নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তত্ত্ব, তথ্য ও অনুভূতি ভাগাভাগি করা আমার অভিপ্রায়। কারও যদি ইচ্ছে হয় তবে যে কেউ আমার এই ব্লগের যে কোন কিছু নিজের সংগ্রহে রাখতে পারে।
বেশ কয়েক বছর হলো বাইক চালাচ্ছি। বেশ কয়েকবার এক্সিডেন্টও করেছি। তবে কিছু জিনিস বোঝার পর আমার দুর্ঘটনা করার টেন্ডিসি কমে গেছে। আপনার সাথে সেটাই আজ শেয়ার করব। আশাকরি এতটুকু হলেও উপকারে আসে।
১. সব সময় মনে রাখবেন আপনি সাবধানে চালালেও অন্যরা সাবধানে নাও চালাতে পারে। কাজেই যে কোন সময় যে কোন ঘটনার জন্যে প্রস্তুত থাকতে হবে। উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগাতে হবে। হয় স্পিড বাড়াতে হবে বা কমাতে হবে দুর্ঘটনা ঠেকাতে।
২. দুই ঘন্টা আগেও ম্যানহোলের ঢাকনা লাগান থাকতে পারে আপনার পরিচিত রাস্তায়। কাজেই বিলবোর্ড বা রিক্সায় সুন্দরি মেয়ের দিকে মনোযোগ না দিয়ে বাইক চালানো তে মনোযোগ দিতে হবে।
৩. ফাঁকা রাস্তা হলেও আপনি লেফ্ট রাইট বা স্ট্রেইট সিগনাল দিন। কারন আপনার মনের কথা অন্য চালক জানে না। তাকে জানতে দিন।
৪. যদি বেশি সমস্যা না হয়, তাহলে দিনের বেলায় হাইওেয়েতে দ্রুত মোড় নেবেন না।
৫. ওভার টেক করেবেন কন্ফিডেন্টলি। আর সেসময় হর্ন দিয়ে যে গাড়িকে ওভারটেক করেছেন, তাকে হর্ন + সিগনাল দিয়ে জানান দিন।
৬. আপনি যে গাড়ির সাথে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন অথবা ডানে বামে মোড় নিতে চাচ্ছেন, সামনের সেই গাড়ির ড্রাইভারের সাথে আই কন্ট্রাক করুন। চোখের ভাষা সিদ্ধান্ত নিতে খুব সহায়ক হয়।
৭. কখনও ভাবা যাবে না যে, আপনার চাইতে কেউ দ্রুত বাইক চালাতে পারে না। যদি রেস খেলতে যান, তবে আলাদা কথা।
৮. হাইওয়েতে কিছু কিছু প্রাইভেট কারের হর্ন শোন যায় না, লো সাউন্ডের জন্যে বা হেলমেট পরে থাকার জন্যে। তাই হটাৎ করেই পেছন থেকে আপনাকে ওভারটেক করতে পারে। ভয় পেয়ে খুব দ্রুত সাইড দিতে যাবেন না। আপনি ব্যালেন্স হারিয়ে ফেলতে পারেন। দ্রুত ব্রেক করার কোন প্রশ্নই আসেনা। যদিও বা করেন তবে দুই ব্রেকই এক সঙ্গে সমান ব্যালেন্স করে।
৯. সিঙ্গেল হার্ড ব্রেক করার চাইতে, আমি ডাবল ব্রেক করে ভাল পারফরমেন্স পাই। সিঙ্গেল ব্রেকে, পেছনের চাকার ক্ষেত্রে স্লিপ করার চান্স থাকে, আর সামনেরটার ক্ষেত্রে পল্টি খাবার চান্স থাকে।
১০. বৃষ্টির ভেতর রাস্তা যতই ফাকা হোক, স্পিড কখনও ৪০ (ফোরটি)র উপর তুলবেন না। কারন ব্রেকে পানি ঢুকে বা রাস্তা ও টায়ারের ঘর্ষন বল কমে ব্রেকের পারফরমন্সে ৩০% এ নেমে আসে। কাজেই সাবধান।
