![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শালীনতাই সৌন্দর্য্য
১।
মোবাইলের রিংটোনে ঘুম ভেঙে যায় অনুর। চোখ মেলে দেয়াল ঘড়িতে দেখে রাত দুইটা বাজে। এতরাতে কে ফোন করেছে! অনিচ্ছা সত্ত্বেও ফোনটা রিসিপ করে ঘুম জড়ানো কন্ঠে “হ্যালো” বলে অনু।
-“কেমন আছো সোনা মা”? ওপাশ থেকে অনুর মা বলে।
- “ মা আমরা ভালো আছি।তোমরা কেমন আছো মা? আমাদের তো এখন অনেক রাত,এত রাতে ফোন করেছ কেন মা “? অনু বলে।
- “ আহারে - সোনা ভুলে যাই,তুমি প্রতি শনিবার ফোন করো, গতকাল সারাদিন আমি তোমার ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম তুমি ফোন করনি, সারারাত আমার দু:চিন্তায় ভালো ঘুম হয়নি, তাই ফজরের নামাজ পরেই তোমার আব্বুকে বল্লাম তোমাকে একটা ফোন দিতে’ অনুর মা বলে।
- “ মা আমরা ভালো আছি ,গতকালকে বাসায় কিছু মেহমান দাওয়াত করেছিলাম সারাদিন রান্না,বান্না নিয়ে ব্যাস্ত ছিলাম, সবাইকে বিদায় করে সব কিছু গোছগাছ করতে করতে রাত এগারোটা বেজে গেল, তাই ফোন করা হয়নি” অনু বলে।
-“সোনা মা তোমরা দেশে আসবে কবে? প্রায় তো দুই বছর হয়ে গেল, মনে হয় কত যুগ তোমাকে দেখিনা , তোমার মুখটা দেখার জন্য আমার মনটা খুব পুরছে সোনা” অনুর মা বলে।
- “ মা, আসবো কিন্ত এত ঢাকা - সিলেট না, ইচ্ছা হল আর চলে আসলাম।”অনু বলে।
-“ তাতো জানি সোনা মা, কিন্ত মনতো বুঝে না রে মা”। অনুর মা আরো কিছু বলতে চায় অনু তার আগেই বলে,
- “ এখন রাখি মা, তোমাকে পরে ফোন করবো, আমি আর একটু ঘুমাবো “অনু বলে।
- “ আচ্ছা ঘুমাও সোনা।তুমি যখন ফ্রী থাকো তখন ফোন করো মা,” অনুর মা বলে।
অনু ফোন রেখে ঘুমিয়ে যায়। ঘুমের মাঝেই হঠাৎ অনুর বুকের ভিতর খুব অস্থিরতা করে অনুর ঘুম ভেংগে যায় ও ধর মর বিছানায় উঠে বসে, নিজের বুকে হাতদিয়ে মনে মনে বলে আমার এমন লাগছে কেন! ল্যান্ড ফোন বেজে উঠে অনু কাঁপা হাতে ফোন তুলে হ্যালো বলে ,
- “ হ্যালো” মা অনু আমি তোমার মামা বলছি, কাঁপা কাঁপা গলায় ওপাশ থেকে অনুর মামা বলে।
অনু শুনতে পায় ওপাশে অনেক মানুষের গ্যান্জাম ও কান্নার আওয়াজ,
- “হ্যা মামা, কি হয়েছে বল ”?অনু অস্থির হয়ে বলে।
- “ মা তোমাকে কেমন করে বলি, আবার না বলেও তো পারছি না, এই কিছুক্ষন আগে তোমার মা মারা গিয়েছে” বলে অনুর মামা কান্না করে বলে”
- “ অনু চিৎকার করে বলে কি”———- অনুর হাত থেকে ফোনটা ছিঁটকে পরে নিচে।
২
মুরাদ রেষ্টোরেন্টে তান্দুরী বানানোর কাজ করে। লাঞ্চ আওয়ারে খুবই ব্যাস্ত থাকে সে । তার প্যান্টের পকেটে সেলফোন ক্রমাগত স্পন্দিত হচ্ছে । কিন্তু রিসিপ করার মত সময় এখন তার নেই। সিগারেটের তেষ্টায় সেই কখন থেকে মনটা আনচান আনচান করছে, তাই বের হতে পারছে না। তান্দুরী চুলার গনগনে আগুনে সে ঘেমে নেয়ে একাকার খুব অস্থিরও লাগছে।
