নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার আল্লাহ আমাকে একজন নারী হিসাবে সৃষ্টি করেছেন আর আল্লাহর সিন্ধান্তে আমি সন্তুষ্ঠ আছি।

ওমেরা

শালীনতাই সৌন্দর্য্য

ওমেরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

—— পথে চলতে চলতে —— ১২

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২৬


কয়েকদিন আগে, দুপুর ১১টার দিকে একটু আমাদের রাজধানি স্টকহোমে সিটিতে যাব । অফিস আওয়ারে স্টকহোম ডাউন টাউনে পার্কিংয়ের সমস্যা থাকে । তাই আগেই সিন্ধান্ত নিয়েছি গাড়ি ড্রাইভ করে নয় মেট্রোতে যাবো। সকালের অফিসের সময় পার হবার পর এই সময়ে মেট্টোতে লোকজন কম থাকে। আর মাঝের কম্পার্টমেন্টে লোকজন এমনিতেও কম থাকে । আর আমার লোকজনের কোলাহল খুব পছন্দ না । তাই নেমে একটু বেশী বা কম হাঁটতে হবে এটা না ভেবে যখন মেট্রোতে যাই আমি মাঝের কম্পার্টমেন্টেই বসি।

সেদিনও মাঝের কম্পার্টমেন্টেই উঠে দেখি প্রায় পুরোটাই খালি কারন বড়দিন ও নিউইয়ার এর ছুটি চলছে স্কুল কলেজগুলোতে। এরপরও আমি দেখে শুনে চার জনের বসার একটা সিটে বসেছি ( এই মেট্রো ট্রেনগুলোতে বসার সিঙ্গেল সিট্ থাকে না)। পরের ষ্টেশনে মেট্রো থামতেই হুর মুর করে দুটো বাচ্চা এসে আমার পাশের চার সিটে বসলো। বসেই দুজন ওরে— দুষ্টুমি শুরু করলো ! এ ওকে খোঁচা দেয়, সে আবার সময় নষ্ট না করেই সেটা ফিরিয়ে দেয়। হুড়াহুড়ির সাথে সাথে হাসাহাসি চলছে । একজন আরেক জনের গায়ের উপর গড়িয়ে পরছে। আমার ধারনা হল তারা দুই ভাই বোন হবে হয়তো । বোনের বয়স দশ,এগারো আর ভাই বয়স ছয় সাত হবে । ছেলেটাই বেশী দুষ্টুমি করছে । আমার বেশ বিরক্ত লাগছে কিন্ত করার কিছু নেই । কিছুক্ষন পর পিছনের দিক থেকে এক বয়স্ক মহিলা এসে আমার পাশের সিটে বসলো মানে আমার মুখোমুখি এবার তো আমার বিরক্তি চরমে । মনে মনে বলি কত সিট খালি পরে আছে তোমার কি আমার সামনে এসেই বসতে হবে !

মহিলা আমার পাশে বসলেও মুগ্ধচোখে বাচ্চাদের দিকে তাকিয়ে আছে তার চোখ দেখে বুঝা যাচ্ছে সে খুব আনন্দ পাচ্ছে বাচ্চাদের দুষ্টামিতে । মহিলা মাঝে মাঝে আমার দিকেও তাকাচ্ছে আমার মনে হচ্ছে সে চাচ্ছে আমিও তার মত বাচ্চাদের দুষ্টুমি ইনজয় করি। এই তাকিয়ে থাকা দেখে বোন তার ভাইকে বলে,ব্রো চুপ কর, দেখছ না মহিলা আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।বোনের কথা শুনে ভাইটা একটু চুপসে যায় ।

যদিও মেয়েটা খুব আস্তে ফিস ফিস করে কথাগুলো বলেছিল তবু আমি ও মহিলা দুজনেই শুনতে পারি । মহিলা মেয়েটার কথাশুনে এবার খিলখিল হাসি দিয়ে বলে, ‘না না তোমাদের লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই , আমি তো তোমাদের দুষ্টামি উপভোগ করছি, আমি দুর থেকে তোমাদের দুষ্টুমি দেখেই তো এখানে এসে বসলাম তোমাদের দুষ্টামি উপভোগ করার জন্য’।

