![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যার হাতে আমার প্রাণ এবং যিনি আমাকে ব্লগে লিখার। দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের প্রাণপ্রিয় নবী মুহাম্মদ সাঃ এর উপর।
একজন ফকীহ একটি হাদিসকে ”সহীহ” বলেছেন। অপরদিকে আরেকজন ফকীহ সেই হাদিসকেই ”যইফ” বা দুর্বল বলে আখ্যায়িত করেছেন। এমন অবস্থায় আমরা সাধারণ মুসলিমরা কি করব?
এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যে বাংলাদেশের অসংখ্য যুবক রয়েছে যারা দ্বীন শিখতে আগ্রহী। অসংখ্য ভালো ভালো আলেম রয়েছেন বাংলাদেশে যারা এই সমস্ত ছাত্রদের শিক্ষা দিয়ে থাকেন।
যাই হোক যে সমস্যাটা আমরা চরমভাবে লক্ষ করেছি তা হলো আহলে হাদিস দাবীদারগণ এবং বাংলাদেশের আহলে হাদিস আলেমগণ যখনই কোন হাদিস বলেন তখনই হাদিসটি বলার পাশাপাশি হাদিসটি যে সহীহ সেটা মানুষকে বুঝানোর জন্য আরো একটি কথা উচ্চারণ করে থাকেন যে ””আলবানী হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন”””। পক্ষান্তরে মাজহাবের অনুসারীরাও তাদের দেখাদেখি কোন হাদিস উচ্চারণ করেই বলে উঠে ”ইমাম তিরমিজী, ইমাম যাহাবী হাদিসটি সহীহ বলেছেন। ”আলবানী বড় না ইমাম তিরমিজী আগে” ইত্যাদি টাইপের প্রশ্ন করে থাকেন।
একই হাদিস সম্পর্কে যদি দুজন আলেম বিপরীতমুখী বক্তব্য দেন তখন আমাদের করণীয় কি?
মূলত হাদিস এর মধ্যে ৪ প্রকারের হাদিস গ্রহণ যোগ্য। যথা
১। সহীহ লি যাতিহী
২। হাসান লি যাতিহী
৩। সহীহ লি গইরিহী
৪। হাসান লি গইরিহী
এছাড়া হাদিস যইফ বা দুর্বল বলে আখ্যায়িত হয় ১০-১২ টি কারণে। যেমন-
১। হাদিসটি মুরসাল হলে
২। সনদের কেউ মাজহুল হলে
৩। হাদিসটি মুতকাতি হলে
৪। হাদিসটি মুজতরিব হলে
৫। হাদিসটি শায হলে
৬। হাদিসটিতে তাদলিস থাকলে
৭। সনদের কোন রাবীর স্মৃতিশক্তিতে প্রচুর ঘাটতি থাকলে
৮। হাদিসটি সনদে মাতরুক ব্যক্তি থাকলে
৯। হাদিসটি মুদাল হলে
এছাড়াও আরো বেশ কিছূ কারণ রয়েছে। যাই হোক একজন আলেম যখন কোন হাদিসকে সহীহ বলেন তখন উনার উচিত সকল বিষয়গুলোই বিবেচনা করা। কিন্তু হাদিস বিশেষজ্ঞগণ ফেরেশতা না হয়ে মানুষ হওয়ার জন্য সব সময় সকল দিক বিবেচনা করতে পারেন না বা ভূলবশত বাদ পড়ে যায়। কেউ সনদ দেখে বলেন হাদিসটি সহীহ। অথচ হাদিসটি শায হওয়ার কারণে যইফ। তাই কেউ হাদিসকে সহীহ বললেই যে হাদিসটি সহীহ তেমনটি নয়। বরং দেখতে হবে কেউ হাদিসটিকে যইফ বা জাল বলেছেন কিনা। যদি বলে থাকেন তো আমাদের দেখতে হবে কোন সমস্যার কারণে তিনি হাদিসটিকে যইফ বা জাল বলেছেন।
সুতরাং দুজন আলেম একই হাদিস সম্পর্কে একজন সহীহ অন্যজন যইফ বললে দেখতে হবে কোন সমস্যার কারণে তিনি হাদিসটিকে যইফ বলেছেন। যদি তিনি কারণ উল্লেখ করতে পারেন তো সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
উদাহরণ স্বরূপঃ-
আমাদের সমাজে একটা হাদিস প্রচলিত যে