কিছুক্ষন পর একটু শান্ত হলে সে রেষ্টোরেন্ট থেকে বের হয়ে পাশের রাস্তায় দাড়িয়ে সিগারেট ধরায়, তার ফোন আবার আন্দোলিত হয় মুরাদ মোবাইল হাতে নিয়ে স্ক্রীনে তাকিয়ে আপু নামের ঝলকানি দেখে তাড়াতাড়ি কল রিসিভ করে ” আপু আসসালামু আলাইকুম,” বলে।
- “ওয়া আলাইকুম আসসালাম , কেমন আছো ভাই”।সেই কতক্ষন ধরে কল করছি তুই ফোন ধরছিস না। মুরাদের বোন হালিমা বলে।
- “ আমি ভালো আছি আপু, আমি কাজে ব্যাস্ত ছিলাম তাই ধরতে পারিনি,”মুরাদ বলে।
- “ সে যাই হোক যেজন্য ফোন করেছি সেটা বলি, তানিয়া তোর একমাত্র ভাগ্নির বিয়ে ঠিক হয়েছে আগামী মাসেই বিয়ে। অনেক অনেক খরচের ব্যাপার , তোর দুলাভাই বলেছে তোকে পাঁচ লাখ টাকা দিতে । একমাত্র ভাগ্নির বিয়ে, বিদেশী মামার কাছে পাঁচলাখ টাকা তো দিবেই আমার শশুর বাড়ির লোকজন সবাই বলে, তোর দুলাভাই এর ভাইবোনেরা সবাই টাকা দিবে,”হালিমা বলে।
- “ আপু এই মূহুর্তে এতগুলো টাকা দিব কেমন করে? গত মাসে ছালিমাকে (ছোট বোন) ফ্লাট কেনার জন্য তিনলাখ টাকা দিলাম। আবার এখনই আমি এতগুলো টাকা কি ভাবে দিব”!
- “ পাঁচ লাখ টাকা তো তোর ওখানকার টাকায় খুববেশী না। তুই টাকাটা না দিলে আমি শশুর বাড়ির লোকজনের কাছে খুব ছোট হয়ে যাবো,” ভাই তুই কোন ভাবে ম্যানেজ কর,” হালিমা বলে।
-“ আপু তোমরা তো দিন তারিখ ঠিক করার আগে আমার সাথে কথা বলতে পারতে, আর কয়েক মাস অপেক্ষা করলে আমিও আসতে পারতাম, একমাত্র ভাগ্নির বিয়েতে আমারও তো থাকতে মন চায়” মুরাদ বলে।
- তোকে আসতে বলছি না, তুই আসতে গেলে তো এক দেড় লাখ টাকা প্লেনের টিকিটেই চলে যাবে। তাছাড়া মেহেদী সন্ধ্যা,হলুদ সন্ধ্যা বিয়ের অনুষ্ঠান সবই ফেসবুকে লাইভ দেখানো হবে, তুই ওখান থেকে সবই দেখতে পাবি”। ভাই আমার অনেক কাজ এখন রাখি তুই টাকাটা তাড়াতাড়ি পাঠাস কিন্ত,” হালিমা এক নিঃস্বাসে কথাগুলো বলে লাইন কেটে দেয়।
বোনের কথা শুনে মুরাদ হাসবে বা কাঁদবে ভেবে পায়না শুধু খোলা আকাশের দিকে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বলে, পৃথিবীতে টাকাই কি সব!
০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৩০
ওমেরা বলেছেন: বিজ্ঞান আমাদের জীবনকে অনেক অনেক সহজ করে দিচ্ছে কিন্ত মানুষের জীবন থেকে ,দয়া,মায়া,ভালোবাসাগুলো কেমন যেন মলিন হয়ে যাচ্ছে , জীবন যান্ত্রিক আর কৃত্রিমতায় ডুবে যাচ্ছে। প্রথম ও সুন্দর কমেন্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:১৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: প্রথমটা পড়ে আর দ্বিতীয়টা পড়তে ইচ্ছে করলো না।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৩২
ওমেরা বলেছেন: কেন গল্প ভালো লাগেনি? নাকি কষ্ট পাইছেন?