মহিলার কথা শুনে অবাক না হয়ে আর পারলাম না, বাচ্চাদের বিরক্তিকর দুষ্টুমি কেউ আবার উপভোগ করতে পারে ভেবে! আমার অবাক হওয়ার বিষয়টা বুঝতে পেরে মহিলা আমার দিকে তাকিয়ে বলে. আমারও দুটি সন্তান আছে ওদের বয়স যখন এদের মত ছিল ওরাও খুব চঞ্চল ছিল । ওদের নিয়ে যখন আমি বাহিরে বের হতাম মেট্রোতে বসে ওরাও এরকম দুষ্টুমি করতো । আমি যখন ওদের নিয়ে হাটতে বের হতাম আমি দুই হাতে দুইজনকে ধরতাম। রাতে দুইপাশে রেখে আমি মাঝে থাকতাম,কিন্ত যতক্ষন জেগে থাকতো দুই পাশ থেকে দুইজনে দুষ্টুমি করত । মাঝে মাঝে খুব বিরক্ত হতাম, রেগেও যেতাম । আমি জব করে সংসারের কাজ করে ওদের সাথে খুব সময় দিতে পারতাম না । এখন খুব মনে হয় যদি সেই সময়টা ফিরে পেতাম আমার ছেলে মেয়ে দুটো যদি ছোট হয়ে ফিরে আসতো আমার কাছে আমি সারাক্ষন ওদের নিয়েই থাকতাম আর ওদের মিষ্টি দুষ্টুমি গুলো উপভোগ করতাম মহিলার ভিতর থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসলো । উনার চোখদুটোও জলে ছল ছল করছিল ।পিচ্চিগুলোও মনোযোগের সাথেই উনার কথাগুলো শুনছিল।

হঠাৎ করে পিচ্চি ছেলেটা দুই হাত দিয়ে মহিলার গালদুটো ধরে তোমার বাচ্চারা কি হিমমেল (আকাশ) এ চলে গিয়েছে? মহিলা বলেন, না ওরা পৃথিবীতেই আছে । কিন্ত ওরা এখন অনেক বড় তাই ভদ্র হয়েছে । ওরা এখন আর আমার কাছে থাকে না । ওদের এখন নিজস্ব জীবন হয়েছে, ওরা ভালো আছে। পরের স্টেশনে ট্রেন থামতেই মহিলা উঠে দাড়িয়ে বলে, এবার আমাকে যেতে হবে । বাচ্চাদুটোকে মাথায় হাত বুলিয়ে মহিলা বলে,’তোমরা এরকমই চঞ্চল থেকো আর দুষ্টুমি করো, সময়চলে গেলে আর এসময় ফিরে আসবে না তখন আর দুষ্টমনি করতে পারবে না’ বলেই একটা দীর্ঘশ্বাসের হাসি দিয়ে মহিলা নেমে গেলেন ।

মহিলা নেমে গেলে আমি ডুবে গেলাম ভাবনায়। ব্লগে অনেক ব্লগারের কিশোর বেলার মজার মজার অনেক লিখা পড়েছি। তারা ফিরে পেতে চান সেই কিশোর বেলা টাকে । বাস্তবেও অনেককে বলতে শুনেছি আর এই মহিলা অবশ্য তার কিশোর বেলা ফিরে পেতে চাননি, তিনি চান তার সন্তানদের কিশোরবেলা । আমরও অনেক সময় ছোট বেলার অনেক মজার কথা,হাসি, আনন্দ, দু:খ কষ্টের অনেক কথা মনে হয় । কিন্ত কখনো সেই সময়ে ফিরে যেতে ইচ্ছা করে না। পিছনের সময়গুলো তো আমি পার করে এসেছি সেই সময়ের সুখ- দুঃখ সবই আমি উপভোগ করে এসেছি। আমার ভালো লাগে সামনের দিন গুলো নিয়ে ভাবতে । আগামী জীবন নিয়ে পরিকল্পনা করতে । আর মাঝে মাঝে খুব জানতে,দেখতে ইচ্ছা করে সামনে আমার জীবনে কি কি হবে। জানিনা অন্যদেরও আমার মত এ'রকম ইচ্ছা হয় কিনা তবে কাউকে কখনো বলতে শুনিনি । হয়ত বলেছেনও কেউ আমি জানি না — তবে দুটো চাওয়ার রেজাল্ট একই, যারা পিছনে ফিরতে চায় তারা যেমন পিছনে যেতে পারে না আমিও সামনে আমার জীবন কেমন হবে সেটা দেখতে পারি না। এসব ভাবতে ভাবতে মেট্রো যখন থামলো এক স্টেশনে তাকিয়ে দেখি আমি আমার গন্তব্য রেখে আরো তিন স্টপেজ পেরিয়ে এসেছি !

