নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তত্ত্ব, তথ্য ও অনুভূতি ভাগাভাগি করা আমার অভিপ্রায়। কারও যদি ইচ্ছে হয় তবে যে কেউ আমার এই ব্লগের যে কোন কিছু নিজের সংগ্রহে রাখতে পারে।
ব্যক্তিগত প্রয়োজনে গত সপ্তাহে আমাকে লং ড্রাইভে যেতে হয়েছে মটর সাইকেলে। আমি তওবা করেছি, সন্ধ্যার পর আর হাইওয়েতে বাইক চালাব না। অন্তত ঢাকা - সিলেট রুটে নয়।
ভাগ্য ভাল ছিল বলে, অন্তত পাঁচবার মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেছি এ যাত্রায়। এবং ঘটনাটা সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত আড়াইটার মধ্যেই ঘটে। তাও নরসিংধি থেকে সিলেট শহর পর্যন্ত যে রাস্তা, তার ভেতর।
আপনি কল্পনা করুন, দুই লেনের একটা রাস্তা, তার মধ্যে একসঙ্গে কয়টা গাড়ি এক অপরকে ওভারটেক করে। আমি বাস ড্রাইভারদের রাতে সময়ে বাস চালান দেখে মোটামুটি সিক । বিশেষ করে হানিফ আর শ্যামলী পরিবহনের।
আমার অনেক বন্ধু এই দুই পরিবহনে ঢাকা সিলেট আসা যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু তাদের রাফ ড্রাইভিংয়ের জন্যে। বাসের ভেতর বসে টান টান উত্তেজনায় গাড়ি চালান দেখতে অনেকের ভালই লাগে।
এইবার আমি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি, কতটা বাজে চালায় ২১ থেকে ৪২ জন মানুষের জীবন নিয়ে। এই বাস ড্রাইভার রা কোন লাইটিং সিগনাল মানে না। বিপরীত দিকে আগত বাহনের চালক তীব্র আলোর ফোকাসে ঠিকমত দেখতে পাচ্ছে কিনা তাও তারা ভাবে না।
এসব ধরুন ভদ্রতার ব্যাপার। কিন্তু ওভার টেকিয়ের সময়, বিপরীত দিকের গাড়িটা তার বাম পাশের কাঁচা রাস্তায় নেমেও জায়গা করতে পারবে কিনা , সেটাও ভাবে না।
যাই হোক সেদিন ওই ভয়ঙ্কর ৭ ঘন্টায় আমাকে প্রায় ৪০-৫০টার মত বাস আর ২০০টার মত ট্রাক কে পাশ কাটিয়ে যেতে হয়েছে। আর পেছন থেকে এরকমই গাড়ি ওভার টেক করে গেছে।
দু একটা বাস চালক বাদে সব বাস চালকের অবস্থা এমন যে, হয় ওদের মা মারা গেছে অথবা ওদরে মেয়ে রেপড হয়েছে, সেরকম মাথা নষ্ট করে চালায়।
সেদিক দিয়ে বলব, ট্রাক চালকরা অনেক অনেক গুন ভাল চালায়। অনেক ফরমাল চালায়। অনেক ধৈর্য্য নিয়ে চালায়। আমার তরফ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ট্রাক চালকদের। এদের কাছে আসলে শেখা উচিত, ড্রাইভিং কি ভাবে করতে হয়।
৩০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪
অপলক বলেছেন: আমি দেখেছি, বেশির ভাগ ট্রাক বাস এক্সিডেন্ট হয়, বাস চালকদের জন্যে। বেপরোয়া চালায় বাস চালকরা। আর চালকরা একটু স্লো টানলে কিছু প্যাসেন্জার উস্কানি দেয়, লাগাম ছাড়া কথা বলে মেজাজ খারাপ করে দেয়।
তবে এটা হানিফ বা শ্যামলীর ড্রাইভারদের ক্ষেত্রে খাটে না। তারা সব সময়ই বেপরোয়া চালায়। আবার এক্সিডেন্ট ঘটলে, মিডিয়া + সাংবাদিকদের টাকা ঢালে, খবরটা রাখ ঢাক করে প্রকাশ করার জন্যে।
এটা হল বাংলাদেশ।
২| ৩০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৪৭
হেডস্যার বলেছেন:
এইটা একটা সত্য কথা বলছেন।
ট্রাক ড্রাইভাররা হাইওয়েতে অনেক ধৈর্য্য নিয়ে গাড়ি চালায়।
এদের কাছে বাস ড্রাইভারদের শেখার আছে।
শ্যামলি পরিবহনের ড্রাইভাররা গাড়ি চালায় না.....মনে করে হেলিকপ্টার চালাচ্ছে।
৩০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৭
অপলক বলেছেন: হেলিকপ্টার ?! ভালই বলছেন।
৩| ৩০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৫২
হেডস্যার বলেছেন:
এইটা একটা সত্য কথা বলছেন।
ট্রাক ড্রাইভাররা হাইওয়েতে অনেক ধৈর্য্য নিয়ে গাড়ি চালায়।
এদের কাছে বাস ড্রাইভারদের শেখার আছে।
শ্যামলি পরিবহনের ড্রাইভাররা গাড়ি চালায় না.....মনে করে হেলিকপ্টার চালাচ্ছে।
৪| ৩০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:০৪
স্বপ্নবিলাসী আমি বলেছেন:
শ্যামলীর ব্যাপারে আইডিয়া কম। তবে "হানিফ"!!!??? এদের ড্রাইভারকে গাড়ী চালাতে দেখলে কলিজা কাঁপতে থাকে। কারন এরা এতটাই রাফ ড্রাইভ করে যে, এদের গাড়ীতে না চড়লে এই ব্যাপারে ধারনা দেওয়া অসম্ভব!!!