একটা তো পড়েছেন তার জন্য ধন্যবাদ ।
৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:২৭
শোভন শামস বলেছেন: প্রবাস জীবনের বহমান যাপিত জীবন
দু প্রান্তের মানুষের স্বপ্ন আর চাওয়া এক না
কেউ কাউকে অনেক সময় বুঝতে পারে না
মানুষ অনেক সময় স্বার্থপরের মত আচরন করে
এই তো জীবন
এর জন্য কত খাণ্ডবদাহন
০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৪৮
ওমেরা বলেছেন: কেউ কাউকে বুঝতে চায় না, বাস্তবতা মানুষকে স্বার্থপর করে দিয়েছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকবেন কামনা করি।
৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৪১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ওমেরা আপু চমৎকার দুটি গল্প পড়ার সুযোগ করে
দেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। লকডাউনে হাতে
কোন কাজকর্ম নাই তাই গল্প পড়তে মজা পাই।
আপনার প্রবাস জীবন সুখে কাটুক সেই প্রত্যাশায়।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫৫
ওমেরা বলেছেন: লকডাউন কেমন কালো না ফর্সা ?
লকডাউন আপনার সময় ভালই কাটছে তাহলে!
আলহামদুল্লিলাহ! আপনাদের দোওয়ায় আমার প্রবাস জীবন ভালই কাটছে ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আর কামনা করি আপনাদের লকডাউন দীর্ঘজীবি হোক।
যাদে মনের আনন্দে ব্লগিং করতে পারেন ।
৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: প্রবাস জীবন মানেই আনন্দের জীবন নয়।
গল্প নয় বাস্তব।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫৮
ওমেরা বলেছেন: দেশের জীবনে কি আনন্দ আছে ?
বাস্তব থেকেই গল্প হয়। না হলে হবে আজগবী গল্প।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: দেশে প্রচলিত একটা কথা আছে, - দুজন মানুষ চির অসুখী হয় । ১। প্রবাসী ২। ঋণগ্রস্থ।
প্রবাস জীবন অর্থের জন্য এবং একটু ভাল জীবন যাপনের আশায় ।এটা চরম সত্যি।এর চেয়েও বড় সত্যি প্রবাসীর সাথে আপনজনদের সম্পর্ক নির্ভর করে শুধু দেয়া-নেয়ার (স্বার্থের ) উপর।সবার প্রত্যাশা থাকে তার নিকট তবে সে না পারে কাউকে কিছু বলতে না পারে কারো নিকট কিছু প্রত্যাশা করতে।এ এক নির্মম জীবন।
যদিও এটি গল্পই এবং দুটি গল্পই চমতকার তবে এ আমাদের সমাজেরই ছবি । গল্পে +++।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০৬
ওমেরা বলেছেন: প্রবাস জীবন অর্থের জন্য এবং একটু ভাল জীবন যাপনের আশায় ।এটা চরম সত্যি।এর চেয়েও বড় সত্যি প্রবাসীর সাথে আপনজনদের সম্পর্ক নির্ভর করে শুধু দেয়া-নেয়ার (স্বার্থের ) উপর।সবার প্রত্যাশা থাকে তার নিকট তবে সে না পারে কাউকে কিছু বলতে না পারে কারো নিকট কিছু প্রত্যাশা করতে।এ এক নির্মম জীবন।
চমৎকার মন্তব্য করেছেন ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:১২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গল্প হোক বা সত্য ঘটনা হোক ভালো লেগেছে। শেখার আছে অনেক কিছু।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৭
ওমেরা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।ভালো থাকুন সব সময়।
৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:১১
আখেনাটেন বলেছেন: ২য় গল্পটা বেশ টাচি।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১১
