![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুচরো পয়সার জীবন। আমার প্রতিটা মুহূর্ত কাটছে খরচ হয়ে যাবার ভয়ে, হারিয়ে যাবার ভয়ে...।
বিকেলে চা খাচ্ছিলাম পলাশী বাজারে। পাশের মুদির দোকানের কিশোর দোকানী একমনে পেঁয়াজ সাজাচ্ছে পিরামিড আকৃতিতে। হঠাৎ পাশে এসে দাঁড়ালেন এক মধ্যবয়সী হতশ্রী মহিলা। মুখে যুগপৎ শংকা-সন্দেহ-ভয়। দাঁড়ালেন আমার আর দোকানীর মাঝখানে। কাঁপা কাঁপা শীর্ণ হাতের মুঠোয় চকচকে একটা পাঁচ টাকার কয়েন। ভয়ে ভয়ে বার দুয়েক ডাক দিলেন দোকানীকে। কিন্তু কিশোর তখন সৃষ্টিশীল হয়ে উঠেছে পিরামিডের উচ্চতা নিয়ে, তাই কথায় কানও দিলোনা। সৃষ্টি শেষ হলে সে ফিরে তাকায়। মহিলাটি খুব সংকোচে নিচু স্বরে বলেন- “বাবা, পাঁচ টাকার শুকনা মরিচ দিবা? ডাল রেঁধে খাবো”। দোকানী খানিক বিরক্ত হয়ে একমুঠো মরিচ ফেলে দিলো মহিলার ব্যাগে। এরপর যখন সেই মহিলা বাড়িয়ে দিলেন কয়েনটা তখন খুব তাচ্ছিল্য নিয়ে দোকানী তাকে বললো- “লাগবেনা, যান”। একটা অসংগায়িত অপমানিত মুখে মহিলা খুব দ্রুত জায়গা ছেড়ে চলে গেলেন। মহিলা কি ভাবলেন? এটাতো ভিক্ষা হয়ে গেলো। তিনি তো ভিক্ষা চাননি। তিনি চেয়েছিলেন কম পরিমানের জিনিস। আমি জানিনা মহিলার হাতের ধাতব কয়েন এক টুকরা সিসার টুকরো হয়ে গেঁথে রইলো কিনা মহিলার মনে। বৈষম্যের অর্থনীতির যাঁতাকলে আর কতজন যে এভাবে এক মুহূর্তেই ভিক্ষুকে পরিণত হবে তা কে জানে! একদিকে ফুঁলে ফেঁপে বেড়ে ওঠা ধনিক শ্রেণি, বিলাসী খাবার, অপচয় আর অন্যদিকে হঠাৎ রুপান্তরিত ভিক্ষুক, টি-সি-বির চাল, চিনি-আটার লাইনে মুখ লুকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মধ্যবিত্ত, দুপুরে চা-বিস্কিট খেয়ে কাটিয়ে দেয়া রিক্সাওয়ালা। আসলে কোনটা আমাদের সমাজের আসল প্রতিফলন? দুই বেলা দুমুঠো ভাত, নাকি লো ফ্যাটের ফ্রাইড রাইস আজকে আমাদের জাতীয় চাহিদা? আভিজাত্যের বিলাসিতা নাকি হতদারিদ্রতার নির্বাসন; কোনটা আজ দখল করে নিচ্ছে গোলটেবিল বৈঠকের আলোচনা শিরোনাম? সুনীলের ‘সেই সময়’-এ পড়েছিলাম এক হতদারিদ্রের কথা। ক্ষুধার জ্বালা আর ইংরেজের নির্যাতনে সে পাগল হয়েছিলো। তারপর রাস্তায় ঘুরে ঘুরে সে মানুষকে বলতো- “বাবা, একটু জল দিবি? চিড়ে ভিজিয়ে খাবো”। যদিও তার কাছে চিড়ে ছিলোনা! আমাদের সমাজ আর অর্থনীতি কি আবার সেইদিকে ফিরে যাবে? এরপর কি আত্মসম্মান বিক্রি হবে চাল, পেঁয়াজ বা চিনিতে?
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৪
অপার্থিব অন্তরীণ বলেছেন: সেই ভাই, ম'রে যাওয়াটাই হয়তো এখন একটা প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে।।
২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩২
মো কবির বলেছেন: একটু ভুল হয়ে গেছে
"মরছে যারা করছে বেসরকারি চাকরি"
৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৯
কালোপরী বলেছেন:
৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৯
ইয়াংিক বলেছেন: কাকে বলবেন?
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৫
অপার্থিব অন্তরীণ বলেছেন: কাউকে বলার নাই। শুধু ভেবে ভেবে নিজের কষ্ট বাড়ানো ছাড়া আর কিচ্ছু করার নাই।
৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৫
টিভি পাগলা বলেছেন: পলাশীর আধাযুগ আগে মাঝে মাঝে চা খেতাম, এখন দেখি এটা মিনি বেইলিরোড হয়ে গেছে।
বিকালে ভাজাভুজি বিক্রি করে। কিন্তু যথেষ্ট অস্বাস্হ্যকর মনে হয়।
৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৫
টিভি পাগলা বলেছেন: পলাশীর মোড়ে আধাযুগ আগে মাঝে মাঝে চা খেতাম, এখন দেখি এটা মিনি বেইলিরোড হয়ে গেছে।
বিকালে ভাজাভুজি বিক্রি করে। কিন্তু যথেষ্ট অস্বাস্হ্যকর মনে হয়।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৯
অপার্থিব অন্তরীণ বলেছেন: অস্বাস্থকর ভাজা বানানোর পরেও তার যা চাহিদা! বিকাল ৫-০০ টার পর দোকানের সামনে দাঁড়াতেই পারবেননা। দোকানদার কি পাগল নাকি যে স্বাস্থবিধি মেনে দামি খাবার বানিয়ে কমপিটিটিভ আডভান্টেজ হারাবে????
৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৬
মনে নাই বলেছেন: এইসব লেখা পড়লে মনটা খারাপ হয়ে যায়, আমাদের এত এত উন্নতি মিথ্যে মনে হয়। তবে সত্যি কথা বলতে আগের থেকে এই অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে, অবশ্য সারাদেশে হয়েছে কিনা বলতে পারবোনা, আমাদের গ্রামে হয়েছে। আমাদের গ্রামে দেখেছি অনেকের দুইবেলা দূরে থাক একবেলাই ঠিকমত চুলা জ্বলেনা- একসময় শুনেছি ভাতের মার খেয়েও দিন পার করতে, এখন তিনবেলা চুলা জ্বলে। এর একটা কারন হতে পারে আমাদের এলাকায় বেশ কয়েকটা শিল্প-কারখানা স্থাপন করায় লোকজনের রোজগারের রাস্তা বের হয়েছে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৩
অপার্থিব অন্তরীণ বলেছেন: সমস্যা হলো কয়েকটা চুলা যখন জ্বলছে তখন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চুলা নিভেও যাচ্ছে। এবং দেশের গরীব মানুষ চুলায় গেলেও আমাদের অর্থনীতির কিচ্ছু যাবে আসবেনা।। এপাড় গড়ে তো ওপাড় ভাঙ্গে অবস্থা।
৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫০
নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: এখন পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় সমস্যার হচ্ছে সম্পদ কিছু মানুসের হাতে কুক্ষিগত হয়ে যাওয়া। বেশির ভাগ সম্পদ এখন কিছু মানুসের হাতে। কয়দিন আগে আমেরিকাতে এই নিয়ে কতো আন্দোলন হয়ে গেলো " বাংলাদেশেও নাকি ৮০% সম্পদ আঁতকে আছে ২০ ভাগ মানুসের কাছে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৫
অপার্থিব অন্তরীণ বলেছেন: হ্যাঁ, এভাবে অনেক মানুষের জীবনও কিছু মানুষের হাতে কুক্ষিগত হয়ে যায়।
৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩০
টাইটান ১ বলেছেন: পড়ে কষ্ট পেলাম। কাকে কী বলব?
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
অপার্থিব অন্তরীণ বলেছেন: চুপচাপ সহ্য করে যেতে হবে। যেমন আমি আজ করলাম।
১০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৫
আশিক মাসুম বলেছেন: কিচ্ছু বলার নাই।
১১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫
মো কবির বলেছেন: এত কিছু হওয়ার পরেও মানুষ এখনও এই বিষয় গুলো নিয়ে মাথা গামাচ্ছে না।
কাউকে সাহায্য করতে পারছেন না, কিন্তু রাস্তায় অসহায়, বঞ্চিত গরীব মানুষ দেখলে কিন্তু ঠিকই মাথা নিচু করে ওদের এড়িয়ে যাওয়ার চেস্টা করছি আমরা সবাই।
এই যে আজ এই ব্লগের সবাই পাশ কাটিয়ে গেলাম ।
সবার একই কথা কিছু বলার নাই।
কেন বলার নাই ??
আজ ওরা এমন কালতো আমি আপনি ও ওদের মতো হতে পারি।
তাই অন্তত কিছু করার চেষ্টাতো অন্তত করতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩১
মো কবির বলেছেন:
ভাই নষ্ট রাজনীতির মার প্যাচে পরে আজ মরছে চাষি, মরছে যার করছেনা বেসরকারি চাকরি, আর মরছে সাধারণ মানুষ আর মরছে পথের চাটারীতে ঘুমানো মানুষ আর মরছে মানবতা ।
আমার এই পোস্টটি পারলে একটু পড়ে দেখবেন Click This Link
কিন্তু এত কিছু হওয়ার পরেও মানুষ এখনও এই বিষয় গুলো নিয়ে মাথা গামাচ্ছে না।
কাউকে সাহায্য করতে পারছেন কিন্তু রাস্তায় অসহায়, বঞ্চিত গরীব মানুষ দেখলে কিন্তু ঠিকই মাথা নিচু করে ওদের এড়িয়ে যাওয়ার চেস্টা করছি আমরা সবাই।
মূল্যহীন জীবন
সাধের মানুষ,সাধ্য কি তোর
থাকিব যদি ভবে ।
রং দেখিয়া রংয়ের খোজে
রইলি কেবল মেতে,
পথ দেখিয়া চললি কেবল
দেখলি নারে চেয়ে ;
অনাথ মানুষ আছে যে তোর
মুখটি পানে চেয়ে ।
হাজার টাকার মাইনে পেয়ে
করলি কেবল ভোগ ।
অসহায়ের বিপদ দেখেও,
করলি নারে দান ।
নিজে খেয়ে বাচলি কেবল
দেখলি নারে পরকে ।
মৃত্যু হলে থাকবে কি তোর
এমন খাওয়ার মূল্যরে ।