৩০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৫০
অপলক বলেছেন: এরা ভাই লাইভ রেসিং গেম খেলে, যে কোন রোড এ। এদের প্রতিভার স্বীকৃতি দেয়া উচিত।
৫| ৩০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯
লবকুশ বলেছেন: আমি ঢাকা-রংপুর রোডের বাস ড্রাইভারদের এমন চালাতে দেখেছি। আমি ছিলাম প্রাইভেট কারে, প্রাইভেট কারকে তো মাটির রাস্তাতেই থাকতে দেয় না এমন অবস্থা। কানে ধরেছি আর কোথাও রাতে হাইওয়ে দিয়ে যাবো না।
৩০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৪
অপলক বলেছেন: আসেন ভাই হাত মেলাই। রংপুরের কথা জানিনা, তবে দিনাজপুর-বগুড়া রোডে গেছি, রাতের বেলার একই অবস্থা। এক কথায় ভয়ঙ্কর।
৬| ৩০ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: বাসতো চালায় না মনে রকেট চালায়।
আমাদের সোনার বাংলাদেশে এরচেয়ে ভাল আর কি আশা করতে পারি। ট্রেনিং ও লাইসেন্স ছাড়া যে ড্রাইভার সে আর কেমন চালাবে।
০১ লা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১৯
অপলক বলেছেন: আমার এক ড্রাইভার পরিচিত। সে ঢাকা শহরে ৮ বছর মিনিবাস চালিয়েছে কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া। তারপর নিজেই এক্সিডেন্ট করে বাঁচা মরা অবস্থায় গ্রামে ফেরে। ঐ সময় ৩ জন নিহত হয়।
তার ২ বছর পর সে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে এখন মিনি ট্রাক চালায়। এখন অতিশয় ভাল চালায়। কারন এখন এক্সিডেন্টের অভিঙ্গতা আছে।
৭| ৩০ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪১
নীল বরফ বলেছেন: ভাইরে কি যে ভয়ঙ্কর ওভারটেক!!। এক লেনের রাস্তা, এক সাথে ৩ টাকে ওভারটেক করে। বামের রোডের গাড়ি ওভারটেক করতে গিয়ে ডানপাশের রাস্তা ছেড়ে মাটিতে নেমে পরে!!।
০১ লা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২১
অপলক বলেছেন: আমার এমন হয়েছে যে, মাটির রাস্তায় বাইক দার করিয়ে দিয়েছি, তারপরেও মনে হয় গায়ের ওপর তুলে দেবে। ভয়ঙ্কর.... গা শিউরে ওঠে।
৮| ৩০ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:০৩
হালি্ বলেছেন: ভাই ঢাকা রংপুরের হানিফ এ জান হাতে নিয়া যাতায়ত করতে হয়
০১ লা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৮
অপলক বলেছেন: অনেকেই তাই বলে। আমি অবশ্য যাইনি কখনও।
৯| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ২:২৯
একেবিশ্বাস ( আব্দুল কুদ্দুস বিশ্বাস) বলেছেন: লেখার বিষয়টা চমৎকার। তবে আপনার একটি মন্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছি। মিডিয়া'র বিষয়টা্ এটা সত্য যে অনেক সাংবাদিক কখনো কখনো মিডিয়া হাউজ নিজেও মিথ্যা লেখে। কখনো টাকার বিনিময়ে কখনো নিজ স্বার্থে। কিন্তু আসল কাহিনীটা কোথায় জানেন, অ্যাক্সিডেন্টের পর যাত্রী আশপাশের মানুষরাই ট্রাক ড্রাইভারদের গালি দেয়, দায়ী করে। কারণ ট্রাক ড্রাইভাররা অশিক্ষিত, বাস ড্রাইভারদের তুলনায় সম্মানে নিচু। আমাদের সবার মনেই একটা ধারণা রয়েছে তা হলো ট্রাক ড্রাইভাররা খারাপ। তাই কোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই আমরা ট্রাককে দায়ী করি। এর মাধ্যমেই আসলে সংবাদটা তৈরি হয়। কারণ সাংবাদিক ঘটনা ঘটার সময় থাকে না। তাকে বহু পরে ঘটনাস্থলে যেতে হয়, সেখানকার মানুষ বাসের মানুষের কাছ থেকে তথ্য নিতে হয়। আর কেন জানি মানুষ প্রচলিত ধারণাকে কাজে লাগিয়ে ট্রাকওয়ালাদেরকেই দায়ী করে। তাই দোষটা শুধু সাংবাদিকদের দিয়ে লাভ নেই, দোষ আমাদেরও রয়েছে।