ওমেরা বলেছেন: আমার কাছে তো প্রথমটাই বেশী বেদনাদায়ক লেগেছে । প্রবাসে থেকে কত ছেলে মেয়ে বাবা, মা আত্বীয় স্বজনের মৃত্যুর খবর পায় তখন তাদের মনের অবস্থা কেমন হয় একবার ভাবেন তো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকুন।
৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:১৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমার গ্রামের কাতার প্রবাসী এক ভাইয়ের পিছনে দূতাবাসের এক কর্মকর্তা লেগেছে দুই বছর ধরে । ওখানে বড় ব্যবসায়ী ছিলো ২০০জন লোক উনার আন্ডারে কাজ করতো। এই কর্মকর্তা উনার কাছে সুবিধা চেয়ে না পেয়ে মামলা করে এখন ঘর বন্ধি পাসপোর্ট দূতাবাস নিয়ে গিয়েছে।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:০৫
ওমেরা বলেছেন: ক্ষমতা থাকলে তো দেখাতেই হবে ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
ভালো থাকুন।
১০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৭
সুখী এলিয়েন বলেছেন: গল্প দুটি ভাল হয়েছে।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:১৫
ওমেরা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।
ভালো থাকবেন ।
১১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:১৯
করুণাধারা বলেছেন: দুটো গল্পই বাস্তব জীবনের ছবি। তবে শেষের গল্প পড়ে মন বেশি খারাপ হলো।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৩৯
ওমেরা বলেছেন: : জী আপু আমি নিজের থেকে লিখতে পারি না , আশে পাশে মানুষের জীবন দেখে বা শুনে কিছু লিখি ।আপু সত্যি আমার আপু ভাইয়াদের বিয়ে আগেই হয়েছে বিশ বছরের বেশী হল দেশী ছেড়ে এসেছি,কত কাজিনদের বিয়ে হয় কত বড়সড় অনুষ্ঠান করে আমরা থাকতে পারি না আমরা গিফ্ট পাঠাই বিনিময়ে একটা ডিভিডি ক্যাসেট পাই , এখন তাও পাই না বলে ফেসবুকে লাইভ দেইখো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু কমেন্ট ও লাইকের জন্য।
আপু একটা কথা বলে রাখি , আপনি বুঝবেন , আমি কিন্ত দেখতে গিয়ে আটকে গিয়েছি ।
১২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:০২
মা.হাসান বলেছেন: মানুষের ব্যস্ততা এত বেড়েছে যে দেশের মধ্যে থেকেও মা-বাবার সাথে কথা বলার সময় হয় না। অবশ্য এর মাঝে তাসের আড্ডা, পার্টি সব কিছুর জন্যই সময় ম্যানেজ হয়। অদ্ভুত এক জীব আমরা। কিছুদিন আগে পত্রিকায় দেখেছিলাম, একজন মারা যাবার পরে সন্তানেরা ব্যস্ততার কারণে লাশ দাফন করতে রাজি হয়নি, আঞ্জুমান মফুদুল ইসলামের মাধ্যমে লাশ দাফন করতে বলেছিলো।
পরের গল্পটা আমাকে অনেক বেশি নাড়া দিয়ে গেলো। কোনো কারণে দেশের বাইরে গিয়েছিলাম, ফিরতি ফ্লাইট মধ্যপ্রাচ্য হয়ে। একজন সহযাত্রির হাতে মাল বলতে একটা পলিথিনের ব্যাগ। দামি পলিথিন, যেটা ডিউটি ফ্রি শপে দেয়া হয় এরকম না; সুপার মার্কেটে দুধ কিনলে যে রকম পলিথিনে ভরে দেয় সেরকম। অনেক বছর চাকরি করার পর চাকরি চলে গেছে, কয়েকদিন জেল খেটে দেশে ফিরছে। ওটুকুই তার লাগেজ। হয়তো জমি বেঁচে গিয়েছিলো। বাসায় সবার কত কিছু না প্রত্যাশা।
লেখা অনেক অনেক ভালো লেগেছে।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৫৪
ওমেরা বলেছেন: জী ভাইয়া, মানুষ কত স্বপ্ন কত আশা নিয়েই তো প্রবাসী হয় ।কিন্ত কয়জন তার স্বপ্নকে হাতের নাগালে পায়।
মানুষ দিনে দিনে খুব অমানবিক হয়ে যাচ্ছে। যেই সন্তানের বাবা,মাকে দাফন কাফন করার সময় হয় না , সেই সন্তান কি কখনো বাবা,মায়ের জন্য হাত দুলে আল্লাহর কাছে দোয়া করবে !