মুয়াজ রাঃ এর সঙ্গীগণ থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাঃ মুয়াজ রাঃ কে ইয়ামেনে পাঠানোর পূর্বে বললেন হে মুয়াজ! কোন সমস্যা আসলে কিভাবে সমাধান করবে। তিনি উত্তর দিলেন, আল্লাহর কিতাব দিয়ে। রাসুলুল্লাহ সাঃ বললেন যদি আল্লাহর কিতাব তথা কোরআনে না পাও? তিনি উত্তর দিলেন তখন রাসূল সাঃ এর সুন্নাহ থেকে গ্রহণ করব? রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন সেখানেও যদি না পাও? তিনি বললেন তখন আমি গবেষনা (ইজতিহাদ) করব। (তিরমিযী, অধ্যায়ঃ বিচার কিভাবে ফায়সালা করবে, হাদিস নং-১০২৭)।
এ হাদিসটি ৩টি কারণে যইফ বা দুর্বল। সমস্যাগুলো হলো-
=> মুয়াজ রাঃ এর সঙ্গীগণ থেকে বর্ণিত। কিন্তু এই সঙ্গী কারা ছিল সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না। সঙ্গীরা মাজহুল।
=> হাদিসটি মুরসাল। অর্থ্যাৎ তাবেয়ী সরাসরি রাসূল সাঃ থেকে বর্ণনা করেছে যেখানে মাজখানের সাহাবীর নাম বাদ পড়েছে।
=> হাদিসটির সনদে হারেস ইবনুল আমর রয়েছেন যিনি মাজহুল অর্থ্যাৎ হাদিস এর ভান্ডারে এই ব্যক্তি সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না। কে সে? কার সন্তান? বা কার পিতা? কিছুই জানা যায় না।
ইমাম বুখারী বলেন হাদিসটি সহীহ না। ইবনে হাজম বলেন এ হাদিসটি বাতিল এবং এর কোন ভিত্তি নাই। (আত তালখীস পৃষ্ঠা নং-৪০১)।
কোন আলেম হাদিসটিকে সহীহ বলতে পারেন। কিন্তু আমাদের দেখতে হবে আর কেউ যইফ বলেছে কি না? যদি বলে তো দেখতে হবে কোন কারণে বলেছে। উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারলে উনার যইফ সংক্রান্ত বক্তব্যটি গ্রহণ করা হবে এবং আগে যিনি সহীহ বলেছেন তার বক্তব্য বাতিল হবে।
সুতরাং আমরা যখনই কোন দেখব আলেমগণ একটি হাদিস সম্পর্কে দুরকম মন্তব্য দিয়েছেন তখন যে প্রমাণ দেখাতে পারবে সেটাই মানব। সবচেযে যেই ব্যাপারটি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো হাদিস যইফ বলার পাশাপাশি যইফ হওয়ার কারণ গুলোও উল্লেখ করতে হবে এবং হাদিসটি কোন অধ্যায় এ পাওয়া যাবে সেটাও উল্লেখ করতে হবে।
==>>আমাদের স্মরণ রাখতে হবে যে, আজ আমরা যা ব্লগগুলোতে পোষ্ট করছি তাই বছরের পর বছর ব্লগে ফেইসবুকে সকল জায়গায় প্রচার হবে। তাই লাগলে সময় নিয়ে হলেও একটা পোষ্ট দিব যা ফল দিবে দীর্ঘদিন যাবৎ। আর আমাদের প্রতিদান তো ওই মহান স্বত্ত্বারই নিকট যার কাছে আমাদের ফিরে যেতে হবে।
আল্লাহ আমাদের সত্য বুঝার, জ্ঞান অর্জন করার, হাদিস নং অধ্যায় তাহকিক সহ প্রচার করার এবং যইফ ও জাল হাদিসের ক্ষেত্রে কারণ উল্লেখ সহকারে ইসলাম প্রচারের তৌফিক দান করুন। আমীন।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৪
শুধু মুসলিম বলেছেন: জাযাকাল্লাহ।
২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪
নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: োষ্ট কেও পড়েনি দেখি। আমিও আগে পড়িনি। ভালো লাগলো। তবে একজন সাধারণ মানুষের কাছে বর্ণনার ক্ষেত্রে মাজে কোন হাদিস বর্ণনাকারী মিসিং কিনা সেই সাথে আর সব কিছু যাচাই করা কঠিন তবে খুব কঠিন না। আসলে একটু চেষ্টা করলেই পারা যায়। কিন্তু আমরা সেই চেষ্টা না করে একজন হুজুরকে পীর ( সেই হুজুরের কথাই শুনবো আর কারো না এই অর্থে) বানিয়ে সেই হুজুর যা বলে তাই মেনে নিয়ে বসে থাকি আর কেও যদি প্রশ্ন করে তাহলে বলি "তুমি কি ঐ হুজুর বা ইমামের চাইতে বেশি জানো নাকি?"
