নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তত্ত্ব, তথ্য ও অনুভূতি ভাগাভাগি করা আমার অভিপ্রায়। কারও যদি ইচ্ছে হয় তবে যে কেউ আমার এই ব্লগের যে কোন কিছু নিজের সংগ্রহে রাখতে পারে।
মা তখন খুব অসু্স্হ্য। মনটা খুত খুত করছিল। আমি থাকি সিলেটে। সিলেট থেকে বগুড়ায় যাবার কোন বাস দিনের বেলায় ছাড়ে না। পরের দিন অবরোধ। রাতে কোন বাস ছাড়বে কিনা ঠিক নেই। মন খারাপ করে অফিসে বসে ছিলাম। তখন ৯.৩৫।
হঠাৎ মাথার ভেতরে পোকা কামড়াল। সিদ্ধান্ত নিলাম আমার ভাঙ্গা চোড়া বাইক নিয়েই যাব। অফিসকে কোন রকম ম্যানেজ করে বের হলাম। তখন বেলা ঠিক ১১টা। সে সময় কি যে শান্তি লাগছিল বলে বোঝান যাবে না। বাড়ি যাচ্ছি, মা কে দেখতে পাব, মনের মধ্যে তখন এসব ঘুর পাক খাচ্ছে।
যা হোক অনেক কষ্টে ১১ ঘন্টা পরে সিলেট থেকে বগুড়ায় পৌঁছালাম। একটানা চালিয়ে হাত আর পা ঝিমঝিম করছিল। জোরে চালালে এত সময় লাগত না। কিন্তু উপায় ছিল না, আমার ওয়ালটন বাইকের অবস্থা বারটা হয়ে ছিল। ভাল মেকার পাচ্ছিলাম না, তাই ঠিক করা হয়নি।
যা হোক, গড়ে ৬০-৭০কিমি স্পিডে চালিয়েছি। মাঝে তিনবারে মোট দেড় ঘন্টা রেস্ট নিয়েছি। তারপরেও রাত ১০ টায় পৌছেছি। আমার ভাগ্য ভাল কোন দূর্ঘটনা ঘটেনি।
আমি খুব চিন্তায় ছিলাম। কারণ ইঞ্জিনের ভেতর অন্যরকম সাউন্ড হচ্ছিল। অচেনা রাস্তায় আটকে পড়লে সব শেষ। বাসায় ঢুকে মা কে দেখে সব ক্লান্তি মুছে গেল।
এখন হয়ত ভাবছেন, আমার লেখার হেডিং এর সাথে মিল কই? ঘটনা হল, পরের দিন আমি আবার বগুড়া থেকে দিনাজপুর যাই। সেখান থেকে আবার ব্যাক করি কাজ শেষ করে। রাতের বেলায় যাওয়াই আর কুয়াশা থাকায় খুব একটা জোরে চালাতে পারিনি। সময় অনেক বেশি লেগেছে। যেতেই প্রায় ৪ ঘন্টা।
তারপরেও অবাক করার কথা হল, আমার ওয়ালটনের ফিউশান ১২৫ সিসি বাইকটা আমাকে যে ভাবে সাপর্ট দিল, তা আমার ধারনাও ছিল না। একেতো ইঞ্জিন দিয়ে মোবেল পড়ত। এর আগে ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টারে দিয়েছিলাম। এরা আসলে কোন কাজই করেনি। তার উপর ব্যাটারির লাইন সর্টসার্কিট করে ফেলেছিল।
ইঞ্জিনের প্রেসার ছিল না। এত সব প্রবলেম নিয়া আমি যে একটানা এত জার্নি করলাম, আমার নিজেরিই এখন অবাক লাগে।
যা হোক পরে হিসেব করে দেখলাম ১৮ঘন্টায় আমি মাত্র ৭৪০কিমি রান করেছি। এর ভেতর জামে আটকে থাকা + নাস্তা করা + টয়লেট সারা সবই আছে।
শেষে বগুড়ার আমার পরিচিত মেকারের কাছে সার্ভিসিং করালাম। এখন সব ফিট।
একটা ইনফরমেশান হল, ওয়ালটনের এখনকার ইঞ্জিনগুলো চায়না। যে কারনে অনেক ব্যাড রিপোর্ট শুনি। তবে প্রথম দিককার গুলো সম্ভবত কোরিয়ান ছিল। আমি একেবারে শুরুতেই কিনেছিলাম। আমি মানে আমার বাবা কিনেছিল। তাই হয়ত আমার অনেক অনেক রাফ ইউজের পরেও ভাল সার্ভিস দিচ্ছে।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭
অপলক বলেছেন: খুব কষ্ট হয়েছে। তবে নিজেকে বোঝাচ্ছিলাম, আমার বাসার কেউ জানে না যে আমি বাসায় আসছি, তাও বাইক চালিয়ে।দ্বিত্বীয়ত, আমার কিছু হলে সব শেষ।
এতকিছূর পরেও বগুড়া শেরপুরে এটা স্পিড ব্রেকার দেখলাম। কিন্তু কি করতে হবে সেটা যেন মাথায় আসছে না। শেষ মুহূর্তে ব্রেক করলাম। বড় একটা ঝাকি খেলাম। ভাগ্য ভাল যে কিছু হয়নি।
ঐ দিন একটা পজেটিভ দিক ছিল যে, পরের দিন অবরোধ থাকায়, হাইওয়েতে তেমন কোন জ্যাম ছিল না। তাই টেনশান কম হচ্ছিল।
২৫০ কিমি.রও অনেক। সাধুবাদ আপনাকে।
২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৩
তামিম ইবনে আমান বলেছেন: আসল ছবি দিতেন।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৮
অপলক বলেছেন: ঠিক আছে পরের লেখাতে দেব।
৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৬
নীলতিমি বলেছেন:
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০০
অপলক বলেছেন: না রে ভাই। বিডি বাইকার গ্রপ, ১৯ ঘন্টায় টেকনাফ টু তেতুলিয়া গিয়েছিল। আমি তো নস্যি ।
৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৫
মানবীয় বলেছেন: এই ধরনের লং জার্নির জন্য ইয়ামাহা ফেজার খুব ভাল সাপোর্ট দিবে।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০১
অপলক বলেছেন: ফেজার কখনও চালাইনি। তবে অনেকের কাছেই শুনি যে বেশ কমফরটেবল, ভাল কন্ট্রলিং করা যায়।
৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪
জর্জিস বলেছেন: বগড়োত কুটি থাকেন??
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৯
অপলক বলেছেন: টাউনোত। আপনের বাড়ি কুন্টি? কি করেন?
৬| ২৬ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০১
হতাশ নািবক বলেছেন: হামি ও তো বগড়োর বারে।
২৬ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩
অপলক বলেছেন: বগরাত কুনটি ? কোন শুলটির মধ্যে আছলেন বারে এত্দিন ?
৭| ২৭ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭
হতাশ নািবক বলেছেন: নাটাই পাড়ার এক শুলটির মধ্যে অয়ে আছনু বারে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২
মামুন রশিদ বলেছেন: ভাই করেছেন কি? একটানা এত সময় বাইকে মনযোগ ধরে রাখলেন কিভাবে? আমি একবার কুমিল্লা থেকে বাইক চালিয়ে সিলেট এসেছিলাম । কিন্তু এটা আপনার তুলনায় খুবই কম, ২৫০ কিমি. এর মত হবে ।