এমন সন্তান থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকুন সব সময়।
১৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৩৮
জুন বলেছেন: মন ছুয়ে যাওয়া গল্প দুটো ওমেরা। প্রথম গল্প পড়ে মনে পরলো কিছুদিন আগে পড়া এক ফিচার, প্রিন্সেস ডায়ানা মারা যাবার আগে তার ছেলেদের শেষ ফোন করেছিল, কিন্ত ছেলেরা খেলা করছিল তাই হাই বাই বলে রেখে দিয়েছিল। এখন সেটা মনে করে আফসোস করে।
প্রবাসীরা অনেকেই ভালো আছে আবার অনেকে।
+
০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৩৪
ওমেরা বলেছেন: আমার আম্মুর যখন অসুস্থ্য হয়ে । আমার ফুপু আম্মুকে জিগেস করেছিল , ভাবী আপনার মন কি কিছু চায় ? আমার আম্মু বলেছিল আমি আমার চার ছেলে,মেয়ে একত্র করে ওদের রান্না করে খাওয়াতে চাই । আপু দেশেই আমরা তিনভাই বোন দেশে গেলাম কিন্ত সেই মূহুর্তে আম্মুর রান্না করার মত অবস্থা ছিল না। আমরাও অনেক কিছু করতে পারি নাই আম্মুকে মনে হলে আফসোসও লাগে। কিন্ত কি আর করা যাবে ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
১৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: সকাল বেলা সামুতে লহইন করে চমতকার দুটো গল্প পড়ে মন প্রশান্তিতে ভরে গেলো!
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৩২
ওমেরা বলেছেন: আপনার এই ছোট কমেন্টের ব্যাপকতাা অনেক । খুব খুশী হয়েছি অনেক উৎসাহিত হয়েছি ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আর ভালো খাকবেন খুব।
১৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৪৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রবাসীদের জীবনের গল্প !
ভালোলাগা।
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৩৭
ওমেরা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপুনি ।
১৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১১
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: প্রবাস জীবনের গল্প। আসলে যারা প্রবাসে থাকেন তাদের মন পরিবারের প্রতি কত যে নিমগ্ন থাকে তা বলে শেষ করা যাবে না। আবার দেশে বাবা, মা, ভাই-বোন, আত্মীয়রা প্রবাসীদের জন্য কিযে উতালা থাকেন তা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:০২
ওমেরা বলেছেন: এর নামই পারিবারিক বন্ধন । পরিবারে একজন আরেকজনের জন্য উতালা থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
১৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:২০
ঢুকিচেপা বলেছেন: প্রথম গল্পটা করুণ। এটা কি শুধুই গল্প না এর সত্যতা আছে ?
২ নম্বরটা আমাদের সমাজের আংশিক প্রতিচ্ছবি, তবে আশা করি এমন বোন দুলাভাই যেন কারো না থাকে।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:১২
ওমেরা বলেছেন: এটা একটা গল্প তবে একেবারে মিথা না। আমি যখন কলেজে পড়ি তখন আমার সাথে একটা মেয়ে পড়ত শ্রীলংকার, সে তার বোনের সাথে এখানে ছিল । আমাদের লাঞ্চ তার একটা ফোন আসে ফোনটা রিসিপ করার পরই সে এমন একটা চিৎকার দেয় তার পর শুনি তার ভাই মারা গিয়েছে তার বোনকে না পেয়ে তাকে ফোন করছে।
আবার আমাদের দেশের মানুষেরও এমন ঘটনা শুনি তো মাঝে মাঝেই।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।ভালো থাকবেন ।
১৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:০৪
শায়মা বলেছেন: ওমেরামনি
এত দুঃখের গল্প কেনো শুধু?
এখন একটু হাসো । আমার পাপেট শো দেখো ......
আর তোমাদের বাসার পিচ্চিদেরকেও দেখাও....
