![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব বেশি কিছু চাইনা ! আমাকে ভালোবাসতে হবে না, ভালোবাসি ও বলতে হবে না, মাঝে মাঝে গভীর আবেগ নিয়ে আমার ঠোঁট দুটো ছুঁয়ে দিতে হবে না, কিংবা আমার জন্য রাত জাগা পাখিও হতে হবে না, অন্য সবার মত আমার সাথে রুটিন মেনে দেখা করতে হবে না, কিংবা বিকেল বেলায় ফুচকাও খেতে হবে না, এত অসীম সংখ্যক “না” এর ভিড়ে , শুধু মাত্র একটা কাজ করতে হবে, আমি যখন প্রতিদিন “ভালোবাসি” বলব তুমি প্রতিবার একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে একটু খানি আদর মাখা গলায় বলবে “পাগল” বিশ্বাস করো , এতেই চলবে... আমার সাথে -- [email protected]
অতীতে আমরা হলিউড বা বলিউড এর সিনেমা গুলোতে বড় বড় ক্রুজ দেখেছি এবং মনে মনে চিন্তা করেছি " ইসস যদি একবার ওগুলোতে ভেসে বেড়াতে পারতাম.??" যেমন বলিউড একটা মুভির নাম বলি " হামরাজ "... বন্ধুরা যারা যারা এইসব জাহাজে ভেসে বেড়ানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন তাদের জন্য সু-খবর..যেমনটা আমার জন্য..আমরাতো অলরেডি বুকিং দিয়ে দিয়েছি ৫ রাত স্পাইস স্ব-পরিবারে....তাহলে চলুন শুরু করি আজকের মূল লিখাটিতে --
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও বিলাসবহুল জাহাজের নাম ' ওয়েসিস অফ দ্য সিস'।
যার বাংলায় অর্থ করলে দাঁড়ায় 'সাগরের মরূদ্যান'।
বর্তমানে ওয়েসিস অফ দ্য সিস-ই 'পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাহাজ'-এর তকমা অধিকার করে নিয়েছে।
নির্মাতা রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে আড়াই বছর সময় নিয়ে এর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে। বিলাসবহুল এই জাহাজ আকারে টাইটানিকের চেয়ে ৫ গুণ বেশি বড়। এতোদিন পৃথিবীতে সর্ববৃহৎ জাহাজ হিসেবে খ্যাত ছিলো ইনডিপেন্ডেন্স/ফ্রিডম অফ দ্য সিস যার তুলনায় ওয়েসিস অফ দ্য সিস পাক্কা ৭৫ ফুট বেশি লম্বা।
ওয়েসিস অফ দ্য সিস এর বৈশিষ্ট্যগুলো শুনলে চোখ ছানাবড়া হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। ইতিহাসের বৃহত্তম এই জাহাজে রয়েছে সর্বমোট ১৬টি ডেক, ২,৭০০টি সুসজ্জিত কক্ষ (স্টেয়ার রুম বা কেবিন) এবং ৬,৩০০ যাত্রী এবং ২,১০০ ক্রু ধারণ ক্ষমতা। জাহাজের বৈশিষ্টগুলোকে সর্বমোট ৭টি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে সেন্ট্রাল পার্ক, পুল, ফিটনেস সেন্টার, বিনোদন কেন্দ্র ইত্যাদি। ওয়েসিস অফ দ্য সিস সর্বমোট ২০ তলাবিশিষ্ট জাহাজ, যা নিচু কোনো ব্রিজের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় প্রয়োজনে গতিবেগ বাড়িয়ে পানিতে পুরো জাহাজের অবস্থান আরো নিচু করে ফেলতে পারে। ডেনমার্কের দি গ্রেট বেল্ট ব্রিজের উচ্চতা ওয়েসিস অফ দ্য সিজের চেয়ে মাত্র ১ ফুট বেশি। অথচ খুব সহজেই গতি বাড়িয়ে ওয়েসিস অফ দ্য সিস অতিক্রম করেছে এই সেতু। ওয়েসিস অফ দ্য সিসে রয়েছে একটি পার্ক বা উদ্যান, যেখানে ১২ হাজার গাছের চারা এবং ৫৬টি গাছ রয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এটিই প্রথম ভাসমান উদ্যান। জাহাজের পেছনের অংশে রয়েছে ৭৫০টি আসন বিশিষ্ট থিয়েটার, যার মধ্যে রয়েছে সুইমিং পুল। মজার ব্যাপার হচ্ছে, জাহাজের এই জায়গাটি দিনে ব্যবহৃত হয় সুইমিং পুল হিসেবেই অথচ রাতে ব্যবহৃত হয় সাগরের একটি থিয়েটার হিসেবে।
কেবিন বা থিয়েটার ছাড়াও জাহাজের প্রায় প্রতিটি অংশেই রয়েছে অসংখ্য বার, পোশাক ও বিভিন্ন দ্রব্যাদির দোকান আর রেস্টুরেন্ট। এছাড়াও রয়েছে ভলিবল কোর্ট, বাস্কেটবল কোর্ট, চারটি বিশালাকৃতির সুইমিং পুল, জাহাজে আরো রয়েছে ইয়ুথ জোন, যেখানে আছে কম্পিউটার গেমিং ও সাইন্স ল্যাবরেটরিসহ নানা আকর্ষণীয় বিষয়, থিম পার্ক এবং বাচ্চাদের জন্য বিশেষ নার্সারি ও খেলাধূলার স্থান। আর পায়ে হেঁটে বেড়ানোর জন্য সুদৃশ্য জায়গা তো আছেই। টাইটানিকের ওজন ছিল ৮৬ হাজার ৩২৮ টন। কিন্তু এই ওয়েসিস অফ দ্য সিস জাহাজটির ওজন টাইটানিকের চেয়ে অনেক বেশি। ওজন ২ লাখ ২৫ হাজার ২৮২ টন। বাইশতলাবিশিষ্ট এই জাহাজে অত্যাধুনিক হোটেলের সব রকম সুযোগ-সুবিধারই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পাঠকের সুবিধার জন্য জানিয়ে দিচ্ছি যে আপনিও হতে পারেন এর গর্বিত একজন অতিথি। এশিয়া মহাদেশেও এর রাজত্ব রয়েছে। সেজন্য আপনাকে এই ওয়েব সাইটের সহযোগীতা নিতে হবে। আর হ্যাঁ মাত্র ৩৬০ ইউএস ডলার দিয়ে এর বুকিং শুরু...আমরাতো অলরেডি বুকিং দিয়ে দিয়েছি ৫ রাত স্পাইস স্ব-পরিবারে...আমার ক্রুজ এর রুট হচ্ছে - সিংগাপুর - কুয়ালালামপুর (Port Klang) - মালয়শিয়া - ফুকেট -থাইল্যান্ড - সিংগাপুর...
এবার আপনাদের পালা স্বপ্ন পূরনের...
এশিয়া মহাদেশের জন্য বিস্তারিত এই লিংক এ :
Click This Link
©somewhere in net ltd.