কিংবা যদি এ ঘটনাগুলোর ব্যাপারে পরিবহন কোম্পানিগুলোতে অভিযোগ করা হতো। ১০ জনের শুনলো না ১০০ জনের শুনলো না। কিন্তু এভাবে লাগাতার অভিযোগ দিতে তাকলে কোম্পানি আপনআপনি এ রকম ভণ্ড ড্রাইভারদের ব্যাপারে নতুন করে চিন্তা করতে হতো। একটি বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারি, পাঁচ জন মানুষ যদি প্রকৃত বিষয়টা সম্পর্কে কয়েকটা মিডিয়াকে জানায় তাহলে অন্তত পক্ষে একটা মিডিয়াও অন্তত বিষয়টা নিয়ে ভাববে।
আর হ্যাঁ, এতক্ষণ যখন এত প্যাচাল পাড়লাম তখন আপানার মনেই হতে পারে আমি সাংবাদিকদের কেউ কি না? উত্তরটা হ্যাঁ। তবে আমি সাংবাদিকতা করি বলেই দাবি করি না যে সব সাংবাদিক দুধের ধোয়া নয়। তবে সাংবাদিকতায় নীতি আছে মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধটা আছে।
সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন :-) কমেন্টের শেষে ধন্যবাদ দেয়ার দু:খিত।
২৩ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪১
অপলক বলেছেন: অনেক লম্বা মন্তব্যের জন্যে প্রথমেই ধন্যবাদ। আর সংবাদ সংগ্রহের বাস্তবতা তুলে ধরবার জন্যে সাধুবাদ।
ভাল থাকবেন।
১০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩০
আশরাফুল আলম (অনিক) বলেছেন: আমার তো মনে হয় বাস ড্রাইভারা যদি এইরকম ভাবে গাড়ি না চালায়, তাইলে তো ঢাকা - সিলেট যেতে ৬ ঘণ্টার জায়গায় ১২ ঘণ্টা লাগবে।
২৩ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪২
অপলক বলেছেন: বুঝলাম আপনি কতটা বাস্তববাদী মানুষ।
১১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:০০
অদীত বলেছেন: ভাইরে একবার শ্যামলী পরিবহন দিয়ে আসলাম ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা। এমন ্ওভারটেক করে, দেখে ভয়ই লাগল। একবার ডানপাশ দিয়ে সৌদিয়ার গাড়িকে ধাক্কা মারতে মারতে বেচে গিয়েছিল। আর সেদিন যাচ্ছিলাম নরসিঙদী দিয়ে। আমার ড্রাইভার দেখল সামনের সিমেন্টের কাভার্ড ভ্যান আস্তে যাচ্ছে, সে খালি রাস্তা দেখে ওভারটেক করল। আর ওভারটেকের পর দেখা গেল কাভার্ড ভ্যানের চালক ঘুমাচ্ছে। এই হলো ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অবস্থা।
২৩ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪
অপলক বলেছেন: ভাইরে ভাই আর ভয় দেখায়েন না। অনেক হইছে।
১২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:১৮
মদন বলেছেন: আমাদের রাজশাহী ঢাকা রুটে সবচেয়ে বাজে চালায় হানিফ এরপরে শ্যামলী।
২৩ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪৫
অপলক বলেছেন: সারা বাংলাদেশেই এরা বাজে চালায়। অনেক এক্সিডেন্ট করে। মিডিয়াকে টাকা খাওয়ায়, তাই খবর অতটা প্রকাশ পায় না।
১৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৩৪
রাহুল বলেছেন: এগুলা মানুষ না অমানুষ।
২৩ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩
অপলক বলেছেন: এরা মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। এক্সট্রিম ডিউটিফুল। তা না হলে এরা ১২ ঘন্টার জার্নি কিভাবে ৬ ঘন্টায় করত। আবার এই ৬ ঘন্টার জার্নি এরা ৫ ঘন্টায় করার চেষ্টা করে। বোঝেন অবস্থা।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫
হেডস্যার বলেছেন:
এইটা একটা সত্য কথা বলছেন।
ট্রাক ড্রাইভাররা হাইওয়েতে অনেক ধৈর্য্য নিয়ে গাড়ি চালায়।
এদের কাছে বাস ড্রাইভারদের শেখার আছে।
শ্যামলি পরিবহনের ড্রাইভাররা গাড়ি চালায় না.....মনে করে হেলিকপ্টার চালাচ্ছে।