২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৩২
ওমেরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু
১৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৪০
মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন:
প্রবাসী জীবন দারুণ কষ্টের,
কেউ বুঝতে চায় না
২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৩৫
ওমেরা বলেছেন: দেশের মানুষ মনে করে প্রবাসে শুধু সুখ আর সুখ, বাতাসে টাকা উড়ে প্রবাসী ধরে ধরে পকেটে ভরে ।
ধন্যবাদ ।ভালো থাকুন সব সময়।
২০| ১৭ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:৩২
শেরজা তপন বলেছেন: গত দুই মাস আপনি লাপাত্তা!!!
সব ভাল আছে তো? ব্লগে কি একেবারেই কম আসেন নাকি আসেননা?
১৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৩০
ওমেরা বলেছেন: জানেন একটা সময়। আমি এতটা ব্লগ পাগল ছিলাম ভাইয়া, ভাবী আমাকে ব্লগপোকা বলে ডাকতো আমি নিজেও কখনো ভাবিনি ব্লগে না এসে আমি থাকতে পারবো! জানি না কি কারনে এমনটা হল ব্লগে আস্তে কেন যেন মনের সেই আগ্রহ আর নেই । তবে মাঝে সাঝে লগইন না করেও আপনাদের কারো কারো লিখা পড়ি ।
ভালো থাকুন সব সময় ।
২১| ৩০ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:৪৩
নীল-দর্পণ বলেছেন: মন খারাপ হয়ে গেল গল্প দুটিতে।
১৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৩৬
ওমেরা বলেছেন: কেমন আছেন আপুমনি ? আমিও এখন আপনার মতই অনিয়মিত হয়ে গিয়েছি আপু তাই জবাব দিতে দেরী হল ।
এরকম গল্পই প্রবাসীদের জীবন । দেশের মানুষ মনে করে প্রাবাসে যারা থাকে তারা জানি কত সুখে আছে ।
ধন্যবাদ আপুমনি।
২২| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:১৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রকৃতির সৌন্দর্য স্রষ্টার অপার দান। চির অবারিত নিসর্গ-সৌন্দর্যের ভোক্তা শুধু মানুষই নয়, বরং সকল প্রজাতির সকল সৃষ্ট জীব অণুজীব। কেবলমাত্র মানুষ ছাড়া অন্য কোন প্রজাতি প্রকৃতির এ সৌন্দর্য বৃ্দ্ধিতেও সহায়ক নয়, বিনাশেও নয়। মানুষ প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র তাদের দু’হাত দিয়ে এ প্রকৃতিকে যেমন সৌন্দর্যমণ্ডিত করেছে, তেমনি প্রকৃতির সৌন্দর্য বিনাশও করেছে। পরবর্তীতে মানুষ তাদের আবিষ্কৃত যন্ত্রের সাহায্যে এ কাজ দুটো করেছে, অবশ্য তখনও যন্ত্রের পেছনে মানুষের দু’হাতই ছিল। বিকাশ ও বিনাশ, দুটোতেই মানুষের দুটো হাতের কারুকার্য রয়েছে।
না, আপনার দুটো গল্পের কোনটার সাথেই আমার উপরের কথাগুলো সম্পর্কযুক্ত নয়। তবুও কথাগুলো লিখলাম, আপনার পোস্টের এই সুন্দর চিত্রটা দেখে আমার মনের কিছু নিসর্গ-ভাবনা থেকে। ছবিটি সম্পর্কে দুটো কথা বলবেন আশা করি। আপনার গল্প প্রসঙ্গে একটু পরেই আসছি।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১৪