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:০০

ওমেরা বলেছেন: শুধু সুন্দর বলেই চলে গেলেন, কতদিন পর ব্লগে আসলাম, একটু জিগেস টিগেস তো করবেন, কেমন আছি টাছি !
আপনি নিশ্চয় ভালো আছেন, ভালো থাকেন কামনা করি ।
প্রথম লাইক ও প্রথম কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:১৪

জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার লিখেছেন! +

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:০৭

ওমেরা বলেছেন: কমেন্টা ছোট হলেও আনন্দদায়ক।
অনেক ধন্যবাদ নিবেন।

৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আমার মনে হয় শৈশব/কৈশোর সময়টাই জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সময় । এই সময় সারা দুনিয়ার সবকিছুই তাদের কাছে থাকে সুন্দর ও মনোরম । থাকেনা কোন বড় রকমের চাহিদা কিংবা জীবনের চাওয়া-পাওয়ার জটিলতা। সামান্য কিছু প্রাপ্তিতে সীমাহীন আনন্দ , যে কোন ছোটখাট বিষয়ে হাসতে হাসতে লুটিয়ে পড়া কিংবা ভাই-বোন-সহপাঠিদের সাথে নির্দোষ আনন্দ-খুনসুটিতে মেতে উঠা - এসব বড়ই মজার স্মৃতি হয়ে দাড়ায় পরবর্তী জীবনে।

আর যখনি শৈশব/কৈশোর ছেড়ে একটা ছেলে কিংবা মেয়ে যৌবনে পদার্পণ করে তখনি জীবনে নেমে আসে সীমাহীন চাহিদার ঘোর অমানিশা । তার সাথে সাথে জীবন থেকে হারিয়ে যায় ছোটখাট আনন্দের সব উপকরন। তখন সীমাহীন প্রাপ্তিতেও জীবনে আর কোন আনন্দ খুজে পাওয়া যায়না । আর ভাই-বোন-বন্ধুদের সাথে ত ১০ মিনিট কথা বলার মত উপলক্ষই খুজে পাওয়া যায়না। আর যতটুকু সময় কথা বলাও বা হয় তা থেকে থাকে স্বার্থের বৃত্তে বন্দী এবং কৃত্রিমতায় ভরা।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৫৮

ওমেরা বলেছেন: কে বলেছে আপনাকে শৈশব, কৈশোর শ্রেষ্ট সময় ? যৌবন হল জীবনের শ্রেষ্ট সময় , এই সময়ে অনেক কিছু করা যায় কারন এই সময়ে সাহস , শক্তি , ধৈর্য বেশী থাকে আর আল্লাহর কাছেও এই সময়ে ইবাদতের মূল্য বেশী । হি হি হি —
অনেক ধন্যবাদ ভালো থাকুন ।

৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৬

কালো যাদুকর বলেছেন: বাচ্চার দুষ্টমি করবেই ৷ আমাদের দেশে এটি টলারেট করা হয় না। পশ্চিমা বিশ্বে করা হয়। এর পেছনে অনেক কারন আছে। প্রধান কারন হল - এতে এদের মানষিক বিকাশ স্বাধীনভাবে সুদর ভাবে হয়।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২১

ওমেরা বলেছেন: জী বাচ্চারা দুষ্টুমি করবেন নাহলে ওরা আর বাচ্চা থাকবে না , তারা হবে হাবা গোবা বাচ্চা নয়ত আমাদের মত বড় হয়ে যেত ।
বাচ্চাদের অনেক দুষ্টুমি আমার ভালো লাগে না আবার হাবা গোবা বাচ্চাও আমার ভালো লাগে না ।
অনেক ধন্যবাদ

৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১২

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার ভাবনা আমার সাথে কিছুটা মিলে যায়।

তবে আমার ছেলে-মেয়ের বয়স এখন ওরকমই, তবে ওদের দুষ্টুমি আমি বেশ উপভোগ করি। এক সময় আফসোস করতে চাই না- তবুও জানি আফসোস হবে :(

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:২০

ওমেরা বলেছেন: তাহলে বুঝা যাচ্ছে আমার মত ভাবনার মানুষ আরো আছে । জী জী বেশী বেশী উপভোগ করেন রেগে যেয়ে মাইর টাইর দিয়েন না এক সময়ে ওরা এমনিতেই শান্ত হয়ে যাবে ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ নিবেন।

৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:০৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: দুষ্টমি ভালো লাগে, সত্যি ই অন্য রকম আনন্দ।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:২৪

ওমেরা বলেছেন: ভালো লাগলেই ভালো আপু ।দুষ্টুমির বয়স আছে সময় শেষে আর দুষ্টমনি করা যায় না । আমিই কত দুষ্টমনি করতাম এখন আর চাইলেও করতে পারি না ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপুনি।

৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৩:০৮

কাছের-মানুষ বলেছেন: ওমেরা অনেকদিন পর আপনাকে দেখে ভাল লাগল। আমি নিয়মিত একজন অনিয়মিত ব্লগার। আপনাকে এক সময় নিয়মিত ব্লগিং দেখতাম।

লেখা ভাল হয়েছে। আপনি ছোট বেলা থেকে সুইডেনে আছেন এবং আপনি সুইডিশ ভাষায় পারদর্শী এটা নিশ্চিন্ত।

আমি জানার জন্য জিজ্ঞেস করছি, কোন ভাষায় আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন বেশী, বাংলা নাকি সুইডিশ? এবং কোনটা আপনার কাছে সহজ মনে হয়!

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩২

ওমেরা বলেছেন: আমি একজন নিয়মিত অনিয়মিত ব্লগার —- আপনার এই কথাটাতে খুব মজা পেলাম , হি হি হি —।
আসলে কিছু কারনে ব্লগে গ্যাপ পরে যায় এখন আর চাইলেও নিয়মিত হতে পারছি না . তবু আশা করি একেবারে হারিয়ে না যেতে অন্তত আপনার মত নিয়মিত অনিয়মিত ভাবে হলেও যেন থাকতে পারি ।
এখানে আসার পর যখন স্কুলে ভর্তি হলাম, আস্তে আস্তে সুইডিশ ভাষায় পারদর্শী হচ্ছিলাম আর বাংলা ভাষাতে দূর্বল হয়ে যাচ্ছিলাম , বাংলাতে কথা বলার সময় সুইডিশ চলে আসত । একদিন আমার আম্মু বল্ল তুমি যখন বাংলাতে কথা বলবা শুধু বাংলা বলবা . তুমি বুঝতে না পারলে বার বার জিগেস করবে বা ডিকশনারীর সাহায্য নিবা কিন্ত কখনো বাংলা বলার সময় সুইডিশ বা ইংরেজীর সাহায্য নিবে না, আম্মুর এই পরামর্শটা আমাকে খুবই উপকার দিয়েছে । এর পর ব্লগ থেকে অনেক উপকার পেয়েছি । এখন আমার বাংলা ভাষা অনেক সমৃদ্ধ , ঝগড়া করতে পারবো আপনাদের সাথে - হি হি ।
আমি দুইটা ভাষাতেই সাবলিল ভাবে কথা বলতে পারি ।
কমেন্টের জবাব দিতে অনেকটাই দেরী হয়ে গেল তার জন্য সরি ।
অনেক ধন্যবাদ দিবেন ।

৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৫:০৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: খুব চমৎকার লেখা। অনেক দিন পর একটা সুন্দর লেখা নিয়ে আসায় ধন্যবাদ

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩৩

ওমেরা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার জন্য ।

৯| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: ওমেরা,




সংবেদনশীল উপলব্দির লেখা।
প্রায়ই দেখি আপনি পেছনের দিনগুলোকে নিয়ে ভাবতেই চাননা, ভালোলাগে আপনার সামনের দিনগুলো নিয়ে ভাবতে। ব্যাখ্যা দিয়েছেন এই বলে - দু'টো চাওয়ার ফলাফল একই । কেউই যেমন পেছনে ফিরে যেতে চাইলেই যেতে পারেননা,তেমনি সামনের জীবন কেমন হবে সেটা জানতে সেখানেও যাওয়া যায়না।

আসলে দু'টোর রেজাল্ট কিন্তু একই নয়।
পেছনের দিনগুলোতে ফিরে যাবার ভাবনায় মানুষ সুখানুভূতি লাভ করে, স্বপ্নজাল বোনে, আবেশে চোখ মুদে ফেলে । কিন্তু সামনের দিনগুলো নিয়ে ভাবনায় মানুষ দুঃশ্চিন্তা, অনিশ্চয়তা, অস্থিরতা, আতঙ্কে ভোগে । ব্যতিক্রম বাদে সকলেরই ভয়ে চোখ বুজে আসে। এমন ভাবনায় কোনও সুখ নেই .................

