেশের শুধু মাদ্রাসা নয় স্কুল সিষ্টেম ও আরো আধুনিকায়ন করা উচিত আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা উচিত । বাচ্চাদের শাস্তি দিয়ে পড়াতে হবে কেন, বাচ্চারা পড়বে তো আনন্দের সাথে ।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

৩৭| ২১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:১০

ডাব্বা বলেছেন: সোহানীর মন্তব্যের সাথে আমিও খুবই একমত। খোল নলচে বদলে না ফেলতে পারলে এসব থেকে মুক্তি নেই। অবশ্য পুরোপুরি মুক্তি কোনও দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাতেই নেই।

২৩ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৯

ওমেরা বলেছেন: আমার পোষ্টের মূল কথাটাই সোহানী আপু বলেছে । অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.