ওমেরা বলেছেন: ভাইয়া আমি তো আপনার মত করে ছবিটা নিয়ে বলতে পারবো না । আমাদের এখানে প্রতিবছর সামারে সামার ক্যাম্প হয় গ্রপে গ্রপে । এটা হয় সাধারনত তিনদিন থেকে পাঁচ দিন, কখনো সুইডেনের ভিতরে কখনো আশে পাশের দেশে । ২০১৯ এর আগষ্টে আমরা গিয়েছিলাম ষ্টকহোমের কাছেই একটু গ্রামীন এলাকায়। মাত্র দুই ঘন্টা জার্নির পর ঠিক এই জায়গাটাতেই আমরা নামি । এত সুন্দর সবুজ নানাজাতের নানা রংগের ফুলেভরা সামনে পানি দেখে ভালোলাগায় আমার মন ভরে যায়। আমাদের কটেজ গুলোর সামনের সাইট এটা, এখানে আমরা চারদিন ছিলাম ওখানে প্রতিদিন কত আনন্দ যে হত । আমি ছাড়া সবাই পানিতে গোছল করত নৌকাতে উঠত ছেলে, বুড়ো সবাই কত রকমের খালা খেলত খুব মজা হত ।
ভাইয়া কমেন্টের জবাব দিতে অনেক দেরী হয়ে গেল অনেক সরি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
২৩| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম গল্পটা হৃদয় বিদারক। প্রতিটি সংলাপই শেষ সংলাপ হয়ে যেতে পারে, প্রতিটি বিদায়ই শেষ বিদায়। এজন্য বিদায় সম্ভাষণে আমাদের সব সময় আন্তরিক হওয়া উচিত।
পরের গল্পটা নিদারুণ বাস্তবতা। খেটে খাওয়া প্রবাসীরা একেকটা পরিবারের জন্য যেন সোনার ডিম পাড়া হাঁস। পরিবার হাঁস চায় না, চায় সোনার ডিম।
"ওটুকুই তার লাগেজ। হয়তো জমি বেঁচে গিয়েছিলো। বাসায় সবার কত কিছু না প্রত্যাশা" - মা.হাসান এর মন্তব্যের এ অংশটুকু পড়ে বুকে হাহাকার বেজে উঠলো।
"আম্মু বলেছিল আমি আমার চার ছেলে,মেয়ে একত্র করে ওদের রান্না করে খাওয়াতে চাই" - খুবই কষ্টের একটি কথা, খুবই সামান্য একটি চাওয়া। সেটাও পূরণ হলো না! কত না মায়ায় বাঁধা আমাদের এ জগত-সংসার!
পোস্টে ত্রয়োদশতম ভাললাগা। + +
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪৭
ওমেরা বলেছেন: জী ভাইয়া প্রবাসে থাকার জন্য এরকম ঘটনা অনেকই শুনেছি । আমার দুই ভাইয়া আমি প্রবাসে আমার আপু শুধু দেশে, আলহামদুল্লিলাহ ! আম্মু অসুস্থ্য হলে আমরা সবাই গিয়েছিলাম আর আম্মু যখন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আমরা চার ভাই বোনই উপস্থিত ছিলাম। এখনো রাতে যখন একা ঘুমাতে যাই বা রাতে ঘুম ভেংগে গেলে সেই দৃশ্যটা আমার চোখের সামনে ভেসে উঠে তখন আমার মাথার ভেতর কেমন যে করে আমি কাউকে বলতে পারবো না।
"আম্মু বলেছিল আমি আমার চার ছেলে,মেয়ে একত্র করে ওদের রান্না করে খাওয়াতে চাই"
জী ভাইয়া, তখন আমরা দেশে যাইনি যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি আমার ছোট ফুপ্পী আম্মুকে জিগাসা করেছিল ‘ ভাবী আপনার মন কি কিছু চায় বা আপনি কি কিছু করতে চান ? তখন আম্মু বলেছিল “ আমার চার ছেলে মেয়েকে এক সাথে দেখতে চাই আর আমি রান্না করে ওদের এক সাথে খাওয়াতে চাই ।
ভাইয়া অনেক ধন্যবাদ ।আমি এখন আর কিছু বলতে পারছি না।
২৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: মার এ কবিতাটা একবার পড়ে দেখতে পারেনঃ
কবিতাঃ মায়াময় ভুবন
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:১৪
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: দুটো গল্পই ভালো হয়েছে। দুটো গল্পেই দৈনন্দিন কাজ, চাহিদা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে সম্পর্কের টানাপড়েন দেখানো হয়েছে। সম্পর্কের তুলনায় প্রয়োজনকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে মানুষ। দৈনন্দিন ব্যস্ততায় মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। এই বিচ্ছিন্নতা উঠে এসেছে গল্প দুটোয়।