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩৯

ওমেরা বলেছেন: আসলে দু'টোর রেজাল্ট কিন্তু একই নয়।
ভাইয়া আমার কাছে একই মনে হয়েছে - মানে ত্রিশ বছরের যুবক যেমন ১৫ বছরের রুপান্তর হতে পারবে না আবার ত্রিশ বছরের যুবক তার ৫০ বছরে রূপান্তর হতে পারে না।
পেছনের দিনগুলোতে ফিরে যাবার ভাবনায় মানুষ সুখানুভূতি লাভ করে, স্বপ্নজাল বোনে, আবেশে চোখ মুদে ফেলে ।
শুধু কি তাই হয় ভাইয়া ?
মানুষ কি কষ্টকর জীবনও পার করে আসে না সেগুলো মনে করে কি কষ্ট পায় না । আমার আম্মু মারা গিয়েছে সাত বছর পার হয়ে গিয়েছে কিন্ত আম্মুর অসুখ ক্যানসার ধরা পরার পর দুইটা মাস কি বীভিসিকাময় কষ্টকর সময় পার করেছি সেই স্মৃতিগুলো মনে হলে এখনো কেমন যেন হয়ে যাই জীবনটাকে মনে অর্থহীন।
কিন্তু সামনের দিনগুলো নিয়ে ভাবনায় মানুষ দুঃশ্চিন্তা, অনিশ্চয়তা, অস্থিরতা, আতঙ্কে ভোগে । ব্যতিক্রম বাদে সকলেরই ভয়ে চোখ বুজে আসে। এমন ভাবনায় কোনও সুখ নেই .....আপনি তো ভাইয়া খুবই হতাশাবাদী মানুষ সামনে কি হবে যেহেতু আমি জানি না তবে সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন আর উজ্বল আশা করতে ভুল করি না ।
জানি না ভাইয়া আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন আমি ঠিক মত বুঝেছি কিনা তবে আমি আমার মতই উত্তর দিলাম ।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

১০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৬:২৬

সোহানী বলেছেন: আমি স্থান কাল পাত্র ভেদে বাচ্চাদের দুস্টুমি উপভোগ করি। হয়তো নিজেরই এরকম দু'টো দুস্টু আছে বলে। আর বাচ্চাদের সাথে আমার বরাবরেই ভালো একটা বোঝাপড়া হয়।

অতীত নিয়ে আমিও ঘাটাঘাটি পছন্দ করি না। বর্তমানটাই আমার কাছে আসল। যে জীবন চলে গেছে তা ভাবতে ভালো লাগে কিন্তু ওই জীবন কখনই ফিরে পেতে চাই না।

তোমার ভাবনার সাথে সহমত।

ভালো লাগলো পথ চলার কথা।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৪৮

ওমেরা বলেছেন: মন্তব্যের জবাব দিতে দেরীর জন্য আগেই ক্ষমা চাচ্ছি আপু ।
অনেক সময় অনেক বাচ্চাদের দুষ্টুমি আমারও বেশ ভালো লাগে। আবার কিছু দের দুষ্টুমি এমন বিরক্তিকর লাগে বিশেষ করে যখন দেখি বাচ্চা দুষ্টুমি করছে মা চেয়ে চেয়ে দেখছে কিছুই বলছে না তখন অবশ্য বচ্চার চেয়ে মায়ের প্রকি রাগ লাগে বেশী।

অনেক অনেক ধন্যবাদ নিবেন আপু । ভালো থাকুন সব সময়।

১১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৩

ইসিয়াক বলেছেন: যাহ! শেষটা কেমন হলো? শেষ পর্যন্ত তিন স্টেশন পেছনে ফেলে এলেন! বাচ্চাগুলো আসলেই বিচ্ছু আপনার মনোযোগ কেড়ে নিয়েছিল। আসলে আমরা যখন কিছু একটা নিয়ে ব্যস্ত থাকি তখন সময় যে কোথা দিয়ে চলে যায় নিজেরাই বুঝতে পারি না।
# অতীত বা ভবিষ্যৎ কোনটা নিয়ে আমি ভাবি না শত সমস্যা বা আনন্দ যাইহোক না কেন আমি বর্তমানকে কাজে লাগিয়ে সময়টাকে নিজের মত উপভোগ করি।
অনেক দিন পরে আপনাকে ব্লগে দেখে ভালো লাগলো। আপনার পোস্টটা আগেই দেখেছিলাম পড়ে মন্তব্য করবো বলে মন্তব্য করা হয়নি। তারপর ভুলে গেলাম। এখন মন্তব্যের ঘরে আপনার পোস্ট দেখে মনে পড়ে গেল।