১১. কোচ গুলোকে বিশ্বাস করা যায়, কিন্তু হাইওয়েতে ট্রাককে কোন বিশ্বাস নেই। ট্রাক চালকরা অনেক টেনশনে থাকে, অনেক নেশা করে, রাত্রিকালীন গাড়ি বেশি চালায় বলে ক্লান্ত থাকে । কাজেই ট্রাকের আগে পিছে থাকার সময় সাবধান।
১২. স্পিডব্রেকার: আমি এমনও স্পিড ব্রেকার পাইছি যা মোটামুটি ৬ ইঞ্চির এদিক ওদিক হবে। আবার বেশির ভাগের কোন জেব্রা কালার বা পাশে কোন সাইনবোর্ড নেই। হটাৎ দেখলেন ১০ হাত সামনে স্পিডব্রেকার তখন কি করবেন? অনেকে ধুম করে ব্রেক করে। আর স্লিপ কাটে বা সিটকে যায়। আমার সাজেশান হল, বাইকটাকে সোজা রাখুন, শক্ত হাতে হেন্ডেল ধরে রাখুন। আর নরমাল ব্রেক করুন। নরমালি যতটা স্পিড কমে সেটাই বোনাস। জোরে হয়ত ঝাকি খেলেন, তাতে কিছু যায় আসে না।
১৩. লঙ জার্নি করার সময় আপনার অজান্তেই হাত ঝি ঝি ধরে যায় বা পেশির জড়তা চলে আসে। তাই যখন ব্রেক কষতে চাইছেন, পারবেন না। হয়ত পারবেন, তবে দেরি হবে। তাই একটানা চালানোর ক্ষেত্রে দেড় থেকে দুঘন্টা পর ১৫ মিনিটের ব্রেক দিন। আপনার বাইকের ইঞ্জিনের জন্যেও ব্রেক দেয়াটা ভাল। হাত পা ঝাকা ঝাকি করে নিন, যদি ঘেমে যান তবে সেটা বেশি ভাল।
১৪. শীতের ভেতর ভাল নরম হ্যান্ড গ্লোভসের তুলনা হয়। হাতের কব্জি আর জুতা না পড়লে পা, এই দুটা জিনিস ঠান্ডায় অসার হয়ে যায়। ব্রেক করার জন্যে হাতের আঙ্গুল বা পায়ের পাতা কাজ করে না।
১৫. হাইওয়েতে রাস্তায় পিচ ঢালার জন্যে পার্ক লেনের চেয়ে ১-২ইঞ্চি উচু নিচু হয় মেইন রোড । অনেক সময় ডান পাশ দিয়ে অন্য গাড়ি ওভারটেক করতে থাকে। তখন হয়ত আপনাকে বামপাশের ৩ হাত চওড়া পার্ক লেনের অংশে বাইক নামিয়ে দিতে হয়, অনেকে স্পিড না কমিয়েই আবার মেইন রোডে উঠতে চায়, অত:পর এক্সিডেন্ট ঘটে। আমি বলব, ভাই ১ মিনিট সময়ের জন্যে কি একমাস কাটা ছেলা বা ভাঙ্গা হাত পা নিয়ে পড়ে থাকা ভাল? ২০-৩০ কিমি স্পিডে নিয়ে আস্তে করে মেইন রোডে উঠুন।
১৬.মারকারী হেলমেট রাতের জন্যে খুব খারাপ। তবে যদি ফগকাটার বা উন্নত হেডলাইট থাকে তাহলে অন্য কথা। আমার সাজেশান হল দিনে বা রাতের সুবিধার জন্যে সাদা গ্লাসের হেলমেট নির্বাচন করা উচিত। মার্কারী বা কাল কাচের হলে দিনের বেলায় অন্য ড্রাইভারে সাথে আই কন্ট্রাক করা যায় না। রাতে তো প্রশ্নই আসে না।