+++++ প্রিয়
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১১
শুধু মুসলিম বলেছেন: আমার পোষ্টটি হানাফী ও আহলে হাদিসদের মধ্যে দ্বন্দ নিরসনের জন্য। মুসলিমরা যাতে একটা সমাধানে পৌছাতে পারে, তারজন্য শুধুমাত্র যারা ইসলাম কোরআন ও হাদিস নিয়ে চর্চা করে তাদের জন্য প্রযো্জ্য। বাস্তব হলেও সত্য এ বিষয়টি অনেক বড় বড় আলেমও জানেন না। আপনি চেক করে দেখতে পারেন। যাই হোক আমাদের জ্ঞান অর্জন ফরজ। আমিও যেমন জ্ঞান অর্জন করেছি। আমি চাই আমার মুসলিম ভাইরাও এই জ্ঞানটি অর্জন করুক। আমাদের প্রতিদান মহান আল্লাহর নিকট।
৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৭
দার্শনিক বলেছেন: আপনার পোস্টটির প্রেক্ষিতে আমি একটি ব্লগ লিখেছি। নিচের লিংক থেকে দেখুন। Click This Link
৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫
আলতামাশ বলেছেন: আপনি লিখেছেন,
এছাড়া হাদিস যইফ বা দুর্বল বলে আখ্যায়িত হয় ১০-১২ টি কারণে। যেমন-
১। হাদিসটি মুরসাল হলে
২। সনদের কেউ মাজহুল হলে
এই দুইটি বিষয়ের মধ্যে যে শ্রেণীবিভাগ আছে সেটা আপনি উল্লেখ করেন নি। এর দ্বারাই বুঝা যায় উলূমুল হাদিস সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
আপনার সজ্ঞা অনুযায়ি সহিহাইন এবং সুনানে আরবায়ার অধিকাংশ হাদিসই যইফ হয়ে যাবে।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪
শুধু মুসলিম বলেছেন: আপনি আমার লেখনীর উদ্দেশ্য বুঝতে পারেন নাই। এখানে আমি জাস্ট ধারণা দিয়েছি যে কি কি কারণে যইফ হতে পারে এবং কোন যইফ হাদিস আমরা কিভাবে উত্থাপন করব সেটা দেখিয়েছি। আমরা "আলবানী সহিহ" বলেছেন বলেই চালিয়ে দিব, নাকি যথাযথ কারণ উল্লেখ করব ইত্যাদি।
আমি যা তুলে ধরেছি তা হলো সামগ্রিক বিষয়। ২/১টা ব্যতিক্রম হবেই। যেমন আপনি মুরসাল ও মাজহুল এর কথা বলছেন। এমন ভাবে আরো অনেকগুলো বিষয় তুলে ধরা যায়। যেমন মুদাল্লিস হাদিস।
আসলে কম কথায় কোন একটি বিষয় সুন্দরভাবে উত্থাপন করাই হচ্ছে বিচক্ষণতার পরিচয়। এটাই রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন সহীহ মুসলিম এর হাদিসে।
যাক আপনাকে বুঝিয়ে লাভ নাই। ধন্যবাদ।
৫| ১৪ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:৪৭
md Robi Ahammad বলেছেন: Vai ami hadis bujte ki korte pari amake akto help korbe
৬| ১৪ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:৪৭
md Robi Ahammad বলেছেন: Vai ami hadis bujte ki korte pari amake akto help korbe
৭| ১৪ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:৪৭
md Robi Ahammad বলেছেন: Vai ami hadis bujte ki korte pari amake akto help korbe
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪
বাঙাল শিক্ষক বলেছেন: জাযাকাল্লাহু খাইরান। অনেক শিক্ষনীয় পোস্ট।