ভালো থাকুন সবসময়।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:১০

ওমেরা বলেছেন: জানেন মাঝে মাঝে আমি যখন রাস্তায় একা হাঁটি আমি এমন ভাবনায় হারিয়ে যাই মনে হয় কয়েক ঘন্টা পার করে ফেলেছি কিন্ত যখনই হুস হয় দেখি আরে পাঁচ মিনিটও তো হয়নি ।
একটা সময় অনেক বকা শুনেছি ব্লগের জন্য। মনে হত ব্লগ ছাড়া আমি বাঁচতেই পারবো না । এখন ব্লগে থাকতে চাই কিন্ত কেন যেন ব্লগ আর আগের মত আমাকে টানে না।
আপনারা থাকুন ব্লগকে প্রানবন্ত রাখুন আমি যখন মন চায় আসবো ।
ভালো থাকুন আনন্দে থাকুন কামনা রইলো ।

১২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৬:৩২

নীল-দর্পণ বলেছেন: বাচ্চারা দুষ্টুমী না করলে আর স্বাভাবিক মনে হয় না অথচ আমাদের দেশে বচ্চা দুষ্টুমী করলে বলা হয় 'উশৃংখল' !! ভদ্রমহিলার উপলব্ধিটা আমাকে এখনি নাড়া নেয়। আমি যখন ভাবি জব ছেড়ে দেবো, সবাই বোঝায় সরকারী জব পাবো না অথচ আমার মনে হয় বাচ্চাদের ছোটবেলাটাও ত আমি পাবো না কোটি টাকা দিলেও!!
আমি যখন স্কুলে জব করতাম সেখানে এক কলিগ একদিন বলছিলেন যে "আমার মেয়েদের তো মা পালছেন তাই ওদের বেড়েওঠা দেখতে পারি না, এখন নাতনীদের বড়েওঠা দেখি"। আমার মনে হয় যে এমন আফসোস যেন কারো করতে নাহয়!

ভালো আছেন নিশ্চই আপুনি? :)

১৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৬:৪৪

মলাসইলমুইনা বলেছেন: প্রিয় ওমেরা,
মায়াবী একটা ঘটনার সাথে বলা গভীর জীবন বোধের লেখা লেখা চমৎকার হয়েছে । চমৎকার লেখার সাথে স্বরণীয় প্রত্যাবর্তন বেশ কিছুদিনের বিরতির পরে বলাই যায় । বড় অনুভবের লেখা । লেখার শেষে আপনার ভাবনাটাতে আপনার পরিচয়ই ফুটে উঠেছে যেন। ফরোয়ার্ড লুকিং, ইনটেলিজেন্ট আমাদের চমৎকার এক ব্লগারের পরিচয় আবারো পাওয়া গেলো আপনার ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবার চিন্তা থেকে । এই ধরণের আরেকটা লেখা দ্রুত লিখে ফেলুন । ভালো থাকবেন ।

১৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩৭

মলাসইলমুইনা বলেছেন: প্রিয় ওমেরা,
ব্যাপার কি ? আপনি নিখোঁজ কেন ? স্নো ফল কমেনি আপনাদের ওখানে ? তাড়াতাড়ি ব্লগে আসুন একটু কিছু নিউজ শেয়ার করি ।

১৫| ০৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:০৭

বিজন রয় বলেছেন: ওমেরা কেমন আছেন?

ব্লগে আসুন।

১৬| ০৯ ই মে, ২০২২ রাত ১২:৫২

ঢুকিচেপা বলেছেন: আপনি ভালো আছেন তো ?

“পথে চলতে চলতে” শিরোনামের লেখাগুলো খুব সুন্দর লাগে।
এই লেখা পড়তে গিয়ে মনে হলো আমিও চাই অতীত ফিরে পেতে, আমি চাই আমার প্রাইমারী স্কুল জীবন।

আপনি অনেকদিন হলো অনিয়মিত, নতুন গল্প নিয়ে আসুন।

১৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩৭

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ..... :|| :|| :||

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.