১৭. অনেক হেলমেটে হর্ন এর শব্দ ঠিক কোন পাশ থেকে আসছে, সেটা বোঝা যায়না। ভাল মানের হেলমেটে এই সমস্যা হয় না। আমার একটা হেলমেট ছিল, কোন গাড়ি সামনে থেকে হর্ন দিলে মনে হতো পেছনের কোন গাড়ি হর্ন বাজাচ্ছে। মদন সেজে জেতাম তখন। এটা এয়ার ভেন্টিলেশনের জন্যে হতো।
১৮. বাইকের চেইন ছিড়ে যেতে পারে যদি ৩-৪ জন নিয়ে যেন তেন ভাবে পিকআপ টানতে থাকেন। যদি ভাগ্য ভাল থাকে , পায়ের কোন ক্ষতি হবে না। তবে পেছন থেকে কেউ ধাক্কা দিতে পারে। হাইওয়েতে কোন গাড়ি ওভারটেক করার সময় আমার এই জিনিসটা বারবার মনে পড়ে। আমার ছোট ভাইয়ের এরকম হয়েছিল।
১৯. অনেকে কাধে ভাড়ি ব্যাগ নিয়ে লঙ জার্নি করে। আমার অভিমত হল, এতে কমর ব্যথা হয়। আর সেকেন্ডলি, এটা অনেক সময় পুরা বডির ব্যালেন্স কে নষ্ট করে ফেলে। কারন পিঠের ঐ ভাড়ি ব্যাগেরও একটা গতি জড়তা আছে। তাই ওর ভাড়টাও আপনার উপর এসে ব্যালেন্সটাকে নষ্ট করে দেয়। ডানে/বামের বাইকের পেছনে নিতে পারলেই মনে হয় ভাল।
২০. চাকার এয়ার প্রেসার ঠিক রাখলে পান্চার কম হয় বা বাস্ট হয় না। টায়ার লাস্টিং করে। বাতাসের চাপ সামনের টায়ারে ৩৫, পেছনে ৪৫ রাখাতে হবে।
সবশেষ কথা হল, ধৈর্য্য ধরে চোখ কান সজাগ রেখে, যে কোন প্ররিস্থিতি ঘটতে পারে ভেবেই বাইক চালাতে হবে।
ভাল থাকবেন সবাই।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯
অপলক বলেছেন: লেখাটাতে কিছূ পয়েন্ট বাদ দিয়েছি। অনেক বড় হয়ে যাচ্ছিল তাই। তারপরেও যদি উপকারে আসে তবে ভাল লাগবে।
২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫
চান্টু ভাই বলেছেন: আমি একবার উল্টাই পরে গেছিলাম!!! ভাগ্যিস কিচ্ছূ হয় নাই। তবে মটরসাইকেল চালানো আমার শখ।
আপনাকে ধন্যবাদ ইমপরটেন্ট তথ্য দেবার জন্য।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১
অপলক বলেছেন: আমার ২ বার এক্সিডেন্ট হইছে। দুবারই অন্যরা এসে মেরে দিছে।
৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭
বাবু বিসি বলেছেন: আমি প্রায় ২ বছর বাইক চালাই, আল্লাহর রহমতে এখনো কোন দুরঘটনা ঘটাই নাই। খুব সতক থাকলে সমস্যা হয় না।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩
অপলক বলেছেন: যাক একজন সাবধানি মানুষ পাওয়া গেল। আপনি কোন শহরে চালান বিশেষ করে?
ধন্যবাদ
৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০
রাতুল_শাহ বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪
অপলক বলেছেন: মেকাপ তো করি নাই ভাই। সুন্দর হইল কেমনে?
৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: Good post! #1 is the most important.
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬
অপলক বলেছেন: আমারও তাই মনে হয়। প্রয়োজনে বাইসাইকেলকেও সাইট দিতে হবে। প্রয়োজনে রাস্তায় এক ডালা বালির জন্যেও বাইক থামাতে হবে।
৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩
মামুন রশিদ বলেছেন: সচেতনতামুলক পোস্ট । বাইক চালকদের জেনে রাখা খুবই দরকারি ।
চৌদ্দগ্রাম থেকে মিরেশ্বরাই পর্যন্ত বাকী আছে । এই অংশটা ড্রাইভ করলে আমার "জাফলং টু কক্সবাজার" বাইক ট্রিপ কমপ্লিট হবে
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭
অপলক বলেছেন: আমি সিলেট ডিভিশানের সব দর্শনীয় স্হান বেশ কয়েকবার বাইকে আসা যাওয়া করেছি। শেষবার গেলাম সিলেট থেকে নরসিংদি। আশাকরি দূরত্ব আরও বাড়বে।
আশাকরি আপনার আশা খুব শীঘ্রই পূরণ হবে।
৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমারও তাই মনে হয়। প্রয়োজনে বাইসাইকেলকেও সাইট দিতে হবে।
এটা পড়ে সাইড দেওয়ার কৌতুক টা মনে পড়ে গেল
এক লোক হত-পা ভেঙ্গে হাসপাতালে বিছানায়-
তা কি করে হল এই এক্সিডেন্ট?
লোকটি বলল-
আমিতো ভালই চালাচ্ছিলাম।
প্রথমে আসলো একটা বাস
দিলাম সাইড।
তারপর আসলো ট্রাক।
দিলাম সাইড।
এরপর আসলো ব্রিজ!
তারেও দিলাম সাইড
তারপর এই খানে
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০০
অপলক বলেছেন: হা হা হা..... অনেক মজা পাইলাম। আমার একটা মনে পড়ল।
এক লোক হাসপাতালে এক্সিডেন্টের পর বলছে যে কিভাবে ঘটনা ঘটল। সে যাচ্ছে যাচ্ছে ... রাতের বেলা.... তো হটাৎ দেখল দুটা মটর সাইকের একই দিক দিয়ে আসছে পুরা রাস্তা জুরে। তাই সে উপায় না দেখে দুটাকেই সমানভাবে সাইট দিতে দুটার মাঝখান দিয়ে চালিয়ে দিয়েছে । পরে বুঝেছে, ওটা একটা ট্রাক ছিল।
৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: কাজে লাগবে, ধন্যবাদ।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০১
অপলক বলেছেন: সংগ্রহে রেখে লাভ নাই। মাথায় গেথে রাখুন ভাই।
ধন্যবাদ।
৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
টুনা বলেছেন: রাস্তায় গাড়ী চালানোর সময় মনে করতে হবে আপনি একাই শুধূ সুস্থ আর বাকী সব চালকই পাগল(রৃপক অর্থে)।
ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন সবাই।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৯
অপলক বলেছেন: হুম। পাগল ততক্ষণ, যতক্ষণ না ঐ চালক আপনাকে দেখছে। যদি আপনাকে চালক দেখে আর কন্ট্রল করার সময় থাকে, তবে কখনই সে আপনার বাইকে একটা ঠোকাও লাগাবে না।
তবে আপনি যদি বারে বারে ওভারটেক করেন আবার পিছে গিয়ে সাইড দেবার জন্যে হর্ন বাজিয়ে বাজিয়ে বিরক্ত করতে থাকেন তবে, লাগিয়েও দিতে পারে। বলা যায় না। মানুষের মন বলে একটা জিনিস আছে। সেখানে বিরক্তি বাসা বাধে। দেখাগেল পুলিশের চাঁদাবাজির রাগ আপনার উপর ঝাড়ছে সামান্য একটুতেই।
১০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
খুব দরকারী পোস্ট।
ধন্যবাদ ||
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৫
অপলক বলেছেন: আর একটা দরকারি কথা বলা হয়নি। হাইওয়েতে সাদা বা হলুদ রঙের ড্রেস পড়লে বেশ ফায়দা পাওয়া যায়। কেননা কাল পিচঢালা রাস্তায় আপনার অবস্থান খুব ভালভাবে বোঝা যায়। আবার লুকিং গ্লাসে অন্য গাড়ির চালকরা একবিন্দু সাদা/হলুদ রং দেখে সঠিক অনুমান করে।
আমার সরলরেখা বরাবর যত দেখি, ততটাই দেখি কৌনিক স্থান থেকে আসা দৃশ্য। তাই অন্য গাড়ির চালক যখন আড়চোখে উজ্জ্বল আলো দেখে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা সহজ হয়। অন্ধকারে সাদা বা হালকা কালারের কাপড় সহজে বোঝা যায়। তাই এক্সিডেন্ট হবার সম্ভাবনাও কম।
১১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০০
আশরাফ উদ্দিন বলেছেন: আমি প্রায় ৪ বছর বাইক চালিয়েছি, আল্লাহর রহমতে এখনো কোন দুরঘটনা ঘটাই নাই। খুব সতক থাকলে সমস্যা হয় না। এখন দেশের বাইরে আছি।
আমি মূলত চিটাগং শহরে চালিয়েছি। লং ড্রাইভ বলতে মিরের সরাই, রাঙ্গামাটি এবং কাপ্তাই পর্যন্ত।
আমার অভিমত হলো অপরিচিত রাস্তায় রাস্তা যতই ফঁাকা থাকুক না কেন, স্পীড কখোনই বেশি দেয়া উচিত না। আর রাতের বেলায় ড্রাইভিং দ্ক্ষতা ৫০% এ নামিয়ে আনতে হবে। আর যারা নতুন বাইক চালাবেন তাদের জন্য পরামর্শ হলো টার্নিং এ অবশ্যই স্পীড কম রাখবেন। আমার মতে সিটি এলাকাতে রিস্ক অনেক কম। হাই ওয়েতে চালানোর সময় (১০০ সি. সি. বা তার নিচে) ট্রেলার ক্রস করার সময় স্পীড কমাতে হবে অন্যথায় বাতাসের ধাক্কায় আপনি ব্যালন্স হারাতে পারেন।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৯
অপলক বলেছেন: ভয়ঙ্কর সব রাস্তায় চালিয়েছেন দেখি।
আমি আপনার মতামতের সাথে একমত। আমি অপিরিচিত রাস্তায় প্রথমে যাই ধীরে। আর ফিরি একটু তাড়াতাড়ি তবে সবকিছু মাথায় রেখে।
১২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৭
খেয়া ঘাট বলেছেন: ভালো একটা পোস্ট।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৯
অপলক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
১৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২১
রাতুল_শাহ বলেছেন: হা হা হা.................
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
অপলক বলেছেন:
১৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫০
এম ই জাভেদ বলেছেন: সড়ক পথের সবচেয়ে রিস্কি বাহন হল বাইক। আমি বিসমিল্লাহ না বলে কখনও বাইক স্টার্ট দিইনা।
সাভার -ঢাকা হাইওয়ের রাস্তা আমার মুখস্ত হয়ে গেছে। তবে রাতের বেলা দুরপাল্লার বাসগুলি খুব ডেমকেয়ার ভাবে চলে। ওদের থেকে সব সময় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলি। হাইওয়ে তে আমি ৬০-৮০ এর মধ্যে স্পিড রাখি। নইলে দানব দের অভারটেকে পড়ে খালি সাইড দিতে হয়। আর হাইওয়েতে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ির হেড লাইট চোখে পীড়া দেয়, তখন বাধ্য হয়ে রাস্তা না দেখে স্পিড নামিয়ে আনি ৪৫ এর নিচে।
আপনার পয়েন্ট গুলি আমি মাথায় রাখার চেষ্টা করি। তাই এখন পর্যন্ত সেরকম সমস্যা হয়নি। ধন্যবাদ আপনাকে। এখন থেকে আরও সাবধান হয়ে গেলাম।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮
অপলক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। কিন্তু রাতের বেলায় আমি আসলেই খুব ভয় পাই, যখন ট্রাক বা বাসের লাইট চোখে পড়ে। চোখে ধা ধা লেগে যায়। কিছু দেখি না মনে হয় তখন। ঐ সময় হেলমেট পড়া থাকলে পুরা গ্লাসটাই আলোতে ছেয়ে যায়। এর কি কোন সলুশান আছে আপনার জানা মতে?
১৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫২
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গুড টিপস
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০০
অপলক বলেছেন: থ্যানক্স।
১৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৬
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।
পোস্ট প্রিয়তে............
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০১
অপলক বলেছেন: ওরে বাপস ! কেমন কেমন যেন লাগছে !
ধন্যবাদ।
১৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৭
সায়েম মুন বলেছেন: সতর্কতা এবং সচেতনতামূলক পোস্ট। বেশ লাগলো।
আমি গ্রামের বাড়িতে গেলে বাইক চালাই। স্পিড সর্বোচ্চ ৪৫। এর আগে আরও আস্তে চালাতাম। বউ সবাইকে বলে হাসাহাসি করে। আমি নাকি এমন আস্তে চালাই, যে বাই সাইকেলও আমাকে ওভারটেক করে যায়। সেই লজ্জায় এখন কিছুটা বাড়িয়েছি।
তবে উপায় থাকলে বাইক না চালানোই উত্তম। খুব ডেঞ্জারাস ভেহিকেল। আমার খুব ক্লোজ ব্ন্ধু বাইক এক্সিডেন্ট এ মারা গেছে। তাও আবার বিপরীত দিক থেকে আসা বাইক ধাক্কায়।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৮
অপলক বলেছেন: ভেহিকেল ডেঞ্জারাস না। কিন্তু এর এক্সিডেন্টাল আউটপুট আসলেই অনেক অনেক ডেঞ্জারাস, ভয়ঙ্কর।
বাইক চালানোর সময় ধৈর্য্য ধারণ করা অনেক বড় ব্যাপার। ভাবি যতই বলুক, আপনি সেফ এ চালাবেন, ধীরেই চালাবেন।
১৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: কখনও ভাবা যাবে না যে, আপনার চাইতে কেউ দ্রুত বাইক চালাতে পারে না। যদি রেস খেলতে যান, তবে আলাদা কথা।
দরকারী পোষ্ট , বাইকের শৌখিনদের খুব কাজে লাগবে।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৩
অপলক বলেছেন: কেন বলছি শুনুন এবার। আমি জাফলং যাচ্ছি ৬০ কিমি স্পিড। একটা মাইক্রবাস আমার ডবল স্পিডে কোন নোটিশ ছাড়াই পেছন থেকে পাশ কাটিয়ে গেল। ১ মিনিট কম সময় পরে তিনটা পালসার ১৮০ (২টা), ১৫০সিসি(১টা) চোখের পলকে সাই সাই করে চলে গেল। মনে হল, দুটা ডানা থাকলেই বাইকগুলো উড়তে পারত ! চলতে চলতে দেখলাম, ওরা আগের মাইক্রবাসকে ওভারটেক করল। ঢাকাতে রাত ১২টা দিকে দেখলাম, অত্যান্ত ব্যস্ত রাস্তাতেও বাইক রেসিং চলছে। আমি ঠিক বুঝলাম না, ১২০ কিমি বা তার কাছাকাছি স্পিডে ঢাকার মত ব্যস্ত ভাঙ্গাচোরা রাস্তায় বাইক চালানোর মানেটা কি? পরে শুনলাম কিছুদিন আগেই ধানমন্ডিতে নাকি এক বাইকারের বডি দুই পিস হয়ে গেছে। কি আজব !
১৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৯
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: অনেক দরকারি পোস্ট। নতুন কিছু জানলাম। প্রিয়তে নিলাম। লেখককে আন্তরিক ধন্যবাদ।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৫
অপলক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার মত সকল পাঠককে।
২০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪২
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
দারুণ পোষ্ট!!!
এত সুন্দর একটি সচেতনমূলক পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
+++++++++++
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩০
অপলক বলেছেন: ++++++++++ মাথায় রাইখেন কিন্তু ভাই। একটা কথা না বললেই না, যখন আপনার লেনেই আপনার ঠিক সামনের কেউ, তার সামনের বাস/ট্রাক ওভারটেক করছে, কখনই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না, তার পিছু পিছু ঐ বাস/ট্রাক কে ওভারটেক করা। কারণ ঐ বাস/ট্রাকের চালক, আপনার সামনের গাড়িকে দেখেছে, কিন্তু আপনাকে নাও দেখতে পারে। কাজেই সে প্রথম গাড়িকে সাইট দিয়েই ডানে চাপতে পারে। তারপর আপনার সাথে ঠোকাঠূকি।
২১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৩৪
ভিটামিন সি বলেছেন: পোষ্ট পড়ে ভালো লাগল। অনেক কিছু জানলাম। তবে আমার জাইন্যা লাভ নাই। আমার বাইক নাই, বাইক কিনার টাকা নাই, শ্বশুর ও দেয় নাই, তাই একটা বাইসাইকেল কিনছি। এইটা দিয়া আরামছে মানুষ, গরু, ছাগল অভারটেক করি। শুধু একবার (ছোটবেলায়)আমার চেয়ে বড় এক মেয়ের সামনের দুই পায়ের চিপা দিয়া সাইকেলের সামনের চাকা ধইরা দিছিলাম।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩
অপলক বলেছেন: আপনার মন তো দেখি ভাইটামিনে ভরা... ছোট বেলা দেখে বেঁচে গেছেন, এখন কিন্তু ভুলেও কইরেন না। খবর আছে !!!!
২২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৫
এহসান সাবির বলেছেন: উপকারী পোস্ট। ধন্যবাদ।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩
অপলক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও ভাই।
২৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮
তাসজিদ বলেছেন: বাইক চালাতে জানি না।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪১
অপলক বলেছেন: জানলেই বিপদ। হাত পা মন সব নিশপিশ করবে দূরে কোথাও হারিয়ে যাবার জন্যে। আর মৃত্যু বাতাসের আগে আগে ভেসে যাবে। সুযোগ পেলেই কেল্লা ফতে !
২৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০১
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন। আরেকটা কথা , মটর সাইকেলের আরেকনাম মরণ সাইকেল। তাই দিনে দুইবার মোছা উচিত শয়তান ছাড়ানোর জন্যে।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩
অপলক বলেছেন: আমার মা বলে, হুন্ডা হল শয়তানের কান ধরে উড়ে চলা। স্পিড কখনও কমাতে ইচ্ছে করবে না।
২৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৯
লিন্কিন পার্ক বলেছেন:
বাইক চালানোর খুব শখ কিন্তু চালাইতে পারি নাহ ! ব্যাল্যান্স ধরে রাখতে পারি নাহ
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪
অপলক বলেছেন: সাইকেল চালান শেখেন আগে। তাহলে সহজ হবে।
২৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪
মদন বলেছেন: ১৭. অনেক হেলমেটে হর্ন এর শব্দ ঠিক কোন পাশ থেকে আসছে, সেটা বোঝা যায়না। ভাল মানের হেলমেটে এই সমস্যা হয় না। আমার একটা হেলমেট ছিল, কোন গাড়ি সামনে থেকে হর্ন দিলে মনে হতো পেছনের কোন গাড়ি হর্ন বাজাচ্ছে। মদন সেজে জেতাম তখন। এটা এয়ার ভেন্টিলেশনের জন্যে হতো।
আমার এই সমস্যা হয়, আমিতো ভাবছি আমার সমস্যা, এখন দেখি আমার না আমার হেলমেট এর
হেলমেট পাল্টানোর জন্য রেডি হই
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:১০
অপলক বলেছেন: ৪০০০ টাকার উপর হলে ভাল মানের কিছু পাবেন।
২৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬
সূর্য হাসান বলেছেন: বাইক চালকদের জন্য অনেক উপকারী একটা পোস্ট। আপনাকে ধন্যবাদ এমন একটা পোস্ট দেওয়ার জন্য। ভালো থাকুন।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:১১
অপলক বলেছেন: ভাল আছি আপনাদের দোয়ায়।
ধন্যবাদ ভাই।
২৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৪২
েবনিটগ বলেছেন: অভিনন্দন জানাই
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯
অপলক বলেছেন: ধন্যবাদ। কিন্তু জন্যে এই অভিনন্দন?
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩
সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: অনেক গুরুত্বপুর্ন তথ্য